February 2020

রান্নার গ্যাস  একলাফে ১৪৯ টাকা বৃদ্ধি

গত এক মাসেরও অধিক সময় গ্যাসের দাম বাড়েনি৷ সরকার হয়ত দিল্লীর ভোটের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করছিল৷ দিল্লীর ভোট শেষ হতেই ও কেন্দ্রীয় শাসক দলের শোচনীয় পরাজয়ের পরেই ভর্তুকিহীন  গ্যাসের দাম একলাফে ১৪৯ টাকা বাড়িয়ে দেয়৷ গ্যাসের দাম এতদিন সিলিণ্ডার প্রতি ছিল ৭৪৭ টাকা৷ ১২ই ফেব্রুয়ারী থেকে তা বৃদ্ধি পেয়ে হ’ল ৮৯৬ টাকা৷

দিল্লী দখলে রাখল আপ

মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের পর দিল্লীতেও ডুবলো বিজেপি৷ তবে মহারাষ্ট্র ঝাড়খণ্ডে বিজেপি শাসন ক্ষমতায় ছিল৷ দিল্লীতে শাসন ক্ষমতায় না থাকলেও গত লোকসভায় ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দিল্লীর ৭টি লোকসভা আসনে জিতেছিল বিজেপি৷ কিন্তু এবার বিধানসভা আসনে ৪০ শতাংশেরও কম ভোট পেয়ে মাত্র ৮টি আসন লাভ করেছে৷ আপ ৬২টি আসন পেয়ে তৃতীয় বারের জন্যে ক্ষমতায় আসীন হ’ল৷

বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করতেই নাগরিক সংশোধন আইন

এইচ. এন. মাহাত

ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার হঠাৎ করে এন.আর.সি. , এন.পি.আর,  সি.এ.এ. নিয়ে তৎপর হ’ল কেন? এত জোর দিয়ে আইন সংশোধন করে সরকার কী বোঝাতে চাইছে? বাঙালী জনগোষ্ঠী একটু ভেবে দেখেছেন কী? ব্যষ্টিগতভাবে আমার মনে হয় এন.আর.সি.

ত্রিপুরা ভবনে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ

গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী বিধাননগর ত্রিপুরা ভবনে আমরা বাঙালী কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ও স্মারকলিপি প্রদান করেন৷

আমরা বাঙালীর নীলকণ্ঠ দিবস পালন

১২ই ফেব্রুয়ারী ‘আমরা বাঙালী’-র পক্ষ থেকে নীলকণ্ঠ দিবস উপলক্ষ্যে দক্ষিণ কলকাতার হাজরা পার্কে একটি পথসভা করা হয়৷

প্রাউট দর্শনের  প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারকে ১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী বিহারের বাঁকীপুর সেণ্ট্রাল জেলে বিষ প্রয়োগে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল৷ কিন্তু তীব্র বিষ পান করেও প্রাউট প্রবক্তা সেই বিষ হজম করে নেন৷ তাঁকে হত্যার চক্রান্ত ব্যর্থ হয়৷ পাপশক্তি পরাজিত হয়৷ প্রতি বছর প্রাউট তত্ত্বের অনুগামীরা এই দিনটি ‘নীলকণ্ঠ দিবস’ হিসেবে পালন করেন৷

সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ণ উঠলো

গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী দিল্লীতে এক স্মারক বক্তৃতায় গণতন্ত্র রক্ষার মূল স্তম্ভ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলির সমালোচনা শোণা গেল বিভিন্ন বক্তার কণ্ঠে৷ ‘স্বাধীনতার জন্যে লড়াই একবিংশ শতাব্দীতে সুপ্রিম কোর্ট’ শীর্ষক ওই বক্তৃতায় দিল্লী হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি  এ.পি.শাহ সাম্প্রতিক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও নির্বাচন কমিশনের ভুমিকায় প্রসঙ্গ তুলে বলেন গণতন্ত্রকে ধবংস করতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করা হয়৷ তিনি আরও বলেন শাসক পক্ষ বিরোধীদের হেনস্থা করতে সিবিআই ও পুলিশকে ব্যবহার করে৷ অসমে এন আর সি  নিয়ে তিনি বলেন অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্ণিত ১৯ লক্ষ্যের অধিকাংশই হিন্দু৷ মাত্র ছয় লক্ষ মুসলিম৷ সুপ্রিম কোর্ট

সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের  উদ্যোগে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও (২০২০) সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের উদ্যোগে গত ৯ই ফেব্রুয়ারী রবিবার উত্তর কলকাতার শান্তি ঘোষ ষ্ট্রীটের চিলড্রেন পার্কে সাড়ম্বরে বসে আঁকো ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হ’ল৷ প্রতিযোগিতায় ৭০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে৷

অঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে যথাক্রমে ক, খ, গ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন প্রতিযোগীদের নিয়ে মোট ৪টি বিভাগে প্রথম থেকে পঞ্চম স্থানাধিকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়৷ আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদেরও পুরসৃকত করা হয়৷ প্রতিযোগিতার শেষে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যষ্টিদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়৷

সি.এ.এ., এন.আর.সি ও মেকী হিন্দু দরদ

সি.এ.এ., এন.আর.সি আসলে বাঙালী জনগোষ্ঠীর জন্যে এক মরণ ফাঁদ৷ বিজেপি তথাকথিত হিন্দু বাঙালী ও উদ্বাস্তুদের প্রলুব্ধ করে বলছে যে, তারা হিন্দু বাঙালী ও উদ্বাস্তুদের বৈধ নাগরিকত্ব দেবে৷ কিন্তু যারা ইতোমধ্যেই ভারতে বসবাস করছেন, পরিচয়পত্র পেয়েছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তাদেরই ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিধায়ক , সাংসদ তৈরী হচ্ছেন, রাজ্যে ও কেন্দ্রে সরকার গঠিত হচ্ছে, তারা তো নাগরিক আছেনই৷ তাহলে বিজেপি নতুন করে আর কী নাগরিকত্ব দেবে?  বিজেপির ফাঁদে পা দিয়ে নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন করার অর্থ হ’ল নিজেই নিজেকে অবৈধ নাগরিক বা বিদেশী হিসেবে চিহ্ণিত করা ৷ আর যে মুহূর্ত্তে কোন নাগরিক এই ধরণের আবেদন করবেন, সেই মুহূর

যোগ ও সর্বাঙ্গীন স্বাস্থ্য

যোগাচার্য্য

স্বাস্থ্য বলতে সাধারণতঃ মানুষের ধারণা শরীরটা সুস্থ থাকা৷ না, শুধু শরীর সুস্থ থাকলেই তাকে স্বাস্থ্য বলা হয় না৷ ধরা যাক, একজন শারীরিক ভাবে সুস্থ কিন্তু প্রচণ্ড ধরণের মানসিক বিষাদে ভুগছে৷ তাকে কী করে সুস্থ বলতে পারি কিছুদিন পর মানসিক বিষাদ থেকে তার পরিপাক ক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেবে, ও তারপর নানান দৈহিক রোগেরও শিকার হবে৷ তাই বলছি, কেবল শারীরিক সুস্থতাকে স্বাস্থ্য বলে না৷

শীতের দিনে

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

শীতের দিনে দিনটি ছোট

সময় ছুটে চলে,

সোহাগ মাখা রোদে বসে

সুখের কথা বলে৷

শীতের দিনে রাতটি বড়

শুয়ে মজা লেপে,

সকাল বেলায় ঘুম না ভাঙ্গায়

বাবা যান ক্ষেপে৷

শীতের দিনে রান্না ঘরে

একবারটি যাওনা,

মূলো বেগুন কপি পালং

রান্না কত খাওনা৷

শীতের দিনে পিঠে পুলি

খেজুর গুড়ের পায়েস,

মা–ঠাকুরমা বানিয়ে দিলে

খেয়ে হয় আয়েস৷

শীতের দিনে খেজুর গাছ

কাটলেই রস পড়ে

সেই রস সব দেখলে ভাঁড়ে

লোভে জিভটি নড়ে৷

নলেন গুড়ের গন্ধে–

কচিকাঁচারা উনুন ঘিরে