স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

আদা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ সংস্কৃত ‘আর্দ্রক’ থেকে ৰাংলা ‘আদা’ শব্দটি এসেছে৷ আদা শরীরকে ভিজিয়ে দেয়, স্নিগ্ধ রাখে, নিজেও ভিজে ভিজে–স্যাঁৎসেতে৷ তাই সংস্কৃতে নাম আর্দ্রক৷ (আর্দ্রকঞ্ছআদ্দঞ্ছআদ্)৷ বিহারে ও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশে বলা হয় ‘আদী’৷ আদাকে উর্দূ–হিন্দী–হিন্দোস্তান্ ‘আদরক’ বলা হয় যা সংস্কৃত আর্দ্রক শব্দ থেকে এসেছে৷

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, ৰড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা

সঙ্গীতের মাধ্যমে রোগারোগ (Music therapy)

(সঙ্গীতের আবাজ) কাণের মধ্যে দিয়ে স্নায়ুকোষে(brain) পৌঁছায়৷ সেখান থেকে এই তরঙ্গ(vibration) শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ও বিশেষ চক্রকে প্রাণবন্ত (activise) করে দেয় (এর ফলে রোগ দূরীকরণে সহায়তা হয়)৷ প্রভাত সঙ্গীতের মাধ্যমে নিম্নলিখিত রোগগুলির উপশম হয় ঃ–

তেঁতুল

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তেঁতুল প্রায় সব গ্রীষ্মপ্রধান দেশে জন্মে থাকে৷ প্রজাতিও অনেক, অতি ৰৃহৎ থেকে অতি ক্ষুদ্র নানান ধরনের–লাল–ফিকে হলদে–বেগুনী প্রভৃতি নানা রঙের৷ কোন তেঁতুল অত্যন্ত টক, আবার কোন তেঁতুল মধুর চেয়েও মিষ্টি৷ এই মধু তেঁতুল* দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দ্বীপে জন্মে থাকে৷

সর্দিগর্মী – চূর্ণ–নিম্বু ও আমপোড়ার শরৰৎ

সর্দিগর্মীর ঔষধ (হ’ল) চূর্ণ–নিম্বু (চূর্ণ–নেৰু)৷ আগে বলা হয়েছে কোন একটা পাত্রে খানিকটা চূণ তার দ্বিগুণ জলে ভালভাবে গুলে নিতে হয়৷ তারপর তাকে থিতিয়ে যেতে দিতে হয় অর্থাৎ তাকে থিতু (‘থিতু’ শব্দ ‘স্থিতু’ শব্দ থেকে আসছে) অবস্থায় খানিকক্ষণ থাকতে দিতে হয়৷ চূণের জল থিতিয়ে গেলে চামচে করে ওপরের চূর্ণ–রহিত জল আস্তে আস্তে তুলে একটা পাত্রে ঢ়েলে নিতে হয়৷ এই চূণের জলে পাতিনেবুর ট্যাবা নেৰুর রস মিশিয়ে খুব অল্প মিছরি (নামে মাত্র) গুঁড়ো দিয়ে খেলে সর্দি–গর্মী ঙ্মগরমকালে ‘লু’ লেগে যাওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা–গরমে জ্বর হয়ে গায়ের তাপমাত্রা এক লাফে চরমে উঠে যাওয়াৰ প্রশমিত হয়৷ তাছাড়া কাঁচা ৰেলের শরৰৎ, আমপোড়ার শরৰৎ সর

মধু 

আয়ুর্বেদাচার্য

টনসিলের ব্যাধিতে মধু

টনসিলের  ব্যাধিতে মধু উপকারী৷ মিষ্টি আপেলের রসের সাথে ২/৩ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে বারে  বারে (৪/৫ বার) সেবন করলে টনসিলের ব্যথা হ্রাস পায় আর তার স্ফীত আকারও কমে ছোট হয়ে আসে৷

পেট গরম হলে, মল পরিষ্কার না হলে অনেক সময় মুখে জিহ্বায় অনেকের ঘা হয়৷ মধু খেলে শরীরের স্বাভাবিকতা ফিরে আসে আর মুখের ঘা ঠিক হয়ে যায়৷

লাউয়ের ঔষধীয় গুণাগুণ

লাউ একটি নির্দোষ সবজি৷ স্নায়ুতন্তু ত্ত্বন্দ্বব্জ্লন্দ্ব ন্দ্রন্ত্ব্ব্জন্দ্বব্দগ্গ, স্নায়ুকোষ ত্ত্বন্দ্বব্জ্লন্দ্ব ন্তুন্দ্বপ্তপ্তব্দগ্গ, লিবার ও কিডনীর পক্ষে এটি শুভ ফলপ্রদ৷ স্মৃতিশক্তি ৰৃদ্ধিতেও লাউ সাহায্য করে৷ অর্শ, যৌন অক্ষমতা ও ক্লীবতা, সুপ্তিস্খলন রোগে লাউয়ের তরকারী পথ্য ও ঔষধ৷ লাউ কথঞ্চিত পরিমাণে চর্ম রোগকেও প্রতিরোধ করে৷

লাউয়ের খোলা (লাউ বাকলা–কচি অবস্থায়) মুখে লালা এনে খাদ্য হজমে সাহায্য করে৷ লাউয়ের খোলা যকৃতের পক্ষে খুবই ভাল৷ লাউয়ের ৰীজের তৈলও চর্ম রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহূত হয়৷

কয়েকটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ ও পাতার ব্যবহার

গাঁদাল পাতা ঃ

পরিচয় ঃ গাঁদাল পাতার সংস্কৃত নাম খরগন্ধা/খরগন্ধিকা/খরগন্ধনিভা৷ তিনটে শব্দেরই অর্থ গাঁদাল পাতা৷ খর মানে ....... পায়খানার দুর্গন্ধ৷ যে পাতায় কতকটা ওই ধরণের গন্ধ রয়েছে তা খরগন্ধা৷ গাঁদাল পাতার অন্য সংস্কৃত নাম হচ্ছে–কৃষ্ণপল্লবি/কৃষ্ণপল্লবী/কৃষ্ণপল্লবিনী৷ ঙ্মলৌকিক সংস্কৃতে ৰলা হয় গন্ধভাদালী ৰ৷ গাঁদাল একটি লতানে উদ্ভিদ৷

ডালিম / বেদানা

সংস্কৃতে ‘দাড়িম্ব’ থেকে মৈথিলিতে ‘দাড়িম’, ৰাংলায় ‘ডালিম’ শব্দ এসেছে৷ এই দাড়িম্ব বা ডালিমের বৈজ্ঞানিক চর্চা করে প্রাচীনকালে বেদানার উদ্ভব হয়েছিল৷ ইংরেজীতে এই দু’টিকেই হ্মপ্সপ্পন্দ্বন্ধব্জ্ত্র্ বলা হয়৷ বেদানার ভাল নাম ‘দাড়িম্বী’৷ আকারে ডালিম ৰড়, মাঝারি ও ছোট নানান ধরনের হয়৷ বেদানা হয় মাঝারি আকারের৷ ডালিমের খোলার গাত্রবর্ণ কিছুটা লালচে, বেদানার গায়ের রঙ খয়ের বা কপিশ বর্ণ৷ ডালিমের দানা লাল৷ বেদানার দানা হালকা গোলাপী অথবা বেগ্নে মিশ্রিতৈ গোলাপী৷ স্বাদে ডালিম টক অথবা টক–মিষ্টি মেশানো৷ বেদানা সাধারণতঃ মিষ্টি৷ খাদ্যগুণ ডালিম ও বেদানায় থাকলেও, বেদানায় বেশী রোগীদের পথ্য হিসেবে বেদানাই ব্যবহার্য৷ ডালি

মেথী ভেজানো জল

‘‘ভোরে খালি পেটে মেথী–ভেজানো জল পান করলে মধুমেহ রোগী সুফল পাবেন৷ এই জল অল্প পরিমাণে মূত্র–কৃচ্ছতাতেও উপকারী৷ মেথী–চূর্ণও ডায়াবেটিস রোগে কার্যকর৷ মেথী–শাকের ব্যাঞ্জন বা মেথী–শাকের ৰড়া শুধু উপাদেয়ই নয়, ঔষধও৷’’