March 2023

আপ্তবাক্য

‘‘সর্বদাই মনে রাখতে হবে অর্থের মূল্য ব্যবহারে৷ তোমার ঘরে তোমার প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ সঞ্চিত হ’লে ব্যবহার  না থাকায় তা’ মূল্যহীন হ’য়ে যায়৷ যতটা অর্থকে  তুমি মূল্যহীন করে  ফেলছ একজন বুভুক্ষু-বিবস্ত্র মানুষের প্রতি তুমি সেই পরিমাণ অবিচারও করে ফেলেছ৷ তোমার মূল্যহীন টাকাগুলো অন্যকে  ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে সেগুলোকে মূল্যবান করে নিতে  হবে৷ তাই বলি যারা পার্থিব সম্পদের অন্যতম বিনিময়-মাধ্যম এই অর্থের উচিত ব্যবহার জানে না প্রকৃতপক্ষে তারা সমাজদ্রোহী৷             

                                        ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

স্মরণিকা

* জীবনে যদি বড় দুঃখ পাও, সে দুঃখ লিখে রেখে যেও উত্তরকালের জন্য৷ সিনসিয়ার দুঃখের কাহিনী চিরদিন অমর থাকবে, কিন্তু তা চিরদিন লোকের মনে বল দেবে৷ পূর্ণ অন্ধকার অমাবস্যার পরই শুক্লপক্ষে চাঁদ ওঠে---দুঃখের রাত্রিতেই তারা খুব উজ্জ্বল হয়৷

* প্রকৃতির একটা বৈশিষ্ট্য এই যে, নির্জন স্থানে প্রকৃতির এই রূপ মনে নতুন ধরনের  অনুভূতি ও চিন্তা এনে দেয়৷

*সমাজের বাস্তব পটভূমিতে যে রসশিল্প রচিত হয়, শিল্পীমানসের প্রকাশ-ভূমি যাহা, তাহাই সাহিত্য৷

                                      ---বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

রক্তে রাঙা ২১শে ফেব্রুয়ারীর ভাষা শহীদদের স্মরণ: আমরা বাঙালী সংঘটনের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩, সমগ্র বাঙালীস্তান জুড়ে জেলায় জেলায় আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে ‘‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’’ পালন করা হয়৷ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, উত্তর চবিবশ পরগণা, দক্ষিণ চবিবশ পরগণা, হাওড়া, হুগলী, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, ঝাড়খণ্ডের টাটানগর, বোকারো, অসম ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যথোচিত মর্যাদার সঙ্গে এই দিনটি পালন করা হয় ও ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়৷ ‘‘আমরা বাঙালী’’ কেন্দ্রীয় কমিটির’’ পক্ষ থেকে মূল অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতার বাগবাজার বাটার মোড়ে৷ উত্তর চবিবশ পরগণার কাকিনাড়া থেকে একটি, দক্ষিণ কলকাতা থেকে এক

মেদিনীপুরে দ্বিতীয় লেবেল সেমিনার

গত ১০,১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারী দীঘায় আনন্দমার্গ মেদিনীপুর ডায়োসিস দ্বিতীয় লেবেল সেমিনার উৎসাহে অনুষ্ঠিত হোল৷ তিন ঘন্টাব্যাপী অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেমিনার শুরু হয়৷ প্রায় শতাধিক মার্গী দাদা দিদি অংশ গ্রহন করেন৷ এই সেমিনারে প্রশিক্ষক হিসাবে ছিলেন আচার্য রবিশানন্দ অবধূত ও আয়োজক ছিলেন ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত৷ ১২ই ফেব্রুয়ারী সকালে নীলকন্ঠ দিবস পালিত হয় তিন ঘন্টা অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তনের মাধ্যমে শেষে ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায় পাঠ হয়৷ প্রশিক্ষক দাদা নীলকন্ঠ দিবসের গুরুতর আলোচনা করেন৷

বীরভূমের ইন্দাসে পদার্পণ দিবস পালন

গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী বীরভূম জেলার ইন্দাস গ্রামে, ৰাৰা, ভগবান শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পদার্পণ দিবস অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে নগর কীর্ত্তন পাঞ্চজন্যের পর তিনঘন্টা অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র ‘‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’’ কীর্ত্তন ও তারপর মিলিত সাধনা হয়৷ এছাড়াও প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য, কম্বল বিতরণ, দরিদ্র নারায়ণ সেবা এই অনুষ্ঠান করা হয়৷ বীরভূম জেলার সমস্ত সন্ন্যাসী দাদা, দিদি, মার্গী ভাইবোন উপস্থিত হয়েছিলেন৷ ৰাৰা পরমপুরুষ ভগবান শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী কৃপা করে ১৯৫৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী গরুর গাড়ীতে চেপে ইন্দাসে পদার্পণ করেছিলেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছিলেন বীরভূম জেলার ভুক্তিপ্রধান মানবেন্দ

অমর ২১শে

একর্ষি

২০২৩’র ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২-র’ ভাষা শহীদ দিবস৷  বঙ্গভাষী আমরা৷ সেই ভাষা শহীদদের স্মরণ করি কৃতজ্ঞ-শ্রদ্ধার্ঘ্যচিত্তে, জানাই শত কোটি প্রণাম৷ বাঙালী জীবন ধারায় এ এক দিগ্‌দর্শন (মাইল ষ্টোন)৷ কিন্তু দুর্র্গেৎসব -ঈদ-বড়দিন-পৌষ উৎসবের মত’ ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯শে মে কে উৎসবের ‘ঠিক আছে’ গোছের ‘হালকা মেজাজে’ নামিয়ে আনা হয়েছে৷ পূর্ববঙ্গ ছাড়া বৃহত্তর বঙ্গের সর্বত্র কি বাংলাভাষা  অফিস-আদালত, সরকারী-বেসরকারী কাজে ও বাঙালী জীবন  চর্যায় সর্বত্র আবশ্যিক ও বাধ্যতামূলক হয়েছে কি?

জড়বাদ ও অধ্যাত্মবাদ

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে মূলসত্তা একটিই, তা হচ্ছে চিতিশক্তি৷ এই চিতিশক্তি চৈতন্যসত্তা আবার শক্তিসত্তাও বটে– এইভাবে চিতিশক্তি দুইয়েরই কাজ করে৷ এইজন্যেই একে চিতিশক্তি বলা হয়৷ বস্তু নয় কিন্তু বস্তুকে যে রূপ প্রদান করে তাই শক্তি বা প্রকৃতি৷ এই প্রকৃতিই বস্তুতে রূপ প্রদান করে প্রকারভেদ সৃষ্টি করে৷

আজকের বিভিন্ন সমস্যাসমূহ ও তাদের সমাধান

বস্তুতঃ উন্নত ধরণের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার অর্থই দ্রুত যান্ত্রিকীকরণ৷ প্রাচীনপন্থীরা এই যাত্রিকীকরণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখর৷ মোদ্দা কথাটা এই যে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক কাঠামোয় যাত্রিকীকরণের অর্থ-ই জনসাধারণের অধিকতর দুঃখ---অধিকতর বেকারী৷ এজন্যেই প্রাচীনপন্থীরা এর বিরোধী৷ পুঁজিবাদকে না হটিয়ে জনকল্যাণ করতে গেলে যান্ত্রিকীকরণের বিরোধিতা করতেই হবে৷ কারণ যন্ত্রের উৎপাদিকা শক্তি দ্বিগুণ ৰেড়ে গেলে মনুষ্য শক্তির প্রয়োজন ঠিক অর্ধেকে নেৰে যায়, আর তাই পুঁজিবাদীরা তখন াপকভাবে কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই করে৷ অল্পসংখ্যক আশাবাদী ৰলতে পারেন, ‘‘অবস্থার চাপে পড়ে মানুষ এই উদ্বৃত্ত শ্রমিক দলকে ভিন্ন কাজে নিয়

বাংলা ভাষাকে স্ব– মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বাঙালী জনগোষ্ঠীর কাছে এক গর্বের দিন হ’ল ২১শে ফেব্রুয়ারী৷ ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারী পূর্ব বাঙলার অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢ়াকায় উর্দু ভাষার পরিবর্তে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তীব্র প্রতিবাদ করেছিল৷ কিন্তু পাকিস্তানের উর্দু সাম্রাজ্যবাদীদের প্রতিভূ ঢ়াকার শাসক গোষ্ঠী ছাত্রদের সেই আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে নির্মমভাবে গোলাগুলি চালিয়ে বহু ছাত্রকে মারাত্মকভাবে আহত করে ও বেশ কয়েকজনকে হত্যা করে৷ নিহতদের মধ্যে জব্বর, সালেম, রফিক, বরকত ও শফীউর ছাড়া আরো অনেকেই ছিলেন৷ এই ভাষা আন্দোলন বহু বছর ধরে চলে৷ শেষে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধ

আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত একমাত্র প্রাউট

হরলাল দেবনাথ

পরমপুরুষ আমার পিতা পরমা প্রকৃতি মাতা পৃথিবী আমার স্বদেশ মানুষ আমরা সবাই ভাই-বোন৷ পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ পরমপুরুষ বা ঈশ্বরের সম্পদ, স্থান, কাল,পাত্র বিচার করে সম্পদ ভোগের অধিকার সবার সমান৷ পৃথিবীর সম্পদ আমার সম্পদ, আমার সম্পদ পৃথিবীর সম্পদ৷ এরজন্যে বিধিসম্মতভাবে  মিলেমিশে ভোগ করার জন্য প্রশাসনিক স্তরে এইরূপ মননশীলতার নেতৃত্ব তৈরী হতে হবে৷ আর এই সেই নেতৃত্ব তৈরী হওয়ার জন্য সামাজিকক্ষেত্রে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আধ্যাত্মিক শিক্ষার পরিবেশ চালু করতে হবে৷ তা যদি করা যায়, তাহলে মানুষের মধ্যে সৎ ভাবাদর্শ গড়ে উঠবে নেতৃত্বও সঠিক পথে পরিচালিত হবে৷ বর্তমান সমাজের  অমানবিক পরিবেশের পরিবর্তন হবে৷ প্রাউ