January 2019

চাষীদের জন্যে সব সরকারেরই মনোমোহিনী প্রকল্প কিন্তু তাতে গরীব চাষীদের মূল সমস্যার সমাধান হবে না

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলি বর্তমানে  দেশের  দারিদ্রপীড়িত, বঞ্চিত চাষীদের নানাভাবে সন্তুষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে৷ বিগত ৫ রাজ্যে বিজেপি’র নির্বাচনী বিপর্যয়ের পেছনে যে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির চাষীদের ক্ষোভ একটা প্রধান কারণ---তা সবাই উপলদ্ধি করতে শুরু করেছেন৷ এই কারণে মোদি সরকার চাষীদের কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করছেন৷ ৫ রাজ্যের  নির্বাচনের পর যে যে  রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষিঋণ মুকুবের কথা ঘোষণা করেছে৷ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও সেই পথে চলেছে৷ সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র চাষীদের আয়বৃদ্ধির নানান্ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করছেন৷

পরলোকে মৃণাল সেন

বাঙ্লার  প্রখ্যাত  চলচ্চিত্র  পরিচালক  মৃণাল সেন  বৎসরের  শেষ দিনে (৩১ ডিসেম্বর ,২০১৮) পরলোকে  গমন করলেন৷ মৃত্যুকালে  তাঁর  বয়স  হয়েছিল  ৯৫ বছর৷ দীর্ঘদিন  ধরে  তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন৷ গত রবিবার  তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ  নিঃশ্বাস ত্যাগ  করেছেন৷

তাঁর একমাত্র  ছেলে কুণাল সেন  আমেরিকার শিকাগোতে  থাকেন৷ তিনি দেশে  ফেরার পর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়৷

রামমন্দির নিয়ে অর্ডিন্যান্স নয় ঃ মোদি

বিগত ৫ রাজ্যের  বিধানসভা নির্বাচনে  বিজেপি’র  প্রতি জনতার মুড্ বুঝতে পেরে এবার বিজেপি’র হিন্দুত্ববাদীরা রামমন্দির নিয়ে আর খুব একটা বাড়াবাড়ি  করছে  না৷  প্রধানমন্ত্রী মোদিজীও শেষ পর্যন্ত সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন,অর্ডিন্যান্স করে রামমন্দির গড়ে তোলা সম্ভব নয়, কারণ দেশের বিচার ব্যবস্থা ও আইনের কাছে হাত বাঁধা৷

নেতাজী সুভাষচন্দ্র দ্বীপ

আজ থেকে  ৭৫ বছর  পূর্বে নেতাজী আন্দামানে  জাতীয় পতাকা উত্তোলন  করে এখানকার  দুটি  দ্বীপের  নাম রেখেছিলেন  যথাক্রমে শহিদ ও স্বরাজ দ্বীপ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতাজীর  সেই কীর্ত্তিকে  স্মরণ করে  নীল আইল্যাণ্ড ও হ্যাভলাত আইল্যাণ্ডের নাম  সরকারীভাবে  যথাক্রমে  শহিদ দ্বীপ ও স্বরাজ দ্বীপ  রাখার  কথা ঘোষণা করলেন, সঙ্গে সঙ্গে  রস আইল্যাণ্ডের  নাম ‘নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপ’ রাখার কথা  ঘোষণা করা হয়েছে৷  জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ৭৫ বার্ষিকী স্মরণে ষ্ট্যাম্প ও ৭৫ টাকার বিশেষ মুদ্রাও প্রকাশ  করা হয়৷

অবশেষে বাধ্য হয়ে জি.এস.টি.-র দিকে নজর কেন্দ্রের

মুসাফির

আজ জনগণের মনে অনেক প্রশ্ণ জমে উঠেছে কারণ গত ৫টি রাজ্য নির্বাচনে  কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পকেটে কোন রাজ্যেরই  আশাপূরণ ফল আসেনি তাই জি.এস.টি.

চতুর্বর্গ ও সাধনা

সমাজে মানবিক প্রয়াস যেমন চারটে স্তরে বিন্যস্ত হয়ে রয়েছে –– কাম, অর্থ, ধর্ম, মোক্ষ৷ এই চতুর্ধাবিন্যস্ত মানুষের কর্মৈষণা তথা কর্মতৎপরতাকে আমরা বলি ‘চতুর্বর্গ’৷ এই চতুর্বর্গের মিলিত প্রয়াসেই সমাজের সামূহিক কল্যাণ, সামূহিক পরিণতি৷ কোনোটা সম্পূর্ণ ভাবে জাগতিক তথা পাঞ্চভৌতিক ক্ষেত্রে, কোনোটা পাঞ্চভৌতিক ক্ষেত্রের সঙ্গে মানসিক ক্ষেত্রকে সংযুক্ত করেছে, কোনোটা কেবল মানসিক আর কোনোটা মানসিক ক্ষেত্র ছেড়ে আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে গিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে, এই ভাবে বিভক্ত হয়ে রয়েছে৷ মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসগৃহ –– এই যে পাঞ্চভৌতিক প্রয়োজনগুলো, এগুলো হ’ল কাম৷ তার পরেই হ’ল অর্থ – যা মানুষ বিভিন্ন ধরনের

ধনসঞ্চয় সম্পর্কে প্রাউটের নীতি

কোন ব্যষ্টিই সামবায়িক সংস্থার (collective body) সুস্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া ভৌতিক সম্পদ সঞ্চয় করতে পারবে না৷

 

আমাদের চাহিদা তিন ধরনের–

  • ভৌতিক (physical)
  • মানসিক (psychic)
  • আধ্যাত্মিক (spiritual)

অণুমন তার অনন্ত ক্ষুধা ভৌতিক উপাদান লাভের মাধ্যমেই তৃপ্ত করতে চায়, কিন্তু এই ভৌতিক সম্পদ যদিও বিপুল, তবুও অনন্ত নয়– সীমিত৷ ভৌতিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক এই তিন স্তরের মধ্যে মানসিক ও আধ্যাত্মিক জগৎ অনন্ত৷ এই দুই স্তরে অণুমনের অনন্ত এষণার পরিতৃপ্তি হতে পারে৷ এতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখা দেবে না৷

স্বাগত ২০১৯

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

২০১৯ এসে গেল৷ সামনে লোকসভা নির্বাচন৷ এই লোকসভা নির্বাচন নিয়ে  এখন  সারা দেশ ভেতরে ভেতরে উত্তেজনায় ফুটছে৷ বিশেষ করে রাজনৈতিক  ক্ষেত্রে৷ আর  বর্তমানে  রাজনীতি  যখন  সমাজের  আপাতত  নিয়ামক  হয়ে উঠেছে,  এই পরিপ্রেক্ষিতে  সবাই  তাকিয়ে আছে আগামী লোকসভা নির্বাচনের  দিকে৷

এর ঠিক আগে ৫টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেল৷ সেই  নির্বাচন  ছিল  বলা যায়, লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইন্যাল৷ সেই নির্বাচনী লড়াইয়ে বিজেপির গোহারান হার  বিজেপি ও তার পার্শ্বস্থিত বজরং দল,  আর.এস.এস প্রভৃতির দর্প চূর্ণ করে দিয়েছে৷ অন্যদিকে  কংগ্রেস সভাপতি রাহুল ও দেশের অন্যান্য বিরোধী গোষ্ঠী আশায়  বুক বেঁধেছে৷

চলুন, সুখী সমৃদ্ধ ত্রিপুরা গড়ে তুলি!

জহরলাল সাহা

১০ই ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে  ত্রিপুরার   অন্যতম  দৈনিক  স্যন্দন পত্রিকায়  শ্রদ্ধেয় শম্ভূদেববর্মা ‘‘প্রসঙ্গ এন.আর.সি ও ত্রিপুরা’’  শিরোনামের প্রবন্ধটি সাম্প্রতিককালে একটি উৎকৃষ্ট সমালোচনামূলক  আলোচনা৷  এতে তিনি  সম্মানিত  হরিগোপাল  দেবনাথ, রঘুবীর দাস, জহরলাল সাহা, গৌরাঙ্গরুদ্র পাল, রঞ্জিত  বিশ্বাস,  শংকর দাশ, কপিল  তালুকদার, সংবাদ  প্রতিনিধি  ও জগদীশ  মন্ডল  মহাশয়গণের  লেখার  কিছু সমর্থক  ও কিছু  বিরোধিতা করেছেন৷ সমালোচনা  এক তরফা  হওয়া  উচিত  নয়৷  শ্রী দেববর্মার  গতি ছিল উভয় দিকেই৷ এটা  অবশ্যই  ধন্যবাদই৷

প্রথমেই  আমি মাননীয় শম্ভুবাবু যে যে  কথাগুলো  সমর্থন  করেছেন৷  তা হলো ---

বাঙালিদের নিজস্ব বাসভূমি কোথায়?

সুকুমার সরকার

বাঙালির দেশ কোনটি? এই প্রশ্ণ  আজ বাঙালিদের  সামনে  বড় হয়ে  দেখা দিয়েছে৷  অসম, বিহার, মণিপুর, ঝাড়খণ্ড, ওড়িষ্যা, ত্রিপুরা, আন্দামান, দণ্ডকারণ্য সহ বর্তমান ভারতের  বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাঙালি  বিতাড়ণ চলছে৷  বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে  দেশ ভাগের  কুফল হিসেবে  আজও হিন্দু  বাঙালি মুসলমান  বাঙালি বিতাড়িত হয়ে চলেছে৷ পশ্চিমবঙ্গে কুর্মী বাঙালী, রাজবংশী বাঙালী , মতুয়া বাঙালী করে  বাঙালীদের বিচ্ছিন্ন করার পাঁয়তারা চলছে৷ আরাকান  বাঙলার  বাঙালিদের দুর্দশার  চিত্র  তো বিশ্ব  বিবেক  কেড়েছে৷ কিন্তু  কেন?  বাঙলা ও বাঙালির  এত  দুরাবস্থার  পিছনে  কারনটাই  বা কী?