মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব অনুযায়ী পরমানু ও মাইক্রোবাইটার অবস্থান, গবেষনার জন্য কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন৷
অবস্থির বিচারে মাইক্রোবাইটামের অধিষ্ঠান হ’ল চিত্তানু ectoplasm) ও বিদ্যুতানু electron)-এর মাঝামাঝি স্থানটিতে, অর্র্থৎ এরা চিত্তানুও নয় আবার বিদ্যুতানু নয়৷ শ্রী সরকার বলেছেন ---ভৌতিক জগত বা জড়জগত ও ভাব idea) জগতের মধ্যে এক বিভেদরেখা আছে৷ অর্থাৎ জড়ের প্রাথমিক অবস্থা initial stage) আর মাইক্রোবাইটার সর্বোচ্চ স্তরের final stage of microvita) মধ্যে একটি ‘ভেদরেখা’ silver line) আছে৷ একটি চিত্রের মাধ্যমে জড়জগত ও ভাবজগতের ব্যাপারটিকে দেখানো হল৷ চিত্রে হল ভেদ-রেখা এই ভেদ রেখা -এর ডানদিকের গোলাকার অংশটি হ’ল জড়জগত ও বামদিকের গোলাকার অংশটি হ’ল ভাব idea) জগত৷
ভেদ -রেখা বা সিলভার লাইনের যে দিকে ভাব (idea) জগত সেইদিকে মাইক্রোবাইটা অবস্থিত, আর যেদিকে পরমানু অবস্থিত সেটা হ’ল জড় জগত৷ পরমানুর স্থূল ও সুক্ষ্মতর এই দুটো অংশই যেহেতু অংশই যেহেতু জড়ের ধর্ম বহন করে সেহেতু এই দুটো অংশই জড় জগতের পরিধির মধ্যে থাকে৷ পরমানুর সূক্ষ্মতর অংশটি ভাবজগতের কাছাকাছি থাকে৷ এখন যদি আমরা পরমানু সমূহকে চূর্ণ করতে পারি সেক্ষেত্রে আমরা পাবো মাইক্রোবাইটাম কিন্তু যদি মাইক্রোবাইটামকে চূর্ণ করা সম্ভব হ’তো, তবে সেক্ষেত্রে আমরা ভাব (idea) কে পেতুম৷
কিন্তু এরপর মাইক্রোবাইটাম পদার্থ এর যে গুন সেই গুন বা ধর্ম বহন করে না৷ পদার্থ-এর পরের স্তর মাইক্রোবাইটাম হয়ে যায় সত্তা (entity) সুতরাং এই মাইক্রোবাইটাম এতটাই সুক্ষ্ম সত্তা, যা ভাবলোকের সঙ্গে মিশে যায়৷ অর্র্থৎ মাইক্রোবাইটাম তখন ভাব জগতের সঙ্গে নৈকট্য বাজায় রাখে, ভাব জগতে অবস্থান করে৷ পরমানুর মত মাইক্রোবাইটারও দুটো অবস্থা আছে ৷ একটি স্থূলতর অংশ আর অপরটি সুক্ষ্মতর অংশ৷
চিত্রে পরমাণুর সুক্ষ্ম অংশ হ’ল ও স্থূলতর অংশ হ’ল --- , আর মাইক্রোবাইটার সুক্ষ্মতর অংশ হ’ল --- স্থূলতর অংশ হ’ল --- চিত্রে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাবো এই , ভেদরেখার বর্হিভাগে রয়েছে জড় অর্থাৎ জড় জগত, আর অন্যদিকে অন্তরের অন্তস্থলে অবস্থান করছে ভাব বা ভাবলোক বা ভাবজগত৷ এর অর্থ এই হয়, যে এই ভেদরেখা (silver line) হ’ল জড়ের প্রাথমিক অবস্থা (initial stage) ও ভাবের স্থূলত্তর বা ভাবের সর্বোচ্চ স্তর (final stage of idea) সুতরাং আমরা বলতে পারি পরমাণু হ’ল জড়ের উপাদান ও অনুরূপভাবে ভাব (idea) হ’ল মাইক্রোবাইটার উপাদান৷
এখন, পরমাণুর গবেষণা সম্পর্কে শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন---যেহেতু পরমাণুর অংশ সুক্ষ্ম (subtler part) সুতরাং এই অংশের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইন্দ্রিয়ের সাহার্য্যের নাগালের বাইরে৷ অতএব পরমাণুর এই অংশটি গবেষনা ভৌতিক গবেষনাগারে সম্ভব নয়৷ এরজন্য চাই মানস-আধ্যাত্মিক গবেষনা৷ এরপর -অংশ হ’ল জড়ের স্থূলতর পর্যায় (cruder part) এই অংশটি জড়ের খুব কাছে থাকে বলে এই অংশের গবেষনার জন্য ভৌতিক গবেষণাগার প্রয়োজন৷
চিত্রে মাইক্রোবাইটার অবস্থান দেখানো হয়েছে৷ -অংশে অবস্থান করছে সুক্ষতর মাইক্রোবাইটাম (subtler part of microvita) এই অংশের মাইক্রোবাই যেহেতু অর্র্থৎ -এর কাছাকাছি আছে, সুতরাং এরা অতিসুক্ষ্ম হওয়ায় এদের শক্তিশালী অনুবীক্ষণ যন্ত্রেও ধরা যায় না৷ আবার, এই সুক্ষ্মতর মাইক্রোবাইটা আত্মাকে (spirit) জড়ের কাছাকাছি আনতে সাহায্যে করে৷ সুতরাং এই অংশের মাইক্রোবাইটার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে মানস-আধ্যাত্মিক গবেষনা৷ আবার -অংশ অবস্থান করছে স্থূলতর মাইক্রোবাইটা৷ এই স্থূলতর মাইক্রোবাইটা জড়ের অনেক কাছাকাছি আছে৷ এদের দ্বারাই মহাকাশ হ’তে জীবপ্রান এসেছে ও জড়াধারে এনে দিয়েছে প্রাণস্পন্দন৷ মাইক্রোবাই হ’ল জীবিত সত্তা৷ এদের দেহ রয়েছে কিন্তু দেহটা ভাবের মত সুক্ষ্ম৷ যেহেতু এরা জীবিত সত্তা৷
এতএব এদের গবেষনার জন্য চাই ভৌতিক গবেষনা৷ স্থূলজগতের মাইক্রোবাইটার ক্ষেত্রে রাসায়নিক ও জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত,ঔষধ সংক্রান্ত ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে মাইক্রোবাইটামকে কাজে লাগাতে হবে৷ প্রতিনিয়ত পৃথিবীতে নানান ধরনের নূতন নূতন রেগে সৃষ্টি হ’য়ে চলেছে৷ এ থেকে পরিত্রান পেতে হ’লে বাহ্যিকভাবে ও আভ্যন্তরীণভাবে এই দু ধরনের প্রচেষ্টা চালাতে হবে৷ বাহ্যিকভাবে ঔষধ খেতে হবে আর আভ্যন্তরীণভাবে সাধনা করে চলতে হবে৷ এতে ক’রে পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের অধিক সমাবেশ ঘটিয়ে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামকে ধবংস করতে হবে৷ যদি এই নির্দেশ মেনে চলা যায় তবে মানুষের সার্বিক কল্যাণ হবে৷
- Log in to post comments