January 2025

আলোকের পথ ধরে

কৌশিক খাটুয়া

জাগরণ আসে বিভাবরী শেষে

আলোকের শুভ সূচনা,

নববর্ষের নবারুণ হাসে

সবই পরমপিতার রচনা৷

 

উন্নয়নে জাগে জনপদ

নববর্ষের কঠোর শপথ------

নব্যমানবতাবাদের প্রতিষ্ঠা,

নির্মূল হোক কায়েমী স্বার্থের

বিধবংসী অপচেষ্টা৷

জীবের সেবায় হয়ে নিয়োজিত,

সবারে চাই করিতে প্রীত৷

 

সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে

কঠোর সাধনে ব্রতী,

নবযৌবন সুচি করে মন

জনস্বার্থে অগগতি৷

 

এই ধরনীর জল ও বাতাসে

ফলে ভরা মধু ফুলের সুবাসে,

সকলের রবে সম অধিকার

সংবৎসর করিব প্রচার৷

 

নববর্ষ কোথায় কখন কিভাবে

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

পয়লা জানুয়ারী আন্তর্জাতিক নববর্ষ৷ ইয়ূরোপে আজ নববর্ষ পালিত হয় পয়লা জানুয়ারী৷ কিন্তু এক সময় মার্চ মাসে নববর্ষ হতো৷

বাংলাতেও এখন যেমন বৈশাখ নববর্ষ অনুষ্ঠিত হয় প্রাচীনকালে হতো অগ্রহায়ণে৷

চীনা ও ইহুদীরা কোন নির্দিষ্ট দিনে নববর্ষ পালন করতো না৷ প্রাচীনকালে চান্দ্রবৎসর গণনার রীতি ছিল৷ সভ্যতার উন্মেষের সাথে সাথে সৌর আবর্ত্তনকে কেন্দ্র করে বছরের হিসেব শুরু হয়৷ সূর্যের হ্রাস বৃদ্ধি নেই৷ চন্দ্রকলার কিন্তু হ্রাসবৃদ্ধি আছে৷ আর এই সূর্য ও চন্দ্রের গতির তারতম্য হেতু কোন বছরে বারো, কোন বছরে তের মাস গোণা হয়৷ ফলে প্রাচীনকালে বিশেষতঃ চীনা ও ইহুদীরা নববর্ষ কোন নির্দিষ্ট দিনে পালন করতো না৷

আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে মহাসমারোহে আনন্দনগরে ধর্মমহাসম্মেলন

গত ২৯,৩০,৩১শে ডিসেম্বর আনন্দনগরে ত্রি-দিবসীয় আনন্দমার্গ আন্তর্জাতিক ধর্ম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই ধর্ম মহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে ২৮শে ডিসেম্বর অপরাহ্ণ ৩ ঘটিকায় শুরু হয় ৭২ ঘন্টার অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ নাম সংকীর্ত্তন৷ ৩১শে ডিসেম্বর,২৪ অপরাহ্ণ ৩ ঘটিকায় কীর্ত্তন সমাপ্ত হয় ও ঈশ্বর প্রণিধানের পর আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত কীর্ত্তন মাহাত্ম্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷ এই দিন রাত্রি ১০ ঘটিকায় আনন্দমূর্ত্তিজীর বরাভয় আশীর্বাদ মুদ্রার প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে ধর্ম মহাসম্মেলন সুসম্পন্ন হয়৷

সর্বক্ষেত্রে চাই আর্থিক বিকেন্দ্রীকরণ

সর্বক্ষেত্রে আর্থিক বিকেন্দ্রীকরণের নীতি রূপায়িত করতে হবে৷ প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত বর্তমান আর্থিক দুরাবস্থা প্রসঙ্গে এক আলোচনায় বলেন--- করোনার মত রোগ, প্রাকৃতিক দুর্র্যেগ, যুদ্ধ এসব থাকবেই৷ কিন্তু এইসবকে অজুহাত করে সাধারণ মানুষের জীবন ধারণের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি পুঁজিবাদী শোষকদের কৌশলমাত্র৷ দেশের সর্বস্তরে আর্থিক নীতি প্রণয়নে পুঁজিবাদীরাই মুখ্য ভূমিকা নিয়ে থাকে৷ রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রতিশ্রুতির ঝড় বইয়ে দেন, পরে সব প্রতিশ্রুতিই নিষ্ঠুর ভাঁওতাবাজীতে পরিণত হয়৷ নেতাদের প্রতি বিশ্বাস হারানো জনগণকে দ

অভাবের ভারতে খাদ্যের অপচয় সরকারী অবহেলায়-১৮২৩ কোটি টাকার খাদ্য শস্য নষ্ট

দেশের ১৩.৭ শতাংশ নাগরিক দু-বেলা ভর-পেট খেতে পায় না৷ ক্ষুধাসূচকে ১২৭টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০৫ নম্বরে৷ ১৯ কোটির মত মানুষ অপুষ্টির শিকার৷ সেখানে সরকারের অবহেলায় গাফিলতিতে প্রায় ৬.২১ লক্ষ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য নষ্ট হয়েছে৷ যার আর্থিক মূল্য ১৮২৩ কোটি টাকা৷ এই পরিমান খাদ্যশস্য নষ্ট হয়েছে ২০১৯-২০ আর্থিক বছর থেকে চলতি আর্থিক বছরের সেপ্ঢেম্বর মাস পর্যন্ত অর্থাৎ মোদি জমানায়৷ আর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মোদি সরকারের খাদ্য ও গনবন্টন দপ্তর৷

বেআইনিভাবে এ দেশে বসবাসকারীদের বিতাড়নের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশিরা

ভারত থেকে সাত হাজার ৬৪৫ কিলোমিটারের (মাইলের হিসাবে চার হাজার ৭৫০) দূরের দেশ নাইজেরিয়ার হাজারের বেশি নাগরিককে এক বছরে বিতারিত করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত এক বছরে দু’হাজারে বেশি বিদেশি নাগরিককে বিতাড়িত করা হয়েছে৷

মহাকাশে ১৬টি সূর্যোদয়-সূর্র্যস্তের সাক্ষী রইলেন সুনীতারা!

মহাকাশে বসে নতুন বছরের প্রথম দিনে ১৬টি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত চাক্ষুষ করলেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস-সহ বাকি নভশ্চরেরা৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে (আইএসএস) বসে ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনে এই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন সুনীতা, বুচ উইলমার-সহ অন্য মহাকাশচারীরা৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের এক্স হ্যান্ডল থেকে এই অভূতপূর্ব ঘটনার দৃশ্য পোস্ট করে জানানো হয়েছে, ২০২৪ শেষ হওয়ার সঙ্গে আইএসএস-এর ৭২ জন সদস্য নতুন বছরে আট জোড়া সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন৷ প্রায় আট মাস ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে আটকে রয়েছেন সুনীতা ও বুচ৷ অন্যান্য উৎসব পালন করার মতো নতুন বছরও সেখানেই কাটালেন তাঁরা৷

হাওড়ায় আনন্দমার্গ ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী

স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় হাওড়া ছিল সুভাষচন্দ্রের দ্বিতীয় দুর্গ৷ রাজনৈতিক উত্থান পতনে ও যখনই নোতুনের আহ্বান আসে হাওড়া সবসময় অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে থাকে৷ আনন্দমার্গের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ আনন্দমার্গে সর্বানুসূ্যত জীবন দর্শন ও সুমহান আদর্সে প্রতিষ্ঠিত কর্মীদের ভয় পেয়েছিল শাসক শক্তি৷ সেই পাপশক্তির বিরুদ্ধে আনন্দমার্গের সংগ্রামে হাওড়ার ছিল অগ্রণী ভূমিকা৷ হাওড়াবাসীর সেই ভূমিকাকেই প্রেরণা দিতে বার বার হাওড়ায় এসেছেন শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি৷

পুন্দাগে বার্ষিক ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ নাম সংকীর্তন

পুন্দাগ বাজারে স্থানীয় আনন্দমার্গ শাখার উদ্যোগ ও সহায়তায় ৭-৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে ২৪ঘণ্টার অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ নাম সংকীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷ আধ্যাত্মিক উন্নতি ও সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই মহতী উদ্যোগটি আধ্যাত্মিক উন্মেষ ও সমষ্টিগত কল্যাণের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে চিহ্ণিত হয়েছে৷

অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে সম্মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণ সেবার মতো নানান কর্মসূচি আয়োজিত হয়, যা উপস্থিত সবার মধ্যে ভক্তি, সম্প্রীতি ও সেবার মনোভাবকে জাগ্রত করে৷

যৌগিক চিকিৎসা ও দ্রব্যগুণ শিবির

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অর্জনের লক্ষ্যে আনন্দনগরে ৮ থেকে ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত পাঁচদিনব্যাপী ‘যৌগিক চিকিৎসা ও দ্রব্যগুণ শিবির’-এর আয়োজন করা হয়৷ শিবিরটি আয়োজিত হয় জনসাধারণকে যৌগিক চিকিৎসা, আসন-মুদ্রা ও প্রাকৃতিক দ্রব্যগুণ সম্পর্কে অবহিত করার উদ্দেশ্যে৷