October 2017

পোড়া মাটির ভাঁড়

ভবেশ কুমার বসাক

সপ্তমীতে হাঁটছি যখন ফুটপাতটা দিয়ে

দেখছি কতক যীশুর শিশু ময়লা দেহে শুয়ে,

বাপ-মা তাদের কাজের ফাঁকে মধ্যরাতে আসে

অষ্টমীতে শূন্য হাতে চোখের জলে ভাসে

নবমীতে সেই প্রভাতে বেরিয়ে শিশুর পিতা

সারাটা দিন ‘ভিৰা দিন’ বলছে তারই মাতা৷

ক’জন মিলে নদীর কূলে দাঁড়িয়ে ওরা চার

বিসর্জনের দিনে হাতে পোড়া মাটির ভাঁড়৷

 

মুন্নীলালের কোষশুদ্ধি

প্রাচীনকালে কোনো লোক যদি অগ্ণিপরীৰায় কৃতকার্য হয়ে বেরিয়ে আসত অর্থাৎ সে যুগের সেই নিষ্ঠুর পরীৰাতেও দৈবলীলায় উত্তীর্ণ হয়ে আসত সেক্ষেত্রে এই উত্তীর্ণ হওয়াটাকে ৰলা হত ‘কোষশুদ্ধি’৷

কোনো জিনিস অযোগ্য লোকের হাতে পড়ে যদি অপব্যবহূত হয়, তারপর সেটিকে যদি পক্ষিত্র করা অর্থে পুড়িয়ে নেওয়া হয় তখন সেই বস্তুকেও ‘কোষশুদ্ধি’ ৰলা হয়৷

মহাপ্রয়াণ দিবসে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের উদ্দেশ্যে  সারা বিশ্ব থেকে মানুষের ঢল কলকাতায়

 ২১শে অক্টোবর মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পার্থিব দেহের মহাপ্রয়াণ দিবস৷ ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার সময় কলকাতাস্থিত মার্গগুরুভবন ‘মধুকোরকে’ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীরা শোক বিহ্বল হয়ে পড়েন৷ সব দেশ থেকেই আনন্দমার্গীরা তাঁদের পরমারাধ্য গুরুকে দেখার জন্যে ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার জন্যে কলকাতা আসতে থাকেন৷ তখন সারা বিশ্বের আনন্দমার্গের অনুগামীদের কথা ভেবে আশ্রম কর্তৃপক্ষ মার্গগুরুদেবের পাঞ্চভৌতিক দেহকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত সংরক্ষিত করে রাখেন৷ আর এই কয়দিন ধরেই সমবেত আনন্দমার্গীরা অবিরাম ‘বাবানাম কেবলম্’ সিদ্ধ মহামন্ত্র কীর্ত্তন করতে থা

২৭শে অক্টোবর ‘রাওয়া’ অনুষ্ঠান

 মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার কর্তৃক রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীতের ৩৫ বর্ষপূর্ত্তি উপলক্ষ্যে আগামী ২৭শে অক্টোবর সন্ধ্যায় কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে এক সাংসৃক্তিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷

আনন্দমার্গের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত সভাপতিত্ব করবেন৷ ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করবেন ডঃ আদিত্য মহান্তি (দর্শন বিভাগের প্রধান, সেন্ট্রাল ইয়ূনিভার্সিটি, ত্রিপুরা)৷

হাইকোর্টের নির্দেশে দার্জিলিংয়ে কেন্দ্রীয় সেনা প্রত্যাহার স্থগিত

 শিলিগুড়ি ঃ দার্জিলিংয়ে বিমল গুরুংয়ের সমর্থকরা যখন আবার এখানে অশান্তি পাকানোর জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে, গুরুং বাহিনীর গুলিতে রাজ্য পুলিশের সাব ইনসপেক্টর অভিতাভ মালিক নিহত হয়েছেন, এই অশান্ত পরিস্থিতিতেকেন্দ্র হঠাৎ করে পাহাড়ে মোতায়েন ১৫ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১০ কোম্পানী বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল৷ এই পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্ধ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই সেনা প্রত্যাহারে তাঁর আপত্তির কথা জানান ৷ কিন্তু কেন্দ্র তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে৷

পরমাণু যুদ্ধের  হুমকি

 পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়া সরকার আমেরিকাকে সম্প্রতি হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, আমেরিকা সংযত না হলে যে কোন সময় পরমাণু যুদ্ধ বাধতে পারে৷

উত্তর কোরিয়ার উপরাষ্ট্রদূত কিম ইন রিয়ং রাষ্ট্রসংঘের  সাধারণ সভায় নিরস্ত্রীকরণ কমিটির সামনে বলেছেন, ১৯৭০ সাল থেকে আমরা আমেরিকার চরম পারমাণবিক হুমকি সহ্য করেছি৷ আমেরিকা ও তার সহযোগীদেশগুলি প্রতি বছর বড় আকারের সামরিক মহড়ার আয়োজন করে৷ সেখানে পরমাণু অস্ত্রভান্ডারেরও ব্যাপক প্রদর্শন হয়৷ যার আসল লক্ষ্য, বিশ্বের অন্য দেশগুলিকে সন্ত্রস্ত রাখা৷

ঝাড়ু হাতে অমিত-মোদী, আর বুলি তাঁদের বিবেক-রবি

 কৃষ্ণমোহন দেব

মোদীজী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর হাতে ঝাড়ু নিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা দেখাচ্ছেন আর বলছেন যে স্বচ্ছ ভারত গড়ে তুলবে হবে৷ সেইসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও তাঁর দলের সাঙ্গ-পাঙ্গগণও লেগে গেলেন ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কারের কাজে৷ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগী  মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার  পরও ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করা দেখাতে লাগলেন৷ মোদিজীর, অমিতজীর ও আদিত্যনাথজীর  ঝাড়ু হাতে ছবি মিডিয়া ও পত্রিকাগুলিতে  ফলাও করে প্রকাশ  হয়েছে৷ ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করার দ্বারা এঁরা নিজেদের জাহির করতে চেয়েছেন যে---আমাদের দেশ সেবার পরাকাষ্ঠা কতখানি৷ কিন্তু এর আগে অর্থাৎ দেশের প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপ

অষ্টকমল

আমাদের শরীরে আটটি চক্র আছে৷ মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত ও বিশুদ্ধ– এই পাঁচ চক্র আর এর ওপর আজ্ঞাচক্র, গুরুচক্র ও সহস্রারচক্র*৷ এই হ’ল অষ্টকমল৷ পরমাত্মার লীলা এই অষ্টকমলকে নিয়ে৷

সাধনায় যখন মানুষ এগিয়ে যায় তখন কী হয়?

‘‘সর্বতঃ পাণিপাদং

তৎ সর্বতোক্ষিশিরোমুখম্৷

সর্বতঃ শ্রুতিমল্লোঁকে সর্বসাবৃত্য তিষ্ঠতি৷৷’’

এই অষ্টকমল যখন ফোটে, তা কেমন করে ফোটে? মানুষ যখন মনের সমস্ত ভাবনা নিয়ে পরমপুরুষেরই উপাসনা করে তখন সমস্ত ভাবনা, সমস্ত আকুতি একের দিকেই ছুটে যায়৷

ত্রিপুরার অর্থনৈতিক উন্নয়ন

সভ্যতার ঊষালগ্ণ থেকেই ত্রিপুরা ৰাঙলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ প্রাচীনত্বের দিক থেকে রাঢ়ের পরেই এর স্থান৷ গণ্ডোয়ানাল্যাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত একই মাটি, একই জল, একই মানুষ, ও একই ভাষা নিয়ে ৰাঙালীরা এখানে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই বসবাস করে আসছেন৷ পাঁচশ বছর আগেও ত্রিপুরার নাম ছিল ‘শ্রীভূম’৷ ত্রিপুরা নাম খুব বেশী দিনের পুরনো নয়৷  বর্তমান ত্রিপুরা, নোয়াখালী, পার্বত্য ত্রিপুরা, কাছাড়, মণিপুর, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ও আরাকান রাজ্যের কিয়দংশ নিয়ে ছিল ‘শ্রীভূম’৷ ভারতীয় প্রাচীন  নথিপত্রে শ্রীভূমকে ‘উপৰঙ্গ’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে৷ শ্রীভূম বা উপৰঙ্গের আদিম অধিবাসী সবই ৰাঙালী৷ ব্যতিক্রম শুধু টিপ্রা–রা৷ প্রায় সাড়

জ্বলন্ত মশাল

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

চতুর্দিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার৷ তিনি এলেন৷ আমাদের হাতে ধরিয়ে দিলেন এক –একটা প্রজ্বলন্ত মশাল৷ তারপর কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ চলে গেলেন৷ আমরা বিমূূ হয়ে তাকিয়ে রইলুম৷........