অক্ষয় চৌধুরী ছিলেন একাধারে এম.এ.বি.এল,অ্যাটর্নি ও কবি৷ তখনকার দিনে সে এক বিরাট ব্যাপার৷ তাঁর বিখ্যাত কাব্য---‘উদাসিনী’৷
কবি অক্ষয় চৌধুরির বাড়িতে বোম্বে থেকে বেড়াতে এলেন এক পারসী যুবক৷ সঙ্গে এলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ পারসী যুবকের মাথায় বিরাট পাগড়ী, গালে পেল্লাই দাড়ি৷ তবে যুবক অত্যন্ত কাব্যরসিক৷
অক্ষয় চৌধুরি মনের মত লোক পেয়ে তাঁর সঙ্গে জুড়ে দিলেন কাব্যলোচনা৷ চুরুটে টান দিতে দিতে ডুবে গেলেন বায়রন শেলির মধ্যে৷ পারসী যুবক কোন কিছুতেই কমতি নন৷
এমন সময় অতর্কিতে ঘরে এসে ঢুকলেন পালিত মশাই৷ তারক পালিত৷ কাব্যচর্চা গেল থেমে৷ পালিত মশাই ঘরে ঢুকে পারসী যুবককে দেখেই অবাক৷ কিছুক্ষণ আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করার পর হঠাৎ সোল্লাসে তিনি চেঁচিয়ে উঠলেন---‘আরে, এ যে আমাদের রবি’!
অক্ষয় চৌধুরি তো হতভম্ব! তারপর পালিত মশাই মাথায় একটা থাপ্পড় মারতেই পারসী যুবকের পাগড়ী গেলো খুলে৷ আলগা হয়ে গেলো গোঁফ দাড়ি৷ তখন অক্ষয় চৌধুরি সবিস্ময়ে দেখলেন, পারসী যুবকের ছদ্মবেশ ভেদ করে যিনি আত্মপ্রকাশ করলেন তিনি আর কেউ নন---স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷
তখন পালিত মশাই অক্ষয় চৌধুরির কানে কানে বললেন, ‘আজ পয়লা এপ্রিল’৷
- Log in to post comments