জীবনের গাড়িটা ছুটছে দুরন্ত গতিতে
অমানিশার বুক চিরে লক্ষ্যের পানে৷
আমরা, যাত্রীর দল, ঘুমন্ত বা জাগ্রত
নূতন প্রভাতের প্রতীক্ষারত৷
ধীরে ধীরে সরে যায় রাতের কালিমা
আসে পূবের আকাশে স্নিগ্দ লালিমা
কুঞ্জে কুঞ্জে ধবনিত বিহগের কলরব৷
দূরের দিক্চক্রবাল ছঁুয়ে
শর্বরীর যত গ্লানি ধুয়ে
ফুটে ওঠে নবারুণের প্রথম আলোকচ্ছটা৷
যখন মানব সমাজ ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত
দাম্ভিক পাষণ্ডের সর্বগ্রাসী বীভৎস নৃত্য
চেতনার সমস্ত পথ করে রুদ্ধ,
দুর্বৃত্তের নির্মম অত্যাচারে ওঠে মানুষের নাভিশ্বাস
চতুর্দিকে ব্যাপ্ত লোভ-হিংসার ধিকৃত অট্টহাস
তখনই আবির্ভূত হ’ন যুগপুরুষ---মহাসদ্বিপ্র৷
দিব্যজ্যোতিতে ভরে ওঠে বিশ্বসংসার
সত্যের ঔজ্জ্বল্যে কেটে যায় সমস্ত আঁধার
খসে’ পড়ে কপটাচারী ধূর্তের মুখোশ৷
সমগ্র পৃথিবী নিশ্চিন্ত শরণে
ঠাঁই পায় মহাসম্ভূতির চরণে৷
তারপর---
চরৈবেতি মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ মানব-মনীষা
চলা শুরু করে নব্যমানবতার আদর্শে৷
দিগ্বিদিগে অনুরণিত ন্যায়-ধর্মের জয়গান
কোটিজনমের অন্ধতমসা সাধনাগ্ণিতে হয় ম্লান৷
পরমাশ্রয় তারকব্রহ্মের কৃপায়
জীব-জড়-উদ্ভিদ সকলেই পৌঁছে যায়
সুদীর্ঘ পথ-চলা শেষে---পরম গন্তব্যে৷
- Log in to post comments