প্রবন্ধ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রসঙ্গে ভিন্ন চিন্তা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বিশ্ব পরিবেশ দিবস---কাজটা অবশ্যই মহৎ৷ কিন্তু উদ্দেশ্য কতটা মহৎ সেটাও ভেবে দেখার বিষয়৷ এত দিবস পালনের হুড়োহুড়ি---পরিবেশ দিবস, মাতৃদিবস, পিতৃদিবস......দিবসের ছড়াছড়ি৷ সত্যি বলতে কী নানা দিবস পালনের উদ্দেশ্য ও মাহাত্ম্য বোঝাতে যে সব যুক্তির অবতারণা করা হয় তাকে অস্বীকার করার উপায় নেই৷ পৃথিবীর পরিবেশ দিন দিন মনুষ্যবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে৷ একথা কে অস্বীকার করবে? তাই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মানুষকে পরিবেশ সম্পর্কে সতেচন করতে, যে কর্মযজ্ঞ সেটা কয়েকটা গাছ লাগিয়েই কি শেষ হয়?

সুস্থ শরীর সুস্থমন নেশামুক্ত আদর্শ জীবন

আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত

বর্তমান যুগটা হ’ল হাইটেক যুগ এই হাইটেক যুগেও আমাদের সমাজ সংসার আজ হাজারো সমস্যার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। ব্যষ্টি তথা সমষ্টি জীবন সর্বত্রই চলছে চরম অরাজকতা–চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। এক ভয়ঙ্কর জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে চলছি ধীরে ধীরে হয়তো ধংসেরই দিকে....

রক্ত  মাখা পায়ে

সুকুমার সরকার

২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ ষোড়শ লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি মঠ-মন্দিরে প্রণাম করে ভোটার লড়াইয়ে নেমেছিলেন৷ জয়ী হয়ে সংসদের সিঁড়িতে মাথা ঠুকে সংসদে  প্রবেশ করেছিলেন পাঁচ বছরের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতির বোঝা মাথায় নিয়ে৷ সেই প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ নরেন্দ্র  দামোদর দাস  মোদি  দেখলেন চারিদিকে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছে!

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ও আনন্দমার্গ

সত্যসন্ধ দেব

আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পিতৃপ্রদত্ত নাম শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ পিতার নাম শ্রীলক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ও মাতার নাম শ্রীমতী আভারাণী সরকার৷ ১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে সকাল ৬টা ৭মিনিটে বিহারের মুঙ্গের জেলার অন্তর্গত জামালপুর শহরে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন জন্মগ্রহণ করেন৷ অবশ্য তাঁর পৈত্রিক বাসভূমি ছিল বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রামে৷ বর্ধমান শহর থেকে মাইল সাতেক দক্ষিণ–পূর্বে ও বর্ধমান–হাওড়া রেলপথের শক্তিগড় রেলষ্টেশনের মাইল তিনেক পশ্চিমে এই বামুনপাড়া গ্রাম৷ শ্রীপ্রভাতরঞ্জনের পিতৃদেব শ্রীলক্ষ্মীনারায়ণ সরকার জামালপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপে অ্যাকাউণ্ঢ্যান্ট হিসেবে চাকুরিতে যোগদান

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন ঃ একটি সমীক্ষা

প্রভাত খাঁ

ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে ১৯শে মে আর গণনা হয় ২৩শে মে৷ ২৪শে মে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়৷ এই ফলাফলে এন.ডি.এ জোট পেয়েছে ৩৫৩টি আসন৷ ৩০৩টি আসন পেয়ে বিজেপি দল এককভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে ভারতের শাসন ক্ষমতার  অধিকার লাভ করেছে৷ অপরদিকে ইউ.পি.এ. ৯২টি আসন পেয়েছে৷ কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছে ৫২টি আসন, বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে গেলে এক দশমাংশ অর্থাৎ ৫৪টি আসনের প্রয়োজন ছিল৷ সেটা হয়নি৷  তাই কংগ্রেস আপন শক্তিবলে বিরোধী দলের মর্যাদা পাচ্ছে না ও অন্যান্য দলের মোট আসন ৯৭ টি৷

ইতিহাসের  পুনরাবৃত্তি  নয়, নব ইতিহাস  তৈরীর  চৌকাঠে  দাঁড়িয়ে বাঙালী

মনোজ দেব

৪৬-এর দাঙ্গা, আজও দগদগে  ঘা বাঙালীর বুকে৷ মাতৃভূমির  বুকচিরে স্বাধীনতা---তাতেও কি পেল বাঙালী?

প্রাউটের নব্যমানবতার পথ ধরে কল্যাণধর্মী বিশ্বরাষ্ট্র গড়ে উঠুক

প্রভাত খাঁ

আজ সমস্যাসংকূল পৃথিবীর বুকে সকল সমস্যা সমাধানের যে পথটি অনুসরণ করা ও তাকে স্মরণ করে চলার বিশেষ প্রয়োজন হয়েছে, তা হ’ল মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সর্বানুসূ্যত দর্শনের পথ৷ তিনি বলেছেন, ‘সংগচ্ছধবং’ মন্ত্র নিয়ে এক সঙ্গে চলাই হ’ল ধর্ম৷ এক সঙ্গে চলতে হলে সংঘবদ্ধভাবে চলতে হবে৷  মানুষ কুসংস্কার, অজ্ঞানতাবশতঃ, ধর্মান্ধতা জাত-পাতের ভিত্তিতে টুকরো টুকরো হয়ে বিরোধ করছে৷ সেই সব বন্ধ করে এক হয়ে কৃষ্টি, ভাষা, সংস্কৃতির ঐক্যসূত্রে একত্রিত হয়ে সকল প্রকার শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷ প্রথমেই মনে রাখতে হবে আমরা সকলেই মানুষ৷ আপেক্ষিক জগতে বৈচিত্র্যের মধ্যে যে ঐক্য বিদ্যমান সেটা হ’ল মানবিক মূল্যবোধ৷

বাঙালী! আর কত সইবে?

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বাঙালীর ইতিহাসে যে সকল প্রাতঃস্মরণীয় মনীষী তাঁদের জ্ঞান, কর্ম, তেজস্বিতা,ত্যাগ, সাধনা  ও বৈদগ্দের দ্বারা মানুষের মনের অন্ধকার দূর করে  চেতনাকে আলোকদীপ্ত করেছেন তাদের মধ্যে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অন্যতম৷ তাঁর বর্ণপরিচয় আজও বাঙালীর প্রথম পাঠ্যপুস্তক৷ সাধারণ মানুষের শিক্ষা, বিশেষতঃ নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান ভারতবর্ষের শিক্ষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃত৷  তৎকালীন হিন্দু সমাজের কৌলীন্যপ্রথার দাপটে বিধবা নারীদের জীবনে যে দুর্বিসহ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল তার থেকে পরিত্রাণের জন্যে  বিদ্যাসাগর মহাশয়ের  অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় ‘‘বিধবা বিবাহ আইন’’ প্রবর্তন  এ

স্বর্ণোজ্জ্বল সুপ্রভাতের আশায়

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পৃথিবীতে মানুষ এসেছে দশ লক্ষ বছর হয়ে গেল৷ তার সভ্যতার বয়সও পনেরো হাজার বছর পার হয়ে গেল৷ জড়বিজ্ঞানও আজ উন্নতির চরম শিখরে৷ পর্বতকন্দর, অন্ধকারময় অরণ্যের পর্ণকুটির ছেড়ে মানুষ আজ আলো ঝলমল শহরের সুরম্য অট্টালিকার বাসিন্দা৷ তবুও আজও একটা সুসন্নিবদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠল না৷ বলা উচিত মানুষ গড়ে তুলতে পারল না৷ এটা আজকের মানুষের বুদ্ধি ও বোধির পক্ষে  খুব একটা গৌরবের নয়৷

মহর্ষি কপিল থেকে মনীষী কার্লমার্কস পৃথিবীতে অনেক দার্শনিক এসেছেন অনেক, দর্শনও দিয়েছেন, জীবন ও জগৎ নিয়ে মনীষাদীপ্ত চিন্তাভাবনার ছাপও আছে তাঁদের দর্শনে৷ তবু আদর্শ সমাজ গঠনের বলিষ্ঠ পথনির্দেশনা তাঁদের দর্শনে পাওয়া যায়নি৷

পাতিনেবুর উপকারিতা

  1. দু’ চা চামচ নেবুর রস দু’ চা চামচ আদার রস মিশিয়ে তাতে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে বদহজমজনিত সব রকমের পেট ব্যথা সারে৷
  2. শোওয়ার সময় গরম জলে নেবুর রস খেলে সর্দি সারে৷ কিছুদিন ধরে এইভাবে খেলে পুরোনো সর্দিও সেরে যায়৷
  3. অল্প নেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চেটে খেলে প্রবল কাসি সেরে যায়৷ হাঁপানির আক্রমণও তৎক্ষণাৎ থেমে যাওয়ায় আরাম পাওয়া যায়৷
  4. নেবুর রস আঙ্গুলে লাগিয়ে দাঁতের মাড়িতে মালিশ করলে দাঁত থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়৷
  5. নেবুর রসে মধু মিশিয়ে বাচ্চাদের চাটিয়ে দিলে বাচ্চাদের দুধ তোলা বন্ধ হয়৷
  6.  নেবুর রসে চিনি ও জল মিশিয়ে একমাস ধরে রাত্তিরে শোয়ার আগে খেলে বহু পুরনো কো