January 2018

আনন্দমার্গ সুকলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

মেদিনীপুর ঃ গত ১২ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের কেরাণীটোলা আনন্দমার্গ সুকলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়৷ স্পোর্টসের বিভিন্ন আইটেমের ওপর প্রতিযোগিতা  হয়৷ সুকলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই স্পোর্টসে অংশগ্রহণ করে৷ প্রতিযোগিতার পর কৃতি ছাত্র-ছাত্রাদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়৷ সুকলের ছাত্র-ছাত্রা অভিভাবক-অভিভাবিকা, শিক্ষক সবাইকে নিয়ে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়৷ সুকলের প্রিন্সিপ্যাল আচার্য নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত, কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিত ঘোষ, টীচার-ইন-চার্জ বিশ্বদেব মুখার্জী---সবার উপস্থিতি ও সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সাফল্যমণ্ডিত  হয়৷

বাংলার ফুটবলের হেডস্যার রঞ্জন চৌধুরি

সন্তোষ ট্রফির প্র্যাকটিসের জন্য তৈরী হচ্ছেন বাংলার নতুন ফুটবল কোচ রঞ্জন চৌধুরি৷ গত রবিবার রবীন্দ্র সরোবর  স্টেডিয়ামে  প্রথম দিনের প্র্যাকটিসে  পঁয়ত্রিশ জন ফুটবলার যোগ  দেন৷ গতবারের ট্রফি ধরে রাখার কাজটা যে এবার খুবই কঠিন তা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন  নতুন কোচ৷

বীরভূমের কড়িধ্যা গ্রামে নবান্ন মেলা

সিউড়ি ঃ বীরভূম  জেলার  কড়িধ্যাগ্রামে নবান্ন মেলার  আয়োজন করা হয়েছিল গত ১৬ই ডিসেম্বর৷ মেলাকে ঘিরে  গ্রামে বসে ছিল বাউল ও ফকিরের দলের প্রাণের  আসর৷ জেলা ও রাজ্যের  বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাউলের দল  বাউল গান পরিবেশন  করার জন্য সমবেত  হন বলে মেলার উদ্যোক্তরা জানান৷  সব সম্প্রদায়েরই মানুষ সমানভাবে মেলায়  অংশগ্রহণ  করেন  বলে জানালেন  স্থানীয়  মানুষজন৷ মেলার  অন্যতম আকর্ষণ ছিল খাওয়া-দাওয়া নানাপদের  ব্যাঞ্জন সহকারে  ভাতের ব্যবস্থা যেমন ছিল তেমনি ছিল বিভিন্ন ফলমূল সহকারে চাল নবান্নের৷ মেলার কর্মকর্র্তদের দাবী কড়িধ্যাগ্রামের  নবান্ন মেলা বর্তমানে  জেলার  একটি জনপ্রিয় মেলা৷

বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং  কলেজগুলিতে  গণটোকাটুকি

দুর্গাপুর ঃ বর্ধমান জেলায়  বেশ কিছু  বেসরকারী  ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরী হয়েছে৷  এই কলেজগুলির  ওপর সরকারে যেমন  কোন নজরদারী নেই তেমনি কলেজ কর্তৃপক্ষেরও কোন নজরদারী নেই৷ নামেই ‘পরীক্ষা’ আসলে টোকাটুকির  স্বর্গে  পরিণত  হয়েছে এই ধরণের  প্রতিষ্ঠানগুলি৷ একটি  নামকরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের  এক প্রাক্তন ছাত্রের মতে এখানকার ছাত্র-ছাত্রাদের একটা উজ্বল মার্কসিট  দিয়ে  ছাত্রদের আকৃষ্ট  করাই  এই  প্রতিষ্ঠান গুলির  প্রধান লক্ষ্য৷ এর ফলে  এই সমস্ত  কলেজে তেমন ক্যাম্পাসিং হয় না৷ যারা  কোন কাজ না শিখে  শুধু সার্টিফিকেট দেখিয়ে  কিস্তিমাত করার চেষ্টা করে তারা অবশেষে  তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে প্যাবিলিয়নে  ফিরে আসতে বাধ্

ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যাণ্ডে নির্বাচন

ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যাণ্ডে নির্বাচনী দামামা বেজে উঠল৷ নির্বাচন কমিশন ত্রিপুরা, মেঘালয় আর নাগাল্যাণ্ড--- এই তিন রাজ্যের  নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করেছেন৷  ত্রিপুরার নির্বাচন হবে ১৮ই ফেব্রুয়ারী৷  মেঘালয় ও নাগাল্যাণ্ডের নিবার্চন  হবে ২৭ ফেব্রুয়ারী৷ তিন রাজ্যের  বোট গণনা (ভোট গণনা) ৩রা মার্চ৷

কেন্দ্রের বঞ্চনার  শিকার পশ্চিমবঙ্গ

কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের-মুখ্যসচিবের কাছে এক চিঠি দিয়েছে৷ ওই চিঠিতে জানিয়েছে, এ রাজ্যের  ৮টি রেলরুটে লোকসানের  জন্যে  রেলমন্ত্রক ওই রুটগুলিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিতে চায়৷ ওই ৮টি রুট হ’ল--- ১) সোনারপুর-ক্যানিং রুট, ২) শান্তিপুর-নবদ্বীপ ঘাট রুট, ৩) বারাসাত-হাসনাবাদ রুট,৪) বারুইপুর-নামখানা রুট,৫) কল্যাণী-কল্যাণী সীমান্ত রুট, ৬) বালিগঞ্জ - বজবজ রুট, ৭) বর্ধমান-কাটোয়া রুট, ৮) ভীমগড় পলাশ থলী রুট৷

কেন্দ্র বলছে, রাজ্য যদি ওই রুটগুলিতে লোকসানের অর্ধেক বহন করে তবেই তা ওইসব রুটে ট্রেন চালানো অব্যাহত রাখবে৷

দিল্লির ২০জন বিধায়ক বরখাস্ত

ভজনক পেশায়  জড়িত  থাকার জন্যে  দিল্লির ‘আম আদমি পার্টির (আপ) ২০ জন বিধায়ককে বরখাস্ত করার সুপারিশ করেছিলেন রাষ্ট্রপতির কাছে৷

রাষ্ট্রপতি  রামনাথ কোবিন্দ  নির্বাচন  কমিশনের  সুপারিশে সায়  দিয়ে ওই ২০জন  বিধায়ককে বরখাস্ত করলেন৷ ফলে দিল্লিতে মিনি নির্বাচনের  সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ আপ অবশ্য ওই বিধায়কদের  পদ বাঁচাতে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে৷

 

প্রাউট দর্শন অনুসারী ‘আমরা বাঙালী’ ত্রিপুরায় ২৫টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে

 ত্রিপুরার আসন্ন ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী নির্র্ধরণের জন্যে ‘আমরা বাঙালী’র  শিবনগর, কলেজ রোডে (আগরতলা) ‘আমরা বাঙালীর কার্র্য্যলয়ে আমরা বাঙালীর রাজ্যকমিটির সকল সদস্য ও কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায়কে  নিয়ে  এক আলোচনা সভা হয়৷ এই আলোচনা সভাতে নিম্নলিখিত ২৫টি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়৷ ২৪ জন প্রার্থীর নামও ঘোষণা করা হয়৷ ১ জনের নাম পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়৷

গান্ধী, নেহেরু, ব্রিটিশরা একযোগে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই সুভাষ বসুকে কংগ্রেস থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছিলেন

মানস মল্লিক

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের জন্য জেলে৷ সেই সময় কংগ্রেসের গয়া অধিবেশন চলছে৷ সভাপতি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ৷ সেই অধিবেশনে দেশবন্ধু বললেন, ব্রিটিশের সঙ্গে লড়াইয়ে নতুন ফ্রণ্ট খোলা হবে৷ সেই ফ্রণ্ট হবে আইনসভার ভেতরে৷ ভোটে জিতে ভেতর থেকে সরকারকে অচল করে দেওয়াটাই হবে নতুন কৌশল৷

কিন্তু গান্ধী গোষ্ঠী ভোট বয়কট, অধিবেশন সভা বয়কটের চিল চিৎকার জুড়ে দেশবন্ধুকেই বয়কট করে দিলেন গয়া অধিবেশন থেকে৷

বাংলা আমার মাতৃভূমি আমি বাংলাকে ভালবাসি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত ১৮ই জানুয়ারী ২০১৮ তারিখে অসম ভবনের সামনে আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে  বিক্ষোভ প্রর্দশনের সময় আমার  এক প্রাক্তন সহকর্মীর সঙ্গে দেখা৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন-কী ব্যাপার৷ আমি বললুম –“বাংলা ও বাঙালী” দুইই আজ বিপন্ন৷ অসমের ১ কোটি ৩৯ লক্ষ বাঙালীর নাগরিকত্ব সংকটের মুখে---তাই এই বিক্ষোভ ধুস৷ ওতে  কিছু হবে না বলে তিনি তাঁর গন্তব্যে চলে গেলেন৷ আমার সেই আপাদমস্তক  বাঙালী বন্ধুবরটির মত হয়তো বেশীরভাগ বাঙালীই এই ভাবনার শরিক৷ বাংলা ও বাঙালী যে সত্যই  আজ বিপন্ন এই বোধ টুকু তাদের নেই৷ বাংলাযে সব দিক থেকে বঞ্চিত শোষিত--- বাঙালীরা অত্যাচারিত উৎপীড়িত স্বভূমে পরবাসী--- এই ভাবনাগুলো কি