প্রাউটের দৃষ্টিতে আধুনিকতা ও নারী স্বাধীনতা

লেখক
আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

বর্তমানে সমাজে কিছু ব্যতিক্রমী নারী সংঘটন ছাড়া অধিকাংশরই ভূমিকা কেবল প্রতিবাদী আন্দোলন ও তথা কথিত নারী স্বাধীনতা, আধুনিকতা ইত্যাদি বিষয়ের মধ্যেই  সীমাবদ্ধ থাকে৷ আধুনিকতা মানে যৎসামান্য পোশাক পরে  শরীর দেখানোর ধৃষ্টতা নয়৷ আধুনিকতা মানে ড্রাগের নেশায় বা মদ খেয়ে বেহেড মাতাল হয়ে বার, ডিস্কোথেক ও নাইট ক্লাব ইত্যাদিতে অশ্লীলভাবে উদ্দাম নাচা নয়, বেলেল্লাপনা নয়৷ আধুনিকতা মানে নয় অবাধ যৌনাচারও৷ আধুনিকতা মানে অন্ধবিশ্বাস–কুসংস্কা মুক্ত, যুক্তিসিদ্ধ,  বিবেক পরিচালিত,  পরিশীলিত ও সংযমী অভিপ্রকাশ যার ভিত্তিভূমি নৈতিকতা, আধ্যাত্মিকতা ও বিশ্বৈকতাবাদ৷ যার প্রভাব সমাজে কখনও ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক না হয়ে সর্বদা কল্যাণকর হয়৷

নারী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত পথিকৃৎ ও অংশীদারদের জানা দরকার নারী–পুরুষের শারীরিক–মানসিক সংরচনাগত বৈশিষ্ট্য,তাদের পারস্পরিক দায়দায়িত্ব ও সামাজিক সম্পর্ক৷ জানা দরকার স্বাধীনতার স্বরূপ বা প্রগতির প্রকৃত অর্থ, আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য ও তদনুযায়ী কর্মকৌশলের রূপরেখা৷ ‘‘স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয় সংগ্রামের দ্বারা, স্বাধীনতা কেউ কারো হাতে সঁপে দেয় না, কারণ স্বাধীনতা দান নয়–জন্মসিদ্ধ অধিকার৷ ..... নারীরা স্বাধীনতা হারায় নি, তারা পুরুষকে বিশ্বাস করে তাদের হাতে নিজেদের ভাগ্য ছেড়ে দিয়েছে৷ নিজেকে অসহায় ভেবে বা হূদয়বৃত্তির আহ্বানে নারী একদিন যে অধিকার তার হাতে তুলে দিয়েছিল আজ নারীরই প্রয়োজন বুঝে পুরুষের উচিত ধীরে ধীরে তা নারীর হাত ফিরে দেওয়া’’৷                     (নারীর মর্যাদা –শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার)

স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়৷ স্বাধীনতা হ’ল এক সর্বাত্মক সু–সন্তুলিত প্রয়াস যা নারীকে শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক বিকাশের  পথে এগিয়ে দেয়৷ তাকে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন ও ব্যষ্টিত্বময়ী নারী রূপে সমাজে পরিচিতি দেয়৷

নারীর আদর্শ

পুরুষের দয়া ভিক্ষায় নয়, বরং তার সঙ্গে সম–মৈত্রী মূলক সহযোগিতায় ড্রপ্স–প্সব্জস্তুনুত্র্ ড্রপ্স–প্সহ্মন্দ্বব্জ্ত্ নারী নিজেকে সমাজে সম্মান ও মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করবে৷ নারীর সৌন্দর্য বেশ–ভূষায় বৃদ্ধি পায় না৷ নারীর পরিচয় তার পরিশীলিত ও পরিমার্জিত আচার–আচরণে৷ নারী পুরুষের মমতাময়ী জননী৷ এটাই নারীর সর্বশ্রেষ্ঠ গৌরব ও পরিচয়৷ তাই নারীর আদর্শ মাতৃত্ব৷ যা নারীর সন্মান ও মর্যাদার শ্রেষ্ঠ প্রতিভূ৷ এ ক্ষমতা বিধাতা একমাত্র নারীকেই দিয়েছেন৷ সমাজে নারীর অবস্থান না থাকলে পুরুষ সৃষ্টি হত কি করে? মহিমান্বিত নারীই পারে আদর্শ পরিবার ও আদর্শ সমাজ সংরচনার ভিত্তি স্থাপন করতে৷