স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হোক ক্লাবগুলি

লেখক
বিশবদেব মুখেরজী

রাজ্যে ক্লাবের সংখ্যা ঠিক কত তা আমরা  অনেকেই হয়তো জানি না তবে খবরে প্রকাশ রাজ্য সরকার ষোলো হাজারের অধিক ক্লাবকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন অনুদান পায়নি এমন ক্লাব ও আরো কয়েক হাজার আছে ক্লাব অবশ্যই  একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান অনেকক্ষেত্রে এদের ভূমিকা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য সরকারের আর্থিক অনুদান দেওয়ার উদ্দেশ্য হয়তো সামাজিক ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটানো অবশ্য বিরোধী দলের বক্তব্য ভিন্ন তবে আমার জানা অনেক ক্লাবই এই আর্থিক অনুদান পেয়ে ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নত করেছে সরকারী  সাহায্য পেয়ে খেলাধুলার চর্র্চ বেশি করে হোক ছাত্র যুবদের মধ্যে ---এটা অবশ্যই চাই কিছু ক্লাব সাংসৃকতিক চর্র্চ করে তো  কিছু ক্লাব খেলাধুলার চর্র্চ করে থাকে  কিছু ক্লাব সামাজিক ও স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক কাজ করে থাকে, যেমন রক্তদান শিবির, চিকিৎসা শিবির ইত্যাদি আর কিছু  ক্লাব আছে যাদের পুজো পার্বণ ছাড়া অন্য কিছু তেমন একটা করতে দেখা যায় না পরিবেশ নিয়েও আজকাল কিছু ক্লাব কাজ করে অবশ্য যাইহোক এগুলো ভালো লক্ষণ।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্লাব কর্মকর্র্তগণ যদি তাদের সদস্যদের  নিজনিজ এলাকায় কিছু কিছু সামাজিক কাজে লাগাতেন তাহলে এলাকাবাসীর উপকার হতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও আবেদন জানান ক্লাবগুলোর কাছে সাদত্রাদ্দরণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে পুলিশের সাথে স্থানীয় ক্লাবের সদ্যসরা যদি এলাকায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে তাহলে রাস্তায় মাস্ক বিহীন মানুষের সংখ্যা কমতে বাধ্য এছাড়া সব্জী বাজার, রেশন দোকান ও অন্যান্য দোকানগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার ব্যাপারে পুলিশের ক্লাব সদস্যরা ও সক্রিয় ভূমিকা নেয় তাহলে কলোনা সংক্রমণ অনেকটা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে এছাড়াও যেসব বাড়িতে একলা  বৃদ্ধ বৃদ্ধারা  থাকেন সেসব জায়গায় ঐ এলাকার ক্লাব সদস্যরা যদি তাঁদের বাড়ির বাইরে বের হতে না দিয়ে একটু আন্তরিকভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়ায়  তাহলে এলাকাবাসী খুশীই হবে অবশ্য লকডাউনের  সময় কিছু কিছু ক্লাব ও সংঘটন একাজ করেছিল তবে সামগ্রিকভাবে ক্লাবগুলি যদি বর্তমান অবস্থায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে ক্লাবের পেছনে রাজ্য সরকারের অনুদানের ব্যাপারে বিরোধী দলের অভিযোগ সাধারণ মানুষ উপেক্ষা করবে বলেই মনে হয়।

সরকারের ও দেখা দরকার এই পরিস্থিতিতে সাহায্য প্রাপ্ত ক্লাবগুলি তাদের সদস্যের স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ কিনা।

এছাড়াও এখন চলছে বৃক্ষরোপণ এর সময় সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি প্রত্যেকটি ক্লাবকে যদি বৃক্ষরোপণ ও সেগুলি সংরক্ষণে ভূমিকা নিতে দেখা যায় তাহলে তা পরিবেশের পক্ষে শুভপ্রদ হবে এছাড়াও হেলমেট বিহীন বা কানে মোবাইল ফোন গুঁজে বাইক চালকদের একাজ থেকে বিরত থাকতে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয়  ক্লাবগুলো ভালো কাজ করতে পারে এতে আমার অপনার বাড়ির লোকজনই সুরক্ষিত থাকবে।

বিভিন্ন পুজো পার্বণ উপলক্ষ্যে যেভাবে ক্লাব সদস্যরা চাঁদা সংগ্রহ থেকে শুরু করে খঁুটিনাটি প্রতিটি কাজই সুচারু ভাবে সম্পন্ন করে বর্তমান সংকটকালে তাদের ঐ একইভাবে সক্রিয় ভূমিকায় দেখতে চায় সাধারণ মানুষের এক বিরাট অংশ এজন্য পুলিশ সব অন্যান্য সরকারি দপ্তরের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা জরুরী বলেই মনে করেন অনেকে সরকারি অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলোর একন প্রতিদান দেওয়ার সময় এসেছে বলেই আমার মত অনেকেই মনে করেন অবশ্য ক্লাব কর্তৃপক্ষ এসব নিয়ে ভাবছেন কিনা জানা নেই।