ভারতবর্ষের মানুষ স্বাধীনতার পর থেকেই দেখে আসছেন পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতা ও সেনাপ্রধানরা দেশ পরিচালনা করতে ভারতবিদ্বেষকে হাতিয়ার করে৷ রাষ্ট্রনেতারা ভারত বিরোধী শ্লোগান দিয়েই নির্বাচনে জিতে গদিতে বসেন৷ এই জিনিস ভারতবর্ষে হ’ত না৷ কিন্তু আমরা বর্তমান বিজেপি সরকারের ভোট নীতিমালায় এক নব সংযোজন দেখছি৷ কি কেন্দ্র কি রাজ্য স্তরে নির্বাচন এলেই বর্ডারে হামলা হয়, এপার থেকে পাকিস্তান বিরোধী আবাজ ওঠে৷ কিছু হতাহতের সংখ্যা দেশপ্রেমকে জাগিয়ে তোলে৷ আর এটাকে হাতিয়ার করেই বিজেপি নেতারা ভোটভিক্ষায় অবতীর্ণ হন৷
আসলে ভারত সরকার তাদের উন্নয়নমূলক কর্মসূচী যা সাধারণ মানুষের জন্য পালন করা উচিত তাতে পুরোপুরি ব্যর্থ৷ তাই কি বারবার প্রাক্ ভোট পর্বে সীমান্তে রক্তক্ষয়? জঙ্গী পাকিস্তান সরকার ভারত বিরোধী শ্লোগান না দিলে সে দেশের সেনাবাহিনী সরকার ফেলে দেয়৷ আজ ভারতকেও কি সেই পথে হাঁটতে হচ্ছে? পাকিস্তান বিরোধী শ্লোগান না দিলে কি ভোট বৈতরণী পার হওয়া যায় না?
এসব দেখেশুনে মনে হয় উন্নয়নের সমস্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ বিজেপি সরকারের কাছে আর কোন রাস্তা খোলা নেই৷ ভোটের আগে যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যেমন---১৫ লাখ টাকা প্রতিটি মানুষের ‘জিরো ব্যালেন্সে’ পৌঁছে যাবে, সুইস ব্যাঙ্কের টাকা ফিরে আসবে, বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরী হবে---এককথায় দেশকে স্বর্গ বানাবার গালভরা বুলি৷ কিন্তু এগুলো করতে গিয়ে পুঁজিবাদের ধারক-বাহক কাছ থেকে বাধা আসে৷ কারণ সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে গেলে পুৃজিবাদের স্বার্থ বিঘ্নিত হবেই৷ কিন্তু সরকারে আসীন হয়েছে পুঁজিবাদের লেজ ধরে৷ তাই তাদের স্বার্থবিরোধী কিছু করা এই সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়৷ তাই একদিকে গরীবের টাকায় বিদেশ ভ্রমণ, পুঁজিপতি তোষণ আরনির্বাচন এলেই সীমান্তে রক্তক্ষরণ৷
- Log in to post comments