September 2018

ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস পালন

গত ১১ই আগষ্ট হাওড়ার সাঁকড়াইল ব্লকের আলমপুর মোড়ে ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস উপলক্ষ্যে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়৷ উক্ত পথসভায় প্রথমে ক্ষুদিরাম বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী বকুল চন্দ্র রায়, উৎপল কুণ্ডু চউধুরী, অর্ণব কুণ্ডু চউধুরী, গোপা শীল প্রমুখ৷ তাঁরা পথসভায় ক্ষুদিরাম বসুর স্বপ্ণকে কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়---এসম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অসমের এন.আর.সি. প্রসঙ্গও টেনে আনেন৷ সেখানে বাঙালীদের কীভাবে বিদেশী আখ্যা দেওয়ার ঘৃণ্য পরিকল্পনা চলছে তার তীব্র প্রতিবাদ করেন৷ উক্ত অনুষ্ঠানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়৷

অসমে বিদেশী আখ্যা দিয়ে বাঙালী নির্র্যতন ও বিতাড়নের বিরুদ্ধে পূর্বমেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়  ‘আমরা বাঙালী’র পথসভা

গত  ৩রা সেপ্ঢেম্বর ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে অসমে বিদেশী  আখ্যা দিয়ে ৪০ লক্ষকে বাঙালীদের  নির্র্যতন ও বিতাড়নের বিরুদ্ধে পূর্বমেদিনীপুরে বিভিন্ন  এলাকায়  প্রতিবাদ মিছিল বের হয়৷ যেমন --- পাঁশকুড়া ষ্টেশন এলাকা,  পুরুষোত্তমপুর, দামোদরপুর, রাধামণি বাজার, তমলুকের হসপিটালের মোড় ও মেছেদা বাসস্ট্যাণ্ডের সন্নিকটে  এই প্রতিবাদ মিছিলটি শেষ হয় ও জেলার প্রচুর ‘আমরা বাঙালী’ কর্মীরা এই প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভায়  অংশগ্রহণ করে৷ উক্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন--- জেলা সচিব চিন্ময় কালসার, কেন্দ্রীয় অর্থসচিব শুভেন্দু ঘোষ, আন্দোলন সচিব রাজু মান্না,   রাঢ় বাংলার  সাংঘটনিক সচিব বিভূতি দত্ত, কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায় প্

কোচবিহার ‘আমরা বাঙালী’র  অসমগামী রেল-রোকো আন্দোলন ২০০০ আমরা বাঙালী কর্মী গ্রেফ্তার ও পরে মুক্তি

অসমে  নাগরিকপঞ্জীর তৈরীর নামে  প্রায়  ৪০ লক্ষ বাঙালীর নাগরিকত্ব হরণের  প্রতিবাদ গত ৩০শে আগষ্ট আমরা  বাঙালীর  তরফ থেকে  নিউকোচবিহার  রেলষ্টেশনে অসমগামী রেল অবরোধ আন্দোলনের  কর্মসূচী নেওয়া হয়৷  এই  অনুসারে  এদিন সকালে কোচবিহার থেকে ২ হাজারের বেশি  ‘আমরা বাঙালী’র কর্মী  নিউ কোচবিহার ষ্টেশনে  এসে  পৌঁছে  যায়৷  এখানে  আমরা বাঙালীর  আন্দোলন  রুখতে  ১ হাজারের বেশি  রেল পুলিশ  মোতায়েন  ছিল৷  তাদের সঙ্গে  আমরা বাঙালীর কর্মী ও সমর্থকদের দফায় দফায় বাত-বিতণ্ডা ও ধবস্তাধস্তি চলতে থাকে৷  আন্দোলনকারীরা বাঙালী বিদ্বেষী অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সেনওয়ালের কুশপুত্তলিকাও দাহ করে৷

দেশপ্রেম বনাম রাজনৈতিক ভণ্ডামি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ভারতবর্ষের মাটিতে দেশপ্রেম, দেশের জন্যে আত্মত্যাগ, নিঃস্বার্থভাবে দেশকে ভালোবাসা, দেশমাতৃকার পরধীনতার শৃঙ্খল মোচনে আত্ম বলিদানের সঙ্গে আগষ্ট মাসের সম্পর্ক সুনিবিড়৷ সাম্রাজ্যবাদী, অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসকবর্গের নিষ্ঠুর নিপীড়ন, লাঞ্ছনার হাত থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করার সংগ্রামে যে সকল দেশপ্রেমিক গণ আত্মনিয়োগ ও সর্বস্ব পণ করে স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের জীবনের সঙ্গে আগষ্ট মাস        ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত৷ ১৮৭২ সালের ১৫ই আগষ্ট শ্রী অরবিন্দ ঘোষের জন্ম৷ তিনি প্রথম জীবনে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন ও অত্যন্ত মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও ইংরেজদের গোলামী করবেন না বলেই ইচ্ছাকৃতভাবে

সংক্ষেপে মাইক্রোবাইটাম পরিচিতি

সমরেন্দ্র নাথ ভৌমিক

পরম চৈতন্য সত্তা হ’তে বিশ্বসৃষ্টি হয়েছে৷ অর্থাৎ সঞ্চর ধারায় চৈতন্য সত্তাই ধাপে ধাপে চরমস্থূলত্বে পর্যবসিত হয়েছে অর্থাৎ ক্ষিতিতত্ত্বে (Solid facter) পরিণত হয়েছে৷ আবার প্রতিসঞ্চার ধারায় অর্ধবৃত্তাকার পথে ভৌতিক স্তরে এমন এক সূক্ষ্ম সত্তার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যারা ইলেকট্রন, প্রোটন, পজিট্রন প্রভৃতির তুলনায় ছোট৷ আবার মানসিকস্তরে চিত্তানুর (ectoplasm) চেয়েও ছোট, অর্থাৎ অবস্থিতির বিচারে এই সত্তাগুলির অবস্থান হচ্ছে ইলেকট্রন ও চিত্তাণুর মাঝামাঝি স্থানটিতে৷ আসলে এরা চিত্তাণু নয়, আবার বিদ্যুৎনুও (electron) নয়৷ মহাপ্রাজ্ঞ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার মহাশয় এই সূক্ষতম সত্তারই নাম দিয়েছেন--- মাইক্রোবাইটাম (Micro

প্রগতিশীল উপযোগতত্ত্বের পঞ্চমূল নীতি

সত্যসন্ধ দেব

প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব (প্রাউট)–এর মূল পঞ্চনীতির প্রথম নীতি হ’ল ঃ সমাজের তথা সমবায়িক সংস্থার সুস্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া কাউকে কোন প্রকার জাগতিক সম্পদ সঞ্চয় করতে দেওয়া হবে না৷ স্পষ্টতঃই এই নীতি আজকের পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অভিশাপ থেকে সমাজকে বাঁচাতে চায়৷ জগতের স্থূল সম্পদ (এক্ষেত্রে মানসিক ও আধ্যাত্মিক সম্পদের কথা বলা হচ্ছে না) সীমিত বলেই, কেউ যদি অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় করে রাখে, তাহলে অন্যত্র অভাব দেখা দেবেই৷ তাই অবাধ সঞ্চয় নীতিতে প্রাউট বিশ্বাসী নয়৷ মানুষ সঞ্চয় করে চারটি কারণে (১) দৈনন্দিন ব্যষ্টিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে৷ (২) বিশেষ বিশেষ পারিবারিক তথা সামাজিক দায়–দায়িত্বের জন্যে৷ ৩) অনন্ত সুখের এষণা,

ফাঁসির  মঞ্চে হাসিমুখে

আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত

সবাই চকিত চকোর  বিস্ময়ে

চেয়ে রয় তোমা পানে

 বজ্রদীপ্ত  স্ফুলিঙ্গ বিদ্যুল্লেখা সম

এ বালক---কোথা হতে  আগমন !

পরাধীন  দেশে  বহিছে

শোষণের  তুফান---এমনি  দুঃসময়ে৷

ব্রিটিশ স্বার্র্থন্বেষী বহিঃশত্রু

কু-বুদ্ধি ব্যবসায়ী মনোভাব  আপ্লুত

অবাধ লুন্ঠনের ফন্দিবাজী গুপ্ত রেখে

প্রবেশিল  মোদের  স্বদেশে

নিরীহ  সরলপ্রাণ ধার্মিক ব্যষ্টিরে

ঘেরিল তারা  রক্তচক্ষু  জালে৷

হে ক্ষুদিরাম --- তুমি  নও  ক্ষুদ্র  মানব

দানবের ত্রাস তুমি

অল্পবয়সে  তব অঙ্গে ফুটন্ত শোণিত ধারা

ব্রিটিশের  রক্তচক্ষু- শাসনে

আনন্দ নগর সংবাদ

গত ১লা ও ২রা সেপ্ঢেম্বর টাটুয়াড়াতে ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ স্থানীয় বিশিষ্ট আনন্দমার্গী চক্রধর কুমার ও শ্রীকান্ত কুমার অন্যান্য আনন্দমার্গীদের সহযোগিতায় এই অখণ্ড কীর্ত্তন পরিচালন করেন৷ অখণ্ড কীর্ত্তনের পর ‘কীর্ত্তন মহিমা’ ও ‘ভক্তি মাহাত্ম্যে’র ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত৷

এছাড়া আচার্য সংশুদ্ধানন্দ অবধূতের পরিচালনায় বিশেষ সদাব্রত অনুষ্ঠান হয়৷ এতে সহস্রাধিক ভক্ত ও গ্রামবাসীকে মধ্যাহ্ণভোজনে আপ্যায়িত করা হয়৷

ইতালিতে আনন্দমার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

ইতালি থেকে নোতুন পৃথিবীর সংবাদদাতা জানাচ্ছেন গত ১৫ই আগষ্ট বেরোনাতে এক ভক্তিপ্রাণা আনন্দমার্গী মহিলা---‘আরাধনা’ (সংসৃকতে  তাঁর নামকরণ করা হয়েছে), যাঁর এখানকার নাম আন্না বেন্ডাজলি Anna Bendazzoly), তাঁর মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে করেছেন৷ তাঁর মা শ্রীমতী গ্যাব্রিয়েলা বেন্ডাজলি ছিলেন একটি হাইস্কুলের লাতিন, গ্রীক ও ইতালিয়ান সাহিত্যের শিক্ষিকা৷ ৮৮ বৎসর বয়সে গত ১০ই আগষ্ট তাঁর দেহাবসান হয়৷ গত ১৫ই আগষ্ট তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানে তিনি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্যে নির্দিষ্ট প্রভাত সঙ্গীতটিও (তোমার জিনিস তোমাকে দিয়েছি / তুমি নাও প্রভু কোলে তুলে

কৃষ্ণনগরে প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ২০১৮

গত ২রা সেপ্ঢেম্বর রবিবার রেণেশাঁ আর্টিষ্টস্ এ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাশোসিয়েশন কৃষ্ণনগর শাখা সকাল ১০টা থেকে ১০৫ জন বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগীদের নিয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে---কৃষ্ণনগর হাইস্কুলে বিশ্ববন্দিত মাহান দার্শনিক ও কালজয়ী সঙ্গীতগুরু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীতের ৩৬ বছর পূর্ত্তি উপলক্ষ্যে প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য ও অঙ্কণের প্রাক্ চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হ’ল৷ এই প্রতিযোগিতায় অর্গানাইজার ছিলেন শ্রী আনন্দ মণ্ডল, অনুময় বিশ্বাস, গোবিন্দ বিশ্বাস, গোরাচাঁদ দত্ত, বৃন্দাবন বিশ্বাস, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, গৌরাঙ্গ মল্লিক সহ ভুক্তি