প্রবন্ধ

প্রধানমন্ত্রীজি সত্যি কথাটা বলে ফেলুন

অমলেন্দু ভূষণ দাস

গত ২১শে অক্টোবর ২০১৮ আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে লালকেল্লায় অনুষ্ঠিত জনসভায় পতাকা উত্তোলন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ভাষণ দিয়েছিলেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমার প্রবন্ধ৷ ওই জনসভায় নেহেরু পরিবারকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘একটি পরিবারকে বড় করতে গিয়েই নেতাজীর মত ব্যক্তিত্বকে ছোট করা হয়েছে৷’ খুব সত্যি কথা৷ নেতাজী ছিলেন অখণ্ড ভারতের একনিষ্ঠ সেবক অন্যদিকে ইংরেজ সরকারের বশংবদ জহরলাল নেহেরু ভারত ভাগের প্রধান কারিগর৷ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, নেতাজীর অবদানকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে তাঁর এই বক্তব্য অর্ধেকটা সত্য, বাকি অর্ধেকটা প্রধানমন্ত্রী নিজেও চেপে গেছেন৷ তিনি যদি জানেনই নেতা

কৃপা, করুণার সঙ্গে মাইক্রোবাইটামের সম্পর্ক

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

 

রমপুরুষের কৃপা ও করুণার সহিত মাইক্রোবাইটামের বিশেষ যোগ সূত্র আছে৷ আর এই বিশেষ যোগ সূত্র কোথায় তা জানতে হলে বা বুঝতে হ’লে আমাদের এই মানব দেহের চক্রগুলির অবস্থান অনুযায়ী কটি ভাগ আছে ও চক্রগুলির বৈশিষ্ট্য ও তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিতে হবে৷

বাঙালীর অস্তিত্বের সংকট

আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত

সম্প্রতি ফেব্রুয়ারী বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় বিজেপি ও আই.পি.এফ.টি জোট কম্যুনিষ্টদের পরাস্ত করে ক্ষমতায় আসে৷  আই.পি.এফ.টি আসল দাবী রাজ্য ভাগ করে পৃথক তিপ্রাল্যাণ্ড গড়া৷ রাজ্য বিধানসভায় ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৪টা আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসে৷ তার আগের নির্বাচনে বিজেপির কোন আসন ছিল না৷ তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল মাত্র ১.৫ শতাংশ৷ দীর্ঘ কম্যুনিষ্ট শাসন ও শোষন রাজ্যবাসী দমবন্ধকরা অবস্থা থেকে বাঁচতে সর্ব ভারতীয় শক্তি স্বরূপ বিজেপিকে শুধু অবলম্বন হিসাবেই গ্রহণ করেছিলেন৷ রাজ্যবাসীর সমস্যার   সার্বিক সমাধানের  লক্ষ্য তাদের কাছে তখন গৌণ ছিল৷ রাজ্যে ক্ষমতাসীন হওয়ার পূর্বশর্ত অনুসারে আই.পি.এফ.টি,-র পক্ষ থেকে ব

অবযন্ত্রণার মুশকিল আসান

আচার্য রবীশানন্দ অবধূত

বৈশ্যতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত মুকেশ আম্বানীর মেয়ের বিয়ের একটি আমন্ত্রণ পত্রের মূল্য তিন লক্ষাধিক টাকা৷ অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের চা-বাগানে, জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামে, বা ওড়িশ্যার কালাহান্ডি অথবা দণ্ডকারণ্যে বা ঝাড়খণ্ডের পালামো অথবা লোহার-দাগার দারিদ্র্য পীড়িত কত শত গ্রামে অনাহারে অপুষ্টিতে দীর্ঘদিন জ্বরে ভুগে বিনা চিকিৎসায় অসহায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে৷ আধুনিক সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে এসব ঘটনা আজ সর্বজন বিদিত৷ এই হল বৈশ্যতান্ত্রিক গণতন্ত্রের আসল রূপ৷ বৈশ্যশাসিত সমাজব্যবস্থার পরিবর্ত্তন না হওয়া পর্যন্ত তিন লক্ষ টাকার নিমন্ত্রণ পত্রও হতে থাকবে,আর অর্থ তছরূপকারী তথাকথিত শিল্পপতি বিজয় ম

নিরাপত্তার  পরিবর্ত্তে নির্যাতন ঃ এ কোন আশ্রয়?

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

 সারাদেশের প্রত্যেক রাজ্যেই সরকারী ও বেসরকারী পরিচালনায় মহিলা, শিশু, প্রতিবন্ধীদের জন্যে ‘হোম’ বা আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে, যাদের দায়িত্ব হচ্ছে আবাসিকগণের নিশ্চিন্ত আশ্রয় ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা৷ কিন্তু মাঝে মধ্যেই এই সমস্ত হোমগুলির সম্পর্কে জঘন্য ও নিন্দনীয় ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হয়৷ কয়েকদিন আগে হাওড়া জেলার জয়পুরের পারবাকসিতে অবস্থিত একটি বেসরকারী হোমের চারজন কিশোরীকে যৌননির্যাতনের অভিযোগে সেই হোমেরই তিনজন কর্মী --- কেয়ার টেকার ফণীমোহন বাগ, কর্মী প্রতাপ প্রামাণিক ও ড্রাইভার বাবলু ধাড়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ নির্যাতিতাদের মধ্যে তিনজন মানসিক প্রতিবন্ধী ও একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী৷ কয়েকদিন আগে জে

ভারত ও পাকিস্তানে গণতন্ত্রের গঙ্গা যাত্রায় ধর্মমতের গোঁড়ামির প্রাধান্য

প্রবীর সরকার

বর্ত্তমানে  ভারতে  শুধু নয়, পৃথিবীর  অনেক দেশে যেমন  পাকিস্তানে  ধর্মমতের নামে  নোংরা দলবাজি  করতে  গিয়ে  মানবতাহীন  কাজ করে বসছে পদপদে৷ কিন্তু অত্যন্ত আশার কথা, মহামান্য বিচার  বিভাগ থাকায় বিশেষ করে সর্বোচ্চ আদালত (সুপ্রিম কোর্ট)  আছে  বলে  সাধারণ  মানুষগুলো বেঁচে আছে৷ ভারতবর্ষকে  দ্বিখণ্ডিত করে যে পাকিস্তানের  জন্ম তার মূলভিত্তি হলো  হিন্দু  বিদ্বেষ৷ এই বিদ্বেষটাই  হলো পাকিস্তানের  মূল মূলধন৷ তাকে  জনমানসে দৃঢ়মূল  করতেই  ইসলাম ধর্মমতকে  বড়ো  করে দেখায়, যেটাতে  মানবাধিকার ও গণতন্ত্র অবহেলিত হয়৷  এতে    ইসলামের মহত্বটাই খাটো হয়ে যায়৷ সেটা ওই মিথ্যাচারী রাজনৈতিক  দলগুলো  বুঝেও বোঝে  না৷ তবে

স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্ণ ভেঙ্গে চুরমার!

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে যাঁরা ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক তাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লক্ষ্য ও আদর্শ সম্বন্ধে কিছু জানেন কিনা সন্দেহ রয়েছে৷ দেশ সত্যিই স্বাধীন হয়েছে কিনা--- এটাই বর্ত্তমান প্রজন্মের কাছে আজ সবচেয়ে বড়ো ধরণের প্রশ্ণ৷

৭১ বছরের ভারতের গণতন্ত্রের যা ছবি সেটা দেখে মনে হয় যেন এটা একটা তামাসা ! কোটি কোটি মানুষ আজও দারিদ্র্যসীমার নীচে৷ এদেশের গরীব নাগরিকদের তো কোন নিরাপত্তা নেই৷ ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় দেশ চলছে৷ শোষণের ওপর সমৃদ্ধির সবটুকুই স্বার্র্থন্বেষী লোভীর দল ভোগ করছে৷ শোষণ তা অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এমনকি ধর্মনৈতিক---যাই হোক না কেন সেটা বেড়েছে বই কমেনি৷

স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চল

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে (socio-economic unit) বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা •potentiality—

দণ্ডকারণ্যেও ‘বাঙালী খেদাও’?

মানস দেব

অসমের পর আন্দামান, আবার দণ্ডকারণ্যেও বাঙালীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বিষ ছড়ানোর চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হয়েছে বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিকে৷ সরকারী উদ্যোগেই বাঙালী উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল দণ্ডকারণ্য সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ৷ উদ্বাস্তু বাঙালীরাও সমস্ত বঞ্চনা দুঃখ-কষ্ট স্বীকার করে নিয়ে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের বাঁচার ব্যবস্থা করেছিলেন৷

আগামী লোকসভা নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা হয়

প্রভাত খাঁ

ভারত একটি বহুভাষাভাষীর বিরাট দেশ৷ এখানকার গণতন্ত্র আজ বিভিন্ন দলের নেতানেত্রীদের শাসনাধীনে চলছে ৷ এই গণতন্ত্রের বয়স হলো ৭১ বছর৷ আগামী ২০১৯শে লোকসভার নির্বাচন হবে ১৯ এর প্রথমদিকে৷ আমাদের রাজ্যের লোকসভার আসন ৪২ টি ৷ এই ৪২টি আসনের নির্বাচন আছে৷ এদিকে এই আসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে যে কী করবে তার কোন ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার কথা না বলে শুধু দু’দলের মধ্যে তর্জার লড়াই চলছে৷ এদিকে অন্যান্য বিরোধী দল তাদের যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে কর্মসূচী গ্রহণ করবে তার কোন চিহ্ণ দেখা যাচ্ছে না৷ কংগ্রেস শাসনে এলে কৃষিঋণ নাকি ১০ দিনে মকুব করে দেবে৷ সরকারের পক্ষ থেকে শাসকদল বলছে যে কংগ্রেস সারা দেশে বি