September 2017

‘না তাকাইঁ’

রাঢ়ের মানুষ একদিকে  যেমন দার্শনিক চিন্তা করেছে, অন্যদিকে তেমনি হালকা মেজাজে হাসি–তামাসা–নৃত্য–গীত উচ্ছল হয়ে উঠেছে৷ রাঢ়ের মানুষ মজলিশী, মিশুক ও খোসমেজাজী৷ দারিদ্র্যভারে জীর্ণ হলেও সে মানুষকে ডেকে খাওয়ায়–খাওয়ায় তা–ই যা সে নিজে খায়–ভাত, কলাইয়ের ডাল (রাঢ়ী বাংলায় ‘বিরি’), বড়ি–পোস্ত আর কুমড়োর তরকারি (রাঢ়ী বাংলায় ‘ডিঙ্লা’)৷ তার আচরণে–ব্যবহারে কোনো দারিদ্র্যগত সংকোচ নেই৷ বিনা কষ্টেই সে স্পষ্ট কথা বলে থাকে৷ রাঢ়ের মানুষের সরলতার একটি নিদর্শন ঃ

মানব ধর্ম

দাদাঠাকুর

ছোট ভাইবোনেরা, বৈচিত্র্যময় এই জগতে আমরা নানান ধরণের বস্তু দেখতে পাই৷ তাদের প্রত্যেকেরই কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা গুণ আছে যা দেখে আমরা সেই বস্তুটিকে চিনতে পারি৷ যেমন আগুনের বৈশিষ্ট্য হ’ল তাপ ও আলো দেওয়া, জলের বৈশিষ্ট্য হ’ল ভেজানো বা নীচের দিকে গড়িয়ে যাওয়া৷ বস্তুর এই বিশেষগুণ বা বৈশিষ্ট্যকেই তার ধর্ম বলে৷

জ্যামিতির কোণ বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছিলেন মহর্ষি কপিল

‘কুণ্’ ধাতু + ঘঞ্ প্রত্যয় করে আমরা ‘কোণ’ শব্দ পাচ্ছি৷  ‘কোণ’ শব্দের অর্থ হ’ল দুই বা ততোহধিকের মাঝখানে চাপা পড়ে যে ঠিক ভাবে ধবনি দিতে পারছে না.......যথাযথ ভাবে অভিব্যক্ত হচ্ছে না৷ যোগারূরার্থে ‘কোণ’ বলতে বুঝি দুইটি  বাহু (side) যেখানে অভিন্ন (common) বিন্দুতে মিলছে সেখানে ওই অভিন্ন বিন্দুকে ছুঁয়ে যে ভূম্যংশ (angle) তৈরী হচ্ছে তা’৷ জ্যামিতির কোণ–বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছিলেন আদি বিদ্বান প্রথম দার্শনিক মহর্ষি কপিল৷ তিনিই প্রথম বলেছিলেন একটি সমকোণী ত্রিভুজে মোট ১৮০ ডিগ্রী কোণ আছে ও সমত্রিকোণী ত্রিভুজে কোণগুলি ৬০ ডিগ্রী হয়ে থাকে৷ এ  নিয়ে তিনি অতিরিক্ত কিছু বলেননি–হয়তো বা দার্শনিক গূঢ়তত্ত্ব নিয়ে অত্য

প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র প্রসঙ্গে

প্রাচীনকালে মানুষ গান গেয়েছিল বিহঙ্গের কাকলির অনুরণনে৷ মানুষের জন্মেতিহাসের প্রথম উষাতেই অর্থাৎ যে অরুণ রাগে মানুষ এই পৃথিবীতে  এসেছিল সেই অরুণ রাগেই এসেছিল গানের রাগ........না–জানা সুরসপ্তকের সিঞ্জিনের মঞ্জুষিকা৷ সেই নাম–না–জানা রাগের সঙ্গে তাল মেশাবার জন্যে মানুষ বস্তুতে বস্তুতে ঠোকাঠুকি করত....জন্ম নিল সংঘাত–সঞ্জাত বাদ্যযন্ত্র৷ মৃদঙ্গ, তবলা, খোল, ঘটম্–এদের আদি রূপ এসেছিল৷ তারপর মানুষ এই ঠোকাঠুকি থেকে উদ্ভুত বাদ্যযন্ত্র থেকে নিজেদের মন ভরাবার জন্যে তৈরী করে রৈক্তিক সম্পদ৷ শূন্যতাকে আচ্ছাদন দিল চর্মের বা অন্য কোন মৃদু আবেষ্টনের.....এল বিভিন্ন  ধরণের তালসৃষ্টিকারী বাদ্যযন্ত্র৷ মানুষের মন এত

স্নায়ুরোগ–মস্তিষ্ক্ বিকৃতি–স্মরণ

ব্রাহ্মী– Bacopa monierri; Centella asiatica ঃ

ব্রাহ্মী ও তারই প্রজাতিবিশেষ থানকুনি ও থুন্কুড়ি (ভোজপুরীতে পাতাল নিম) প্রভৃতি শাকেরা স্নায়ুরোগের পুষ্টি বিধায়ক, স্মরণশক্তি ক্ষর্দ্ধক ও শুক্ররোগের ঔষধ৷ ব্রাহ্মী ও থানকুনি উভয়েরই পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহূত হয়৷ স্নায়ুদৌর্বল্য রোগেও এটা উত্তম ঔষধ৷ সকল প্রকারের স্নায়বিক রোগ ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা রোগে এর ব্যবহার আছে৷ ব্রাহ্মীঘৃত (অথবা ব্রাহ্মী সিরাপ) পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সহায়ক৷ ব্রাহ্মী ও থানকুনি উভয়েই লতানে উদ্ভিদ৷

পেটের অসুখে থানকুনি ঃ থানকুনি পাতার রস চীনী সহ খেলে পেটের অসুখে ভাল ফল দেয়৷

স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ

প্রত্যেক বস্তুর নিজের নিজের ধর্ম আছে, নিজস্ব স্বাভাবিক লক্ষণ আছে৷ সেই লক্ষণ দেখেই মানুষ সংশ্লিষ্ট বস্তুর সঙ্গে পরিচিত হয়, তার নামকরণ করে৷ প্রত্যেক সত্তার, প্রত্যেক জীবের নিজের নিজের ধর্মে অটুট থাকা শ্রেয়স্ক্র৷

সোণা ও লোহার নিজেদের পৃথক পৃথক ধর্ম আছে৷ ঠিক তেমনি মানুষেরও নিজের ধর্ম আছে৷ মানুষ যদি নিজের ধর্ম থেকে, মানব ধর্ম থেকে দূরে সরে যায় তবে তাকে মানুষ বলব না৷ মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব তার নিজের ধর্মেই নিহিত৷ তাই তার পবে স্বধর্মে সুদৃঢ় থাকাই বাঞ্ছনীয়৷

রাজনীতি–সচেতন মধ্যবিত্ত, ছাত্র–যুব ও সাধারণ মানুষই বিপ্লব আনবে

আজ জীবনের সকল বেত্রেই নীতিহীনতার এক কালো ছায়া দ্রুত ঘনিয়ে আসছে ও তা মানুষের প্রগতির পথে দারুণ অন্তরায় সৃষ্টি করে চলেছে৷ নীতিহীনতার এই আবর্জনা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে চাই প্রচণ্ড শক্তিশালী নৈতিক বল৷ এই দুর্দান্ত নৈতিক বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোন সরকারের কাছ থেকে আশা করা যায় না৷ এটা আমরা আশা করতে পারি অরাজনৈতিক পক্ষ থেকে৷ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত কোন দল বা নেতাদের খামখেয়ালী কাজকর্মকে বাধা দেওয়ার মতো নৈতিক বলের যদি সমাজে অভাব দেখা দেয়, তাহলে যে কোন সরকার–তা সে ফ্যাসীবাদী, সাম্রাজ্যবাদী, সাধারণতন্ত্রী, একনায়কতন্ত্রী, আমলাতান্ত্রিক বা গণতান্ত্রিক, যাই হোক না কেন–সে সরকার অত্যাচারী হতে বাধ্য৷ সরকারের নী

উত্তর কোরিয়ায় পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণ

গত ৩রা সেপ্ঢেম্বর উত্তর কোরিয়ার ভূগর্ভে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটালো৷ উত্তর কোরিয়া কিং জং উনের সরকারের পক্ষ থেকে  এই নিয়ে ৬ বার পরমাণু বোমার  পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো হল৷ উত্তর কোরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পরমাণু বোমা (হাইড্রোজেন বোমা) ব্যালিষ্টিক বেপণাস্ত্রের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে নিবেপ করা যাবে৷ সাধারণ পরমাণু বোমার চেয়ে এর ক্ষমতা কয়েকশ’ গুণ বেশি৷

স্বাভাবিকভাবে  দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, আমেরিকা প্রভৃতি দেশ উত্তর কোরিয়ার এই পরমাণু বোমার বিস্ফোরণে চিন্তিত৷ এই তিন দেশসহ  জার্মানি,ফ্রান্স,ব্রিটেন, চীন,ভারত,ইজ্রায়েল প্রভৃতি দেশ এই পরমাণু বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা করেছে৷

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদ বদল

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতে বড় রকমের রদ বদল করা হল ৷ এই রদ বদলে বিশেষ চমক হ’ল, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হ’ল নির্মলাসীতা রামনকে ৷ স্বাধীনতা লাভের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার  কোনো মহিলাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হ’ল৷  এর আগে প্রাক্তণ প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে  নিজের হাতে রেখেছিলেন৷

অন্যান্য প্রধান রদ বদলের মধ্যে হ’ল সুরেশ প্রভুর জায়গায় রেলমন্ত্রী হলেন  পীযুষ গোয়েল, গঙ্গা সংস্কার মন্ত্রক উমাভারতীর হাত থেকে নিয়ে দেওয়া হ’ল নীতীন গড়গড়িকে৷

বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্ব প্রশ্ণের মুখে

তিন মাস ধরে দার্জিলিংয়ের সর্বনাশা বনধে সাধারণ মানুষ  অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে বাধ্য হয়ে দিন কাটাচ্ছে ৷ বাড়িতে খাবার নেই, ছেলেমেয়েদের পড়াশোণা বন্ধ, চাবাগান, হোটেল,  দোকানপাট, প্রভৃতি বন্ধ থাকায় কাজকর্ম নেই, বেতন নেই, বোনাসের সম্ভাবনাও সম্পূর্ণ অন্ধকারে--- এ অবস্থায় পাহাড়ের মানুষ মরিয়া হয়ে বনধের বন্ধন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে৷ বনধের বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ সর্বত্র সর্বত্র পুঞ্জিভূত হচ্ছে,  অথচ প্রকাশ করতে পারছিল না৷ এ অবস্থায় নবান্নের বৈঠক সেরে মোর্র্চ নেতা বিনয় তামাং কার্শিয়াংয়ে এই সর্বনাশা বনধ্ প্রত্যাহারের ঘোষণ করেন৷ তাতে মোর্র্চ প্রধান ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর গোপন ডেরা থেকে বিনয় তামাং ও তাঁর  সহযোগী অনিত