October 2017

শারদোৎসব- দুর্গোৎসব-বিজয়োৎসব

একর্ষি

‘‘ যা অস্তিত্বকে উদ্বেল ও উচ্ছ্বসিত করে দিয়ে বাঁচার আনন্দে জীবনকে পূর্ণ করে তোলে তাকেই বলে উৎসব’’---শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি৷

শারদোৎসব বা দুর্গোৎসব পূর্ণতা পায় বিজয়োৎসবে এই সমাসবদ্ধ পদটির অর্থ হল বিজয়সূচক যে উৎসব৷ পদে উৎসবেরই প্রাধান্য৷ এখন দেখা যাক এই উৎসব ব্যাপারটা কী৷ উৎসব শব্দটি ভাঙলে পাওয়া যায় উৎ-স+অল্৷ এই প্রত্যয় জাত প্রতিপাদিকটির মধ্যে ‘সু’ ধাতুর সঙ্গে ‘অল’ প্রত্যয়  লাগালে হয় ‘সব’৷ ‘সব’ এর অর্থ জন্মগ্রহণ করা৷ আর ‘উৎ’ মানে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠা৷ অর্র্থৎ মানুষ যখন নেচে নেচে প্রাণের উছ্বাস দিয়ে নোতুন জীবনের আস্বাদন গ্রহন করে তখন তাকে উৎসব বলে৷

সংকীর্ণ দলবাজীর ঊধের্ব উঠে সর্বাত্মক শোষণমুক্তির আন্দোলন চাই

প্রভাত খাঁ

ইতিবৃত্তে উল্লেখ্য সেই ফ্রান্সের সম্রাট পঞ্চদশ লুই অত্যন্ত দুঃখের  সঙ্গে ঘোষনা করেছিলেন - ‘‘আমার পর মহাপ্লাবন৷’’

পরলোকে অমলেশ ভট্টাচার্য

মেদিনীপুর ১৪ই অক্টোবর ঃ- আমরা বাঙালী দলের প্রাক্তন প্রবীণ নেতা  অমলেশ ভট্টাচার্যের  জীবনাবসান হয়েছে৷ পশ্চিমবাংলার তমলুকের  এক বেসরকারী নারসিংহোমে হৃদরোগে আক্রান্তে তাঁর মৃত্যু হয়৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর ৷ তাঁর মৃত্যুতে আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায়, সহ সচিব তারাপদ বিশ্বাস,অসম রাজ্যকমিটি সচিব সাধন পুরকায়স্ত ও ত্রিপুরা রাজ্য সচিব হরিগোপাল দেবনাথ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন৷ আমরা তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি৷

তরুণ পুলিশ অফিসার অভিতাভ মালিকের মৃত্যুতে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ

 গত ১৩ই অক্টোবর দার্জিলিংয়ে বিদেশী গোখা ও রাষ্ট্রদ্রোহীদের হাতে বাংলার  অখন্ডত্ব রক্ষা করতে গিয়ে  তরুণ পুলিশ অফিসার অভিতাভ মালিকের মৃত্যুতে আমরা বাঙালীর কেন্দ্রিয় সচিব বকুলচন্দ্র রায়  গভীর শোক প্রকাশ করেছেন৷

নিউব্যারাকপুরে অখন্ড কীর্ত্তন

নিউব্যারাকপুর ঃ গত ১৫ই অক্টোবর নিউব্যারাকপুরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী অরবিন্দ করের বাসভবনে  ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত  হয়৷ এই কীর্ত্তনে উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতার বিভিন্ন স্থান থেকে আনন্দমার্গীরা ও ভক্তরা অংশগ্রহণ করেন৷  কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ নিরুক্তা আচার্যা, আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত, শুভদীপ হাজারী প্রমুখ৷ কীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায় হয়৷ স্বাধ্যায়ে মার্গগুরুদের  প্রবচন পাঠ করেন আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত৷ এরপর মানবজীবনে  আধ্যাত্মিক সাধনা ও কীর্ত্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য বোধিসত্তানন্দ  অবধূ

পুরুলিয়ায় চিকিৎসা শিবির ও বস্ত্র বিতরণ 

 পুরুলিয়া ঃ- গত ১৪ই অক্টোবর পুরুলিয়া জেলার মানবাজার ব্লকের অন্তর্গত গোপালনগর গ্রামে আনন্দমার্গের  পক্ষ থেকে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন  করা হয়৷ এই চিকিৎসা  শিবিরে  বিনাব্যয়ে ১০৫ জন রোগীকে চিকিৎসা করা হয় ও ঔষধও বিতরণ করা হয়৷ চিকিৎসক হিসেবে ছিলেন ডা ঃ শ্যামাপদ দলুই ও আচার্য সন্দৃপ্তানন্দ অবধূত৷ সহযোগিতায় ছিলেন নবকুমার কোলে, আচার্য লীলাধীশানন্দ অবধূত প্রমুখ৷

এদিন আনন্দমার্গের পক্ষ থেকে ২৫ জন দুঃস্থ মানুষের মধ্যে শাড়ী  ধুতি প্রভৃতি বিতরণও করা হয়৷ অনুষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনায় ছিলেন প্রফুল্ল মাহাত, গায়ত্রী মাহাত, জগৎচন্দ্র মাহাত প্রমুখ৷ 

অখন্ড  কীর্ত্তন

কলকাতা ঃ গার্লস্ প্রাউটিষ্টের কার্যালয়ে মার্গগুরু শ্রীশ্রী  আননন্দমূর্ত্তিজীর পদার্পণকে স্মরণ করে  গত ১৪ই অক্টোবর  এখানে তিন ঘন্টাব্যাপী অখন্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷  কীর্ত্তন পরিচালনা কবেন আচার্য কল্যাণাত্মকানন্দ অবধূত,  অবধূতিকা আনন্দরেখা আচার্যা প্রমুখ৷ অখন্ডকীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পর অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা বক্তব্য রাখেন৷ তিনি বলেন, পরমপুরুষ সবসময়ই আমাদের সঙ্গে আছেন৷ আমরা কখনই একলা নই৷ প্রত্যেকেরই  নিয়মিত পাঞ্চজন্য, কীর্ত্তন  ও সাধনা করা উচিত৷ তাহলে সবাই অন্তরে তাঁর উপস্থিতি অনুভব করবেন৷

শোকসংবাদ

শিলিগুড়ি ঃ এখানকার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী সমপ্রসাদ সরকারের পিতা শ্রীভজন সরকার গত ১০ই অক্টোবর ৮২ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন৷ ১৫ই অক্টোবর শিলিগুড়ির ফকদইবাড়িতে আনন্দমার্গের  সমাজশাস্ত্রানুসারে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷ এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য্য ধীরেশানন্দ অবধূত৷

মুকুল রায় বিজেপিতে

তূণমূল থেকে বেরিয়ে মুকুল রায়ের  এখন বিজেপি’তে যোগদানের ব্যাপারটা প্রায় পাকাপাকি বলা চলে৷ বিজেপি’র রাজ্য নেতৃত্বের মুকুল রায়কে নেওয়ার ব্যাপারে কিছুটা আপত্তি ছিল৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী ও পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দুজনেই মুকুলকে পার্টিতে নিতে আগ্রহী৷ তাই অন্যরা আর বেশি একটা আপত্তি করছেন  না৷ তাই খুব শীগগীরই আনুষ্ঠানিকভাবে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করছেন৷

অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা

এই সমাজে পুরুষেরা বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে৷ পুরুষদের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতার জন্যে পরিত্যক্তা নারীদের একাংশ পতিতাবৃত্তি গ্রহণ করতে ৰাধ্য হয়৷ যখন সমাজে নারীরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও পুরুষের সমান মর্যাদা পাবে তখন এই ধরণের বৃত্তি ৰন্ধ হয়ে যাবে৷ যে সব নারী ওই জঘন্য বৃত্তি পরিত্যাগ করে নিজের চরিত্র শুধরে নেবেন, সেই সব নারীকে উপযুক্ত মর্যাদা সমাজকে দিতে হবে৷ পতিতাবৃত্তি সামাজিক–র্থনৈতিক ব্যবস্থার কুফল৷