November 2018

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ওয়েষ্ট ইণ্ডিজ আগামী দিনে ভাল খেলবে

ভারত সফররত ওয়েষ্ট ইণ্ডিজ বর্তমান দলটি টেষ্টে খুব একটা ভাল খেলতে না পারলেও টি-২০ ও ৫০ ওভারের ম্যাচগুলিতে ভাল খেলার ক্ষমতা রাখে৷ দলে মারকুটে ব্যাটসম্যান যেমন আছে তেমনি সীমিত ওভারের খেলার মত ভাল বোলারও আছে৷ সেই কারণে আগামী বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ক্যারিবিয়ান দলটি ভারত সফরে কিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালাচ্ছে আর তাতেই নজরে পড়ল ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে তাঁদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং৷ সারা ম্যাচে সাড়ে ছ’শ রান হয়েছে৷ এই ম্যাচটি টাই হলেও সফরকারী দলটি যে মজবুত তা বোঝা গেছে৷

এন.আর.সির তালিকা থেকে নাম বাদ ও ডি-ভোটারের নোটিশের জেরে অসমে ২০ জন বাঙালীর আত্মহত্যা

অসমে একদিকে এন.আর.সির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া, তারপর আবার ডি-ভোটার (ডাউটফুল-ভোটার)-এর নোটিশ, ওদিকে আলফার হুমকি--- এই ত্রিফলা আঘাতে মানসিক চাপে পড়ে আত্মহত্যা করল অসমের ও দলাবাড়ি জেলার হরিশিঙা থানার অন্তর্গত ঘাগ্রা উলুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দায় দীপক দেবনাথ (৪৯)৷ তাঁর ১৯৭১ সালের লিগ্যাল ডেটা রয়েছে৷ সেই অনুসারে এন.আর.সির প্রথম তালিকায় তাঁর নামও উঠেছিল৷ কিন্তু দ্বিতীয় তালিকায় আবার তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়৷ তিনি তখন এন.আর.সি কেন্দ্রে যোগাযোগ করেন৷ আবার নূতন করে আবেদন পত্র জমা দেওয়া হয়৷ এরপরে বর্ডার পুলিশ তাঁর নামে আবার ডি-ভোটারের নোটিশ পাঠিয়ে দেয়৷ ‘ডি-ভোটার’ মানে ডাউটফুল ভোটার অর্থাৎ সন্দেহজনক ভোটার৷

এন. আর. সি.-র নামে বাঙালী বিতাড়নের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামছে ‘আমরা বাঙালী’ অসম রাজ্য কমিটি

শিলচর, ৯ অক্টোবর ঃ এন আর সি-র নামে বাঙালী বিতাড়নের প্রতিবাদে জোরদার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আমরা বাঙালী৷ সংঘটনের অসম রাজ্য কমিটির সচিব শ্রী সাধন পুরকায়স্থ একথা জানান৷ ৯ই অক্টোবর শিলচরে রাজ্য কমিটির একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা শাখার সচিব শ্রীমতী অনিতা চন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়া অসম রাজ্য কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন৷ শ্রী পুরকায়স্থ অভিযোগ করেন এন আর সি-র নামে নিত্য নতুন ফতোয়া জারী করে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করা হচ্ছে৷ এন আর সি কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালী সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ৷ অনেক প্রকৃত ভারতীয়ের পক্ষে নথিপত্র যোগাড় কর

আন্দামানে বাঙালীদের সুরক্ষার দাবীতে কলকাতার আন্দামান ভবনে ‘আমরা বাঙালী’র স্মারকপত্র পেশ

আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বাঙালী বিরোধী জনগোষ্ঠীর দ্বারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাসকারী বাঙালীদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন চলছে৷ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা করা হয়েছে ও সম্প্রীতি ও সংহতি নষ্টকারী এরকম ঘটনাবলীর তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ই অক্টোবর কলকাতার আন্দামান ভবনের সংযোগ রক্ষাকারীর মাধ্যমে এই দ্বীপপুঞ্জের মাননীয় প্রশাসকের উদ্দেশ্যে স্মারকপত্র পেশ করা হয়৷ এই স্মারকপত্রে আন্দামানে বাঙালী নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ করে তাঁর কাছে আন্দামানের বাঙালীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবী জানানো হয়৷ স্মারকলিপি পেশের সময় ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে উপস্থিত

অজগরের গ্রাসে বাঙালী

রবীন্দ্রনাথ সেন

একটা ভয়ঙ্কর অজগর গ্রাস করছে আস্ত বাঙলাকে৷ কখন খপ করে ধরেছে সে, বুঝে ওঠার আগেই পাকে পাকে জড়িয়ে ফেলেছে৷ অসহায়---বড্ড অসহায় লাগছে৷ বাঁচবার কি উপায় নেই কোন?

সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ

নির্বাচনী প্রচারের জন্যে বিজেপিকে পুলিশের তহবিল থেকে ২০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন সিবিআই-এর স্পেশাল ডাইরেক্টর রাকেশ আস্থানা৷ গত ২৮শে অক্টোবর এই অভিযোগ এনেছেন গুজরাট পুলিশের এক অবসরপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর৷ অভিযোগ, ওই সময় রাকেশ আস্থানা সুরাটের পুলিশ কমিশনার ছিলেন৷ তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ বলা বাহুল্য বিজেপি থেকে ওই টাকা আর ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি৷

ঈশ্বরপ্রেম–সাফল্যের অপরিহার্য শর্ত্ত

তোমরা জান, অন্যান্য সকল বিষয়ে যত যত্নই নেওয়া হোক না কেন, তরকারিতে লবণ ঠিক মত না দিলে তা কখনও সুস্বাদু হয় না৷ তেমনই সসীম ও অসীমের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের যাবতীয় প্রয়াস বিফল হয় যদি ভক্তির অভাব ঘটে৷

এ্যাটম ব্যোম কি মানবসভ্যতাকে ধবংস করতে পারে?

কিছুদিন আগে জনৈক সাংবাদিক আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘এ্যাটম বোমের বিধবংসী কার্যকারিতা সম্বন্ধে ও মানুষ জাতির ওপর তার ভবিষ্যৎ প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে আপনার মত কী?’’ সাধারণতঃ সাংবাদিকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক থাকে না৷ কিন্তু আমি এই প্রশ্ণের উত্তর দিয়েছিলুম৷ এই প্রশ্ণের উত্তরে লেছিলুম ‘‘এ্যাটম বোমের শক্তির চেয়ে মানুষের শক্তি অনেক বেশী৷ সুতরাং এ্যাটম বোমে মানুষকে শেষ করে দেবে--- এরকম ভাবা মানে মানুষের মনীষাকে, মানুষের মানসিক শক্তিকে অপমান করা৷ কারণ, মানুষ এ্যাটম বোমেকে তৈরী করেছে৷ মানুষ এ্যাটম বোমের স্রষ্টা৷ সুতরাং মানুষকে কি এ্যাটম বোমে ধবংস করতে পারে?

শবরীমালা মন্দিরের রীতি তথা ডগ্মা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

কেরালার শবরীমালায় অবস্থিত আয়াপ্পার মন্দিরে ৯ থেকে ৫০ বছর বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয় না৷ সম্প্রতি এই সম্পর্কিত এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সবার প্রবেশাধিকারের রায় ঘোষণা করেছেন৷ এ ব্যাপারে মহিলা-পুরুষের কোনো বিভেদ করা চলবে না বলে সুস্পষ্ট আদেশ দিয়েছেন৷ কিন্তু এরপরও মন্দির কর্তৃপক্ষ ও তাদের গোঁড়া একশ্রেণীর ভক্ত মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না৷ পুলিশও নিষ্ক্রিয়৷ বর্তমানে এটাকে কেন্দ্র করে জোর রাজনীতি চলছে৷ বি.জে.পি ও কংগ্রেস দুই পার্টিই মন্দির কর্তৃপক্ষ তথা গোঁড়া ভক্তদের সমর্থন করছে৷ তাঁরা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করছেন৷ তাঁদের বক্তব্য, এটা এখানকার পরম্পরা

কাঁদিছে মানুষ, সন্তান জগজ্জননীর

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বাঙালীর সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব অতিক্রান্ত৷ মহালয়ার পর থেকে দুর্গাপূজা, লক্ষ্মী পূজা ,শ্যামাপূজা, দীপাবলী হয়ে জগদ্ধাত্রী পূজা পর্যন্ত শারদোৎসবের বিস্তার৷ দুর্গাপূজা মূলতঃ বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতির পরিচায়ক হলেও তা ক্রমশঃ বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে সমগ্র ভারতবর্ষতো বটেই- বহির্ভারতেও প্রসারিত হয়ে চলেছে৷ পৃথিবীর যেখানেই অল্প কয়েকজন বাঙালীর বাস , সেখানেই দুর্গাপূজার আয়োজন একটি স্বাভাবিক ঘটনা৷ এছাড়া দুর্গাপূজা সাধারণতঃ হিন্দুধর্মমতাবলম্ব্ ধর্মাচরণের অঙ্গ হলেও দুর্র্গেৎসবের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলির সঙ্গে অন্যান্য ধর্মমতের বা সম্প্রদায়ের মানুষজনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকেন৷ ফল