December 2024

সমাজের সর্বস্তরে পুঁজিবাদী আগ্রাসন---প্রাউটই পরিত্রাণের পথ

পথিক বর

খাদ্যপণ্যের অগ্ণিমূল্য৷ বাজারে ঘুরছে টাস্ক ফোর্স, কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি হ্রাসের কোন লক্ষ্মণ নেই৷ দুর্গাপূজার পর থেকে খাদ্যপণ্যের দাম কমবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল টাস্কফোর্স দুর্গাপূজার পর জগদ্ধাত্রী পূজাও পার৷ দাম কমার সেরকম কোন লক্ষ্মণ নেই৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যেভাবে খাদ্যপণ্যের দাম না কমার কথা ঘোষণা করে তাতে মুনাফাবাজরা আরও সুবিধা পেয়ে যায়৷

এক দেশ এক নির্বাচন —যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানবে

পত্রিকা প্রিতিনিধি

-- আগামী লোকসভা অধিবেশনেই এক দেশ এক নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে৷ হিন্দুত্বের ধবজাধারীরা হয়তো ভাবছেন---একবার একদেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে পারলে হিন্দু রাষ্ট্র ঘটনে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া যাবে৷ বাস্তবে কিন্তু বিপরীতটাও হতে পারে৷ প্রবীণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---সরকারের ভিমরতি ধরেছে৷ দেশের সামনে অনেক সমস্যা---খাদ্যপণ্যের বাজারদর গৃহস্থের নাগালের বাইরে৷ আর্থিক সংস্থাগুলি জানাচ্ছে বিশেষ করে শহর ও শহরতলিতে খাদ্যপণের বিক্রি কমেছে৷ এরসঙ্গে রয়েছে নেট দুনিয়ার প্রভাবে সামাজিক অবক্ষয়, ছাত্র-যুব সমাজ বিপথগামী, দেশ দুর্নীতিতে ভরে গেছে, সরকারের এসব নিয়ে কোন চিন্তা

(১০) বৈদিক ‘ণজ্‌’ ধাতু ও লৌকিক সংস্কৃতে ‘নজ্‌’ ধাতুর অর্থ হ’ল লজ্জা পাওয়া৷ ‘নজ’ ধাতু+ ‘ক্ত’ প্রত্যয় করে আমরা ‘নক্ত’ শব্দটি পাচ্ছি৷ ‘জ’ তালব্য বর্ণ৷ তাই তার সঙ্গে দন্ত্য বর্গীয় ‘ত’ এর সংযুক্তি হয় না--- ‘ক’ বর্গের প্রথম অক্ষর ‘ক’ এর সঙ্গে সংযুক্তি হয়৷ তাই চ বর্গের স্থানে ‘ক’ বর্গের ‘ক’ ব্যবহার করে ‘নক্ত’ শব্দটি পেলুম৷ দিন যেখানে লজ্জা পেয়েছে এই অর্থে ‘নক্ত’ শব্দের মানে হচ্ছে ‘রাত্রি’৷ লজ্জা পেলে মানুষ আঁচলের খুঁট দিয়ে অথবা বস্ত্র খণ্ড দিয়ে অথবা রুমাল দিয়ে মুখ ঢাকে৷ তাই নত্ত+ ক = নক্তক, মানে বস্ত্র খণ্ড বা রুমাল (শব্দটি ফার্সী রুমাল/রোমাল দুই ৰানানই শুদ্ধ)৷ রুমাল অর্থে ‘নক্তক’ শব্দটি অনায়াসেই

ভৌতিক–‘ভুত’

ভৌতিক–‘ভুত’ (ghost) সংক্রান্ত অর্থে ‘ভৌতিক’ শব্দ ব্যবহার না হওয়াই বাঞ্ছনীয়৷ বাংলায় যাকে ভুত বলি তার সংস্কৃত হচ্ছে ‘প্রেত’৷ প্রেত থেকে ‘প্রৈতিক’ শব্দ আসতে পারে যদিও তার ব্যবহার খুবই সীমিত৷ ন্ধড়প্সব্দব্ধ অর্থে ‘ভুত’ শব্দটা যদি রাখতেই হয় তাহলে তার বিশেষণ হোক ‘ভুতুড়ে’–ভৌতিক নয়৷ সংস্কৃত ‘ভূত’ শব্দের ‘ঠ’ ক্ বা ‘ষ্ণিক্’ প্রতয়্যান্ত বিশেষণ ভৌতিক’ (Physical)৷

মুদ্রাঙ্কিত/মুদ্রিত

ছাপ মারার ফারসী হচ্ছে ‘মোহর’, সংস্কৃতে ‘মুদ্রাঙ্কন’৷ ৰই ছাপানোটাও কাগজে ছাপ মারা৷ তাই ৰই ছাপানোকেও ৰলতে হবে ‘মুদ্রাঙ্কন’, বা পুস্তক ‘মুদ্রাঙ্কিত’ হয়েছে৷ সংস্কৃত ‘মুদ্রিত’ মানে ‘মোদা’ বা ৰোজা বা ‘ৰন্ধ করা’৷ পুস্তক ‘মুদ্রিত হয়েছে’ মানে ৰইটাকে ৰন্ধ করা হয়েছে৷ অনেক ৰইয়েতে লেখা থাকে–‘‘অমুক প্রেস থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত৷’’ এরূপ না লেখাই উচিত৷ লেখা উচিত ‘‘অমুক প্রেস থেকে মুদ্রাঙ্কিত ও প্রকাশিত’’৷

সরব/সোচ্চার

আজকাল বহু শিক্ষিত মানুষও ‘সরব’ (vocal) ৰোঝাতে গিয়ে ‘সোচ্চার’ কথাটা প্রায়শঃ লিখে থাকেন বা ৰলে থাকেন৷ শব্দটা আগাপাস্তলা ভুল৷ উচ্চারূণ > ঔচ্চার৷ ‘উচ্চার’ মানে ‘বিষ্ঠা’৷ ‘ঔচ্চার’ মানে ‘বিষ্ঠা সম্বন্ধীয়’৷ উচ্চারেণ সহ ইত্যর্থে ‘সোচ্চার’ (তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস) যার মানে হচ্ছে যিনি মলত্যাগ করেছেন কিন্তু এখনও জলশৌচ করেননি৷ মলত্যাগকালে কোঁথ দেওয়াকেও ‘উচ্চার’ ৰলা হয়৷ অতএব ‘সোচ্চার’ শব্দের আরেকটি মানে হ’ল যে মলত্যাগ করবার জন্যে কোঁথ দিচ্ছে৷ কেবল সংস্কৃত বা ৰাংলা ব্যাকরণেই নয়, ৰাংলা ভাষায় অন্য ভাষার যে সব শব্দ আছে সেগুলো একটু মানে ৰুঝে ব্যবহার করলে ভাল হয়৷

ও, আর/এবং

সংযোজক ‘ও’–এর পরিবর্ত্তে অনেকে প্রায়শঃ ‘এবং’ শব্দটির ব্যবহার করে থাকেন৷ কিন্তু ‘এবং’ মানে ‘ও’ নয়৷ ‘এবং’ বাংলা শব্দও নয় এটি একটি সংস্কৃত শব্দ, যার মানে ‘এইভাবে’, ‘এইরকমে’৷ যেমন, ‘এবং কুরু’ মানে এইভাবে করো৷ সুতরাং ‘ও’–র পরিবর্ত্তে ‘এবং’ প্রয়োগ করলে চলৰে না৷ পরিবর্ত্তে ‘ও’ বা ‘আর’ লিখলেই ভাল হয়৷

অসংস্কৃতি

‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ ক্তিন্ ঞ্চ সংস্কৃতি যার মানে যা মানুষকে সূক্ষ্মত্বের দিকে, রুচিবোধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়) মানেই ‘কৃতি’–র উন্নতাবস্থায় অধিরোহণ৷ ‘অপ’ মানে অবনত অবস্থা৷ একসঙ্গে দু’টো চলবে কি করে! এ সোণার পাথর বাটি হয়ে গেল যে! আবার ‘অপকৃতি’–র মানে ‘কুকার্য’ও হয়৷ তাই সংস্কৃতির বিপরীত শব্দ হিসেবে বরং ‘অসংস্কৃতি’ শব্দটা চলতে পারে৷ কেননা ‘সম্’ উপসর্গ সাধারণতঃ ভাল বা শুভ অর্থে প্রযোজ্য হয়৷ তাই ‘অপসংস্কৃতি’ শব্দটি অশুদ্ধ৷

অভিজাত/সম্ভ্রান্ত

অনেকে বনেদি বা অভিজাত অর্থে ‘সম্ভ্রান্ত’ শব্দটি প্রয়োগ করে থাকেন৷ আসলে ‘সম্ভ্রান্ত’ মানে ‘সম্যক রূপে ভ্রান্ত’৷ মানে, যে বড় রকমের ভুল করে ফেলেছে৷ তাই অভিজাত অর্থে ‘সম্ভ্রান্ত’ শব্দের ব্যবহার রহিত হওয়া বাঞ্ছনীয়৷