মানুষের শারীরিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশে নিরামিষ খাদ্য অত্যন্ত সহায়ক৷ আমাদের পাচকযন্ত্র নিরামিষ খাদ্যের উপযোগী করেই তৈরী৷
ডাঃ বিশ্বাস ঃ আমিষের তুলনায় গুণে–মানে ও বৈচিত্র্যে নিরামিষের পাল্লা অনেকখানি ভারী৷ সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্যে সবই উজাড় করে সৃষ্টি করে দিয়েছেন৷ এগুলো চিনে বেছে খাওয়ার দায়িত্ব আমাদেরই৷ বছর জুড়ে প্রচুর শাক–সবজি আর ফলমূলের সম্ভারে পরিপূর্ণ এই প্রকৃতি৷ শাক–সব্জি ও ফলমূলে সব রকমের প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে৷ এছাড়া রয়েছে এ্যাণ্টিক্সিডেণ্টস, যা ফ্রি র্যাডিক্যালসকে প্রশমিত করে শরীরকে ক্যান্সারসহ নানা ঘাত–প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে৷ বার্ধক্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে নিরামিষ গুরুত্বূপর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে৷ বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল দেহের তরতাজা ভাব বজায় রাখে, বিশেষ করে ত্বক ও চুলের৷ ছোট বাচ্চাদের নিরামিষ খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত৷ নিরামিষের পাশাপাশি দুধ রাখলে কোনো উপাদানেরই অভাব হয় না৷ নিরামিষ খাওয়ার গুণের শেষ নেই৷ ডায়াবেটিস রোগীর কিডনি, নার্ভ আর চোখ ঠিক রাখার ভূমিকায় নিরামিষ সাহায্যকারী বন্ধুর মতো কাজ করে৷ দৈহিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও নিরামিষের জুড়ি নেই৷ যাঁরা হার্টের অসুখ বা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তাঁরা আপন করে নিন নিরামিষকে, আর ভুলে যান চর্বিযুক্ত খাবার৷ নিরামিষভোজী হয়ে মুক্তি পান এসব থেকে আর শারীরিক নানাবিধ সমস্যা থেকে৷ বেশী বেশী করে টাটকা সতেজ শাক–সব্জি আর ফলমূল খাওয়ার ফলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালন ধীরগতিতে চলে৷ ফলে মানুষকে করে তোলে আরো সপ্রাণ, বোধশক্তিসম্পন্ন ও আরো বেশী জীবনমুখী৷
- Log in to post comments