September 2017

বিশ্ব ব্যাডমিণ্টনে রূপো পেয়েও সকলের প্রশংসা কুড়োলেন সিন্ধু

ভারতের ব্যাডমিণ্টন তারকা পি ভি সিন্ধু গত ২৮ আগষ্ট গ্লাসগোতে জাপানী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে স্বপ্ণের লড়াই লড়লেন৷ ১ ঘণ্টা ৪৯ মিনিটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সিন্ধুকে রূপোর পদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল৷ জাপানী খেলোয়াড় ওকুহারা সোনা জিতলেন৷ এই ফাইনাল ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত্ত ছিল রুদ্ধশ্বাসে ভরা৷ যে কেউ জিততে পারে---এমন অবস্থা৷ অবশেষে ভারতের সিন্ধুকে হারিয়ে সোনা জিতে নি

পাপ ও পুণ্য

কিছু দিন আগে বা৷ালোরে সাধকদের সামনে পাপ ও পুণ্য সম্পর্কে কিছু বলেছিলুম কিন্তু এখানে একটি ছেলে আমাকে অনুরোধ করেছে সে সম্পর্কে আরও কিছু বলবার জন্যে৷ তাই আমি তার ‘আদেশ’ প্রতিপালন করছি মাত্র৷ বলা হয়েছে,

‘‘ত্যজ দুর্জনসংসর্গং ভজ সাধুসমাগমম্

কুরুপুণ্যমহোরাত্রং স্মর নিত্যমনিত্যতাম্“

পরিকল্পনার মৌল নীতি

 

যাঁরা বিভিন্ন স্তরে যোজনা পর্ষদের সঙ্গে সংযুক্ত সেই ধরণের বড় বড় অর্থনীতিবিদদের কোন পরিকল্পনা প্রণয়নের আগে যে কয়েকটি বিষয়ের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত সেগুলি হ’ল–

* উৎপাদনের ব্যয়

* উৎপাদন–ক্ষমতা

* ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা

* সামূহিক প্রয়োজনীয়তা৷

এবার উপরি–উক্ত বিষয়গুলির প্রত্যেকটিকে নিয়ে আলোচনা করা যাক৷

উৎপাদন–ব্যয়

প্রভাতসঙ্গীতে আলোকের বার্তা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

‘‘আলো এল, ভোরের আলো নূতনের বারতায়৷

কলি হাসল, ফুল ফুটল রঙেরই সুষমায়৷৷’’

(প্রভাত সঙ্গীত ৪৮৪৬)

অমারাত্রির অবসান ঘটিয়ে প্রভাতের বার্তা নিয়ে এসেছে ‘প্রভাত সঙ্গীত’৷ মানবসমাজে আজ যে পুঞ্জীভূত অন্ধকার জমে আছে এই অন্ধকারের জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে আলোকের পথ ধরে যারা চলতে চায় যুগপুরুষ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী, যাঁর লৌকিক নাম শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার–‘প্রভাত সঙ্গীতে’র মধ্যে তাঁদের ডাক দিয়েছেন–

ডাক দিয়ে যাই যাই যাই,

                                আমি ডাক দিয়ে যাই যাই যাই৷

আলোকের পথ ধরে যারা যেতে চায়

বাংলা বানান সংস্কার

জ্ঞানভিক্ষু

প্রাউট–প্রবক্তা মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ভাষাতত্ত্ব ও ব্যাকরণ বিজ্ঞানের ওপরও বহু অমূল্য পুস্তক রচনা করেছেন, যা কলকাতা, ঢাকা, কল্যাণী প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অধ্যাপক সহ বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক ও জ্ঞানী গুণীজনের দ্বারা বহুল প্রশংসিত৷ তাঁর রচিত ‘প্রভাতরঞ্জনের ব্যাকরণ বিজ্ঞানে’ তিনি বহু প্রচলিত বাংলা বানানের ভুলত্রুটি বা অর্থবিচ্যুতি দেখিয়ে সে সবের সংস্কার সাধনেও সচেষ্ট হয়েছেন৷ এ ধরনের কিছু বাংলা বানান সম্পর্কে তাঁর অভিমত তাঁর ভাষাতেই প্রকাশ করা হচ্ছে ঃ

ব্যক্তি/ব্যষ্টি

পটোল ও  ডালিমের উপকারিতা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ পটোল উত্তর–পূর্ব ভারতের একটি মুখ্য সব্জী৷ কারণ এর আদি বাস পূর্ব ভারতে–বিশেষ করে গঙ্গা অববাহিকার সাহেবগঞ্জ, মালদা, নদীয়া ও রাজমহল এলাকায়৷ এছাড়াও পটোল বেশী পাওয়া যায় রাা, সমতট, মিথিলা (বিহার) ও উৎকলে (ওড়িষ্যা)৷ পটোল একটি ইন্ডিকা বর্গীয় গাছ৷ ক্ষাংলায় একে পটোল বলে, সংসৃক্তেও ‘পটোল’৷ মগহীতে শাদা রঙের পটোলকে বলা হয় পটোল কিন্তু সবুজ রঙের পটোলকে বলা হয় ‘পরবল’৷ ভোজপুরীতে বলা হয় ‘পরুরা’ বা ‘পরোরা’৷ মৈথিলীতে ‘পরোর’, হিন্দীতেও ‘পরবল’, আর ইংরেজীতে বলা হয় ভ্র্ত্রপ্র ন্ধপ্সব্ভব্জস্তু বা ব্দশুব্ভ্ত্রব্জব্ধ ন্ধপ্সব্ভব্জস্তু.

ফিট বা তড়কা

 ছন্দা বসু 

আজকাল বেশীর ভাগ বাচ্চাদের জ্বর হলেই তড়কা বা কনভাল্শন হচ্ছে৷ এতে স্বাভাবিকভাবেই বাবা–মায়েরা ভয় পান, নার্ভাস হয়ে পড়েন৷ বেশ কিছুদিন আগেও এ বিষয়ে মানুষের ধ্যান ধারণা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন৷ তখন তড়কা বা ফিট হলেই লোকে ভাবত ভূতে পেয়েছে৷ মানুষ ছুটত ওঝার কাছে৷ তখন ওঝাই ছিল এই রোগের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসক৷ যে পদ্ধতিতে এর চিকিৎসা করা হত সেটাও ছিল বীভৎস, কষ্টদায়ক ও অমানুষিক৷ ক্রমশঃ মানুষ সভ্যতার দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করল৷ চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এল পরিবর্তন৷ চিকিৎসা পদ্ধতিও হ’ল আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত৷ সাধারণতঃ বেশী জ্বর, শরীরে জল কমে যাওয়া, মৃগী আর মেনিনজাইটিস থেকে এই তড়কা বা ফিট হয়৷ ধনুষ্টঙ্কার বা টিটেনাস থেকেও ফিট

নারীর মর্যাদা ক্রমবর্ধমান  নারী–নিগ্রহ ঃ সমস্যার সমাধান কোথায়

অবধূতিকা আনন্দগতিময়া আচার্যা

‘রাজ্যে রাজ্যে নারী–নিঃগ্রহ, বধূহত্যা, নারী ধর্ষণ প্রভৃতি উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে৷ এই সমস্ত রোধের জন্যে দেশে অনেক আইন রয়েছে, নূতন নূতন আইন তৈরীও হচ্ছে৷ কিন্তু সমস্যা আগের মতই রয়েছে৷ উদাহরণস্বরূপ দিল্লির গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রসঙ্গ আনা যায়৷ এই ঘটনার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠল৷ কঠোর আইন–প্রণয়ণের দাবী উঠল৷ সংসদেও সর্বসম্মতিক্রমে নারী নির্যাতন রুখতে কঠোর আইন আনার দাবী উঠল৷ কঠোর আইন পাশ করাও হ’ল৷ কিন্তু পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তনই পরিলক্ষিত হচ্ছে না৷ তাহলে এ সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে?

নব্য–মানবতাবাদ

শুভ্র ড্যানিয়েল

তুমি  মানুষের সন্তান

তুমি  বিধাতার সেরা দান৷

                বুদ্ধি–বোধিতে তুমি

                ছঁুয়েছ যে আগ্মান৷

                হূদয়েতে তাঁকে রেখে

                মানুষকে ভালোবাসো

                ভালোবাসো তরুলতা

                পশুপাখি ভালোবাসো৷

                আকাশ বাতাস মাটি

                গিরি নদী ভালোবাসো

                অপ্রাণিন্ যত আছে

                সব কিছু ভালোবাসো৷

 

                তোমার বুদ্ধি–শক্তি

                হূদয়–গভীরে ভক্তি

বিনা টিকিটে গঙ্গাস্নান

প্রাচীনকালের মানুষ যাঁদের গঙ্গা–যমুনার উপর খুব শ্রদ্ধা–ভক্তি ছিল তাঁরা ভাবতেন ঈশ্বরের করুণাই  অবস্থান্তর প্রাপ্ত হয়ে  গঙ্গাধারার রূপ পরিগ্রহ করে থাকে কারো গঙ্গাস্নানের আকর্ষণ কর্ত্তব্যের প্রেরণায়, কারো বা ধর্মোন্মাদনার প্রেষণায় কেউ বা গঙ্গাস্নান করেন ডগমা বা ভাবজড়তার বশবর্ত্তী হয়ে, আর কেউ বা পুরাণের কাহিনীকে গুরুত্ব দেন ক্ষলে৷ সত্যিই গঙ্গা ‘‘পতিত পাবনী’’ এ কথা ঠিকই যে গঙ্গা সুবিশাল আর্যাবর্ত্তের স্তন্যদাত্রী জননী৷ এও ঠিক যে নদীর বহমান ধারায় স্নান করলে তা শরীর মনকে স্নিগ্ধ করে৷ তবে গঙ্গাস্নানে কোন বিশেষ গুণ আছে কি না তা  পণ্ডিতেরা বিচার করে দেখতে পারেন৷ তবে আপাতঃদৃষ্টিতে তেমন গুণ আছে ক্ষলে ম