September 2017

ইয়ূপি.এস.এফ ও  ইয়ূপি.ওয়াই. এফ - এর রাজ্য সম্মেলন

গত ১,২,৩, সেপ্ঢেম্বর শিলিগুড়িতে  ইউনিবার্র্সল প্রাউটিষ্ট ষ্টুডেন্ট ফেডারেশন U.P.S.F) ও  ইউনিবার্র্সল প্রাউটিষ্ট ইউথ ফেডারেশনের U.P.Y.F) রাজ্য সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্র্যেগ  ও রেল যোগাযোগের  অভাবের জন্যে দক্ষিণ বঙ্গ থেকে ছাত্র -যুবারা শিলিগুড়িতে পৌঁছোতে পারেনি৷ তাই উত্তরবঙ্গে পাঁচটি জেলার ছাত্র যুবাদের  নিয়েই এই সম্মেলন হ’ল৷

সাংসৃক্তিক বিপ্লবের হাতিয়ার – প্রভাত সঙ্গীত

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আজ সমাজের সর্বস্তরে দেখা দিয়েছে চরম অবক্ষয়ের অমানিশা৷ অর্থনৈতিক স্তরে চলছে চরম শোষণ ও দুর্নীতি৷ ঈশ্বর সৃষ্ট এই জগতের সম্পদ যা ঈশ্বরের সন্তানদের মিলেমিশে খেয়ে–পরে বাঁচার জন্যে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জীবনের চরিতার্থতার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে, কিন্তু আজ সেই সম্পদ লুঠে পুটে খাচ্ছে সমাজের এক শ্রেণীর শোষকগোষ্ঠী৷ রাজনীতি – যা নাকি দেশ–সেবার প্রকৃষ্ট নীতি, তা হয়ে উঠেছে যেন তেন প্রকারেণ ক্ষমতা করায়ত্ত করার ও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার কৌশল মাত্র৷ এখানে ‘নীতি’টা নিতান্তই গৌণ৷ শিক্ষার নামে চলেছে কেবলমাত্র অর্থ রোজগারের উপায় আয়ত্ত করার প্রশিক্ষণ, সেখানে নীতিশিক্ষা–ধ্যাত্মশিক্ কোনো নাম–ঠিকানা নেই৷ সংসৃক্তির নাম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের  সাম্প্রতিক   রিপোর্ট বনাম মোদিজীর চমক

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০১৬ সনের ৮ই নভেম্বর সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শ্রী নরেন্দ্রমোদী ঘোষণা করেন, ৮ই নভেম্বর ২০১৬ তারিখ রাত্রি ১২ টার পর  ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল অর্র্থৎ বাজার-দোকানে অচল হয়ে যাবে৷  দেশের নাগরিকগণ  ব্যাঙ্কে গিয়ে নিজ নিজ এ্যাকাউন্টে বাতিল নোট জমা দিতে পারবেন৷  এই নোট বাতিলের উদ্দেশ্য হিসাবে   ঘোষিত হলো-- ১) কালো টাকা উদ্ধার ২) জাল টাকা ধবংস ৩) সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ৷ পরবর্তীকালে  আরো  জানানো হল, যে এই নোট বাতিলের অন্যান্য উদ্দেশ্যগুলি হচ্ছে---দুর্নীতিরোধ,ক্যাশলেস ইকোনমি বা নগদহীন অর্থব্যবস্থা ও ডিজিটাইজেশন বা চেক,ডেভিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড মোবাইলের মাধ্যমে লেন দেন বৃদ্ধি অর্র্থৎ  নগদ

ভারত মানবিক মূল্যবোধ ও বিশ্বৈকতাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভোগবাদ ও জড়বাদ ক্লিষ্ট বিশ্বকে এগিয়ে চলার পথ দেখাক

প্রভাত খাঁ

বর্তমান সারা বিশ্বে এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ সেটি হ’ল ব্যষ্টিকেন্দ্রীয় ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রকেন্দ্রীক জড়বাদী সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে চুলোচুলি আর লাঠালাঠিতে বিশ্ব দিশেহারা৷ কিন্তু দেখা যায় এই দুটোর মধ্যে একটা সাদৃশ্য আছে৷ সেটি হ’ল অর্থনৈতিক ও সামাজিক শোষণের দুই ব্যবস্থার জনগণ একই নৌকার যাত্রী ব্যষ্টিকেন্দ্রীক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ধীরে ধীরে রাষ্ট্রকেন্দ্রীক সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে যেমন রূপান্তরিত হয়ে পড়ে ঠিক তেমনই রাষ্ট্রকেন্দ্রীক জড়বাদী একদলীয় শাসকগণ সমাজতন্ত্রের কথা মুখে আউড়ে ভয়ঙ্কর দলীয় রাষ্ট্রক্ষমতার দিকে এগিয়ে চলে৷

প্রভাতসঙ্গীত প্রতিযোগিতা

নিউব্যারাকপুরে

গত ৩রা সেপ্ঢেম্বর নিউব্যারাকপুরে স্থানীয় ‘রাওয়া’ শাখার  পরিচালনায় প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ সঙ্গীত নৃত্য ও অংকনের ওপর অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায়  ৮৫ জন অংশগ্রহন করেন৷ সকাল ১০টা থেকে সারাদিন  ধরে এই অনুষ্ঠান চলে৷  এই প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন, সুস্মিতা দে (সঙ্গীত),  চিত্রা গুহ (নৃত্য), জয়ন্ত মল্লিক (অংকন)৷ দর্শক ছিলেন প্রায় দুইশতাধিক৷ সকলেই এই অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷

বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর বহুমুখী অবদানের ওপর আলোচনা সভা

গত ১৬ই আগষ্ট বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্নড় বিভাগে ‘আধ্যাত্মিকতা, বিজ্ঞান ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তীজী নব্যমানবতাবাদ’ বিষয়ে এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই আলোচনা সভায় ৬১ জনের অধিক কন্নড় বিভাগের অধ্যাপক ও ছাত্র যোগদান করেন৷

দার্জিলিং সমস্যার সত্যিকারের সমাধান

আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত

গত ১৯-২০ আগস্ট দার্জিলিং-এ নানাস্থানে  ভয়াবহ ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরে পরেই রাজ্য সরকার বিমল গুরুং ও  তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে ইউ-এ-পি-এ এ্যাক্টের  ধারা  (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ইত্যাদি ) রুজু করতে বাধ্য হয়৷ এতে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে,বিমলগুরুং নিজে ও তার আন্দোলন শুধু অবৈধ নয়, তা সন্ত্রাসবাদী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন৷ সম্প্রতি সঞ্জয় থুলুং নামে মোর্চার একজন বিশেষজ্ঞ উগ্রপন্থীর কথা জানা গেছে যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ সহ আগেকার সব সন্ত্রাসবাদী ঘটনার হোতা ও বিমল গুরুং-এর আজ্ঞাবহ৷ এরকম অনেক সঞ্জয় থুলুং দার্জিলিং বা তার আশেপাশে ছড়িয়ে  ছিটিয়ে আত্মগোপন করে আছে৷ সরকার যথারীতি থুলুং বা অন্যান্য

অগ্ণীশ নাট্য গোষ্ঠীর ১২ বছর

উত্তর কলকাতার মানিকতলা অঞ্চলে ‘‘অগ্ণীশ’’ নাট্যগোষ্ঠী নানান অসুবিধাকে হয় করে ১২ বছরে পদার্পণ করলো৷ সংস্থাটি ১২ বছরে  আর্থিক  অসুবিধার  মধ্যে দিয়ে ৪৫টি নাটক মঞ্চস্থ করেছে৷ নাটকের মাধ্যমে ‘‘

প্রার্থনা

অরুনিমা

পরমপুরুষ তোমার কাছে

          প্রার্থনা করি,

লেখাপড়া শিখে যেন

          মানুষ হতে পারি৷

সমাজসেবা করি যেন

          ঢেলে মন প্রাণ,

উঁচু–নীচু, ছোট–বড়

          সবাই সমান৷

মানুষ–পশু–পাখী আর

          তৃণ তরুলতা,

সবার সাথে থাকে যেন

          ভাব সমতা৷

বাবার প্রতি শ্রদ্ধা যেন

          থাকে আমার মনে,

মায়ের প্রতি ভক্তি যেন

          থাকে সর্বক্ষণে৷

এই আশিস দাও গো আময়

          আমার পরমগুরু–

(তব) চরণরেণু মাথায় নিয়েই

          কর্ম জীবন শুরু৷

জয়

কল্যাণী ঘোষ

গগনে পবনে একটি বাণী ধ্বনিত হয়

সদা সত্যেরই জয় সত্যেরই জয়৷

এসো সবাই বাজাই জয়ের ডঙ্কা,

নির্ভয়ে থাকি নেই আর কোন শঙ্কা

শোন, ডাকিছে মোহন, বাঁশীর সুরে,

দিচ্ছে নাড়া সবার হূদয়পুরে

এসো সবাই নাহি ভয় নাহি ভয়,

সত্যের পিছে আছে মঙ্গলময়৷

থাকবে না থাকবে না কারো কষ্ট

ধর্মের অসিতে করবে বিনষ্ট৷

মিথ্যাচারীর নেই কোনও স্থান,

এসো মোরা গাই মহা মিলনের গান৷