বিগত ২০১৩ এর লোকসভা নির্বাচনে আমাদের ‘‘স্বচ্ছ ভারতের অচ্ছা দিন’’ আনবার অগ্রদূত মোদীজী সরকারের প্রতিভূরা দেশবাসীদের উদ্দেশ্যে যে-সব প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছিলেন সে-সবের ছিটে ফোঁটাও রক্ষা করতে পারেন নি বরং দিনে দিনে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অভাব অভিযোগ, দুর্র্যেগ, দুর্ভোগ ও নানাবিধ সমস্যা বেড়েছে বৈ কমেনি৷ তদুপরি, গত বছরটি গেছে করোনা-বাইরাস-কবলিত এক দুর্র্যেগপূর্ণ কাল, যারফলে আপামর ভারতবাসীর জীবন-জীবিকার উপর চরম আঘাতও নেমে এসেছিল৷ শুধু ২০১৪ নিয়েই কেন বলব? গত ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনেও আবার মোদী ক্যারিশমা দেখাতে গিয়ে শাহ- মোদী জুটি প্রভুদের নির্বাচনী-প্রতিশ্রুতি প্রদানের তাপে ভারতবাসী দ্বিতীয়বার পর্যাপ্ত পরিমানে আশাম্বিত, ভরসাদীপ্ত হয়ে পূর্বেকার দুঃখ হতাশা সবকিছুই বেমালুম ভুলে গিয়ে মোদি-সরকারকেই পুনর্বার জয়যুক্ত করতে ভুল করলেন না৷
তবে, ভেবে দেখবার প্রয়োজন এখন দুর্দান্তভাবেই দৈত্যাকার হয়ে জনতার সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে৷ সেই প্রয়োজন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলতেই হবে বাঙালী জনগোষ্ঠীটার জন্যে৷ যে কারণে এ অভিমত পোষণ করছি সে কারণগুলো হচ্ছে--- (১) ২০১৪-র মোদী সরকার ঘটিত হবার পরই সে কারণগুলো জনতা পার্টি তথা ভাজপা অর্থাৎ বিজেপির প্রথম ছোবলটা ছিল বাঙালীদের রাষ্ট্রহীন নাগরিক বানানো এন.আর.সি আর, আর সি.এ.এ -য়ের অজুহাতে৷ নেতারা মুখে মুখে প্রচার চলাচ্ছিলেন যে এন.আর.সি হবে সারা দেশের জন্যে৷ কিন্তু নেতাদের সেই প্রচারণা ভদ্রলোকের ঘোষণা কিনা এর যথেষ্ট প্রমাণ আশা করি অন্ততঃ নিরপেক্ষ দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন মানুষদের কাছে সন্দেহাতীত প্রমাণিত হয়ে গেছে৷ তাই, এ বিষয়ে নিয়ে অযথা কারোর সময় দখল করতে চাইছি না৷
এরপর এসেছিল ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচন৷ যখন দেখা গিয়েছিল যে শুধু লম্বা ঝাড়ু আর কুইন্টাল ওজনের দিল্লিকা -কেক (লাড্ডুর বদলে) খাইয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দায় কিংবা দেশ থেকে দুর্নীতি -দুরীকরণ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির রাশ টেনে ধরা ও পাহাড় প্রমাণ বেকার সমস্যা ইত্যাদির কোনটাইরই কিছু হচ্ছিল না, তখনই দৈবঘটিত আশীর্বাদ স্বরূপ হয়ে দেখা দিয়েছিল ‘পুলওয়ামা---দুর্র্যেগ’৷
এরপর এসে গেল ব্যাংকে কারসাজি৷ বিদেশের ব্যাংকে ভারতীয় ধনকুবের (নাকি অর্থলুন্ঠনকারী কিংবা নিষ্ঠুর শোষক!) দের গচ্ছিত কালো টাকা তুলে এনে ভারতীয়দের মাথা পিছু ১৫ লাখ করে উপহার দেবার ‘কিসমৎকা খেল’ কর্পূরের মতই উবে গিয়েছিল যেমনটি দেশের বেকারদের বছরে দু’কোটি চাকরি দেবার আর ত্রিপুরার মত রাজ্যে ‘মিস কল দিয়ে চাকরি পেয়ে যাবার মত’ ঢালাও প্রতিশ্রুতিও আকাশে উড়ন্ত বেলুনের মতই ‘ফটাস্’ শব্দ শুণিয়ে চম্পট দিয়ে দিল৷ ভাগ্যের যোগানদার ভগবানের পরিবর্তে শয়তানের হাতেই অর্পিত হয়ে গেল কি না তাও কিন্তু ভাববার বিষয় বটে! নতুবা মোদিজীর জিম্মায় বিজেপি-র নৌকায় চড়ে দিল্লীর মসনদের কিনারায় এসে ভিড়তে পূর্বেকার আন্না হাজারেজী ও রামদেবজীর চেঁচামেচি তখনকার দিনগুলোতে জনমানসে দুর্নীতি আর ভ্রষ্টাচার তথা পাপাচারের বিরুদ্ধে প্রভূত প্রভাব বিস্তার করতে পারলেও আজ কিন্তু তাঁরা আর ময়দানে খাড়া নেই৷ তাই, প্রতিশ্রুতি একাধিকবার খেলাপ করলেও প্রশ্ণটি তোলবার মত কেউই নেই৷ এমন কি, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে জেনে বুঝে বুড়ো আঙুল দেখালেও, এমন কি নিজেদের অপরাধ, বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদি ধামাচাপা দিতে হলেও যারা রাজনৈতিক আইডেনটিটি বদলিয়ে দলছুট হয়ে গিয়ে পাল্লাভারীদের ভীড়ে সামিল হয়ে যায়, তাদের রি-কল করার বা প্রশ্ণের সম্মুখীন করে দাঁড় করাবার কোন ব্যবস্থাও,কিন্তু আমাদের সংবিধানে সংবিধান-প্রণেতারাই রেখে যাননি কিংবা সংবিধানের শত সংশোধনী আনা হলেও ওই দলছুটদের শায়েস্তা করার কোন ও সংশোধনী আনার প্রয়োজন কেউ ভাবার প্রয়োজন মনে করেন নি৷ আর, এরও কারণ অতি সুস্পষ্ট, তাই না?
আজকাল সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে বলে ঘটে যাচ্ছে বলে লেখক এস.ওয়াজেদ আলীর সুবিদিত সেই মন্তব্যটিরও রকমফের মনে হচ্ছে৷ কেননা, জনসেবা এযুগে আর নিষ্কাম সেবাকার্য নয় বলেই অধিকাংশক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ কারণ এ যুগের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীগণ (অনেকে তাদের অভিনেতা-অভিনেত্রী বলে আমার মতে প্রকৃত অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের শৈল্পিক নৈপুণ্যকেই অবজ্ঞা করেন বলে উপলদ্ধি হয়) ‘চাতুর্যপনার জগতের’ অধিবাসী বলেই মনে হওয়া স্বাভাবিক৷ কার্য-কারণবশতঃ জনদরদ নামের বিষয়টিও তথৈবচ ব্যষ্টির স্বতস্ফূর্ত দীপ্ত প্রণোদ্ভূত না হয়েও বিশেষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে গেছে বলেই মনে হয়৷ আবার, ‘দেশপ্রেম’ কথাটিরও তদ্রূপ বিকৃতি বা বিকারপ্রাপ্ত দশা ঘটে গেছে বলাটা সমীচিন বলে মনে হচ্ছে৷ কারণ, এযুগে যে বা যারা যতবেশী চাতুরীপনা দেখাতে সক্ষম তারা নিজেদের অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ আপন উদ্যোগটুকু গোপনে মজুত রেখে প্রচার পাবার নিমিত্ত দেদার বিলি তথা ইনভেষ্ট করতে পারেন তাদের সু-নিয়ন্ত্রিত রিমোট-কন্টোলারের মাধ্যমেই জনজীবনে দুর্র্যেগ ঘটিয়ে দিয়ে পরমূহূর্তে মুখোশ পরে লোকসমক্ষে এসে জনদরদের উদ্বেলতা যত নিপুনভাবে প্রদর্শন করতে সক্ষম, তিনি বা তারাই জনদরদী, পরোপকারী, উদারচরিত বলে খেতাব পেতে পারেন৷
গত বর্ষা-মরশুমে আমফান সাইক্লোনের দৌরাত্ম্যে পশ্চিমবঙ্গ যে ক্ষেত্রে তছনছ্ হয়ে গিয়েছিল তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীজী আকাশ যোগে এসে সহায়তার হাত বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় রাজকোষের সহস্র কোটি মুদ্রা মঞ্জুর করেছিলেন যা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় কিঞ্চিৎকর৷ সংবাদ মাধ্যমেই তখন জানা গিয়েছিল যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তখনও বরাদ্দকৃত বাজেটের পাওনা বাকী ছিল একাধিক সহস্র টাকা৷ যতদূর মনে হচ্ছে সেই পাওনা অর্থ ওই দুর্র্যেগের পরিস্থিতিতে সম্ভবতঃ দেবার উদারতা দেখান নি৷ শুধু তাই নয়৷ মাত্র দিনকয়েক আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেটের ছিটে-ফোঁটা বরাদ্দের ছক আমরা যারা ফেসবুকের মাধ্যমে দেখতে পেলুম, তাতেও ত্বরা পড়ল পঃবঙ্গ রাজ্য তথা পঃবঙ্গ বাসীদের প্রতি মোদি-সরকারের বিমাতৃসুলভ বা বৈসাদৃশ্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির নমুনা!
অপরদিকে নেতাজীর প্রতি মোদিজীর শ্রদ্ধাভক্তি যেন এবার ২৩শে জানুয়ারীতে কানায় কানায় উপচে উঠেছিল বলেই মনে হল৷ হয়তো আমারই মত যারা সংবাদ -মাধম্যের উপর ভিত্তি করে চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে চান তাদের সকলেরই একই রকমের অনুভূতি লাভ হয়েছিল৷ কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমেই দেখলুম, প্রচারের হোডিং-এ দীর্ঘবয়ব মোদীজীর পাদদেশে প্রদর্শিত চির স্মরণীয় ও প্রাতঃস্মরণীয় সেই বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে বাঙলার বিভিন্ন মনীষীদের ছবিগুলো৷ এটা কি মোদীজীর মত অত উঁচু দরের রাজনীতিক নেতৃত্বের পক্ষে শোভনীয় ছিল? এরও আগে ভারতের বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতজীর হোডিং-এও একই ধাঁচের ছবিতে বাঙলার মনীষীদের পায়ের তলার কাছে স্থান দেওয়া হয়েছিল৷ এ প্রসঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, মোদীজী আর শাহজী ওরা যত বড় সাপের দেশপ্রেমিক, ভারতের কল্যাণদাতা, রাজনৈতিক জগতেরও ক্যারিশ্মাবালা ব্যষ্টিত্ব হোন না কেন, তাঁরা কি বিদ্যাসাগর, নেতাজী,রামমোহনজী, স্বামীজী প্রমুখদের মত বাঙলার মনীষীদের চাইতে এতটাই উঁচু-মাপের বীর্যবান, বৈদগ্দ্যদীপ্যমান, পণ্ডিতপ্রবর হয়ে গেছেন যে ছবিতে শাহ-মোদীর পদতলেই তাঁদের প্রদর্শিত করাতে হবে? অবশ্য, আমাদের মত অভিজ্ঞ-অনভিজ্ঞ-অগণ্যদের চিন্তাদর্শ অনুযায়ী নির্দ্বিধায় কিন্তু বলতে পারি যে, এর দ্বারা বিজেপির প্রভুরা বাঙলাকে বা বাঙালীজাতিকে হেয় করাতে পারেন নি বরং তাঁরা নিজেরাই জনসমক্ষে হেয় বলে প্রমাণিত হয়েছেন! কেননা, যাঁদের ছবি নিয়ে বলা হচ্ছে সেইসব প্রণম্য ব্যষ্টিরা প্রত্যেকেই মোদী বা শাহের বয়োজ্যেষ্ঠ ছিলেন ও সেই সুবাদেই ভারতীয় সংসৃকতি আর ঐতিহ্য অনুসারে এভাবে কদর্য-রুচির দ্বারা অপমানিত হতে পারেন না৷ ছেলে যদি বাপকে লাথিও মারেন তাতে পিতার পিতৃত্ব কলঙ্কিত হবার পূর্বে পুত্রের ভ্রষ্ট চরিত্রই ফুটে ওঠে মাত্র৷
খুবই দুঃখের, লজ্জার , ক্ষোভের ও অপমানজনক মনে হচ্ছে যে, সেই বিজেপি--- প্রতিভূরাই এখন সকালে বিকেলে উড়ে উড়ে পরিযায়ী নেতা হয়ে চলে আসছেন পঃ বাঙলার মাটিতে৷
কেন আসছেন? না , ওরা পশ্চিমবাঙলাকে ‘‘সোনার বাঙলা’’ বানাবেন বলে৷ তাই,গুটি কয়েক প্রশ্ণ এই নিবন্ধকারেরও মনে জেগে উঠেছে৷ প্রশ্ণগুলো তুলে ধরব বলেই এ লেখাটির অবতারণা৷
প্রশ্ণ নং ১৷ মোদিজীরা প্রতিশ্রুতি শুণিয়েছিলেন--- নেতাজীর অন্তর্ধান---রহস্যমূলক ফাইলগুলো ভারত সরকারের গোপন হেপাজত থেকে প্রকাশ করার ব্যবস্থা নেবেন, তা করেন নি৷ তবে এবছরেই বিজেপির দলীয় সাংসদ ও অন্যান্য প্রতিভূরা নেতাজীর মৃত্যুদিবস পালন করার স্পর্ধা দেখিয়েছেন? ২৩শে জানুয়ারীকে নেতাজীর প্রতি সম্মান দেখাতেই ‘‘দেশপ্রেম দিবস’’ বলে ঘোষণার দাবী দীর্ঘদিনের হলেও কেন্দ্রীয় সরকার বোধ হয় স্ব-রচিত ইতিহাস বানাতে চেয়েছেন৷ তাই না?
প্রশ্ণ নং ২ ৷ স্বামীজীর প্রতিও অনুরূপ উৎসাহ ব্যঞ্জক অভিমত প্রকাশ করেছেন তারা৷ এসবের পেছনে কি সত্যিই বিলম্বিত হলেও আন্তরিক তাগিদ অনুভব করেছেন, না সামনে পঃবাঙলাকে বিজেপির ক্ষমতার থলিতে ঢোকাবারই কৌশলমাত্র? এক্ষেত্রে আশা রাখব, বাঙালী দলছুট পিঠ-বাঁচিয়ে আর ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক চরিত্ররা অবশ্যই আত্মমর্যাদাবোধ খুইয়ে ফেলবেন না৷
প্রশ্ণ নং ৩ ৷ পশ্চিমবাঙলাকে তাদের ভাষায় ‘বঙ্গাল’ বোটে জিতে নিলে ‘সোনার বাঙলা’ বানাবেন৷ আর যে পর্যন্ত জিততে পারছেন না ততদিন পঃ বাঙলা তো আপনাদের দৃষ্টিতে---(ক) বাঙলাদেশী অনুপ্রবেশকারী (আপনাদের ভাষায় ঘুষপেটিয়া) (খ) ছারপোকাদের রাজ্য,(গ) গোর্র্খদের পুনর্বাসনের জন্যে ভারতের ভেতরে একমাত্রই উপযুক্ত স্থান, (ঘ) অসম, মণিপুর ,মেঘালয়,ত্রিপুরার পরই পশ্চিম বাঙলা ভারত -সরকারের এন.আর.সি আর সি.এ.এ কার্যকরী করার জন্যে উপযুক্ত স্থান, তাই না?
প্রশ্ণ নং ৪৷ গোটা অখণ্ড বাঙলা বা ভারতবর্ষ নয়, সমগ্র এশিয়া মহাদেশে সাহিত্যে ‘নোবেল’ বিজয়ী, ‘বিশ্বকবি’ ও ‘কবিগুরু’ খেতাবে ভূষিত ত্রিপুরা-নৃপতি মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর কর্তৃক প্রদত্ত ‘‘কবি-ভাস্কর’’ সম্মানজনক উপাধিতে ভূষিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেন ‘সোনার বাঙলা’ বলেছিলেন বাঙলাকে সেই ধারণা কি বিজেপি পুঙ্গব---মহাপুঙ্গবদের কিঞ্চিৎমাত্রও রয়েছে?--- না নেই৷ তা’ থাকলে ‘সোনার বাঙলা’ বানাবার ধোঁকাবাজির উপহাস করার সাহসও পেতেন না৷ ওই মহান কর্ম সম্পাদন করতে হলে আপনাদের ইতিহাস ঘাঁটতে হবে, সদাচারী, নীতিবাদী ও সমাজতত্ত্বে জ্ঞানলাভের দরকার৷ আপনাদের সেই এলেম যে নেই এর প্রমাণ আপনারাই রেখেছেন বাংলাভাষাকে হেয় করে রেখে আর ইদানিং করপোরেটরদের হাতে ভারতের কৃষি থেকে একে একে বিভিন্ন জন - পরিষেবাকে তুলে দিতে চেয়েছেন৷ সুতরাং ‘শফরী ফড়ফড়ায়তে’’---এই নীতিবাক্যটির তাৎপর্যপূর্ণ মানেটা ভুলে যাবেন না৷ বরং বুঝে নিতে সচেষ্ট হোন৷ ভাল ফলই পাবেন৷
- Log in to post comments