পরমানু ও মাইক্রোবাইটামের  অবস্থান ও এদের গবেষণা

লেখক
শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

 মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব অনুযায়ী পরমানু ও মাইক্রোবাইটার অবস্থান, গবেষনার জন্য কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন৷

অবস্থির বিচারে মাইক্রোবাইটামের অধিষ্ঠান হ’ল চিত্তানু ectoplasm) ও বিদ্যুতানু electron)-এর  মাঝামাঝি স্থানটিতে, অর্র্থৎ এরা  চিত্তানুও নয় আবার বিদ্যুতানু নয়৷ শ্রী সরকার বলেছেন ---ভৌতিক জগত বা জড়জগত ও ভাব idea) জগতের মধ্যে এক বিভেদরেখা আছে৷ অর্থাৎ জড়ের প্রাথমিক অবস্থা initial stage) আর মাইক্রোবাইটার  সর্বোচ্চ স্তরের final stage of microvita) মধ্যে একটি ‘ভেদরেখা’ silver line) আছে৷ একটি  চিত্রের মাধ্যমে জড়জগত ও ভাবজগতের ব্যাপারটিকে  দেখানো হল৷ চিত্রে  হল ভেদ-রেখা এই ভেদ রেখা -এর ডানদিকের গোলাকার অংশটি হ’ল জড়জগত ও বামদিকের  গোলাকার অংশটি হ’ল ভাব idea) জগত৷

ভেদ -রেখা বা  সিলভার লাইনের  যে দিকে  ভাব  (idea) জগত সেইদিকে মাইক্রোবাইটা অবস্থিত, আর যেদিকে পরমানু অবস্থিত সেটা হ’ল জড় জগত৷ পরমানুর  স্থূল  ও সুক্ষ্মতর এই  দুটো অংশই যেহেতু অংশই যেহেতু জড়ের ধর্ম বহন করে সেহেতু  এই  দুটো অংশই জড় জগতের পরিধির মধ্যে থাকে৷ পরমানুর সূক্ষ্মতর অংশটি ভাবজগতের কাছাকাছি  থাকে৷  এখন যদি আমরা পরমানু সমূহকে চূর্ণ করতে পারি সেক্ষেত্রে  আমরা পাবো মাইক্রোবাইটাম কিন্তু  যদি  মাইক্রোবাইটামকে চূর্ণ করা সম্ভব হ’তো, তবে  সেক্ষেত্রে আমরা ভাব (idea) কে পেতুম৷

 কিন্তু  এরপর  মাইক্রোবাইটাম  পদার্থ এর যে গুন সেই গুন বা ধর্ম  বহন করে না৷ পদার্থ-এর পরের স্তর মাইক্রোবাইটাম হয়ে যায় সত্তা (entity) সুতরাং এই মাইক্রোবাইটাম এতটাই সুক্ষ্ম সত্তা, যা ভাবলোকের  সঙ্গে মিশে  যায়৷ অর্র্থৎ মাইক্রোবাইটাম তখন ভাব জগতের  সঙ্গে নৈকট্য বাজায় রাখে, ভাব জগতে অবস্থান  করে৷ পরমানুর মত মাইক্রোবাইটারও  দুটো অবস্থা আছে ৷ একটি স্থূলতর অংশ আর অপরটি সুক্ষ্মতর অংশ৷

চিত্রে  পরমাণুর সুক্ষ্ম অংশ হ’ল  ও স্থূলতর অংশ হ’ল --- , আর মাইক্রোবাইটার সুক্ষ্মতর অংশ হ’ল --- স্থূলতর অংশ হ’ল --- চিত্রে লক্ষ্য  করলে  আমরা দেখতে পাবো এই  , ভেদরেখার  বর্হিভাগে  রয়েছে  জড় অর্থাৎ  জড় জগত, আর অন্যদিকে অন্তরের অন্তস্থলে অবস্থান করছে ভাব বা ভাবলোক  বা ভাবজগত৷ এর অর্থ এই হয়, যে এই ভেদরেখা  (silver line) হ’ল জড়ের প্রাথমিক  অবস্থা (initial stage) ও ভাবের স্থূলত্তর বা ভাবের সর্বোচ্চ স্তর (final stage of idea) সুতরাং আমরা বলতে পারি পরমাণু হ’ল জড়ের উপাদান ও  অনুরূপভাবে  ভাব (idea) হ’ল মাইক্রোবাইটার উপাদান৷

এখন, পরমাণুর গবেষণা সম্পর্কে শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার কয়েকটি নির্দেশ  দিয়েছেন---যেহেতু পরমাণুর অংশ সুক্ষ্ম (subtler part) সুতরাং এই অংশের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইন্দ্রিয়ের  সাহার্য্যের নাগালের  বাইরে৷ অতএব পরমাণুর এই অংশটি গবেষনা ভৌতিক গবেষনাগারে সম্ভব নয়৷ এরজন্য চাই মানস-আধ্যাত্মিক গবেষনা৷ এরপর -অংশ হ’ল জড়ের স্থূলতর পর্যায় (cruder part) এই অংশটি জড়ের  খুব কাছে থাকে বলে এই অংশের গবেষনার জন্য ভৌতিক  গবেষণাগার প্রয়োজন৷

চিত্রে মাইক্রোবাইটার  অবস্থান দেখানো হয়েছে৷ -অংশে অবস্থান করছে সুক্ষতর মাইক্রোবাইটাম (subtler part of microvita) এই অংশের  মাইক্রোবাই যেহেতু  অর্র্থৎ -এর কাছাকাছি আছে, সুতরাং  এরা অতিসুক্ষ্ম হওয়ায় এদের শক্তিশালী অনুবীক্ষণ যন্ত্রেও ধরা যায় না৷ আবার, এই সুক্ষ্মতর মাইক্রোবাইটা আত্মাকে (spirit) জড়ের কাছাকাছি  আনতে সাহায্যে করে৷ সুতরাং এই অংশের মাইক্রোবাইটার ক্ষেত্রে  প্রয়োজন হবে  মানস-আধ্যাত্মিক গবেষনা৷  আবার -অংশ অবস্থান করছে স্থূলতর মাইক্রোবাইটা৷ এই স্থূলতর মাইক্রোবাইটা জড়ের অনেক কাছাকাছি আছে৷ এদের দ্বারাই মহাকাশ হ’তে জীবপ্রান এসেছে ও জড়াধারে এনে দিয়েছে  প্রাণস্পন্দন৷ মাইক্রোবাই হ’ল জীবিত   সত্তা৷ এদের দেহ রয়েছে কিন্তু দেহটা ভাবের মত সুক্ষ্ম৷ যেহেতু এরা  জীবিত সত্তা৷

এতএব  এদের গবেষনার জন্য চাই ভৌতিক গবেষনা৷  স্থূলজগতের মাইক্রোবাইটার ক্ষেত্রে রাসায়নিক ও জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত,ঔষধ সংক্রান্ত ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে মাইক্রোবাইটামকে কাজে লাগাতে হবে৷ প্রতিনিয়ত পৃথিবীতে  নানান ধরনের নূতন নূতন রেগে সৃষ্টি হ’য়ে চলেছে৷ এ থেকে পরিত্রান পেতে হ’লে বাহ্যিকভাবে  ও আভ্যন্তরীণভাবে  এই দু ধরনের প্রচেষ্টা  চালাতে হবে৷ বাহ্যিকভাবে  ঔষধ খেতে হবে আর আভ্যন্তরীণভাবে সাধনা করে চলতে হবে৷ এতে  ক’রে পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের অধিক সমাবেশ ঘটিয়ে নেগেটিভ  মাইক্রোবাইটামকে ধবংস করতে হবে৷ যদি  এই নির্দেশ মেনে চলা যায় তবে মানুষের সার্বিক কল্যাণ হবে৷