March 2024

সর্বনেশে মোবাইল!

মোবাইল! হাতের মুঠোয় কয়েক ইঞ্চির একটি যন্ত্র, কেউ কেউ বাংলা নামে ডাকে মুঠো ফোন৷ এই মুঠোর মধ্যে আজ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড৷ চুষি কাঠি মুখে দিয়ে ছেলে ভোলানোর দিন আগেই চলে গেছে৷ রঙ বেরঙের খেলনা, দোলনা সে দিনও শেষের পথে৷ কর্মরতা মা দুধের শিশুকে ভুলিয়ে রাখতে হাতে তুলে দিচ্ছে এই মুঠো ফোন৷ তার মারাত্মক পরিণতির শিকার আজ শিশু, বালক, কিশোর, যুবক সবাই৷ এই মুঠো ফোনের দৌলতে ছল চাতুরীর কালো ফাঁদে পড়ছে অনেকেই৷ আণবিক বোমা যত শক্তিই বিস্তার করুক তার পরিধি সীমাবদ্ধ৷ কিন্তু মুঠো ফোন! সীমানা ছাড়িয়ে....৷

আনন্দমার্গের সেমিনার্

গত ৯,১০ ও ১১ই ফেব্রুয়ারী উঃ ২৪পরগণার, বনগাঁ ও অসমের হোজাই আনন্দমার্গ আশ্রমে আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ তিনদিনের এই আলোচনা সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল --- আদর্শ মানুষের জীবনচর্চা কেমন হওয়া উচিত, বুদ্ধির মুক্তি, প্রত্যাহার যোগ ও পরমাগতি, পাপস্য কারণত্রয়ম্‌৷ বনগাঁর আলোচনা সভায় মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত, সহযোগিতায় ছিলেন আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত৷

পাপশক্তির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে নীলকন্ঠ হলেন আনন্দমূর্ত্তিজী - আনন্দমার্গের অত্যুৎকৃষ্ট আদর্শ অনির্বাণ

১৯৭৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী তারিখে পাপশক্তির ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আধ্যাত্মিক শক্তিবলে মারাত্মক বিষকে আত্মস্থ করেছিলেন৷ পৌরানিক কাহিনী অনুসারে সমুদ্রোত্থিত মারাত্মক বিষকে শিব কন্ঠে ধারণ করে ওই মারাত্মক বিষের বিষক্রিয়াকে ব্যর্থ করে’ ‘নীলকন্ঠ’ রূপে পরিচিত হয়েছিলেন৷ তেমনি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী হত্যা করার জন্যে বিহারের পটনা বাঁকীপুর সেন্ট্রাল জেলে তাঁর প্রতি প্রয়োগ করা বিষের মারাত্মক বিষক্রিয়াকে আধ্যাত্মিক শক্তি বলে ব্যর্থ করে দিয়েছিলেন৷ পরাজিত হয়েছিল পাপশক্তি৷ প্রমাণ করেছিলেন অত্যুৎকৃষ্ট আদর্শের অনির্বাণ দীপশিখা আনন্দমার্গকে ধবংস করা যাবে না৷ সারাবিশ্বের আনন

অর্থমন্ত্রীর দাবী অসার---বলছে আর বি আই এর তথ্য

লোকসভার বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী দাবী করেছিলেন--- তাঁর সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন৷ এ কৃতিত্ত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের৷ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বড় গলায় বলেছিলেন দেশে এখন মূল্যবৃদ্ধি নেই৷

স্বাধীন ভারতে বাংলাভাষার মর্যাদা ফিরে পেতে চাই আর একটা ২১শে ফেব্রুয়ারী

পথিক বর

আর ক’দিন পরেই ২১শে ফেব্রুয়ারী৷ ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’! না, আমরা ভুলতে পারি না৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবস৷ মাতৃভাষা মাতৃদুগ্দের মতো৷ মাতৃভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা৷ আমরা ভুলতে পারি না, ১৯৫২ সালের ২১ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশে ডাকার (ঢাকা) রাজপথে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার জন্যে ৫জন শহীদ হয়েছিলেন ও ১৭জন আহত হয়েছিলেন৷ এরপর ১৯৬১ সালের ১৯শে মে তেও অসমের শিলচরে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলনে ১১ জন শহীদ হয়েছিলেন৷

জিদ্ চাই

আগে বলেছিলুম, ভালো কাজের জন্যে জিদ্ চাই৷ তাই সাধকের মনে জিদ্ থাকা দরকার৷ শাস্ত্রে আছে, পার্বতী শিবকে জিজ্ঞাসা করলেন, কে এই সংসারে উন্নতি করে, কী তার রহস্য দেখতে পাচ্ছি, কেউ বড় বড় কাজ করে জীবনে মহান হয়, কেউ বা শুয়ে বসেই থাকে চিরকাল৷ কেউ কেউ তো কলুর বলদ হয়েই থেকে যায়, আবার কারো কারো উন্নতি হয়৷ কেউ অনেক পড়েও খারাপ ফল করে, কেউ বা অল্প পড়েও ভাল ফল করে৷ এই সমস্ত কিছুর পিছনে রহস্য কী

উত্তরে শিব বললেন,

‘‘ফলিষ্যতীতি বিশ্বাসঃ সিদ্ধের্প্রথমলক্ষণ৷

দ্বিতীয়ং শ্রদ্ধয়া যুক্তং তৃতীয়ং গুরুপূজনম্৷৷

চতুর্থো সমতাভাবঃ পঞ্চমেন্দ্রিয়নিগ্রহ৷

অর্থনীতিতে গতিতত্ত্ব

এই মহাবিশ্বে চলমানতা মাত্রই সংকোচ–বিকাশী৷ জগতের কোনো কিছুই সরলরেখা ধরে’ চলে না৷ সংকোচ–বিকাশী গতিধারার জন্যেই প্রতিটি সত্তায় আভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ ও সমিতি সংঘটিত হয়ে চলেছে৷ এই সংকোচ–বিকাশী নীতির ফলেই সামাজিক–র্থনৈতিক জীবনের বিভিন্ন পর্বে (অধ্যায়ে/যুগে) ঘটে চলেছে উত্থান ও পতন৷ গতিধারার সংকোচন বা বিরতির স্তরটা যদি বেশী দীর্ঘায়ত হয়, তবে সমাজকেও প্রলম্বিত এক গতিহীনতার স্তর অতিক্রম করে’ এগোতো হয়৷ এক্ষেত্রে এমনও ঘটতে পারে যে, সমাজ তার গতিশীলতা একেবারেই খুইয়ে ফেলেছে, বা তার মৃত্যু ঘটেছে৷ বিরতির স্তরে যদি সমাজের অভ্যন্তরে গতিশক্তির অভাব ঘটে, তবে পরবর্ত্তী স্তরে তার স্বাভাবিক গতিধারা ক্রিয়াশীল নাও হতে পা

২১শে ফেব্রুয়ারী সমাজ আন্দোলনের প্রেরণা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

২১শে ফেব্রুয়ারী বাঙলা ও বাঙালীর গৌরব৷ ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ওপার বাঙলার বিশেষ করে ছাত্র, যুবসমাজ সমস্ত প্রকারের সংকীর্ণতার ঊধের্ব উঠে মাতৃভাষা বাংলার প্রতি ভালবাসার টানে যেভাবে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রের মত উত্তাল হয়ে উঠেছিল ও সমস্ত গোঁড়া ধর্মমত ও সাম্প্রদায়িকতার সমস্ত প্রাচীরকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল, ইতিহাসে তার তুলনা নেই৷ যুবজাগরণ সম্পর্কে কাজী নজরুল বলেছিলেন---

‘এই যৌবন জলতরঙ্গ রুধিবে কি দিয়া বালির বাঁধ

কে রোধিবে এই জোয়ারের জল গগনে যখন উঠেছে চাঁদ৷’

পশ্চিম বাংলার পূর্ণাঙ্গ বাজেট (ব্যয়মাত্রিকা) চমকপ্রদ হলেও স্থায়ী কোন আর্থিক সমস্যার সমাধান হবে না

প্রভাত খাঁ

সরকার চালাতে হলে প্রতিবছরের আয় ও ব্যয়ের উল্লেখ করে একটি বাজেট রাজ্য সরকারকে বিধানসভায় পাশ করিয়ে নিতে হয়৷ এ বছর এমন সময় বাজেট পাশ করাতে হচ্ছে যখন লোকসভার নির্বাচন আসন্য৷ তাই এই সময় ভেবে চিন্তে বিরোধী দলের শাসককে রাজ্যের বাজেট পাশ করাতে হচ্ছে যাতে লোকসভার নির্বাচনে দলের প্রার্থীগণ কিছুটা সুবিধা লাভ করতে পারে সেই আশায় ভর করে৷ কারণ নির্বাচন হলো রাজনৈতিক দলের কাছে এক বড়ো বালাই অস্তিত্বের৷ তাই এই বাজেট হয়েছে এমন বাজেট যা নাকি কল্পতরু বাজেট৷ যদিও সরকার চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছেন৷ কারণ কেন্দ্রের বিরোধী বিজেপি সরকার দল স্বার্থে রাজ্যকে জনসমক্ষে হেয় প্রতিপন্ন করতেই যেন কেন্দ্রের ন্যায় সঙ্গত

মনের ওপর মাইক্রোবাইটামের প্রভাব

সমরেন্দ্রনাথ ভোৌমিক

মাইক্রোবাইটাম একটি অতি সূক্ষ্ম জীব৷ এই সমস্ত মাইক্রোবাইটামের মধ্যে যারা স্থূলতম তাদের দ্বারাই মহাকাশ হ’তে জীবপ্রাণ উৎসারিত হ’য়ে জড়ের মধ্যে প্রাণ স্পন্দন এসেছে৷ আর যে সমস্ত মাইক্রোবাইটামেরা আরও সূক্ষ্ম অর্থাৎ অতি শক্তিশালী অনুবীক্ষণ যন্ত্রেও ধরা পড়ে না, তারা দুই প্রকারের হয়৷ (এক) যে সব মাইক্রোবাইটামেরা অনুভূতিতে অর্থাৎ পঞ্চতন্মাত্রের (রূপ, রস, গন্ধ, শব্দ, স্পর্শ) মাধ্যমে কাজ করে৷ আর--- (দুই) যে সব মাইক্রোবাইটামেরা মানসিক সংবেদনে কাজ করে৷