March 2021

প্রথম দফায় মনোনয়ন জমা দিলেন ‘আমরা বাঙালী’

রাজ্যে প্রথম দফার বোটে  পুরুলিয়া ও  মেদিনীপুরে ‘আমরা বাঙালী দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন৷ কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায় জানান---রাজ্যে নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’ ৫০টির মত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে৷ তিনি বলেন---বাঙলার সাধারণ মানুষের সামাজিক অর্থনৈতিক বিষয়ে সচেতনতার অভাবে ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি অর্থনীতি সবদিক দিয়েই বাঙালী পিছিয়ে পড়ছে৷ রাজনৈতিক দলগুলো জেনে বা না জেনে বাঙালী বিদ্বেষী শক্তির হাতের পুতুল হয়ে গেছে৷ তিনি বলেন সোনার বাঙলা কোন হাতের মোয়া নয়, যে প্রধানমন্ত্রী এসে ধরিয়ে দেবেন৷ তিনি গুজরাটে দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন৷ কিন্তু ট্রাম্প আসতে আমেদাবাদে পাঁচিল দিয়ে লজ্জা ঢাকতে হয়েছিল৷ প্

আমরা বাঙালীর দাবীকে মান্যতা দিলেন আদিত্যনাথ!

অসমের ভোটে প্রচারে এসে কার্যত আমরা বাঙালী দলের দীর্ঘ-দিনের দাবীকে মান্যতা দিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ আমরা বাঙালী দাবী করে আসছেন অসমের অসমিয়া জনগোষ্ঠী ছ’সাতশো বছর আগে ব্রহ্মদশ থেকে এসেছে৷ তখন অসমের নাম ছিল প্রাগজ্যোতিষ্‌পুর৷

তখনকার প্রাগজ্যোতিষ্‌ পুরের বাঙালী রাজা ব্রহ্মদেশ থেকে  চলে আসা অহম উপজাতিদের আশ্রয় দিয়েছিলেন৷

গত ১৭ই মার্চ অসমের ভোটে প্রচারে এসে একসভায় অসমের ষোড়শ শতকের বৈষ্ণব ধর্মগুরু শ্রীমন্ত শঙ্করদেব সম্পর্কে বলতে গিয়ে আদিত্যনাথ বলেন শঙ্করদেব ভারতীয় সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রবাদের প্রবর্তক ও অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে দেশের দৃষ্টি আকর্ষণকারী ছিলেন৷

সমবায়ের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গণমুখী করতে হবে

প্রবীর সরকার

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করা হয়৷

আজ এই দুটিই উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

দোল উৎসব প্রসঙ্গে

যারা অনন্যমনসা–অনন্যভাক্ হয়ে পরমপুরুষের ভজনা করে, জাগতিক অন্যান্য চিন্তা–ভাবনাকে পরিত্যাগ করে মানসচিন্তায় সুকোমল মসৃণতা নিয়ে কেবল পরমপুরুষের দিকেই এগিয়ে যায় তারা গোপী৷ এই রকম ধরণের গোপীদের ছবি আঁকা যায় না৷ কারণ গোপীর গোপীত্ব তার অন্তরের সুকোমল ভাবরাজি, তার অন্তরের অন্তঃস্থলে নিহিত৷ এটা একেবারে ভেতরের জিনিস–মনের জিনিস৷ এই ধরণের ভক্তি ভাবসমন্বিত গোপীদের ভাষাও ব্যক্ত করা যায় না৷

রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শোষণ

আবার দেখো, যেটা মানস–রাজনৈতিক শোষণ হ্মব্দম্ভন্তুড়প্স–হ্ম্ অথবা রাজনৈতিক স্তরের শোষণ, সেটা কীরকম ভাবে হয়৷ একটা জনগোষ্ঠী আরেকটা জনগোষ্ঠীর ওপর সবলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে৷ তাদের পেছনে মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে যে, ওই শোষিত জনগোষ্ঠী বা শোষিত দেশ (এখানে দেশের চেয়েও জনগোষ্ঠী বড় কথা)–ওই ভূমিটাকে আমি কাঁচামালের যোগানদার হিসেবে নোব কাঁচামাল তৈরী হবে আমার এক্তিয়ারের মধ্যে, আর ওই শোষিত ভূমিটাকে আমার তৈরী মালের বাজার হিসাবে পাবো৷ যে সমস্ত জনগোষ্ঠী আর্থিক দিক থেকে অনুন্নত, তারা শক্তিশালী জনগোষ্ঠী অথবা শক্তিশালী দেশের কাছে মাথা বিকিয়ে দিতে বাধ্য হয়–হয় শক্তির অভাবের জন্যে, ভীতম্মন্যতার ফলে, অথবা আর্থ

ভয়ঙ্কর সংক্রামক ব্যাধি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

একজন মহান দার্শনিক বলেছিলেন–‘‘কিছু সংখ্যক গুণ্ডা–বদমাস অপেক্ষা একটি ভ্রান্ত দর্শনের অনুগামীরা সমাজের অনেক বেশী ক্ষতি করে৷’’

দুর্নীতি, শ্লীলতাহানী,খুন, ধর্ষনের মত জঘন্য অপরাধের ঘটনা প্রতিদিনই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে৷ এক একটি ঘটনা ঘটে–রাজনৈতিক দল থেকে বুদ্ধিজীবী মহল গণমাধ্যম সমাজের সর্বস্তরে সরগোল শুরু হয়, কঠোর সাজার দাবী ওঠে, রাজপথে মোমবাতি জ্বলে তারপর সব স্তিমিত হয়ে যায়৷ আর একটা ঘটনার জন্যে অপেক্ষায় থাকে প্রতিবাদের রংমশাল জ্বালাতে৷ কিন্তু তাতে অন্ধকার দুর হয় না৷ বরং দুর্নীতি অপরাধ বেড়েই চলে৷

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

বাঙলা কেন ভারতের কোনও রাজ্যেই একশ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থানের (শুধুমাত্র চাকরি নয়) ব্যবস্থা হয়নি৷ এর অন্যতম কারণ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যে ধরনের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার  ছিল তা নেওয়া হয়নি৷ সেটা অজ্ঞতার কারণেও হতে পারে, আবার রাজনৈতিক ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল তা ইচ্ছে করেই করা হয়নি৷ ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুই অনুভব করেছিলেন দেশবাসীর হাতে অর্থনৈতিক ক্ষমতা না এলে রাজনৈতিক স্বাধীনতা মূল্যহীন হয়ে যাবে৷ তিনি বুঝেছিলেন অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত নাহলে ব্রিটিশদের শোষণ বন্ধ হয়ে শুরু হবে দেশীয় পুঁজিপতিদের শোষণ৷ আজ তারই চ

৫ই মার্চের মর্মান্তিক ঘটনা

প্রভাত খাঁ

মনে পড়ে ৫ই মার্চে ১৯৬৭ সালের সেই দিনের কথা৷ আমি কয়েকজন ছাত্রকে নিয়ে একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম দক্ষিণ কোলকাতার একটি স্থানে৷ এদিকে ৫ই মার্চেই পুরুলিয়ার আনন্দনগরে আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে স্থানীয় হামলাকারীরা আশ্রম আক্রমণ করে আমাদের ৫জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে প্রকাশ্যে দিবালোকে বেলা ১০টার মধ্যে তাঁদের জোর করে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে!

ভারতে বিপন্ন বাঙালী

এইচ.এন. মাহাত

দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭৪ বছর অতিক্রান্ত৷ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সব থেকে বেশী যারা আত্মত্যাগ করেছে, স্বাধীনতার বেদিমূলে জীবন  উৎসর্গ করেছে, স্বাধীন ভারতে সেই বাঙালী জাতির অস্তিত্ব আজ বিপন্ন৷ স্বাধীনতার জন্মলগ্ণ থেকেই বাঙালী ভারতে বৈষম্যের শিকার৷ কারণ আর কিছুই নয়, বিদেশী বেনিয়া স্বদেশী বণিকের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশ ছেড়ে গেছে৷ সেই স্বদেশী শোষক শাসকের কাছেও বাঙালী ততটাই আতঙ্কের, যে আতঙ্কে ব্রিটিশ ভারত ছেড়ে গেছে৷

ভাত দেবার নাম নেই কিল মারার গোঁসাই

হরিগোপাল দেবনাথ

ত্রিপুরা রাজ্যে সিপিআই (এম)নেতৃত্বাধীন উল্লেখযোগ্য অপকীর্তি সমূহের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ অপকীর্তিটা ছিল, তাদের স্বজন-তোষণ ও ক্যাডার -তোষণ অপকর্মের জাজ্জ্বল্যমান’ দৃষ্টান্ত---১০,৩২৩ জন শিক্ষক-নিয়োগ প্রচলিত নিয়ম-রীতি, দেশের আইন ও শিক্ষানীতি, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ইত্যাদির বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করেই স্রেফ গায়ের জোরে চালিয়ে দেওয়া৷ বস্তুতঃ স্বজন-পোষণসহ অহংকার প্রমত্ততা যে কতই বেসামাল হয়ে উঠতে পারে, এরও যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া ত্রিপুরার উচ্চ ন্যায়ালয় তথা হাইকোর্টের রায়কেও রীতিমত অবজ্ঞা করে ভারতের শীর্ষ আদালত সুপ্রীমকোর্টে গিয়ে আপীল করা৷ শিক্ষক-নিয়োগের ক্ষেত্রে যে নীতিলাঞ্ছিত হয়েছিল তাও ছাপিয়ে  গিয়েছিল