সংবাদ দর্পণ

নিউব্যারাকপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৯ই জুন নিউব্যারাকপুর নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীমোহনলাল অধিকারীর বাসগৃহে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ উঃ ২৪ পরগণা জেলা ও পাশ্ববর্তী জেলার মার্গী ভাই বোনেরা এই কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তন পরিচালনায় ছিলেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, হরলাল হাজারী, শুভাশীষ হাজারী, তনুশ্রী সরকার প্রমুখ৷ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বরপ্রণিধানের পর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর রচনা থেকে পাঠ করে শোণান আচার্য প্রমোথেশানন্দ অবধূত৷ এরপর উত্তর ২৪ পরগণার জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রীসন্তোষ বিশ্বাস কীর্ত্তন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷ এরপর একটি প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন তনুশ্রী সরকার৷ এরপর কীর্ত্তনের প্রয়োজনীয়তা ও আনন্দমার্গের লক্ষ্য উদ্দেশ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ পরিশেষে আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত একটি প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷

দেশের প্রায় অর্ধেক সাংসদ ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদদের প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি সাংসদ ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত৷ এস্যোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্য বিশ্লেষন করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী গত ৪টি লোকসভা নির্বাচনে ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত সাংসদের সংখ্যা ক্রমবর্দ্ধমান ২০০৯ সালে অভিযুক্তর সংখ্যা ছিল ১৬২জন, ২০১৪ সালে এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৫ জন, ২০১৯ সালে বেড়ে হয় ২৩৩ জন, ২০২৪ সালে ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধির সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫১জন৷

বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---অভিযোগ থাকলেই কাউকে দোষী বলা যায় না৷ কিন্তু যাঁরা জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের সেবায় আত্ম নিয়োগ করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গণতন্ত্রের পক্ষে মোটেই গৌরবের নয়৷ রাজ্যে ও দেশের বহু নেতা মন্ত্রী দুর্নীতির দায় নানা সময় জেলে গেছেন এখনও অনেকে জেলে আছেন৷ শ্রী খাঁ এই প্রসঙ্গে বলেন---প্রাউট প্রবক্তা তাঁর সামাজিক অর্থনৈতিক দর্শনে সদ্‌বিপ্র নেতৃত্বের কথা বলেছেন৷ অর্থাৎ রাষ্ট্রের পরিচালকদের কঠোরভাবে নীতিপরায়ণ, সৎ চরিত্রের ও নিঃস্বার্থ জনসেবার মানসিকতা থাকতেই হবে৷ প্রাউটের পরিভাষায় সদ্‌বিপ্র তাকেই বলা হয় যিনি দৈহিক শক্তিতে বলীয়ান হবে, দৃঢ় মানসিকতা ও আধ্যাত্মিকতায় প্রতিষ্ঠিত হবে৷ তাই সদ্‌বিপ্ররা কখনও কোনও অবস্থাতেই নীতিবাদ থেকে বিচ্যুত হবে না৷ কোন প্রলোভনের কাছে মাথা নত করবে না৷ সমাজের সমস্ত রকম অবিচার শোষণ ও দমন পীড়ণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে৷ বর্তমান পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত আর্থিক ব্যবস্থায় দুর্নীতিগ্রস্তরাই নেতৃত্বে আসবে৷

শিলচরে শহীদ বাবুল দেবের স্মরণসভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৫ই জুন শহিদ বাবুল দেব স্মরণে শিলচর ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তির পাদদেশে বিকাল ৫টায় এক শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমরা বাঙালী৷ সংগঠনের রাজ্যেসচিব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিন পাঁচই জুন ,উনিশ সাতাশি সালে ,আসাম চুক্তি বাস্তবায়ণ ও আইএমডিটি, আইন বাতিলের দাবীতে ১২ ঘন্টার অসম বনধের ডাক দিয়েছিল সারা অসম ছাত্র সংস্থা (আসু)৷ আসাম আন্দলনের সময়, ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ এই ৫ বছর বরাক উপত্যকায় আসু নামে কোন সংঘটন ছিলনা৷ ৮৫ সালের ১৫আগস্টে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী তাদের সঙ্গে আলোচনা ক্রমে চুক্তি করে তাদেরকে রাজ্য রাজনীতিতে নিয়ে আসেন৷ আন্দোলনকারীরা অসম গণপরিষদ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজ্যের ক্ষমতায় ফেরার পর এক শ্রেণীর বাঙালী বিদ্বেষীরা আসুর নাম করে বরাক উপত্যকায় রাস্তায় নামে৷

সেদিন উধারবন্দ থানার সামনে আসুর গুণ্ডাদের আক্রমণে শুরুতর আহত হন বাবুল দেব৷ আহত অবস্থায় তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ তিনদিন মৃত্যুর সংগে লড়াই করে ৭ জুন ইহলোক ত্যাগ করে৷ এরপর থেকে প্রতি বছর ৭ জুন দিনটিকে আমরা বাঙালী দল শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে৷

 সাধনবাবু আরও জানান, বাবুল দেবের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে উধারবন্দ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল৷ মামলা নম্বর ৭৬/১৯৮৭ চারজসিট দেওয়া হয়েছে৷ কেস রেজিস্টার করা হলেও বাঙালী বিদ্বেশী অগপ সরকার তা প্রত্যাহার করে নেয়৷ যার পরিণাম স্বরূপ বাবুল দেবের হত্যাকারীদের আর শাস্তি প্রদান করা হয়নি৷ বর্তমানে অগপ বিজেপি সরকার কৌশলে সেই কালা চুক্তিকে বাস্তবায়ন করে চলছে৷ যার পরিণাম ভয়াবহ আকার ধারণ করছে৷ নিজভূমিতে বাঙালীরা আজ চারিদিক থেকে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন সাধনবাবু৷ বর্তমান সরকার অসম চুক্তির ছয় নম্বর ধারা প্রয়োগ করে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক এবং চাকরি ক্ষেত্রেও বঞ্চিত রেখে সেই কালা চুক্তিকে কৌশলগতভাবে বাস্তবায়ন করে নেওয়া হচ্ছে৷ সম্প্রতি বিধানসভা ওলোকসভার সীমানা নিয়ে ও বরাকের দুইটি বিধানসভা বাতিল করে সরকার চুক্তি বাস্তবায়ণের প্রক্রিয়া চালিয়েছেন৷ তাই সময়ের তাগিদে পুনরায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া কোন বিকল্প নেই৷ অবিলম্বে আসাম চুক্তিকে বাতিল করে অসমে বসবাসকারী সকল বাঙালিকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে৷ একইসঙ্গে বাবুল দেবের হত্যাকারীদের শাস্তি প্রদানের জন্য পুনরায় কেস ওপেন করার দাবি ও উত্থাপন করা হয়৷অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিলচর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শংকর দে, সমর পাল, স্বপ্ণা রায় ,পান্না রায়, রুবি রায়, শিল্পী চক্রবর্তী, যীশু চক্রবর্তী ,রাজা রায় চৌধুরী, পুলক সোম, আজমল হোসেন চৌধুরী,ববি রায় প্রমূখ

প্রাকৃতিক সামঞ্জস্য নষ্ট হওয়ার কারণেই তাপপ্রবাহে জ্বলছে বাঙলা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

তাপপ্রবাহে দগ্দ হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ৷ সবচেয়ে বেশী তাপমাত্রা আসানসোল শিল্পাঞ্চলে৷ পুরুলিয়া বাঁকুড়াতেও তাপমাত্রা আসানসোলের আসে পাশে বইছে৷

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশী হওয়ায় ও বাতাসে আদ্রতা বেশী থাকায় গরমে অস্বস্তি বাড়ছে৷ এই তাপপ্রবাহ থেকে এক্ষুনি স্বস্তি মিলবে না৷ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস আরও দু’দিন ভ্যাপসা গরমের দাপট থাকবে৷

ইতিমধ্যে রাজ্যে তাপ প্রবাহে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ ১১ই জুন ভেলোরে চিকিৎসার জন্যে যাওয়ার পথে হাওড়া স্টেশনে এক ব্যক্তি মারা গেছেন৷ তাঁর বয়স ৫৩৷ বাঁকুড়ায় সানস্ট্রোকে ৪০ বছরের এক ব্যক্তি মারা যান৷ পুরুলিয়ায় ১০ বছরের এক বালক স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে মারা যান৷ গরমের কারণেই ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়ে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ তাপমাত্রার পাশাপাশি বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশী থাকায় গরম অসহনীয় হচ্ছে৷

তবে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি ভিন্ন৷ সেখানে বিভিন্ন জেলায় অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের৷ আগামী ১৬ ও ১৭ই জুন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে৷

বিশেষজ্ঞদের মতে নির্বিচারে গাছ কাটা, বনাঞ্চল ধবংস ও অবৈজ্ঞানিকভাবে নগরায়ণের কারণে প্রাকৃতিক সামঞ্জস্য নষ্ট হচ্ছে৷ জলাভূমি ভরাট করে বাসস্থান গড়া, বড় বড় গাছ ধবংস করে রাজপথ নির্মাণ---আধুনিক সভ্যতার দাপটেও পরিবেশের সামঞ্জস্য নষ্ট হচ্ছে৷ তারই পরিণতিতে এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ৷ ২০১২ সালে রাজ্যে তাপপ্রবাহে ১৩৫ জন মারা গিয়েছিল৷ পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে রাজ্যে এক তৃতীয়াংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন৷

দহনজ্বালা থেকে স্বস্তি দিতে বর্ষা ঢুকছে রাজ্যে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

আগামী শনিবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে বর্ষা ঢুকবে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা৷ তবে তখনও বর্ষা দুর্বল থাকবে৷ আপাতত কিছুদিন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টির কোনও আশা নেই৷ তবে বৃষ্টির মাত্রা আজ মঙ্গলবার থেকে কিছুটা বাড়তে পারে৷ কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর সোমবার যে পূর্বাভাস জারি করেছে সেখানে চারদিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বাকি অংশে ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে মৌসুমি বায়ু ঢোকার কথা বলা হয়েছে৷ উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ণ পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুক্রবার পর্যন্ত চলবে বলে আপাতত জানানো হয়েছে৷

বর্ষা না এলেও আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হয়ে বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে বলে আবহাওয়াবিদরা আশা করছেন৷ এতে গরম সামান্য কমে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে৷ দক্ষিণবঙ্গ বা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জন্য আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত ‘ফেয়ারলি ওয়াইড স্প্রেড’ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর৷ অনেক জায়গায় (৫১ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত) বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে এটা বলা হয়৷ উত্তরবঙ্গের জন্য ‘ওই সময়ে ‘ওয়াইড স্প্রেড’ বৃষ্টির পূর্বাভাসই থাকছে৷ অধিকাংশ জায়গায় (৭৬ থেকে ১০০ শতাংশ) বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে এই পূর্বাভাস জারি করে আবহাওয়া দপ্তর৷

আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বা দক্ষিণবঙ্গ সংলগ্ণ কোনও জায়গায় নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই৷ সেরকম কিছু হলে সক্রিয় বর্ষা প্রবেশ করত দক্ষিণবঙ্গে৷ কিন্তু যে বর্ষা শুক্র-শনিবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে সম্ভবত প্রবেশ করতে চলেছে তা দুর্বলই হবে৷ তাই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই৷

আষাঢ় মাস পড়ে গেলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও বর্ষা না আসায় সাধারণ মানুষও কিছুটা উদ্বিগ্ণ হয়ে পড়েছেন৷ বর্ষা কবে এসে প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি দেবে তা সবাই জানতে চাইছেন৷ আবহাওয়াবিদরা অবশ্য দেরিতে বর্ষা আসার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখতে পাচ্ছেন না৷

আবহাওয়া অধিকর্তা জানিয়েছেন, অতীতে ২৫ জুন বা তার পরেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার নজির আছে৷ গতবছরও ২০ জুনের পর বর্ষা এসেছিল৷ উত্তর ভারতের দিক থেকে প্রবাহিত পশ্চিমী উষ্ণ ও শুষ্ক গরম হাওয়া বিহার, ঝাড়খণ্ড হয়ে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকছে৷ মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করলে এই পশ্চিমী হাওয়া আসতে বাধা পাবে৷ তাতে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা কমবে৷ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির জন্য তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কতা আর দেওয়া হয়নি৷ তবে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলায় অস্বস্তিকর গরম আজও থাকবে৷ আগামী কয়েকদিন এই ধরনের গরমের কোনও পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের কোনও জায়গার জন্য দেওয়া হয়নি৷ তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার জন্য ভ্যাপসা গরম চলবে দক্ষিণবঙ্গে৷

দেশে কর্মসংস্থানের বেহাল দশা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও নতুন কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগও ধাক্কা খেয়েছে৷ তলানিতে নেমেছে ফ্রেশার্স নিয়োগ৷ একটি সংস্থার সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে৷ এইচআর সংস্থা এক্সফেনোর তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের সফটওয়্যার সংক্রান্ত সংস্থাগুলি মাত্র ৬০ থেকে ৭০ হাজার ‘ফ্রেশার্স’ নিয়োগ করেছে৷ যা গত দু’দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম৷ বিশ্বজুড়ে আর্থিক বৃদ্ধি শ্লথ হওয়ার প্রভাব ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে পড়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ করোনা মহামারীর আগে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রত্যেক বছর ২ লক্ষের কাছাকাছি ফ্রেশার্স নিয়োগ করা হত৷ কিন্তু সেই সংখ্যা এখন নিম্নমুখী৷ গত আর্থিক বছরে দেশের প্রথমসারির পাঁচটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাই কম নিয়োগ করেছে৷ একমাত্র টিসিএস ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে ৪০ হাজার ফ্রেশার্স নিয়োগ করেছিল৷ এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও শান্তনু রুজের বক্তব্য, ‘সকলেই প্রথম পাঁচে থাকা সংস্থাগুলিতে নিজেদের কেরিয়ার শুরু করতে চায়৷ কিন্তু এই সংস্থাগুলি নিয়োগ করছে না৷ প্রত্যেকের কাছেই বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং৷’

তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি নিয়োগ কমিয়ে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিও৷ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লেসমেন্ট সেলের ডেপুটি ডিরেক্টর অঞ্জনি ভাটনগরের বক্তব্য, ‘প্রত্যেক বছর এই সময় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি জানিয়ে দেয়, পরের বছরের জন্য কতজনকে তারা নিয়োগ করবে৷ আগস্ট মাসের মধ্যে সংস্থাগুলি ক্যাম্পাসে প্লেসমেন্ট শুরু করে দেয়৷ কিন্তু গত বছরের মতো এই বছরও একই পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি৷’ টিসিএসের পাশাপাশি ইনফোসিস বা উইপ্রোর মতো সেরা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি মার্চ, এপ্রিল থেকে প্লেসমেন্টের প্রস্তুতি শুরু করে দেয়৷ কিন্তু এই বছর এখনও পর্যন্ত তারা কোনও উদ্যোগ নেয়নি৷ ভাটনগর জানান, তাঁদের ৭০ শতাংশ পড়ুয়াই তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে চাকরি খোঁজে৷ কিন্তু এভাবে চললে তাদের সমস্যায় পড়তে হবে৷ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের অধিকার সংক্রান্ত সংগঠন ন্যাসেন্টস ইনফরমেশন টেকনলজি এমপ্লয়িজ সেনেট বা এনআইটিইএসের সভাপতি হরপ্রীত সিং সালুজা জানিয়েছেন, গত দু’বছর ধরে ১০ হাজারের বেশি ফ্রেশার্স মূল চাকরি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে৷ দু’হাজারকে ফ্রেশার্সকে চাকরি না দেওয়ার জন্য ইনফোসিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছে এনআইটিইএস৷ তবে তথ্যপ্রযুক্তি মহলের আশা, চলতি আর্থিক বছরে সংস্থাগুলি ফের ফ্রেশার্স নিেেয়াগের সংখ্যা বাড়াবে৷ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা ফ্রেশার্স নিয়োগের যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, তাতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে৷ তবে শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি কম নিয়োগ করার ফলে সুবিধা হয়েছে বিভিন্ন স্টার্ট আপ সংস্থার৷ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেব, স্টার্ট আপে নিয়োগের পরিমাণ গত আর্থিক বছরে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে৷

একটি গাছ একটি প্রাণ এটিই মানেন কলকাতার সত্যবাবু ওরফে ‘গাছকাকু’

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

তিনি একাই পারলে কলকাতাটাকে সবুজে মুড়ে ফেলতে পারতেন৷ পারেননি কারণ, গত ৩২ বছর ধরে তিনি যত গাছ লাগিয়েছেন অন্যরা তার থেকে কেটেছে অনেক বেশি৷ ফলে কলকাতা যেমন ধূসর ছিল তেমনই রয়ে গিয়েছে৷ তবে সত্যরঞ্জন দোলুই অক্লান্ত৷ পরিশ্রমী৷ স্বপ্ণ দেখা ছাড়েন না৷ ফলে এখনও যেখানে ফাঁকা জমির খোঁজ পান সেখানে গিয়ে গাছ লাগিয়ে আসেন৷ কোথাও গাছ কাটা হচ্ছে খবর পেলে ছুটেও যান৷ সাধ্যমতো প্রতিবাদ করেন৷ দেখতে দেখতে এভাবে কেটে গেল জীবনের ৫৪টা বর্ষা৷ বর্ষণকালে সত্যরঞ্জনের কাজ বাড়ে৷ তখন গাছ বসালে সেগুলি শুকিয়ে যায় না৷

ব্রেজিলের তথ্যচিত্র নির্মাতা সেবাস্টিয়াও সালগাদো ও তাঁর স্ত্রী মেলিয়া ডেলউইজ ওয়ানিক সালগাদো প্রায় কুড়ি বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ৩২ কোটি একর জমিতে তৈরি করে ফেলেছেন আস্ত একটি অরণ্য৷ তাঁর কথা গোটা বিশ্ব এখন জানে৷ বা এ দেশের অসমের যাদব পায়েং৷ ভালোবেসে গড়ে ফেলেছেন ১৩৬০ একরজোড়া একটি বন৷ তাঁকে ‘ফরেস্ট ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়৷ কিংবা উত্তর প্রদেশের রাম যাদব৷ তিনি একা হাতে ৪০ হাজার গাছ লাগিয়ে একটি জঙ্গল তৈরি করেছেন৷ তিনি গাছে দেবেন বলে দূর গ্রাম থেকে কাঁধে করে বয়ে জল আনতেন৷ সত্যরঞ্জন জায়গার অভাবে এঁদের মতো অরণ্য বানাতে পারেননি৷ পেলে বানিয়ে ফেলতেন৷ তবে তাঁকে যাঁরা চেনেন তাঁরা তাঁকে ‘গাছ কাকু’ নামে ডাকেন৷ শ্যামবাজার, বাগবাজার, হাতিবাগান, কুমোরটুলি ইত্যাদি এলাকায় তিনি এই নামেই বিখ্যাত৷

বাগবাজারের কাছে গ্যালিফ স্ট্রিটের হাট৷ সেখান থেকে প্রতি রবিবার নানা ধরনের গাছগাছালি, সার ইত্যাদি কেনেন সত্যরঞ্জনবাবু৷ বাড়িতে টবে বসান৷ একটু শক্তসমর্থ হলে সে গাছ পুরসভার কোনও পার্কে, বা রাস্তার ধারে ফাঁকা জায়গায় বা কোনও স্কুলের মাঠে বসিয়ে দিয়ে আসেন৷নিয়মিত তাতে জল দিতে যান৷ রক্ষণাবেক্ষণ করেন৷ একটি ছোটখাট কাজ করে পেট চালান৷ রোজগারের টাকার অধিকাংশ যায় গাছের পিছনে৷ ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘুম থেকে ওঠেন৷ তারপর ঘুরে ঘুরে গাছপালা রক্ষণাবেক্ষণের কাজে লেগে পড়েন৷

রাজা রাজবল্লভ স্ট্রিটের বাসিন্দা বুদ্ধদেব বক্সি জানালেন, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রজেক্টের কাজে রকমারি গাছের পাতার প্রয়োজন হয়৷ তখনই খোঁজ পড়ে সত্যবাবুর৷ তিনি সেই পাতা সংগহ করে আমাদের দেন৷ মদনমোহন তলা স্ট্রিটের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা দাস জানান, উনি আমাদের মুশকিল আসান৷ ছেলের স্কুলের প্রকৃতি পাঠে গাছপালার ভূমিকা সংক্রান্ত কোনও বিষয় থাকলে ওঁর দ্বারস্থ হই৷ সহযোগিতাও পাই৷’ কুমোরটুলির কমলা চক্রবর্তী, কাকলি মিশ্ররা বলেন, ‘কোনও গাছের প্রয়োজন হলেই আসি৷ মাটি সমেত গাছ তিনি আমাদের দেন৷ যে কোনও গাছের পাতা দেখলেই উনি বলে দিতে পারেন সেটি কি গাছ৷’

সত্যবাবু দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার লক্ষ্মীপুর গ্রামে থাকতেন৷ মাধ্যমিক পাস করার দু’বছর পর পেটের টানে কলকাতা চলে আসেন৷ উত্তর কলকাতার দর্জিপাড়ার কাছে নয়নচাঁদ দত্ত স্ট্রিটে একটি বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছিলেন৷ একদিন ঝড়বৃষ্টিতে গাছ ভেঙে পড়তে দেখেন৷ তারপর অক্টোপাসের মতো তাঁকে গ্রাস করে গাছের প্রতি ভালোবাসা৷ কোনও অনুষ্ঠান, রক্তদান বা স্বাস্থ্য শিবির অথবা বই বিতরণ অনুষ্ঠান কিংবা বিজ্ঞান মেলা থেকে ডাক পেলে পৌঁছে যান৷ চারাগাছ উপহার দেন৷ তিনি বলেন, ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবসেই শুধু গাছ লাগালে হবে না৷ এই উদ্যোগ থাকতে হবে গোটা বছর৷’

রাঙাপানির ট্রেন দুর্ঘটনায় দুর্গত যাত্রীদের পাশে আনন্দমার্গ রিলিফ টীম

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৭ই জুন এন.জে.পি থেকে ছেড়ে আসা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানি স্টেশন ছেড়ে আসার পর একই লাইনে আসা একটি মালগাড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘার পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে৷ রেলের খবর অনুযায়ী ১১জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছে এই দুর্ঘটনায়৷ দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় নির্মলজোত গ্রামের মানুষ ঈদের উৎসব ছেড়ে উদ্ধার কার্যে হাত লাগায়৷

শিলচরে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের প্রয়াণ দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৬ই জুন মহান দেশপ্রেমিক ও দেশবরেণ্য নেতা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের ৯৯তম প্রয়ান দিবস৷ এই দিন শিলচরে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের মর্মর-মূর্ত্তির পাদদেশে একটি স্মরণসভার আয়োজন করে শিলচর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস স্মৃতি রক্ষা সমিতি৷ সমিতির সদস্য ও কর্মকর্র্তগণ ছাড়াও শিলচর শহরের বিশিষ্ট মানুষ সভায় উপস্থিত হয়ে দেশবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ আমরা বাঙালীর অসম রাজ্য সচিব শ্রী সাধন পুরকায়স্থ দেশবন্ধুর জীবনের বহুমুখী গুণের কথা তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন দেশবন্ধুর সংস্পর্শে এসেই তাঁকে রাজনৈতিক গুরু মেনেই সুভাষচন্দ্র নেতাজী হতে পেরেছেন৷ শ্রীপুরকায়স্থ বলেন দেশবন্ধুর অকাল প্রয়ান না হলে দেশ হয়তো ভাগ হতো না৷ তিনি সব সম্প্রদায় সব জনগোষ্ঠীকে নিয়ে চলতে পারতেন৷

 

মার্গের আদর্শ ও কর্মসূচীর প্রসারে শুরু হচ্ছে আনন্দমার্গের সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগরে ধর্ম মহাসম্মেলন সমাপ্তির পর মার্গের আদর্শ ও কর্মসূচীর ব্যাপক প্রসারের জন্যে শুরু হচ্ছে সেমিনার৷ বিশ্বের ১৮২ দেশে আনন্দমার্গের প্রতিটি শাখার সদস্যরা নিজ নিজ নির্দিষ্ট স্থানে এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন৷ তিনদিনের এই সেমিনারে মার্গের কর্মীদের দর্শন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া ছাড়াও প্রত্যহ দুইবেলা কীর্ত্তন মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, তত্ত্বসভা, কীর্ত্তন পরিক্রমা প্রভৃতি কর্মসূচী থাকবে৷

কলিকাতা রিজিজনে প্রথম ডায়োসিস স্তরের সেমিনারের শুরু হচ্ছে ২১,২২ ও ২৩শে জুন,২৪৷ কলিকাতা সার্কেলে প্রথম ডায়োসিস স্তরের প্রথম দফার সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলিপুর ডায়োসিসের কামাক্ষাগুড়ি আনন্দমার্গ স্কুলে৷ এখানে রায়গঞ্জ, জলপাইগুড়ি ও আলিপুর দুয়ার ডায়োসিসের সমস্ত স্তরের কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন৷ ভুবনেশ্বর সার্কেলে সম্বলপুর ডায়োসিসের সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বারকোটে৷ শিলং সার্কেলের সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে গুয়াহাটি আনন্দমার্গ স্কুলে৷ তিনদিনের এই সেমিনারে আলোচ্য বিষয় থাকছে---ৰৃহতের আকর্ষণ ও সাধনা,আন্তরিক শক্তির উৎস, প্রমা,অর্থনৈতিক গণতন্ত্র৷