June 2022

ভারতের সমাজগুলিকে  রক্ষার দায় যৌথভাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির

প্রভাত খাঁ

আজ কেন্দ্রে যে দল শাসনে আছে তাদের হিসাবে ৯টি রাজ্যে বর্তমানে হিন্দুরা নাকি সংখ্যা লঘু হয়ে পড়েছে৷ তাই তাদের উন্নয়নের জন্য সংখ্যা লঘু তকমা দিয়ে বিশেষ সাহায্য  দেবার প্রয়োজন৷ কিন্তু শাসকদের  স্মরণে রাখতে হবে একটি  কথা সংখ্যা লঘু হলেই যে তারা অনগ্রসর হয়ে গেল তা তো নয়৷ আর সংখ্যা গরিষ্ঠ হলেও যে তারা সব দিক থেকে উন্নত ও অগ্রসর হয়ে গেল সেটাও বিচারে ঠিক নয়৷ তাই নিরপেক্ষভাবে সরকারকে বিবেচনা করতেই হবে৷ সরকারের মতে পঞ্জাব, অরুণাচল প্রদেশস মিজোরাম, মেঘালয়,নাগাল্যাণ্ড, লাক্ষাদ্বীপ, জন্মুকশ্মীর,ল্যাদাক ও মনিপুর৷ অত্যন্ত লজ্জার কথা তা হলো অখণ্ড ভারতবর্ষকে যখন দ্বিজাতিতত্ত্বে ভাগ করা হয় তখন কিন্তু তার বিরুদ

সেবাধর্ম মিশনের প্রশিক্ষণ শিবির

গত ১৮ই মে থেকে ২১মে বীরভূম জেলার ইন্দাসে সেবাধর্ম মিশনের প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ চারদিনের এই শিবিরের শুরুতে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’’ মহানামমন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এছাড়া প্রতিদিনই সকাল সন্ধ্যা প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান স্বাধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়৷ আনন্দমার্গ দর্শনের ওপরও আলোচনা হয়৷ আলোচনা করেন আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধূত ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সমগ্র শিবিরটি পরিচালনা করেন আচার্য সেবাব্রতানন্দ অবধূত৷ তাঁকে সাহায্য করেন আচার্য সুবধানন্দ অবধূত ও স্থানীয় ইউনিটের মার্গী ভাই-বোনেরা৷

এ্যামার্টের ত্রাণ

আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টিম ও সূর্য সেন কলেজের ছাত্ররা যৌথভাবে অসমের বন্যাপীড়িত অঞ্চলে ত্রাণ বন্টন করছে৷ মূলত খাদ্য সামগ্রী বন্টন করা হচ্ছে৷ অভুক্তদের৷ খাদ্য সরবরাহ করছে এ্যামার্ট৷

আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্মশতবর্ষে কলিকাতায় শিক্ষাশিবির ও শোভাযাত্রা

গত ১৮ই মে থেকে ২১শে মে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের শিক্ষা ত্রাণ ও জনকল্যাণ বিভাগ কলিকাতার ভি.আই.পি নগর আশ্রমে এক শিক্ষা প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিল৷ চারদিন ব্যাপী এই শিবিরে  বর্তমান শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য ও আনন্দমার্গের নব্যমানবতাবাদী শিক্ষার গুরুত্ব বিষয় আলোচনা করেন বিভিন্ন তাত্ত্বিকগণ৷

পরলোকে যদুলাল দেবনাথ

গত ২৪শে মে দক্ষিণ ত্রিপুরার গুয়াচাঁদ নিবাসী একনিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীযদুলাল দেবনাথ তাঁর নিজ বাসভবনে দুপুর ১২টা ২০মিনিটে পরলোক গমন করেন৷ বেশ কয়েকমাস তিনি অসুস্থ ছিলেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর৷ তাঁর এক পুত্র, দুই কন্যা ও স্ত্রী বর্তমান৷ তিনি সরকারী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন৷ গত ২০২১ সালের সেপ্ঢেম্বর মাসে অবসর গ্রহণ করেন৷ তাঁর অকাল প্রয়াণে মার্গীমহলে আত্মীয় স্বজন ও পরিচিত বন্ধুবান্ধব মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ এই শোক সংবাদ পাওয়ার পরই দক্ষিণ ত্রিপুরার  বিভিন্ন প্রান্তের মার্গী ভাইবোনেরা যদুলাল দেবনাথের বাসগৃহে সমবেত হন৷ অপরাহ্ণে আনন্দমার্গে চর্যাচর্যবিধি অনুসারে তাঁর অন্তিম সৎকার অন

জিটিএ ভোটের দিন ঠিক হ’ল ২৬শে জুন

আগামী ২৬শে জুন দার্জিলিঙে জিটিএ নির্বাচন হবে৷ গত ২৪শে জুন পাহাড়ের ১৮টি দলের সঙ্গে বৈঠক করে ভোটের দিন স্থির করা হয়৷ ২৯শে জুন ভোট গনণা হবে৷ জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার অজিতরঞ্জন বর্মন প্রশাসনিক বৈঠকের পর ভোটের দিন ঘোষণা করেন৷ ২৭মে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়৷ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল জি.এন.এল.এফ ও অন্য কয়েকটি দল বৈঠকে অংশ নেয়নি৷ বিমলগুরুং বৈঠকে অংশ নিলেও ভোটের বিরোধিতা করেছে৷ বিজেপিও ভোট বন্ধে আইনি সাহায্য নিতে চায়৷

মৌলিক অধিকার ও কিছু মানবিক প্রশ্ন

সম্প্রতি আদালতের রায়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হারে মহার্ঘ্যভাতা দিতে হবে রাজ্যসরকারকে৷ এই রায় দিতে গিয়ে রাজ্যের উচ্চ আদালতের এক বিচারপতি মন্তব্য করেছেন---ডিএ পাওয়ার অধিকার সরকারী কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার৷ মহামান্য আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কয়েকটি প্রশ্ণ করতে হয়---মৌলিক অধিকার কি শুধু সরকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য?

ভারতে বেকারত্বের হার বিশ্বের মধ্যে সবের্বাচ্চ

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেন, ভারতের কাছে এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব৷ বেকারত্বের হার ২৪ শতাংশের বেশি৷ স্বাধীন ভারতে সর্বকালীন নজির৷ এই মূহূর্তে বিশ্বেও ভারতের বেকারত্বের হার সবের্বাচ্চ৷ শ্রী বসু অর্থনীতির বর্তমান সংকটের জন্য দেশের বর্তমান শাসকদলের বিভাজন নীতি ও হিন্দুত্ববাদকে দায়ী করেছেন৷ তিনি বলেন দেশে দক্ষ শ্রমিক ও মেধা যথেষ্ট শক্তিশালী৷ কিন্তু শাসকদলের বিভাজন নীতির ফলে মেধাশক্তি ও শ্রমিকের দক্ষতার উপযুক্ত ব্যবহার হচ্ছে না৷ ভারতের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় এটাই৷

কৃশতা

কারণ ঃ শারীরিক কৃশতার কারণ নানাবিধ ঃ

১) দুর্বল বা অসুবস্থ পুং বা স্ত্রীবীজ থেকে যে সকল শিশুর দেহ সৃষ্টি হয়েছে, তারা স্বভাবতই শক্তিহীন ও কৃশকায় হয়ে থাকে৷

২) শিশু যদি যথেষ্ট পরিমাণে মাতৃস্তন্য না পায় সেক্ষেত্রেও সে সাধারণতঃ কৃশকায় হয়ে থাকে৷

৩) দারিদ্র্য নিবন্ধন যে সকল পিতা–মাতা সন্তান–সন্ততিদের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে দুগ্ধের ব্যবস্থা করতে পারেন না ও অল্প বয়স থেকে তদের জন্যে ভাত, ডাল বা সাবু–বার্লি দেওয়া হয়, তাদের যকৃৎ ও পরিপাক যন্ত্রগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা কৃশকায় হয়ে পড়ে৷