পশ্চিমবঙ্গের যে সম্প্রতি নির্বাচন হলো তাতে প্রায় ৪৭টি স্থানে যেভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু উদ্দেশ্য প্রণোদিত ব্যষ্টি হামলা চালিয়ে ও বোটযন্ত্র আক্রমণ করে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে ও নির্বাচনে কর্ত্তব্যরত বোটকর্মী ও আমাদের দেশেরই সেই পুলিশের যারা নির্বিঘ্নে বোট দানপর্ব যাতে শান্তিতে সম্পাদিত হয় তার জন্য কর্ত্তব্যে রত তাঁদের উপর যেভাবে আক্রমন করা হয়েছে ও কিছু কিছু বোটগ্রহণকারীদের উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে সেটা যে সমগ্র পশ্চিম বাংলার চরম লজ্জা সেটাকে কী অস্বীকার করা যায়? নির্বাচন তো নোতুন হচ্ছে না৷ দীর্ঘ বছর ধরেই নির্বাচন হচ্ছে৷ তাতে কোন দল জয়ী হচ্ছে আর কোন দল পরাজিত হচ্ছে৷ একে তো মেনে নিতেই হয়৷ যাঁরা হারছেন তাঁরা মানসিক কষ্ট পাচ্ছেন আর যাঁরা জিতছেন তাঁরা আনন্দ করছেন৷ কিন্তু এই বুথ আক্রমন ভাঙ্গাভাঙ্গীটা মনে হয়ে এই পশ্চিম বাংলাতেই বেশী হয় ভারতের অন্যরাজ্যের চেয়ে৷ যদিও বলা হয় এই পশ্চিমবঙ্গ নাকি খুবই সচেতন রাজনীতির ব্যাপারে৷ এটা কি সচেতনতার লক্ষণ? এটা যে যে স্থানে হয়েছে সেই সেই স্থানগুলোতে যে সব নাগরিকগণ বাস করেন তাঁরা কি সত্যই এতে আনন্দিত মনে হয়? তা কিন্তু নয়৷ এই কাজ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই করা হয়েছে বাহিরের লোকদের নিয়ে৷ জনগণ কিন্তু প্রায় ৭৫শতাংশ বোট দান করেছেন৷ বলা হচ্ছে উৎসবের মেজাজে বোট হয়েছে৷ সংবাদে প্রকাশ ডাল খোলা, জঙ্গীপুর ও কামারহাটিতে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে৷ সংবাদে প্রকাশ ইভিএম ভাঙচুরে অভিযুক্ত বিজেপি৷ সংবাদে প্রকাশ অর্জুন সিং হুমকি দিয়েছিল গাড়ুলিয়াতে যদি বোট লুট হয় তাহলে ইভিএম ভেঙ্গে দেওয়া হবে৷ তাই হয়েছে বাস্তবে৷ তাই সংবাদেই আসছে নেতাদের হুমকী বাস্তবায়ন হয়েছে ইভিএম ভাঙ্গাতেই৷ তাই ইভিএম ভাংচুরে অভিযুক্ত বিজেপি৷ এই বিজেপিই আবার সোমবার সারা বাঙলায় ১২ ঘন্টার বন্ধ ডেকেছে৷ দেখা যাচ্ছে বিজেপিই এই বাঙলায় প্রথম থেকেই দলীয় রাজনীতির নামে সে সব বক্তব্য ও কাণ্ড ঘটাচ্ছে সেটা অশোভনীয়৷ গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলকে তো জনগণকে সেবা দিতে হবে তাই জনসংযোগ ঘটাতে হবে৷ সহনশীল হতে হবে৷ শুধু গদীর লড়াই করবে আর গদীর মহান্ত হবো বল্লেতো চলবে না৷ কালো টাকা ছড়িয়ে হুমকী দিয়ে কিন্তু পশ্চিম বাংলায় যে বোট পাওয়া যায় না সেটা দলকে বুঝতে হবে৷ সিপিএম, কংগ্রেস পুরাতন দল তাঁরা কিছুটা জন সংযোগ করে চলেছে দীর্ঘ বছরে ও এই রাজ্যে শাসন করেছেন যাঁদের আমলে ঐ বহুল প্রচলিত শব্দটি সেই ছাপ্পা বোটটি ব্যাপকভাবে চালু হয়৷ কিন্তু ৩৪ বছর শাসনের পর কোথায় সিপিএম? আর কংগ্রেস তো ধরাশায়ী এই রাজ্যে৷ তাই বিজেপির উচিত জনসংযোগ করা জনগণকে সেবা দেওয়া তা না করে নেতাদের যে সব ভাষা আর ক্যাডাররা তো জনসংযোগই করেন না৷ টাকা ছড়িয়ে আর গরম গরম বত্তৃণতাতে তো চিঁড়ে ভেজেনা৷ তাই কোন রাজনৈতিক দলকে এই রাজ্যে দাঁড়াতে হলে প্রথম সেই দলকে জাতপাতের ঊধের্ব উঠতে হবে৷ উদার হতে হবে মানবিকমূল্যবোধকে স্বীকার করে মানবতাবাদী হতে হবে৷ তবে এখানে পাত্তা পাওয়া যাবে৷ তাই এটা সেই নয় যেখানে রাজনৈতিক সচেতনটা কিছুটা জাত কেন্দ্রীক ও ভাষা কেন্দ্রীক৷ এটা পশ্চিম বাংলা এখানে নজরুলের কথা বলি --- ‘‘হিন্দু না ওরা মুসলিম, ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন?
কাণ্ডারী বলো ডুবিছে মানুষ
সন্তান মোর মার৷
এখানে চলে চণ্ডীদাসের উক্তি--- সবার উপরে মানুষ সত্য
তাহার উপরে নেই৷
তাই এখানে দলবাজিটা ও নোংরামীটা বন্ধ হোক৷--- দীর্ঘ বছর ধরে দলগুলির ধাপ্পাবাজিটা সচেতন নিরপেক্ষ নাগরিক দেখেছেন৷ তাই তাঁরা বেছে নেন বোটের সময় কাকে বোট দেওয়া উচিত৷
- Log in to post comments