মান্যতা পেল আমরা বাঙালীর দীর্ঘদিনের দাবী

লেখক
তপোময় বিশ্বাস

 ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে পশ্চিমবঙ্গের সব বোর্ডের শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলা ভাষার পঠনপাঠন বাধ্যতামূলক করা হলো বলে দাবী করছেন সংঘটনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব সচিব তপোময় বিশ্বাস৷ গত ৭ই আগষ্ট,২৩ পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীসভায় বাঙলার সমস্ত বিদ্যালয়ে, ইংরেজী মাধ্যম বিদ্যালয়েও বাংলা ভাষার পঠনপাঠন বাধ্যতামূলক ভাবে পড়ানোর আইন পাশ হয়৷ দীর্ঘ বছর যাবৎ আমরা বাঙালী দলকে বাঙলার সমস্ত বিদ্যালয়ে বাংলা পড়ানো আবশ্যিকতার দাবীতে লড়াই করতে দেখা গেছে৷ সরকার তাদের দাবী মেনে নেওয়াতে খুশি সংঘটনের কর্মী-সমর্থকরা৷ কলকাতা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তপোময় বিশ্বাস বলেন---স্বাধীনতা পরবর্তী বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের আমলেও তীব্র গণ আন্দোলন চালিয়ে গেছি৷ গত মার্চের শেষেও আমরা পুলিশের চরম বাধা পেরিয়ে বিকাশ ভবনে গিয়ে বাংলা ভাষা পড়ানো বাধ্যতামূলকের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান ও আন্দোলন সংঘটিত করেছিলাম৷ গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ অধিকাংশ রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় সেই রাজ্যের প্রদান ও আন্দোলন সংঘটিত করেছিলাম৷ গুজরাট,মহারাষ্ট্র সহ অধিকাংশ রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় সেই রাজ্যের প্রধান আঞ্চলিক ভাষা তথা সেই রাজ্যের বাসিন্দাদের মাতৃভাষার পঠনপাঠন বাধ্যতামূলক হওয়ার পরেও পশ্চিমবাঙলার সব বিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার পঠন পাঠন বাধ্যতামূলক নয় কেন? অবিলম্বে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করতে হবে, এতে করে বাংলা ভাষা সম্পর্কে যে হীনমন্যতাবোধ অর্থাৎ নীচু মনোভাব সহ বিভিন্ন অপপ্রচার বন্ধ হবে৷ বাঙলার কেন্দ্রীয় ও ইংরেজী মাধ্যম বিদ্যালয়গুলিতে বাঙালী শিক্ষকের সংখ্যা বাড়তে শুরু করবে, বাঙালী ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে-এই যুক্তিতেই বাঙলার সব বিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করতে হবে নচেৎ আমাদের সংগ্রাম চলবে৷

তবে সিদ্ধান্ত ফাইল বন্দি হয়ে থাকলে চলবে না৷ তাকে কার্যে পরিণত করতে হবে৷ দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ করে কলকাতা ও তৎসংলগ্ণ জেলাগুলিতে যেভাবে হিন্দি চেপে বসেছে বোট সর্বস্ব রাজনীতির সুযোগ নিয়ে তাকে উচ্ছেদ করা খুব সহজ হবে না৷ শিল্প সংস্কৃতির পাশাপাশি বাঙলার রাজনীতিতেও এদের প্রভাব কম নয়