October 2023

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

বীরভূম জেলার শ্যাওড়াকুড়ির বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ডঃ সুভাষ মুখার্জী  গত ১১ই অক্টোবর, বুধবার রাত ১১টার সময় নিজস্ব বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৭২ বছর৷ তাঁর একপুত্র ও এক কন্যা বর্তমান৷ তিনি ১৯৭০ সালে আনন্দমার্গের আদর্শে দীক্ষা নেন৷

মেট্রোরেলে ‘আমরা বাঙালী’র স্মারকলিপি প্রদান

গত ১০ই অক্টোবর কলকাতার পার্কস্ট্রিটস্থিত মেট্রোরেল ভবনে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে কলকাতার মেট্রোয় বাংলায় পরীক্ষা, পরিষেবা ও ১০০ শতাংশ বাঙালী নিয়োগের দাবীতে বিকেল ৩টের সময় মেট্রোকর্ত্তৃপক্ষের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ মেট্রোরেল ভবনের সামনেই এইদিন বেলা ৪টে থেকে বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷

এই অনুষ্ঠানে ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সচিব, সাংঘটনিক সচিব, যুব সচিব, বাঙালী মহিলা সচিব, সাংসৃকতিক সচিব, দক্ষিণ ২৪পরগণার, উত্তর ২৪পরগণার ও কলকাতার জেলাসচিবগণ উপস্থিত ছিলেন৷ কলকাতা সহ অন্যান্য জেলার বেশকিছু সদস্য সদস্যাও এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন৷

কয়েকজন স্মরণীয়া মহিলা

কর্কটী রাক্ষসী

শিব তাঁর বৈদ্যক শাস্ত্র কাকে প্রথম শিখিয়েছিলেন তা’ এখন আর হলপ করে ৰলা যায় না৷ তবে যদ্দুর মনে হয়, তিনি প্রথমে তা’ শিখিয়েছিলেন কর্কটী রাক্ষসী নাম্নী জনৈকা অনার্য কন্যাকে৷ অনেকে সেকালে তাচ্ছিল্য করে অনার্যদের কখনো দানব, কখনো দৈত্য, কখনো রাক্ষস ইত্যাদিতে অভিহিত করত৷ সেকালের ভারতে কেবলমাত্র এই কর্কটী রাক্ষসীই বিসূচিকা (ওলাওঠা বা কলেরা) ও কর্কট রোগের (ক্যান্সার রোগ) চিকিৎসা করতে পারতেন৷ পরে ডগমা–প্রেষিত মানুষেরা তাঁকে হত্যা করে৷    (‘‘গণবতীসূত’’

    ‘শব্দ–চয়নিকা’, ১৬শ পর্ব)

লাউয়ের ঔষধীয় গুণাগুণ

 

লাউ একটি নির্দোষ সবজি৷ স্নায়ুতন্তু (Nerve fibres), স্নায়ুকোষ (Nerve cells), লিবার ও কিডনীর পক্ষে এটি শুভ ফলপ্রদ৷ স্মৃতিশক্তি ৰৃদ্ধিতেও লাউ সাহায্য করে৷ অর্শ, যৌন অক্ষমতা ও ক্লীবতা, সুপ্তিস্খলন রোগে লাউয়ের তরকারী পথ্য ও ঔষধ৷ লাউ কথঞ্চিত পরিমাণে চর্ম রোগকেও প্রতিরোধ করে৷

লাউয়ের খোলা (লাউ বাকলা–কচি অবস্থায়) মুখে লালা এনে খাদ্য হজমে সাহায্য করে৷ লাউয়ের খোলা যকৃতের পক্ষে খুবই ভাল৷ লাউয়ের ৰীজের তৈলও চর্ম রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়৷

মধু 

আয়ুর্বেদাচার্য

টনসিলের ব্যাধিতে মধু

টনসিলের  ব্যাধিতে মধু উপকারী৷ মিষ্টি আপেলের রসের সাথে ২/৩ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে বারে  বারে (৪/৫ বার) সেবন করলে টনসিলের ব্যথা হ্রাস পায় আর তার স্ফীত আকারও কমে ছোট হয়ে আসে৷

পেট গরম হলে, মল পরিষ্কার না হলে অনেক সময় মুখে জিহ্বায় অনেকের ঘা হয়৷ মধু খেলে শরীরের স্বাভাবিকতা ফিরে আসে আর মুখের ঘা ঠিক হয়ে যায়৷

আমার দূর্গা

কৌশিক খাটুয়া

মাগো তুমি বেজায় দুর্বল৷

অসুরকে যদি নিধন করলে

কেন বাড়ে তার দল?

তুমি চলে যাও অসুরকে রেখে

কার মঙ্গল তরে,

সারাটা বছর ভয় দেখিয়ে

সংকট সৃষ্টি করে৷

 

মাগো ছুটির মেয়াদ শেষ হলে

যবে কৈলাশে যাবে ফিরে,

দয়া করে এবার অসুরকে নিয়ে

ফিরে যেও নিজ নীড়ে৷

দেখি একবার অসুর-বিহীন

কেমন জন্মভূমি,

চিঠি মারফৎ তোমায় জানাব

খবর পাইবে তুমি৷

 

জ্যোতির্ময়ের     আবির্ভাবে

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

বাজল বীণা  বাজল রে

অরুণ আলো ছড়ায় হাসি

তাইতো  হাসি ফুটলো রে৷

 

বাতাসে আজ রঙের দোলা

করে সবে আত্মভোলা

নৃত্যে তালে মাতে পরাণ

তাইতো সবে হাসলো রে৷

 

মর্ম মাঝে ধর্মে ধরি

অন্তরেতে জাগেন হরি,

আছে সে যে সদাই ঘেরি,

তাই পরাণ মাতলো রে৷

 

দুঃখ পরে অপার সুখ

গড়ে নিই অন্তর্লোক,

জ্যোতির পরশ নিয়ে চিতে

জীবন জ্যোতি বাড়লো রে৷

তন্ত্রাচারে গড়ি জীবন

পূর্ণ হ’ল মনস্কাম,

পাষাণ পাথর গ’লে গিয়ে

চিত সাগরে মিশলো রে,

অরুণ আলো ছড়ায় হাসি

মহাপ্রয়াণ

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

একুশে অক্টোবর ১৯৯০---তোমার মহাপ্রয়াণ৷

চোখে অবিরাম অশ্রুধারা, অব্যক্ত যন্ত্রণায় দগ্দ পরাণ৷

স্তব্ধ বৃক্ষলতা, মূক পশুপাখী, চঞ্চল শিশু সহসা গম্ভীর

আকাশে বাতাসে বিষাদের বাঁশী উত্তাল অম্বুধি হ’ল ধীরস্থির

অনিন্দ্য সুন্দর পার্থিব দেহ পঞ্চভূতে হয়েছে বিলীন

ভূবন-ভোলানো তোমার মধুর হাসি স্মৃতিপটে চির অমলিন

কাঁদায়ে সকলে তুমি চলে গেলে, ‘অজানা পথিক’ কোন্‌ সে অচিনপুরে

নোতুন পৃথিবী গড়ার আশ্বাস সদা-প্রোজ্জ্বল সমগ্র চরাচরে

হৃদয়তন্ত্রীতে সততঃ শুণি তোমার সুরের ঝঙ্কার

মহাবিশ্বে মন্দ্রিত অব্যয় অমৃত প্রণব-ওঁঙ্কার

মহালয়া (পিতৃযজ্ঞ নিত্যকর্ম বছরে একদিনের জন্য নয়)

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

আমাদের ধর্ম-কর্ম মূলতঃ দুইভাগে বিভক্তঃ হব্য আর কব্য৷ দেবতার পূজা-আর্চা হব্য আর পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ বা তর্পন হলো কব্য৷ মহালয়া এই কব্য পর্যায়ভুক্ত৷ কারণ এই বিশেষ দিনটিতে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পন করার রীতি আছে৷ সংস্কার অনুযায়ী ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা প্রতিপদ থেকে আশ্বিনের অমাবস্যা পর্যন্ত প্রেতলোক থেকে পিতৃপুরুষের আত্মনারা মর্ত্যে আগমন করেন প্রিয়জনদের মায়ার টানে৷ মহালয়ার দিনটিতেই সেই সব আত্মাদের উপস্থিতি ঘটে বলে মানুষের বিশ্বাস৷ ঐ দিনই তর্পণাদির দ্বারা তাঁদের পরিতুষ্ট করা হয়৷ মহালয়া হচ্ছে মহ (আনন্দ) ময় আলয়৷ পিতৃপুরুষের আগমনে সেদিন গৃহ আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে৷ মহালয়া মূলতঃ পিতৃপুরুষেরই পূজা৷

দুর্গা পূজার ইতিহাস

রামচন্দ্র নাকি দুর্গাপূজা করেছিলেন--- তোমরা এ ধরণের একটা গল্পও শুণেছ বোধ হয়--- এটার প্রাসঙ্গিকতা কী, সেটা বলি৷ সে সম্বন্ধে বলতে গেলে আগে রামায়ণের কথা বলতে হয়৷ রামায়ণের গল্প ভারত,মালয়েশিয়া আর ইন্দোনেশিয়ার মানুষদের মুখে মুখে চলছে ..দু/চার হাজার বছর নয়, আজ অনেক হাজার বছর ধরে৷ তবে এই রামায়ণকে লিখিত রূপ প্রথম দিয়েছিলেন মহর্ষি বাল্মীকি৷ এই লিখিত রূপ যখন তিনি দিয়েছিলেন সেটা শিবের যুগের* অনেক পরে, বুদ্ধের যুগেরও পরে৷ তার দু’টো প্রমাণ আমাদের হাত রয়েছে৷ তার একটা প্রমাণ হচ্ছে,কোন্‌ বইটা কত পুরোনো সেটা তার ভাষা দেখে বোঝা যায়৷  ভাষাটা পুরোণো , তা হলে বইটাও পুরোণো৷ ভাষাটা নোতুন, তো বইটাও নোতুন৷ যা রামায়ণ