January 2018

হাওড়া নিবাসী চুড়ামণি বাগের  সহধর্মিনী সুনীতি বাগের পরলোক গমন

গত ১লা মাঘ সকালে কয়েকমাস অসুস্থ থাকার পর প্রবীণ আচার্য শচীনন্দন মণ্ডলের  দ্বিতীয় কন্যা সুনীতি বাগ ৬৩ বছর বয়সে  পরলোকে গমন করেন৷ শ্রীমতী  বাগ হাওড়া জেলার  কুলাই  নিবাসী চুড়ামণি বাগের সহধর্মিনী ছিলেন৷ শ্রীমতী বাগ ছিলেন একজন ভক্তিমতী আনন্দমার্গের  সাধিকা৷ তিনি ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দনগরে আক্রমণের সময় আশ্রমের মর্র্মন্তিক ঘটনার সাক্ষী ছিলেন৷ সারাজীবন  তিনি সংঘটনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন৷ তিনি অসুস্থ স্বামী ও দুই পুত্রকন্যা রেখে যান৷ শ্রী চুড়ামণি বাগও একজন নিষ্ঠাবান মার্গের কর্মী ছিলেন৷  নোতুন পৃথিবীতে  বেশ কয়েক বছর সেবাও দেন৷ হাওড়া  জেলার  রাণীহাটি আনন্দমার্গ প্রাইমারী সুকলে শ্রী বাগ অতীতে শি

তিন বড় হাসপাতালে গণবিক্ষোভ

বিভিন্ন নামীদামী বেসরকারী হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় চিকিৎসাক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে৷ হাসপাতালগুলি প্রকৃতপক্ষে বিপন্ন মানুষের শেষ ভরসা৷ সেবাই এগুলির আদর্শ হওয়া উচিত৷ কিন্তু সেবাকে গৌণ করে যদি এগুলিতে অর্থ রোজগারটাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় তাহলে জনগণ তা মেনে নেবেন না৷ কিন্তু বারবার এই অভিযোগই উঠছে এদের বিরুদ্ধে৷ অস্বাভাবিক টাকার দাবী, দর কষাকষি করতে গিয়ে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকে সময়মত উপযুক্ত চিকিৎসা বা অন্য পরিষেবা না দেওয়া, চিকিৎসা ক্ষেত্রে অযথা দেরী করে ডাক্তার ও নার্সদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেওয়া---এ ধরণের অভিযোগ প্রায়শই ওঠে৷

নিউব্যারাকপুরে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস পালন

গত ১৪ই জানুয়ারী নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ আশ্রমে  মহাসমারোহে মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দ মূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ দিবস পালন করা হয়৷ ১৯৭৯ সালের  ১৪ই জানুয়ারী তিনি নিউব্যারাকপুরে প্রথম পদার্পণ করেছিলেন ও সমবেত আনন্দমার্গীদের সামনে আধ্যাত্মিক প্রবচন দিয়েছিলেন৷ সেই দিনটিকে স্মরণ করে গত ১৪ই জানুয়ারী উত্তর ২৪ পরগণা ও কলকাতার বিভিন্ন ইয়ূনিট থেকে আনন্দমার্গীরা এখানে  সমবেত  হয়ে অখন্ড কীর্ত্তন  ও মিলিত সাধনায়  অংশগ্রহণ করেন৷  মিলিত সাধনার পর মার্গগুরুদেব ১৯৭৯ সালে ১৪ জানুয়ারী নিউব্যারাকপুরে যে প্রবচনটি দিয়েছিলেন সেটি পাঠ করে শোনান আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত৷ নিউব্যারাকপুরের প্রবীণ আনন্দমার্গী নিখিলচন্দ্র

দেশ বরেণ্য নেতাজী সুভাষ

প্রভাত খাঁ

কীর্ত্তি যার রহে এ ধরায়

স্মরণের বালুকাবেলায়

                তিনিই অমর হন৷

স্বাধীনতা মানবতা তরে

যিনি যান সংগ্রাম করে

দেশপূজ্য হয়ে তিনি রণ৷

সার্থক নেতা তাই দেশের নেতাজী

এক সূত্রে বাঁধি সবে রচি মহাজাতি

মুক্তির আশ্বাস দানি’ করি’ মহারণ

ব্যষ্টিস্বার্থ, যশ, খাতি, মান

চরণে দলিয়া যিনি যান

তিনিই বরণীয় স্মরণীয় দেশের পূজ্য হন৷

বিশ্বকবি ‘নেতাজী’ নামেতে যাঁরে করেন বরণ

তাঁরেই পরমপিতা ‘বজ্রকৌস্তুভ’ ক’ন

জ্বলন্ত ধুমকেতু,

উল্কার অনলশিখা হয়ে ইতিহাসে রণ৷

তুক্গুণ

আগেকার দিনে  সব নানান ধরণের ঝাড়-ফঁুক, তুক-তাক, ডাকিনীতন্ত্র, যক্ষিণীতন্ত্র, যোগিনীতন্ত্র ইত্যাদির নাম দিয়ে নানান জিনিসের চর্র্চ চলত৷ জিনিসগুলো ভাল কি মন্দ তা নিয়ে আলোচনার  সময় এটা নয়৷ তবে ওই সব জিনিসগুলির মানব সমাজে তেমন কোন কল্যাণ করতে পারিনি৷ ডাকিনী-ডাইনি৷ শোণা যায়  ডাকিনীতন্ত্রে প্রতিষ্টিত হতে গেলে মেয়েদের নাকি প্রথমেই  ওই বিদ্যাপ্রয়োগ করে নিজের স্বামী  অথবা পুত্রকে হত্যা করতে হয়৷  তবেই এই তন্ত্রে সিদ্ধিলাভ  করা যায়৷ সেই জন্যে ডাইনীরা ছিল সর্বকালে ঘৃণ্য৷ তবে ডাইনী ভেবে অনেক নিরপরাধ মেয়েদের ওপরও অত্যাচারও চলত ....আজও হয়তো চলে৷ তবে ডাইনী যে আজও সমাজে একেবারেই  নেই তা বলছি না ৷ মেয়েদের মধ্য

২০১৯ এর পরে ইংল্যাণ্ডের পরবর্তী কোচ হতে পারে প্রাক্তণ ইংল্যাণ্ডের অধিনায়ক

ইংল্যাণ্ডের প্রাক্তণ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ফ্লিনটপ ২০১৯-এর aaঅ্যাসেজের পরই এই টিমের কোচ হতে চান৷  কারণ ২০০৫ সালে অ্যাসেজে গুরুত্ব ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি৷  গত ২ বছর আগেও তিনি এই প্রস্তাবটি জানিয়েছিলেন মেল করে  ইংল্যাণ্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড কে৷  তিনি নিজের জন্য ৭৯ টি টেস্ট খেলেছেন৷ ৪০ বছরের এই খেলোয়াড় বর্তমানে অবসর গ্রহণ করেছেন৷ কিন্তু তিনি নিজেকে চান এই খেলার জগতের সাথে জুড়ে রাখতে৷ কিন্তু এটাও তেম

দক্ষিণ আফ্রিকায় বড় পার্টনারশিপের অভাবেই ভারতের পরাজয়

সম্প্রতি বিদেশ সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ও সেঞ্চুরিয়ানে ভারত পরাজিত হয়েছে৷ দুটো টেস্টেই এমন পরিস্থিতি এসেছিল যে কোনও দল ম্যাচ জিততে পারে, কিন্তু কিছুটা দুর্ভাগ্যের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ হাসি হেসেছে৷ বড় পার্টনারশিপ না গড়তে পারার জন্যে অবশ্যই ব্যাটসম্যানদের দায়ী করা যেতে পারে, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকানরাও তেমন বড় পার্টনারশিপ গড়ে নি যদিও যেটুকু রান করেছে তা কাজে লেগেছে৷ বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে সফরের আগে ভারত কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ খেললে এইভাবে জেতা ম্যাচ  হারতে হ’ত না৷

অশোক

অশোক একটি ভারতীয় প্রজাতির (Indica) গাছ৷ অত্যুষ্ণ বা অতি শীতল অঞ্চল বাদে ভারতের সর্বত্রই অশোক গাছ জন্মায়৷ কেউ কেউ দেবদারু (ঢেউ খেলানো পাতা) গাছকে ভুল করে অশোক বলে থাকেন৷ না, দেবদারু ও অশোক এক গাছ নয়৷ দেবদারু (Indian Pine) পাইন বর্গীয় গাছ, অশোক তা নয়৷ অশোক ফুল অধিকাংশ ক্ষেত্রে লালচে রঙের৷ কিন্তু শাদা, সোণালী ও হলদে রঙের অশোক ফুলও হয় যদিও তারা দুষ্প্রাপ্য৷

অশোক ফুল, ছাল ও মূল নানান ধরনের ঔষধ প্রস্তুতিতে লাগে৷ বিশেষ করে বিভিন্ন স্ত্রী–ব্যাধিতে অশোকের ঔষধীয় গুণ সর্বজনস্বীকৃত৷ অশোকাসব, অশোকারিষ্ট, অশোকক্ষীর প্রভৃতি ঔষধগুলি এই অশোক থেকেই প্রস্তুত হয়৷

বাংলা বানান সংস্কার

কর্ষক

এমনিতে যাঁরা চাষবাস নিয়ে থাকেন তাঁদের জন্যে সংসৃক্ত ভাষায় বেশি প্রচলিত শব্দ দু’টি রয়েছে–কৃষীবল ও কর্ষক৷ ‘কর্ষক’ শব্দটি কৃষ ধাতু থেকে উৎপন্ন৷ যাঁরা এই কর্ষককে ‘কৃষক’ বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা না জেনেই এই ভুল করেছেন৷ আর যাঁরা আজও ‘কৃষক’ লেখেন তাঁরা ভুলকে ভুল না জেনেই লেখেন৷ আমরা ‘আকর্ষক’ ‘বিকর্ষক’ বলবার সময় ঠিক বলি কিন্তু কেন বুঝি না ‘কর্ষক’ বলবার সময় ভুল করে কৃষক বলে ফেলি৷

অসংসৃক্তি