February 2020

নীলকণ্ঠ

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

১২ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৭৩, এসেছিল মহাপাতকী দুরাচারী

ত্রস্ত চরণে, নিঃশ্ছিদ্র নিভৃত কারাগারে, চিকিৎসক-বেশে

যেথা শয়ান বিশ্বনিয়ন্তা, অন্তর্যামী, সর্বসন্তাপহারী

ঔষধের অছিলায় বিষ করিল প্রয়োগ দুর্বৃত্ত প্রভুর নির্দেশে৷

 

সহসা কাঁপিল ধরিত্রী, দাবাগ্ণি শিখায় প্রজ্জ্বলিত অরণ্যানী

প্রচণ্ড রোষে গর্জিল জলধি, তরঙ্গোচ্ছাসে, রুদ্ররবি-তপ্ত তীরে

স্তম্ভিত সমগ্র প্রকৃতি, ধীর-স্থির সকল পাদপ-প্রাণী

বিনামেঘে অতর্কিতে ঝলকিত অশণি, বিষণ্ণ্ অম্বরে

ভাঙ্গিল ধ্যান আগ্ণেয়গিরি, উৎসারিত অনল-ফুটন্ত লাভাস্রোতে

কবিতা

সুকুমার রায়

প্রভু খুঁজেছি মনের গহনে তোমারে

জীবনে কতদিন গেল চলে আঁধারে৷

পেয়ে আজি এ আলোর ঝরণাধারা

উদ্ভাসিত ভূবনে হৃদয় সারা৷

মন আজি এ নূতন প্রভাতে

দিয়েছো মধু মাখা প্রীতি তরাতে৷

আজো বাজে হৃদয় মাঝে

মলয়ানীলে সুশোভিত সাজে

নন্দন কাননে লহরী ফুলে ফুলে

উদ্বেল হিয়া নৃত্যের তালে তালে৷

আনন্দগীতি তোমারই অনুরণনে

বিভাসিত মন মধুময় পবনে৷

গন্না কাটা ভূত

কবি রামদাস বিশ্বাস

ধোঁয়া থেকে আসে ভূত

ধোঁয়াতে মিলায়৷

গন্না কাটা ভূত সে

ধরে গিলে খায়৷

ধোঁয়া খায় মানুষে

গিলতে নাহি পারে৷

ধোঁয়া খেয়ে গলগলিয়ে

ছাড়ে চারিধারে৷

সিগারেটের মুখ থেকে

গলাতে আসে৷

মারণ রোগ কর্কটে

তখন সে ফাঁসে৷

যখন সিগারেট খায়

তখন পায় মজা৷

জানে না বিধাতা তারে

কবে দেবে সাজা৷

কর্কট রোগে যেদিন

ধরে টিপে গলা৷

বন্ধুরা তামাশা বশে

করে নানা শলা৷

কর্কট রোগ ওর

রক্তে মিশে ছিল৷

বিনা দোষে সিগারেটের

দোষ দিয়ে গেল৷

তারপর নীলমণিরে

অমর একুশে

আজ একুশে ফেব্রুয়ারী৷ মানব সভ্যতার ইতিহাসে গণ আন্দোলনের এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে ১৯৫২ সালের এই দিনটি৷ মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন জন্ম দিল স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র---বাঙলাদেশ৷ ইতিহাসে এর দ্বিতীয় নজির নেই৷

ভারতে অর্থনীতি বৃদ্ধির হার মন্থর হচ্ছে - চড়তে চায় পর্বত চূড়ায়, ছুটছে সাগর পানে

প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী যতই ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিক, কিন্তু অর্থনীতি সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির কণ্ঠে ভিন্ন সুর৷ ২০২০ সালে অর্থনীতির গতি মন্থরই থাকবে ও বর্ষশেষে লক্ষমাত্রার অনেক নীচে হবে বৃদ্ধির হার৷

বিশ্বব্যাঙ্ক আই.এম.এফ. সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির হার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ও কেন্দ্রীয় সরকারের আনুমানিক লক্ষ্য মাত্রার ধারেকাছে পৌঁছবে না বলে সতর্ক করেছে৷ শুধু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠাগুলি নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও সরকারী প্রতিষ্ঠানও সমীক্ষায় এই আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছে৷

রাজ্যে আসছেন সেন্সাস কর্তা

আগামী ১লা এপ্রিল থেকে শুরু হবে এন.পি.আর (ন্যাশানাল পপুলেশন রেজিষ্টার)-এর কাজ৷ যা জনগণনার প্রাথমিক পর্ব৷ পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি অবিজেপি শাসিত রাজ্য এন.পি.আর.-এর বিরোধিতা করছে৷ বিরোধী দলগুলোর ধারণা কেন্দ্রীয় সরকার এন.পি.আর.-এর তথ্য ধরেই এন.আর.সি.-র কাজ করে নেবে৷ অর্থাৎ এন.পি.আর. হ’ল এন.আর.সি-র প্রাথমিক স্তর৷ তাই এন.আর.সি রুখতেই এন.পি.আর.-এর বিরোধিতা৷

সেন্সাস কর্তাদের মতে বিরোধীদের ধারণা ঠিক নয়৷ এন.পি.আর নিয়ে সংশয়ের কোনও কারণ নেই৷ এমনটা বোঝাতেই রাজ্যে আসতে পারেন এন.পি.আর দপ্তরের রেজিষ্টার জেনারেল বিবেক যোশী৷

‘কশ্মীর স্বাভাবিক’ দাবী করলেও নির্বাচনের ঝুঁকি নিচ্ছে না সরকার

৩৭০ ধারা বাতিলের পর কশ্মীর এখন স্বাভাবিক৷ এমনটাই দাবী করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তবু কশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার সাহস পাচ্ছে না সরকার আইনশৃঙ্খলা জনিত কারণে৷ জম্মু-কশ্মীর স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মতে কশ্মীর স্বাভাবিক থাকলেও নির্বাচন করার মত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও তৈরী হয়নি৷ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শ মেনে জম্মু-কশ্মীর পঞ্চায়েত নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে৷

এখনও সঙ্কটে দুই শিশু - তবু পুলকার দৌরাত্ম্য থামে নি

পুলকার দুর্ঘটনায় আহত দুই শিশুর চিকিৎসা চলছে৷ চিকিৎসকদের মতে এখনও আশঙ্কামুক্ত নয় দুই শিশু৷ তবু পুলকার চালকদের বে-পরোয়া মনোভাবের কোন পরিবর্তন হয়নি৷ গত সোমবার মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়ে এক পুলকাল চালক৷ ওই দিন বিকালে এ.জে.সি. বোস রোড ও এস.এন.ব্যানার্জী রোডের সংযোগস্থলে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে আটক করা হয় এক পুলকার চালককে৷ ধরা পরার সময় ওই চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল৷ পুলিশ ওই চালককে গ্রেপ্তার করে৷

একুশ আমার, একুশ তোমার

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে একুশে ফেব্রুয়ারী এক স্মরণীয় ও বরণীয় দিন৷ একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের ভাষাগত মূল্যবোধের এক জাগ্রত প্রহরী৷ একুশ ধন্য হওয়ার একটি দিন, একুশ আমাদের চেতনার রঙে রাঙানো একটি দিন৷ একুশের কোন সীমাবদ্ধতা নেই, পেশীর বাঁধনে একুশকে বন্দী করা যায় না,একুশ অমর ও অজেয়৷

ভক্তি পথ নয়, লক্ষ্য

কর্মমার্গ, কর্মযোগ একটা পথ, সাধনাও একটা পথ, ও সেই পথ ধরে লক্ষ্যের দিকে চলতে হচ্ছে৷ জ্ঞানমার্গ (জ্ঞানযোগ)–সেও সাধনার একটা পথ৷ সেই পথ ধরেও লক্ষ্যের দিকে চলতে হচ্ছে৷ কিন্তু ভক্তি একটা পথ নয়, ভক্তি হ’ল লক্ষ্য, যেখানে পৌঁছুতে চাইছি৷ সেই জায়গাটা৷ সুতরাং ভক্তি কোনো ন্তুব্ভপ্তব্ধ নয় অর্থাৎ কোনো বিধি, সাধনা–বিধি নয়৷ ভক্তি হ’ল লক্ষ্য যেখানে পৌঁছুতে চাইছি৷