প্রবন্ধ

গরমে রোগ–ব্যাধি ও নানা সমস্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি

বসন্ত ঋতু বিদায় নিয়ে এই বাংলায় গ্রীষ্ম আসছে৷ গ্রীষ্মকাল মানেই গরমকাল৷ গরমে শারীরিক অস্বস্তি ও নানান রোগ–ব্যাধি দেখা দেয়৷ বলতে গেলে ছয় ঋতুর প্রভাব এই পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায়৷ আর প্রতিটি ঋতুর আগমনই আমাদের কাছে আনন্দদায়ক৷ তবে প্রতিটি ঋতুর মত গ্রীষ্মেরও ভাল ও মন্দ দু’দিক রয়েছে৷ একটু সচেতন থাকলে গ্রীষ্মের এই মন্দ অর্থাৎ রোগ–ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে চিকিৎসকদের অভিমত৷ এই গরমে চলতে ফিরতে সকলের অসুবিধা হয় ও আমরা সবাই কম বেশী শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি৷ সময়মত সচেতন না হলে অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সাধারণত অতিরিক্ত গরমে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলির কারণ ও প্রতি

পাহাড়ী গ্রামে শিশুপুষ্টিতে স্বনির্ভরতার পরিকল্পনা

পত্রিকা প্রতিনিধি

মিজোরামের লাওগতলাই জেলার জেলাশাসক শাশাঙ্খা আলার উদ্যোগে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন প্রত্যন্ত পাহাড়ী গ্রামের বিদ্যালয়ে দরিদ্র শিশু পুষ্টি রক্ষায় এক অভিনব প্রচেষ্টা ‘পুষ্টি উদ্যান’ নির্মাণ এক অন্যতম পদক্ষেপ৷ এখানকার বিদ্যালয়গুমলিতে জেলাশাসকের প্রচেষ্টায় এমনভাবে পুষ্টি উদ্যান প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে বিদ্যালয়ের নৈমিত্তিক কার্যক্রমে সপ্তাহে এক ঘণ্টা করে সময় বরাদ্দ করে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রাদের বাগানের কাজের জন্য সময় রেখেছেন৷ তাতে শিশুরা নিজেরাই এই ‘পুষ্টি উদ্যান’-এর মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় আনাজপাতি, নানারকম ফল ফলাতে সক্ষম হবে৷  এতে সুবিধে হ’ল বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকলেও এইসব পাহাড়ী বিদ্যালয়গুল

ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রাবণী পূর্ণিমার গুরুত্ব

বিশেষ প্রতিনিধি

মানব ইতিহাসে শ্রাবণী পূর্ণিমার একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে, এই তাৎপর্যকে অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করতে পারলে সমস্ত মানব সমাজের কল্যাণ৷

দেশের হাল দেখেই বোঝা যায় বুদ্ধির বহর, তাই বুদ্ধির লড়াইটা আর যেন না বাড়ে

মুশাফির

দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী এবার সরব হয়েছেন৷ তারই প্রমাণ পাওয়া গেল দুটি চিঠির মাধ্যমে৷ একটি চিঠি দেওয়া হয় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে৷ যার শিরোণাম---‘রাম ভজনার জেরে দেশে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ তৈরী হয়েছে৷’ ৪৯ জন বুদ্ধিজীবীর স্বাক্ষর করা এই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়৷ এই চিঠির প্রত্যুত্তর দিতে আর একটি খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়৷ এতে স্বাক্ষর ছিল ৬১ জন বুদ্ধিজীবীর৷ গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিকগণ যে কোন বিষয়ে তাদের মতামত দিতেই পারেন৷ এ ব্যাপারে বুদ্ধিজীবীদেরই এগিয়ে আসতে হয়৷ সাধারণ মানুষ বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকাতেই পরিস্থিতিটা বুঝতে চেষ্টা করে৷ কিন্তু এখানে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকাতেই জনগণ ব

শ্রাবণী পূর্ণিমা–নবযুগের পথে বিশ্বমানবের যাত্রা শুরু

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সব কাজেরই শুরুর আগে একটা শুরু আছে৷ যাকে বলে আয়োজন৷ কবির কথায় সন্ধ্যাবেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালার আগে সকাল বেলায় শলতে পাকিয়ে রাখতে হয়৷ প্রদীপ জ্বালার আয়োজন তখন থেকেই৷ ১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারী বিহারের ছোট্ট শহর জামালপুরে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দমার্গ নামের যে দীপশিখাটি জ্বালিয়েছিলেন তারও আয়োজন শুরু হয়েছিল আরও ১৬ বছর আগে ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমাতে৷ বস্তুতঃ আনন্দমার্গের যাত্রা শুরু ওই দিন থেকেই৷ সেইসঙ্গে বিশ্বমানবেরও নবযুগের পথে যাত্রার সূচনা হয়৷

মানুষের অর্বাচীন আচরণে বিপন্ন মৎসকুল

সংবাদ প্রতিবেদন

মানব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মৎসকুল৷ কারণ আর কিছুই নয়, মানুষের দুর্বুদ্ধি! নাকি বদবুদ্ধি? হাসপাতালের আবর্জনা নোংরা জল সবকিছু মিশছে নদীতে গিয়ে৷ নদীগুলোর জলকে দূষিত করছে এইসব আবর্জনা ও হাসপাতালের জীবাণুবাহিত জল৷ সরকার ও  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কারো কোন মাথাব্যথা নেই এ নিয়ে৷ জলে তো শুধু মাছই থাকে না৷ মানুষও নানা কাজে ওই জল ব্যবহার করে আর সেই জল দূষিত করছে অজ্ঞ সাধারণ মানুষ নয়, মানুষকে সুস্থ রাখার দায়-দায়িত্ব যাদের তারাই৷

কর্ণাটকে পুনরায় ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী ঘোড়ার পিঠে চড়ে এক পঙ্গু সরকার

প্রভাত খাঁ

কর্ণাটকে ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতি আপাততঃ শেষ৷ ভারতের গণতন্ত্রকে এক ভয়ঙ্কর নক্কারজনক পরিহাসে পরিণত করেছে ঘোড়া কেনা-বেচার রাজনীতি৷ দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্য বর্তমানে এই নক্কারজনক রাজনীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে৷ কুমারস্বামী জোট সরকারের কংগ্রেসের ১৩ জন বিধায়ক ও জে.ডি.এস.-এর তিন বিধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগ করেন৷ একজন অবশ্য পরে পদত্যাগ প্রত্যাহার করে নেন৷

মানবিক-অমানবিক

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

জীবন পথে চলতে গিয়ে আমরা কিছু ঘটনার সম্মুখীন হই বা কোন কোন ঘটনার সংবাদ জানতে পারি যা আমাদের মানবিক চেতনার গভীরে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়ে যায়৷ এগুলোরই একটি মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া ব্লকের চোঁয়া গ্রামের ঘটনা৷ এই গ্রামেরই পুরুত মশাই শ্রী সুভাষ রায়চৌধুরী গ্রামে গ্রামে পূজা পাঠ, পৈতে, বিয়ে, শ্রাদ্ধ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে যজমানি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন৷ কয়েক মাস আগে তিনি অসহায় এক স্বামী পরিত্যক্তা ও নিগৃহীতা মুসলিম মহিলা, সখিনা বিবিকে দুটি নাবালক পুত্র-কন্যা সহ নিরাশ্রয় অবস্থায় দেখে দয়া পরবশ হয়ে তাঁর বাসভবনে ঠাঁই দিয়েছিলেন৷ সুভাষবাবুর স্ত্রী ও কন্যা তাঁর এই মানবিক আচরণের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন৷

অগ্ণিযুগের কথা

পথিক বর

১৯৩০ সাল, অগ্ণিযুগের বাংলা৷ আজকের মত রাজনীতি মানে বিনে পয়সার মূলধনে করে খাওয়ার উপায় নয়৷ আজ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছাত্র-যুব-তরুণদের সঙ্গে সেদিনের স্বাধীনতার জন্যে উৎসর্গীকৃত রক্তের অক্ষরে শপথ নেওয়া বিপ্লবী তরুণবৃন্দের তুলনা চলে না৷ আজ রাজনীতি মানে স্বার্থের সংঘাত, সীমাহীন লোভ-লালসা চরিতার্থ করার মঞ্চ৷ আর সেদিন দেশমাতৃকার চরণে---‘আগে কে বা প্রাণ করিবেক দান তারই লাগি কাড়াকাড়ি৷’

প্রাউটের স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈসামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক অর্থনৈসামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চলে (socio-economic unit)— বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা (possibility)