October 2020

হিঙের কচুরির খাতিরে

গঙ্গা  জল ঞ্চ গঙ্গাজল৷ ‘জল’ শব্দের অর্থ যা টলটল করে৷ নীরং, তোয়ং, জলং, উদকং, পানীয়ম্ ইত্যাদি শব্দের মধ্যে ‘জল’ও একটি ‘জনপ্রিয়’ শব্দ৷ ‘জল’ মানে যা প্রবহমান...টলটলায়মান৷ পানীয়, অ–পানীয়, সুস্বাদু, কর্দমাক্ত যেমনই হোক না কেন তা জল৷ যে জল পান করার মত তা পানীয়...পীনেকা পানী, আর ‘পানী’ শব্দটি আসছে ‘পানীয়ম্’ থেকে যার মানে যা পান করার যোগ্য৷ ড্রেনের জল, বর্ষার ঘোলা নদীর জল, মাঠের কাদা–মেশানো জল–এরা পানীয় নয় কিন্তু জল৷ জলের স্বভাব ধর্ম হল টলমল করা–সে পদ্মপাতায় থাকুক আর নাই থাকুক ঃ

‘‘নলিনীদলগতজলম তদ্বজ্জীবনমতিশয়৷

ক্ষণমিহ সজ্জনসঙ্গতিরেকো ভবতি ভবাব্ধিতরণে নৌকা৷’’

করোনা কালে অতীতের ক্রীড়া জগতের স্মৃতিচারণা

করোনার আবহে আজ সব ম্লান হয়ে রয়েছে চারিদিক, যেন কোন কিছুতেই জীবন নেই, তেমনই অবস্থা ক্রীড়াজগতেরও হয়েছে৷ আজ একরকম অস্তিত্বহীন হলেও তার কর্মধারা ইতিহাসের পাতায় চির উজ্জ্বল৷

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হবে বঙ্গ ফুটবলের বাকি লিগের ম্যাচ

প্রিমিয়ার লিগের বাকি সব ম্যাচ ২০২০ সালে না হওয়ারই সম্ভাবনাই বেশি ছিল ৷ চলতি বছরে লিগের ডার্বি আয়োজন করে, কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বাকি লিগগুলো হবে এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে বঙ্গ ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা থেকে৷ এমন পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়৷ তিনি এটাও জানিয়েছেন  কিছুদিনের মধ্যেই প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলির  সঙ্গে আলোচনায় বসবে আই.এফ.এ৷ তারপরেই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে৷ এই দিনই আই.এফ.এ-র ‘বাণিজ্যিক সঙ্গী’ হিসেবে যুক্ত হয়েছে ‘অ্যাকার্ড স্পোর্টস ভিডিকে নামক সংস্থা৷ আগামী ২০২৩ সাল পর্যন্ত পরিচালিত আই.এফ.এ-তে তারা ১৪ কোটি টাকা লগ্ণি করবে বলে ঘোষণা করবে বলে স্থির কর

বিজ্ঞান পুরষ্কারে  বাঙালীর সাফল্য

শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরষ্কারে  এবছরও বাঙালী বিজ্ঞানীদের জয়জয়কার৷ প্রতিবছর বিজ্ঞানের ৭টি বিভাগে ১৪জনকে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়৷ গত বছর ছয়জন বঙ্গ-সন্তান এই পুরষ্কার পেয়েছিলেন৷ এ বছর  সংখ্যাটা সাত৷

ভূবিদ্যা, জীববিদ্যা, রসায়ণবিদ্যা,পদার্থবিদ্যা, গণিত, চিকিৎসা ও ইঞ্জিনিয়ারিং এই সাত বিভাগে ১৪ জন বিজ্ঞানীকে পুরষৃকত করা হয়৷ এ বছর ১৪ জনের মধ্যে সাত জনই বাঙালী বিজ্ঞানী৷ চিকিৎসা বিদ্যায় কোন বাঙালী নেই, তবে ভূবিদ্যায় পুরষ্কার প্রাপক দুইজনই বাঙালী৷

বিজ্ঞান নগরী কলকাতা

বিজ্ঞান চর্র্চয় বিশ্বের ১০০---এর তালিকায় প্রবেশ করলো কলিকাতা৷ এর আগে ভারতের একমাত্র বেঙ্গালুরু ১০০ এর তালিকায়  ছিল৷ তবে বেঙ্গালুরু গতবারের ৯৩ স্থান থেকে চারধাপ নেমে এবারে ৯৭ এ৷ গতবারে কলকাতার স্থান ছিল ১২১এ৷ এবার সেখান থেকে উঠে এসেছে ৯৯ স্থানে

বিশ্বের ৮২টি বিজ্ঞান পত্রিকা ৫৮ টি বিজ্ঞান গবেষকের প্রতিবেদন ও ৬ হাজার বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিকের অনুমোদনের পর নেচারস ইনডেক্স এই তালিকা তৈরী করে৷

 

শোষণের অবসানে পৃথক কৃষি আইন নয় - বিকেন্দ্রিত অর্থব্যবস্থা চালু করতে হবে

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত এক সাক্ষাৎকারে জানান--- এই মুহূর্তে দেশের মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো--- আর্থিক শোষণের অবসান ও আর্থিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মনোন্নয়ন৷ কিন্তু সত্যটা এই যে নূতন কৃষি আইনের দ্বারা  এর কোনটাই সম্ভব নয়৷ আর্থিক উন্নয়ন করতে হলে কৃষি ও শিল্পের সমন্বয়ে সুচিন্তিত পরিকল্পনা করতে হবে৷ একমাত্র প্রাউটিষ্টদের হাতেই সেই পরিকল্পনা আছে৷

বিরোধীদের আবেদন খারিজ - বিতর্কিত কৃষি বিলে সই করলেন রাষ্ট্রপতি

যে বিল নিয়ে সংসদ উত্তাল হয়েছে,দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে, সংসদে শাসকদলের স্পর্ধার কাছে পরাজিত হয়ে রাষ্ট্রপতির দারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা, ২৭শে সেপ্ঢেম্বর বিরোধীদের আবেদন খারিজ করে বিতর্কিত সেই কৃষি বিলে সই করলেন রাষ্ট্রপতি৷ আইনে পরিণত হলো কৃষিবিল৷

প্রধানমন্ত্রী যদিও এই বিলে চাষীদের লাভ দেখছেন, বিরোধীরা তা মানতে রাজী নয়, তাদের মতে এই বিল কর্ষকদের সর্বনাশ করবে, এন.ডি.এর শরিক শিরোমণি অকালি দলও কৃষিবিলের প্রতিবাদে মন্ত্রীত্ব ও এন.ডি.এ জোট ত্যাগ করেছে৷

মানুষ যেদিন নিয়মের শাসন মেনে চলবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পৃথিবী আজ অসুস্থ, না পৃথিবী নয়, পৃথিবীর মানুষ আজ অসুস্থ৷ তবু প্রকৃতির নিয়ম মেনে বাঙলার দুয়ারে  শরৎ এসেছে তার  চিরপরিচিত শোভা নিয়ে৷ নীল আকাশে শাদা মেঘের ভেলা, শিউলি-সুবাসে ভরা সকাল, ক্ষেতে ক্ষেতে সোনালী ধানের শীষ, নদীর পাড়ে ক্ষেতের আলে কাশের নাচন, বাতাসে বাঙালীর প্রিয় উৎসবের সুর৷ প্রকৃতি তার নিয়মের বাইরে কোন এক মুহূর্ত্তের জন্যেও নয়৷ তাই পৃথিবীর অসুখ প্রকৃতিকে নয়, গ্রাস করেছে মানুষকে৷ মানুষই এই ব্যধিকে ডেকে এনেছে৷ মানুষের বেহিসেবী বিশৃঙ্খল জীবন-যাপন, সীমাহীন লোভ-লালসা, আত্মম্ভরিতা পৃথিবীর  অসুস্থতার কারণ৷

তারক ব্রহ্মের আগমন

গত রাতের ধর্মমহাচক্রে আমি বলেছি যে, কাল tempos eternal), স্বভাব nature) নিয়তি fate), যদৃচ্ছা accident), বা প্রপঞ্চ quinquelemental factors), কোনটাই জগতের মূলীভূত কারণ নয়৷ তাই এদের একটিও সাধনার লক্ষ্য হতে পারে না৷

আইন অমান্য আন্দোলন

তোমাদের কস্তুরী–মৃগনাভি প্রসঙ্গে বলেছিলুম যে, কস্তুরী–মৃগের দেহ–নিঃসৃত হর্মোন নাভিচক্রে জমা হয়ে যতই শক্ত হতে থাকে ততই তার সুগন্ধের মাত্রা বাড়তে থাকে৷ পরে শেষ পর্যন্ত সে যখন অতি মাত্রায় কঠোরতা প্রাপ্ত হয়, সুগন্ধ বাড়ে অত্যন্ত অধিক৷ এই অবস্থায় গন্ধমত্ত হরিণ গন্ধের খোঁজে ছুটতে ছুটতে শেষ পর্যন্ত ক্লান্ত, অবসন্ন হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়৷ যেমন বিশেষ বিশেষ অবস্থায় মদমত্ত মাতঙ্গ যদি উন্মাদ হয়ে যায় তখন সেই উন্মাদ অবস্থায় অল্প কিছুক্ষণ থাকার পরে মারা যায়৷ তবে সবাই উন্মাদ হয় না৷ যারা উন্মাদ হয় তারাও বেশী দিন উন্মাদ অবস্থায় বাঁচে না ৷ হাতীদের মধ্যে এই ধরনের মৃত্যু খুব বেশী ঘটে না......তবে ঘটে বৈকি৷ পাগলা