July 2022

মহারাষ্ট্রে বদলার রাজনীতির দ্বিতীয়পর্ব শুরু

নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শী নিয়ে লড়াইতে নেমে উদ্বভ ঠাকরের শিবসেনা বিজেপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসে এন.সি.পি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার গড়ে৷  তখন থেকেই বিজেপি চেষ্টা চালিয়ে গেছে উদ্বভ ঠাকরের সরকার ফেলার৷ অবশেষে শিব সেনায় ফাটল ধরিয়ে  এবার সফল বিজেপি৷ শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা  একনাথ সিন্ধে সহ শিবসেনার একঝাঁক বিধায়ককে অসমে নিয়ে গিয়ে বিলাসবহুল হোটেলে রেখে দেয়৷ কয়েকদিন ধরে টানাপোড়নের পর অবশেষে রাজ্যপালের বিধানসভার আস্থা নেওয়ার চিঠি পাওয়ার পর পরিস্থিতি উদ্বভের হাতের বাইরে চলে যায়৷ সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হলেও সুপ্রিমকোর্ট রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখে৷ পরিস্থিতি বুঝে ২৯ তারিখ রাতে উদ্বভ পদ

মেদিনীপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন

গত ৬ই জুন মেদিনীপুর সদরব্লকের বয়বাশোল গ্রামে আনন্দমার্গের প্রিভেনশন অব ক্রয়েলিটি টু এ্যানিম্যালস্‌ এণ্ড প্লান্টস শাখার পক্ষ থেকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়৷ এখানে পরিবেশ বাঁচাতে আনন্দমার্গ দর্শনের নব্যমানবতাবাদ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত ও সৌমিত্র পাল৷ গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় রাস্তার  দুপাশে বকুল, আকাশমনি, নিম, পিয়ারা ইত্যাদি গাছ লাগান হয়৷ উপস্থিত ছিলেন আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ অদ্বৈতা আচার্যা, রাজীব প্রতিহার, শশাঙ্ক পাত্র সুকেশ মাইতি প্রমুখ৷

শিলিগুড়ি দখল নিয়ে পাহাড়েও পা রাখলো তৃণমূল

দক্ষিণবঙ্গের পর উত্তরবঙ্গেও বিজেপির জমি দখলে নিল তৃণমূল৷ শিলিগুড়ি বিধানসভা বিজেপির দখলে৷ কিন্তু মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে বিজেপি ধূলিসাৎ, মহকুমা পরিষদের ৯টি আসনের ৮টি তৃণমূল ও ১টি মাত্র আসন বিজেপি জিতেছে৷ ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯টি দখল নিয়েছে  তৃণমূল৷ ৩টি ত্রিশঙ্কু অবস্থায় আছে যা তৃণমূলের দখলে যাবার সম্ভাবনাই বেশী৷ গ্রামপঞ্চায়েতের মোট ৪৬২টি আসনের ৩২০টি তৃণমূলের দখলে৷ ৪টি পঞ্চায়েত সমিতির ৪টিই তৃণমূলের দখলে গেছে৷ মোট ৬৬টি আসনের ৫৫টিই তৃণমূলের দখলে গেছে৷ একদা বামদূর্গ শিলিগুড়িতে বামেরা নিশ্চিহ্ণ৷

মেদিনীপুরে জলসত্র

মেদিনীপুর সদর ব্লকে চাঁদড়া বাসস্টাণ্ডে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে তৃষ্ণার্ত যাত্রী ও পথচারীদের জন্য একটি জলসত্র চালু করা হয়৷ এখান থেকে গ্লুকোজ মিশ্রিত জল পথচারীদের দেওয়া হচ্ছে৷ শ্রী সৌমিত্র পালের উদ্যোগে এটি চালু করা হয়৷ তিনি জানান এই জলসত্রটি চালু থাকবে৷ তাঁকে সহযোগিতা করেন জেলার ভুক্তি প্রধান সুভাশিষ সাহু, শশাঙ্ক পাত্র, ভোলানাথ দাস, অসিত দত্ত প্রমুখ৷

যোগ দিবসে আনন্দমার্গকে আমন্ত্রণ

অষ্টম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অসম সরকারের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের ডাইরেক্টর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের গুয়াহাটি শাখাকে আমন্ত্রণ জানায় যোগ প্রশিক্ষণ দেওয়ারজন্যে৷ আনন্দমার্গের কয়েকজন প্রতিনিধি জনকল্যাণ দপ্তরে গিয়ে প্রায় দুশো জনকে যোগাসন প্রশিক্ষণ দেয়৷ আনন্দমার্গের  যোগ আসন প্রশিক্ষণের পদ্ধতি দেখে অফিসার মহল অভিভূত হয়ে যান৷ তারা খুব শীঘ্রই আনন্দমার্গ গুয়াহাটি আশ্রম পরিদর্শনে আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন৷ ঐ প্রশিক্ষণ শিবিরে তাণ্ডব ও কৌষিকী নৃত্য প্রদর্শন করে দেখানো হয়৷

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, ৰড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা

পোয়াল ছাতু প্রসঙ্গে

তোমরা অনেকেই নিশ্চয় পোয়াল ছাতু দেখেছ–অনেকেই হয়তো বা খেয়েছ৷ রাঢ়ের এটি একটি জনপ্রিয় সুখাদ্য৷ পোয়াল ছাতুকে কোথাও কোথাও ভুঁইফোঁড়ও বলা হয়৷ ইংরেজীতে বলা হয় mushroom. শীতপ্রধান–গ্রীষ্মপ্র্ নির্বিশেষে বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই এই ছত্রাক বর্গীয় বস্তুটি কোথাও সোজাসুজি খাদ্য হিসেবে, কোথাও বা মাংসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷ সংস্কৃতে এর নাম ‘কবক’৷ জিনিসটি নিরামিষ হলেও মাংসের গুণসম্পন্ন৷ তাই সাত্ত্বিক আহার যাঁরা করেন, তাঁদের পক্ষে এটি খাওয়া নিষিদ্ধ৷ রাঁধলে স্বাদও হয় মাংসের মত৷ পৃথিবীর কোথাও কোথাও জিনিসটিকে না জানিয়ে মাংসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷

বৈধব্য ও সতীদাহ

বিচার–বুদ্ধি–মনীষার্ উন্মেষের ফলে প্রাচীনকালের যে সমস্ত অনুষ্ঠান বা বিধি বর্জিত হয় তাকে ‘ক্রিয়ালোপ’ বলে৷ পরিবেশগত চাপে বা প্রাকৃতিক কারণে যে সকল রীতি–বিরাজ বন্ধ হয়ে যায় তাকেও ‘ক্রিয়ালোপ’ বলে৷ এককালে কুসংস্কারের ফলে ভারতের মানুষ সদ্যবিধবা নারীকে জীবন্ত অবস্থায় স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারত৷ আজ সে প্রথা অবলুপ্ত৷ আমি দেখেছি বর্দ্ধমান জেলার যে সকল গ্রামে তথাকথিত উচ্চবর্ণীয় মানুষেরা বেশী সংখ্যায় বাস করেন, বিশেষ করে যে সমস্ত গ্রামে ব্রাহ্মণ–কায়স্থের বাস সেই সমস্ত গ্রামে এমন কিছু কিছু  জায়গা আছে যাকে বর্দ্ধমানের স্থানিক ভাষায় ‘আগুন–খাকী’ বলা হয়৷ আগুন–খাকী মানে যে সব নারী জীবিত অবস্থায় আগুন খেয়েছিলেন অ

পরমবন্ধু

সুপর্ণা মজুমদার রায়

বৃহত্বের সাথে আমিত্বকে

বিলিয়ে দিতে চাই,

আত্মাকে আজ পরমাত্মার

বন্ধু বানাতে চাই৷

পরমাত্মার ক্ষুদ্র কণা

আত্মাকে সবে জানি,

পরমাত্মাকে কজনই বা

বন্ধু বলে চিনি?

প্রকৃতি তো তাঁরই রূপ

সৃষ্টি স্থিতি লয়,

বৃহত্বের মাঝে সবই স্থিত

বৃহত্বের মাঝেই ক্ষয়৷

যোগ অভ্যাস

কৌশিক খাটুয়া

আকাশের পানে হাত-পা ছুঁড়ে

কোরনা লম্ফ ঝম্প,

কাজের কাজ কিছুই হবে না

হতে পারে ভূমিকম্প!

বই পড়ে কেউ কোরনা যোগ

বেড়ে যায় তাতে দুর্র্ভেগ,

অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনার

চাই উত্তম উপযোগ৷

যোগসাধনা অষ্টাঙ্গিক যোগের

এক সম্মিলিত অঙ্গ,

যম নিয়ম আসন প্রাণায়াম---

মোট আটটি অঙ্গের সঙ্গ৷

ভালো করে তবে শিখে নাও সবে

আচার্যের নির্দেশ,

জনকল্যাণ এতেই নিহীত

গড়ে উঠে পরিবেশ