October 2018

যে প্রাণী পাখি নয়

গোয়েন্দা গল্পে পোড়ো বাড়ির অন্ধকার চিলেকোঠায় বাদুড়ের পাখা ঝাপ্ঢানোর ঘটনা যখন আমরা পড়ি তখন অজান্তেই বুকের ভেতরটা ছম ছম করে ওঠে৷ বাদুড়ের মতো একটা নিরীহ প্রাণীকে নিয়ে কেন এই ভয়–তার কোনো যুৎসই উত্তর নেই৷ তবুও আমরা বদ লোকের বাঁকা হাসিকে নাম দিয়েছি বাদুড়ে হাসি৷ এমনকী ‘ব্যাট–ম্যান’ নামক সাড়া জাগানো একটা সিরিয়াল পর্যন্ত হয়ে গেছে টেলিভিশনে৷ তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, এই প্রাণীটির গুরুত্ব একেবারেই ফেলনা নয়৷

ক্রীড়াক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থাকে আরও নিখুঁত করা প্রয়োজন

প্রথমেই বলে রাখি এই রচনার উদ্দেশ্য এটা নয় যে রেফারি বা আম্পায়ারদের বিচারকে ত্রুটিযুক্ত বলে খাড়া করে তাঁদের সিদ্ধান্তগুলোকে অবমাননা করা৷ উদ্দেশ্য এটাই খেলার ফলাফলের সিদ্ধান্তগুলোকে আরও নির্ভুল করা৷ সেই কারণে খেলাধূলাকে ভালবাসার তাগিদেই সাধারণ মস্তিষ্ক থেকে উঠে আসা কয়েকটি বাক্যাবলী উৎসাহী পাঠকদের ও খেলাধূলার নিয়ম রচনাকারীদের  সামনে তুলে ধরছি৷

বৈদ্যবাটির সন্দীপের ঘাড়ে ভর করে ইস্টবেঙ্গলকে টপকে পিয়ারলেস রাণার্স

তিন বছর আগে ইস্টবেঙ্গলের চতুর্থ গোলকিপার হিসেবে সারা মরসুমেই সাইডলাইনের ধারে বসে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে কাটাতে হয়েছিল বৈদ্যবাটির সন্দীপ পালকে৷ আর সেই সন্দীপ পালের ঘাড়ে ভর করে ইস্টবেঙ্গলের মতো শক্ত দলকে  টপকে পিয়ারলেস রাণার্স৷ বেশ কয়েক বছর পর কলকাতা লিগে রাণার্স পিয়ারলেস৷ পিয়ারলেসের এই সাফল্যের পেছনে দলের গোলরক্ষক সন্দীপের অবদান অনস্বীকার্য৷ কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য মনে করেন বড় গোলকিপার হওয়ার সমস্ত গুণ সন্দীপের আছে৷

মেডিকেলে আগুন

গত ৩রা অক্টোবর বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এম.সি.এইচ বিল্ডিংয়ের ওষুধ কাউণ্টারে আগুন লাগে৷ খবর পেয়েই দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়ে যায়৷ দলকল কর্মীদের সঙ্গে রোগীদের অভিভাবকরা সবাই মিলে তৎপরতার সঙ্গে এম.সি.এইড বিল্ডিংয়ের প্রায় ৪০০ মুমুর্ষু রোগীকে পাশের বিল্ডিংয়ে স্থানান্তরিত করেন৷ সবার মিলিত চেষ্টায় দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়৷ মেডিকেল কলেজের মত এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিংয়ে কেমন করে এভাবে আগুন ধরল এটা সবার কাছে আশ্চর্যের বিষয়৷ ঘটনার সি.আই.ডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

নাগের বাজারে বোমা বিষ্ফোরণ

২রা অক্টোবর দক্ষিণ দমদমের নাগেরবাজারের কাজিপাড়ায় হঠাৎ এক বিষ্ফোরণ ঘটে৷ এই বিষ্ফোরণে বিভাস ঘোষ নামে ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয় ও কে বা কারা এই বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে, এ ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি৷ বিষ্ফোরণের তীব্রতায় সারা এলাকা কেঁপে ওঠে৷

এই বিষ্ফোরণ নিয়ে স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রতিপক্ষের ওপর এই বিষ্ফোরণের দায় চাপাচ্ছে৷ কেউ বলছেন,এদিন ছিল খাগড়াগড় বিষ্ফোরণের ৪ বছর পূর্তির দিন বিজেপি৷ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বলা হচ্ছে, থাকতে পারে৷ তবে প্রকৃত কারা এই বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে--- তা তদন্ত সাপেক্ষ৷

ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্প ও সুনামি

ইন্দোনেশিয়াতে গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ও এই ভূমিকম্পের কারণে সমুদ্রের তলদেশে ধস নামতে সৃষ্টি হয়৷ ভয়ঙ্কর সুনামি৷ এর ফলে ৮৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারীভাবে প্রচার করা হয়৷

তবে এও বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে বিধবস্ত ৪টি প্রদেশের মধ্যে একটিতে মাত্র উদ্বারকারীরা যেতে পেরেছে৷ বাকি ৩টি অঞ্চলে উদ্বারকারীরা পৌঁছতেই পারেনি৷ কারণ ওইসব এলাকা সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন৷ পালু শহর ধবংসস্তুপে পরিণত হয়েছে৷ এই অবস্থায় ছোট বাজারগুলিতে ব্যাপক লুঠপাট চলছে৷

মারণ গ্যাসের কারখানা

গত ৩০শে সেপ্টেম্বর ইন্দোরের শহরের এক বে-আইনী গবেষণাগারে--- বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক গ্যাস উৎপাদনের সন্ধান পাওয়া গেল৷ এই রাসায়নিক গ্যাস কেমিক্যাল ওয়ারফেয়ারে শত্রু নিধনে ব্যবহৃত হয়৷ এখানে যে পরিমাণ রাসায়নিক গ্যাস পাওয়া গেছে তাতে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষকে মেরে ফেলা যায়৷

ডিরেক্টর অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্সের এক অভিযানে এই ৯কেজি রাসায়নিক উদ্ধার করা হয়েছে৷ ভয়ঙ্কর ক্ষমতাসম্পন্ন এই রাসায়নিকের নাম ওপিয়েড্ ফেন্টাইল৷ বাজারে এই পরিমাণ ফেন্টাইলের দাম ১১০ কোটি টাকা৷ হিরোইন থেকে ৫০ গুণ ও মরফিন থেকে ১০০ গুন বেশি ক্ষমতাধর এই রাসায়নিকের মাত্র ২ মিলি গ্রাম একজন মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে৷

কলকাতার অসম ভবনের গেটে তালা দিয়ে ‘এন.আর.সি.-র প্রতিবাদ আমরা বাঙালীর

২৪ সেপ্টেম্বর ঃ অসমে নাগরিকপঞ্জীকরণের্ নামে ৪০ লক্ষ বাঙালীকে বিদেশী আখ্যা দিয়ে অসম থেকে বিতাড়নের বিরুদ্ধে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে কলকাতায় বিরাট বিক্ষোভ মিছিল বের হয়৷ হাজরা পার্ক থেকে বেলা ২টায় কেন্দ্রীয় সচিব বকুল চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে মিছিলটি এস.পি.

এন আর সি-র প্রতিবাদে নমঃশূদ্র বিকাশ পারিষদের লং মার্চ

গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর এন.আর.সি’র বিরুদ্ধে বাঙ্লা থেকে অসমের উদ্দেশ্যে লংমার্চের ডাক দেয় অল.ইন্ডিয়া নমঃশূদ্র বিকাশ পারিষদ৷ এদিন জাতীয় নাগরিকপঞ্জী থেকে ৪০ লক্ষ বাঙালীর নাম বাদ পড়ার প্রতিবাদে কুমারগ্রাম (আলিপুরদুয়ার) ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি থেকে অসমের শ্রীরামপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কি.মি. লংমার্চের সূচনা করেন এঁরা৷ প্রথমে কামাখ্যাগুড়িতে প্রতিবাদ সভা করে তাঁরা ১০ কিঃমিঃ পথ লংমার্চ চালিয়ে যান৷

ওদিকে লং মার্চের খবর পেয়ে অসম-পঃবঙ্গ সীমান্তে জল-কামান নিয়ে অসম পুলিশ এই লংমার্চকারীদের মোকাবিলা করার জন্যে প্রস্তুত৷ শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়াতে ১০ কিলোমিটার চলার পর লংমার্চ স্থগিত রাখে৷