February 2020

রাজ্যে দু’টি আদালতে চার জনের ফাঁসীর সাজা

গত ২৭ ও ২৮শে জানুয়ারী রাজ্যের দুইটি আদালত চার জন আসামীকে ফাঁসীর সাজা দিল৷ এই চার জনেই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত৷

গত ২৭শে জানুয়ারী এক নাবালিকা ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণ করার অপরাধে চুঁচুড়ার আদালত  গৌরব মণ্ডল ও কৌশিক মালিককে ফাঁসীর সাজা দেয়৷ ২০১৪ সালের ১২ই ডিসেম্বর হুগলীর বলাগড়ে ১১ বছরের এক নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর খুন করে তিন জন৷ পুলিশ তিনজনকেই গ্রেফতার করে৷ দীর্ঘ পাঁচ বছর বিচারের পর আদালত দুই জনকে ফাঁসীর সাজা দেয়, অপরজন এখনও বিচারাধীন আছে৷

‘আমরা বাঙালী’র  বিক্ষোভ

গত ২২শে জানুয়ারি আমরা বাঙালীর কর্মী সমর্থকরা ব্যাঙ্গালোর থেকে বাঙালী বিতাড়ণের প্রতিবাদে হাজরা পার্কে একটি  বিক্ষোভ সভা করে৷ এদিন অপরাহ্ণে বিকাল ৩টের সময় শতাধিক আমরা বাঙালীর কর্মী-সমর্থক হাজরা মোড়ে জমায়েত হয়৷ পরে সেখানে একটি বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাস, অরূপ মজুমদার, যুবনেতা তপোময় বিশ্বাস, কলকাতার জেলা সচিব গোপাল রায় চৌধুরী, সুনীল চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন৷

নারীর প্রতি অবিচার ঃ ভাষা ব্যবহারে

এই দশ লাখ বৎসরের মানুষের ইতিহাসে মানুষের প্রতি সুবিচার করা হয়নি৷ মানুষের একটি শ্রেণী, একটি বর্গের প্রতি বেশী বাড়াবাড়ি করা হয়েছে, বেশী আদিখ্যেতা করা হয়েছে, ও তা, করতে গিয়ে অন্যকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে৷ একজন মানুষ লড়াই করল, মরল, আত্মদান দিল, কাগজে বড় করে তা ছেপে দেওয়া হ’ল, আর সে মরে যাওয়ার পর ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলিকে নিয়ে তার বিধবা স্ত্রীকে কী ধরণের অসুবিধায় পড়তে হ’ল সেকথা খবরের কাগজে বড় করে ছাপানো হ’ল না অর্থাৎ একতরফা বিচার করে আসা হয়েছে৷ যদিও ব্যাকরণগত ব্যাপার, আর হঠাৎ বদলানো যায় না, তবু ‘ম্যান’ ‘man’ এই কমন জেণ্ডারের মধ্যে ‘ম্যান’, আর ‘ওম্যান’(woman) দুই–ই এসে যায়৷ অথচ ‘ওম্যান’ এই কমন জেন্ডারে

স্নিগ্ধতা আনা ও বুদ্ধিবৃত্তির  সহায়ক তেঁতুল

নোতুন তেঁতুলের চেয়ে পুরণো তেঁতুলের গুণ অনেক বেশী৷ যে সকল গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গ্রীষ্মকালে শরীর শুকিয়ে যায় সে সকল দেশে তেঁতুলের ব্যবহার বিশেষ মূল্যবহ৷ শুকনো দেশে বা টানের সময় তেঁতুল না খেলে শরীর দুর্বল হতে পারে৷ পোস্ত, বিড়ি কলায়ের ডাল ও তেঁতুল বিশুষ্ক্তা রোগের প্রতিষেধক৷ অতি গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে এই খাদ্যগুলি রোগ নিরাময় করে থাকে৷

তেঁতুল একটি সাত্ত্বিক ফল৷ মস্তিষ্ক্ রচনায় এর যথেষ্ট ভূমিকা আছে৷

নববর্ষের প্রার্থনা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

উদয় শিখরে আঁধিয়ার হরা

রক্তিম ঊষা জককাগে,

বনে বনে ওঠে মধুর কাকলি

মনে মনে দোলা লাগে৷

সকলের তরে সকলের দ্বার

খুলে যাক এই ক্ষণে---

মন্দ্রিত হোক প্রতিটি আলয়

আত্মিক আলাপনে৷

হাতে হাত রেখে সবাই সবার

সুখে-দুখে হোক সাথী,

ধবংস হোক ভেদের জাঙ্গাল

ভেঙ্গে যাক্ জাত-পাতি৷

মিথ্যা দ্বন্দ্ব মিছে রেষারেষি

বিভেদ মতান্তর,

হোক মীমাংসা আজি শুভদিনে

মিলুক পরস্পর৷

তোমাকে ভোলা যায় না

কবি রামদাস বিশ্বাস

তোমার সাথে এসেছিলাম মাটির পৃথীবিতে৷

কোন লগনে পালিয়ে গেলেপলক না ফেলিতে৷

সেই থেকে লাগে না ভালো পানসে লাগে সবই

যতই করুক শংসা লোকে যতই বলুক কবি৷

কেঁদে কেঁদেই কবি হলাম কেউ বোঝেনা সেতো

বুকের ভেতর আগুন জ্বলে মুখেতে স্বাদ তেতো৷

শিশুবেলায় খেলার ছলে  কোথায় যে লুকালে

হাজার খুঁজে আর মেলে না দুপুরে বিকালে৷

লুকোচুরি কয় না একে পালিয়ে বেড়ানো

কানামাছির মতো চোখে  ফেটি জড়ানো৷

খুলে দাও চোখের বাঁধন, নিজে নিজেই খঁুজি,

আর কতকাল চলব প্রিয় চক্ষু দুটি বঁুজি৷

সারা জীবন পাইনি খঁুজে তবু জানি আছো৷

সাথী

জয়তী দেবনাথ (অষ্টম শ্রেণী)

চলার পথে কতই না সাথীর দেখা পেলাম

এরই মাঝে সাথীর আসল মানে বুঝে গেলাম৷

কেউ ব্যস্ত স্বার্থ নিয়ে, কেউ বা মেতে ছলে

কেউ বা আবার দমিয়ে রাখে বুদ্ধি আর বলে৷

কেউ বা আবার তোমার সামনে তোমার প্রিয়

পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখো কতটা আপন৷

কেউ বা তোমার শুভাকাঙ্খী তোমার ভাল চায়

অজান্তে সেই সর্বনাশটা করবে তোমার হায়!

সাথী-র মানে এখন আমি বুঝি ভালভাবে,

পথের শেষে পৌঁছে তুমি একলা তোমায় পাবে৷

তাই তো বলি নিজের সাথী নিজেই তুমি থাকো,

নিজ জগতে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত তোমায় রাখো৷

সাথের সাথী একজনই তো এই জগতে আছে

নিউজিল্যাণ্ডের মাটিতে ৩-০-তে এগিয়ে গেল ভারত

বিশ্ব ক্রিকেটে ভারত এখন বাঘ৷ যে কোন দলের বিরুদ্ধে, যে কোন ফরম্যাটে, বিশ্বের যে কোন মাঠে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা বেশ কঠিন৷ শুমাত্র ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও সম্প্রতি দেশে অষ্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি ৫০ ওভারের ম্যাচ ছাড়া ভারতের হার হয়েছে এমন ম্যাচ কোথায়?

আনন্দমার্গীয় বিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহ

কোচবিহার : গত ১৯শে জানুয়ারী শীতলকুচি ব্লকের মধ্যমধুসূদন গ্রামে আনন্দমার্গীয় বিধিতে একটি বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠান হয়৷ পণপ্রথা ও জাতিভেদ প্রথা সহ সর্বপ্রকার কুসংস্কারমুক্ত এই বিবাহ অনুষ্ঠানে পাত্র ও পাত্রী যথাক্রমে শ্রী সৌরভ ভট্টাচার্য ও পূর্ণিমা বর্মন৷ পাত্রের পিতা দিনহাটা নিবাসী পীতাম্বর ভট্টাচার্য ও পাত্রীর পিতা মধ্যমমধুসূদন গ্রামের সুবোধ বর্মণ৷ এই বৈপ্লবিক বিবাহে পৌরোহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য কৃষ্ণধ্যানানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দকৃষ্ণপ্রভা আচার্যা৷