মুখোশের আড়ালে মুখ---বাঙালী সাবধান

লেখক
এইচ.এন. মাহাত

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীজী বাঙলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন৷ মতুয়া ভোটারদের মন জয় করতে মতুয়াদের তীর্থস্থান উড়াকান্দী যাওয়ার পথে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’’ ধবনি দিয়ে বাংলাদেশের  মন জয় করে গর্ববোধ করলেন৷ তবে কি তিনিও ‘‘বাংলাদেশী’’!

ভারতে কেউ জয় বাংলা ‘‘বললে তাকে বিজেপির সেনারা বাঙলাদেশী বলেন৷ মাননীয় মোদিজী শুধুমাত্র বোটের জন্য মতুয়াদের মন জয় করতে চাইছেন৷ আশ্চর্যের বিষয় বাঙলাদেশ অথবা পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত হয়ে এপার বাঙলায় ৭০ বছর বসবাস করার পরেও সেই বাঙালীদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে! বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অনেকবার বলেছেন ভারতে কোন বাংলাদেশী নেই৷ মোদীজি কোনদিন সেই কথার প্রতিবাদ করেননি৷ এই ধরণের দ্বিচারিতার কারিগরদের মুখোশের আড়ালের মুখটা ভোটের পরেই চেনা যাবে৷ যেমন অসম রাজ্যের বাঙালীরা আজও ভারতীয় প্রমাণ দিতে  অপারক, কারণ কোন প্রমাণই অসমে গ্রহণ যোগ্য নয়৷ বাঙালীরা ভোটের আগে নাগরিক অথচ সেই বাঙালীরা ভোটের পর বিদেশী৷  এবারের ভোটে নির্বাচন কমিশন বলেছেন গত বিধানসভার নির্বাচনে যারা ভোটার ছিলো তাদের নাম বর্তমান তালিকায় না থাকলেও ভোটাধিকার পাবে৷ আবার বাঙালীকে নিয়ে একি ছলনা? অসমে বিজেপির কোনটা আসল মুখ, আর কোনটা মুখোশ  বোঝা ভার৷

প্রবাদে আছে, ঠেলার নাম বাবাজী সাবধান বাঙালী সাবধান৷ বাঙলার সকল মতুয়ারা ধর্মীয় ভাবাবেগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও আপনারাই ভারতের জাতবাঙালী৷ বাঙালীস্তানে তথা ভারতবর্ষের সকল কিছু উন্নতির মূলে রয়েছে ছয়টি জাত বাঙালীদের অবদান৷ জাতবাঙালী মানে মাহাতো, সদগোপ , নমশূদ্র, রাজবংশী,কৈবর্ত ও চাকমা৷ এই ধরনের  মুখোশ পরা নেতৃত্ব যারা ভারতে  বাঙালীকে  বিলুপ্ত করে দিতে চায় তাদের বিশ্বাস না করে৷ ‘‘আমরা বাঙালী’’ দলের ,সঙ্গে একাকার হয়ে নতুন প্রজন্মকে বাঁচতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করুন৷ বাঙালী কে বাঁচান, বাঙালীস্তানকে বাঁচান, আপনারাও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার সংকল্প নিন৷