July 2022

পরমাশ্রয়

আচার্য গুরুদত্তানন্দা অবধূত

তোমার গরবে গরবিনী রাই

হাসিছো তাহার বুকে,

হৃদিধারায় বহিয়া চলেছো

টানিয়া অমৃতলোকে৷

তোমার মাধুরী ধরিয়া চিতে

যায় সে সকল স্থানে,

সুধারস সদা ঢালিয়া চলেছো

ফুটে সে গানের তানে৷

সবাতে তোমার বিচরণ ভূমি

তাই তো ধরা সুন্দর,

মধুর প্রীতির উৎস তুমি

হে পরমসুন্দর৷

নাচিয়ে  চলেছো বিশ্বজগতে

তাই চলমান সব

লীলাময় জগত তোমাতে আশ্রিত

তোমাতেই বৈভব!

বুদ্ধের রথযাত্রা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

সুভদ্রা বলরাম সহ জগন্নাথকে নিয়ে হিন্দুরা যেমন রথযাত্রা উৎসব করে তেমনি বৌদ্ধরাও সামাজিক উৎসবে রথে বুদ্ধমূর্তিকে নিয়ে পথ পরিক্রমা করত৷ চীনে বুদ্ধ মূর্তিকে রথে চড়িয়ে ঘোরানো হত৷ ব্রহ্মের বৌদ্ধ প্যাগোডাগুলির গুলির সঙ্গে জগন্নাথের রথের অনেক সাদৃশ্য আছে৷ অনেকে আমাদের রথযাত্রার মধ্যে বৌদ্ধ রথযাত্রার প্রভাব আছে বলে মনে করেন৷ জগন্নাথের ত্রিমূর্তি---বলরাম, সুভদ্রা ও জগন্নাথের মধ্যে বৌদ্ধ ত্রিরত্ন---বুদ্ধ, সঙ্ঘ ও ধর্মের প্রতিফলন ঘটেছে৷ ওড়িশার বৈষ্ণব কবিরা জগন্নাথকে বুদ্ধের অবতার বলে উল্লেখ করেছেন৷

একেও কি বাঁচা বলে

শ্রী রতন সাহা

একি আনন্দ একি সম্বন্ধ

তোমার আমার মাঝে,

তব নাম তব গুণগ্রাম

নিরন্তর অন্তরে বাজে৷

আমি ভাবহারা ভাষা হারা

হৃদয়ে তোমারে চাই,

বল বন্ধু আনন্দ সিন্ধু

কেমনে এক হয়ে যাই৷

পাষাণ তো নও পরম দয়াময়

কোন রসে আছ মজে,

হৃদয়ে আমার জ্ঞানে অজ্ঞানে

তব নাম শুধু বাজে৷

কি সুখ যে আমি পাই

যেন মাতাল আমি নেশায়,

একেও কি বাঁচা বলে

তব নামে যে সব ভুলে যায়

মূর্খ ব্রাহ্মণপুত্ত্রের গল্প

তোমরা অনেকেই আসকে পিঠে খেয়েছ (বাঙলায় কোথাও কোথাও সরাপিঠে বা চিতুই পিঠেও বলা হয়৷ তবে কলকাতায় আমরা আসকে পিঠেই বলি)৷ আসকে পিঠেতে থাকে অনেক ছিদ্র৷ তোমরা সেই ছড়াটা নিশ্চয়ই জানো–

‘‘ঘুঘু তো দেখেছ জাদু ফাঁদ তো দেখনি৷

আসকে খেয়েছ জাদু ফোঁড় তো গোণনি৷’’

আগামী মরসুমের আগে মোহনবাগানের সঙ্গে ফুটবলার নিয়োগে পাল্লা দিয়ে পিছিয়ে নেই মহামেডান

জাতীয় দলের হয়ে ২০০৭-এর অনুধর্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি, ২০০৮-এ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের ফাইনালে খেলেছেন তিনি৷ এতক্ষণ যার কথা উল্লেখ করা হল তিনি আর কেউ নন তাজিকিস্তান জাতীয় দলের মিডফিল্ডার নুরিদ্দিন দাভরোনভ৷ ২০০৮-এ ভারতের সঙ্গে তাজিকিস্তান ম্যাচ যখন হয় তখন তিনিও খেলেছিলেন কিন্তু সেই ম্যাচে শেশে ভারত জয়ী হয়েছিল৷ জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন ও এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচ খেলেছেন৷ মহমেডানও জানিয়েছে, দ্রুতই কলকাতায় আসবে এই ফুটবলার৷ আগামী মরসুমের আগে পর পর ফুটবলার সই করিয়ে যাচ্ছে মোহনবাগান৷ পাল্লা দিয়ে ফুটবলার নিয়োগ করছে মহমেডানও৷ বসে আছে শুধু ইষ্টবেঙ্গল৷ সম্প্রতি পল পোগবার  ভাই

আনন্দমার্গের ক্রীড়া প্রকোষ্ঠের উদ্যোগে ফুটবল মেধা বাছাই শিবির

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের ক্রীড়া প্রকষ্ঠ স্পিরিচ্যুয়ালিষ্টস্‌ স্পোর্টস্‌ এ্যাণ্ড এডভেঞ্চার ক্লাব৷ গ্রাম বাঙলা থেকে প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড় বাছাই করে তুলে আনতে ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করছে৷ এরজন্য কলিকাতা কিছু বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি টেক্‌নিক্যাল টীম ঘটন করা হয়৷ গত ২৮শে মে নদীয়াপ তেহট্ট ২নং ব্লকের হাঁস পুকুরিয়া মাঠে একটি মেধা বাছাই শিবির করে ২৬ জন খুদে ফুটবলার কে বাছাই করা হয়৷ পরবর্তী ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে উত্তরবঙ্গে৷ যারা এই ধরনের মেধা বাছাই শিবির করতে  আগ্রহী তাদের টেক্‌নিক্যাল টীমের কনভেনার সূর্যবিকাশ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে৷ উত্তর বঙ্গের কোচবিহার ও আলিপুরদ

শহীদ দীনেশ গুপ্ত

অলিন্দ যুদ্ধের শহীদ দীনেশ গুপ্তের ফাঁসি হয়েছিল ১৯৩১সালের ৭ই জুলাই৷ ৭ই জুলাই  তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফাঁসির দুদিন আগে জেল থেকে বৌদিকে লেখা একটি পত্র ছাপা হল৷

বৌদি, গতকল্য তোমার চিঠিখানা পাইলাম৷ আজ মা ও দাদা আসিয়া ছিলেন৷ দাদার কাছে শুনিলাম আমার ফাঁসির হুকুমই বহাল রহিয়াছে৷

বৌদি, এ জন্মের মত তোমাদের কাছ হইতে বিদায় চাহিতেছি৷ জানি, বিদায় দিতে তোমাদের বুক ভাঙিয়া যাইবে, কিন্তু কি করিব, বিদায় যে লইতেই হইবে৷

দিল্লীর বঞ্চনা, অবদমন নিপীড়ণের বিরুদ্ধে চাই ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ শ্রীরামপুরে এক সাক্ষাৎকারে বলেন---বর্তমান রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র ও কাজকর্ম দেখে আমার মতো প্রবীনরা হতাশ৷ তিনি বলেন---স্বাধীনতার পূর্বে ভারতবর্ষের রাজনীতি বাঙলা থেকেই নিয়ন্ত্রিত হতো৷ বাঙলাই ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ প্রদর্শক৷ দেশের স্বাধীনতার জন্যে আত্মত্যাগে ও আত্মবলিদানে বাঙলা ছিল সবার আগে৷ কিন্তু স্বাধীনতার আগেই দেশীয় পুঁজিপতিরা রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে সামনে রেখে৷ তাই সেদিন সুভাষচন্দ্রকে বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতীয় রাজনীতি থেকে৷ সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত ভারতের ছোট বড় সবদলেরই নেতারা পুঁজিপতিদের হাতের পুতুল হয়ে গেছে

প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ে ত্রিপুরা বোর্ডের মাধ্যমিকে দ্বিতীয় জয়তী দেবনাথ

দক্ষিণ ত্রিপুরা সাব্রুম-হরিণা গার্লস স্কুলের ছাত্রা জয়তী দেবনাথ নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্রিপুরা বোর্ড অব সেকেন্ডারীর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৯৪ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে৷ সাব্রুমের গুয়াচাঁদ গ্রামের  বাসিন্দা বিশিষ্ট আনন্দমার্গী পরলোকগত যদুলাল দেবনাথের দুই কন্যা ও এক পুত্রের মধ্যে কণিষ্ঠা জয়তী দেবনাথ৷ ছোটবেলা থেকেই লেখা পড়ায় অত্যন্ত মেধাবী জয়তী৷ লেখা পড়ার সাথে সাথে গান গাওয়া কবিতা লেখাও জয়তীর নেশা৷ নোতুন পৃথিবী পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় জয়তীর কবিতা প্রকাশিত হয়৷

ত্রিপুরা বোর্ডের মাধ্যমিকে পরীক্ষায় আনন্দমার্গ হাইস্কুলের সাফল্য

ত্রিপুরা বোর্ড অব সেকেন্ডারীর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় ৬ই জুলাই৷ তেলিয়ামুড়া আনন্দমার্গ হাইস্কুল থেকে এবার ৬০ জন পরীক্ষায় বসেছিল৷ ৬০জনই প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে৷ এদের মধ্যে অনামিকা রায় ৪৯৩ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে ও কৃপেশ কুমার কর্মকার ৪৯০ পেয়ে ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে৷