পরম গন্তব্যে

লেখক
জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

জীবনের গাড়িটা ছুটছে দুরন্ত গতিতে

অমানিশার বুক চিরে লক্ষ্যের পানে৷

আমরা, যাত্রীর দল, ঘুমন্ত বা জাগ্রত

নূতন প্রভাতের প্রতীক্ষারত৷

ধীরে ধীরে সরে যায় রাতের কালিমা

আসে পূবের আকাশে স্নিগ্দ লালিমা

কুঞ্জে কুঞ্জে ধবনিত বিহগের কলরব৷

দূরের দিক্চক্রবাল ছঁুয়ে

শর্বরীর যত গ্লানি ধুয়ে

ফুটে ওঠে নবারুণের প্রথম আলোকচ্ছটা৷

যখন মানব সমাজ ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত

দাম্ভিক পাষণ্ডের সর্বগ্রাসী বীভৎস নৃত্য

চেতনার সমস্ত  পথ করে রুদ্ধ,

দুর্বৃত্তের নির্মম অত্যাচারে ওঠে মানুষের নাভিশ্বাস

চতুর্দিকে ব্যাপ্ত লোভ-হিংসার ধিকৃত  অট্টহাস

তখনই আবির্ভূত হ’ন যুগপুরুষ---মহাসদ্বিপ্র৷

দিব্যজ্যোতিতে ভরে ওঠে বিশ্বসংসার

সত্যের ঔজ্জ্বল্যে কেটে যায় সমস্ত আঁধার

খসে’ পড়ে কপটাচারী ধূর্তের মুখোশ৷

সমগ্র পৃথিবী নিশ্চিন্ত শরণে

ঠাঁই পায় মহাসম্ভূতির চরণে৷

তারপর---

চরৈবেতি মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ মানব-মনীষা

চলা শুরু করে নব্যমানবতার আদর্শে৷

দিগ্বিদিগে অনুরণিত ন্যায়-ধর্মের জয়গান

কোটিজনমের অন্ধতমসা সাধনাগ্ণিতে হয় ম্লান৷

পরমাশ্রয় তারকব্রহ্মের কৃপায়

জীব-জড়-উদ্ভিদ সকলেই পৌঁছে যায়

সুদীর্ঘ পথ-চলা শেষে---পরম গন্তব্যে৷