প্রবন্ধ

কুৎসিত  দলবাজিতে গণতন্ত্রের এমন দুর্দশা চরম লজ্জার!

প্রভাত খাঁ

বিশাল জনবহুল ভারতে যে শাসন ব্যবস্থা চলছে সেটির  যে  কি হাল সে কথা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যগুলোতে  যাঁরা শাসনে আছেন  তাঁরা  হাড়ে হাড়ে  টের পাচ্ছেন৷ ভাঁড়ে মা ভবানী৷  বলতে দ্বিধা নেই  দীর্ঘ ৭১ বছরের গণতন্ত্র যে কীভাবে চলছে  সেটা ভালোভাবে  উপলদ্ধি করছেন  কোটি কোটি  হতভাগ্য জনগণ৷  করের বোঝা, চরম দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, চরম বেকার সমস্যা, প্রশাসনিক  ব্যর্থতার কারণে৷ এটা আত্ম অভিমানী কেন্দ্র ও রাজ্য গুলো মানতে চাননা৷  কারণটা হলো তাঁদের  মারাত্মক  অহংবোধ যেটা  সর্বনাশ  নামিয়ে  এনেছে সমগ্র রাষ্ট্রে৷

শতাব্দীরপৈশাচিকতম্ ঘটনা

সত্যসন্ধ দেব

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল৷ তখন সবেমাত্র আকাশ আলো করে পূর্ব দিগন্তে উঁকি দিচ্ছে সূর্য, আনন্দমার্গের আসা–যাওয়ার পথের ধারে ওৎ পেতে বসেছিল সিপিএমের হিংস্র হার্মাদ বাহিনী, ঠিক যেন হিংস্র হায়নার দল৷ আনন্দমার্গের বেশ কিছু সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী কয়েকটি ট্যাক্সিতে করে হাওড়া থেকে তিলজলা আশ্রমে যাচ্ছিলেন৷ বণ্ডেল গেট ও বালিগঞ্জের বিজন সেতু দিয়েই তিলজলা আশ্রমে যাওয়ার রাস্তা৷ ওই এলাকায় যেই ট্যাক্সিগুলো পৌঁছলো অমনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্যাক্সি থেকে এক এক করে সন্ন্যাসীদের টেনে হিঁচড়ে বের করে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে, ছোরা দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে, গায়ে এ্যাসিড ও পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মেরেছিল ১৭ জন সন্ন্যাসী–সন্ন্যাস

প্রাউট ও আনন্দপূর্ণিমা 

সুকুমার সরকার

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগররাষ্ট্রের অবসানের  পর আজ বড় বড় রাষ্ট্র, দেশ, মহাদেশের সৃষ্টি হয়েছে৷ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠীগোত্রের অবসানের  পর আজ বড় বড় রিলিজিয়নের সৃষ্টি হয়েছে৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত ‘এক পৃথিবী’  ‘এক মানবধর্ম’ ‘এক মানবসমাজ’ -এর ধারণা গড়ে উঠেনি৷ ফলে পৃথিবী নামক গ্রহে  মানব প্রজাতি তার কাঙ্ক্ষিত সুখ শান্তির  মধ্য দিয়ে পরমানন্দ লাভ করতে পারেনি৷ এখনও পর্যন্ত  মানবসমাজ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠী-গোত্রের লড়াই থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নি৷ আজকের এই একুশ শতকের পৃথিবীতে আর্থ-সামাজিক যতগুলি সমস্যা আছে তার মূলে আছে এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রচিন্তা, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠী-গোত্র বিভাজন৷

বার্ণ স্ট্যাণ্ডার্ডের মত কারখানাগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে রাজ্য সরকার, শ্রমিক ও জনগণ সজাগ হোন

প্রভাত খাঁ

একি ধরণের গণতন্ত্র! একি ধরণের জনসেবা! কেন্দ্রীয় সরকার তো আর্থিক দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গকে শ্মশানে পরিণত করার কাজে অতীতের সকল সরকারকে ছাপিয়ে গেছেন! ভারত বিখ্যাত বার্ণ স্টণ্ডার্ড কারখানাকে বন্ধের নোটিশ জারী করা হয়েছে৷ কারখানার সি এম ডি মহম্মদ আজাদ কারখানায় বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছেন৷ শ্রমিকগণ এই কাজে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ৷ বর্তমানে চরম আর্থিক মন্দার বাজারে শ্রমিকরা অত্যন্ত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন৷

তিরিশে এপ্রিলের নারকীয় হত্যাকাণ্ড কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই মানুষের সার্বিক কল্যাণে কেউ এগিয়ে এসেছে তখনই স্বার্থান্বেষী কায়েমী শক্তি তার বিরুদ্ধাচরণ করেছে ও ক্ষুদ্র স্বার্থের যূপকাষ্ঠে  বৃহত্তর স্বার্থের বলিদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে৷ গৌতম বুদ্ধ, যীশুখ্রীষ্ট, সক্রেটিস, রামমোহন, বিদ্যাসাগর, নেতাজী সুভাষচন্দ্র সকলকেই ভিন্ন ভিন্ন পরিসরে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে প্রবলের অত্যাচারে দুর্বল যখন চরম উৎপীড়িত, সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিক শক্তির কশাঘাতে পরাধীন রাষ্ট্রগুলির মানুষজনের ওপর নির্যাতনের বিভীষিকা, একদিকে বৈশ্যতান্ত্রিক পুঁজিবাদের শোষণ আর অপরদিকে জড়বাদের জোড়া ফলায় সাধারণ মানুষের প্রা

মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সব ভাষা জানতেন

আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী (বাবা) যে পৃথিবীর সব ভাষাই জানেন এ বিষয়ে আনন্দমার্গীদের কোনও সন্দেহই ছিল না৷ কেননা ভ্রমণের সময়, জেনারেল দর্শনে ও মার্গীদের সঙ্গে কথা বলার সময় মাঝে মধ্যে বাবা বিভিন্ন ভাষার বিভিন্ন শব্দ, তার ব্যুৎপত্তি প্রভৃতি বিষয়ে অনর্গল বলে যেতেন৷ এমনকি ভাষাগুলির উৎপত্তি, ধ্বনিগত পরিবর্ত্তন প্রভৃতি সম্বন্ধে সহজ করে’ মার্গীদের বলতেন৷ বাবা বলতেন–সংস্কৃত ভাষা অন্যতম সমৃদ্ধ ভাষা৷ এর শব্দ ভাণ্ডার পাঁচ লক্ষেরও বেশী৷ ইংরাজীর শব্দভাণ্ডার সংস্কৃতের থেকে কম৷ ভারতীয় ভাষাগুলির মধ্যে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সবচেয়ে বেশী৷ এতে এক                                                                     

ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট

অরুণাভ সরকার

আজ সর্বত্র বিশেষ করে সামাজিক–অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাজ করছে এক চরম অনিশ্চততা ও নৈরাশ্য৷ অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান ও শিক্ষা–এ সব মানুষেরন্যুনতম চাহিদা৷ কিন্তু কী করে এই ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করে মানুষ বেঁচে থাকবে–এইটাই অধিকাংশ দরিদ্র মানুষের কাছে সব চেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে৷ যদিও শুধু বেঁচে থাকাটাই মানুষের কাছে বড় কথা নয়, তার মানসিক ও আত্মিক উৎকর্ষ সাধনের মধ্য দিয়েই মানুষ তার জীবনের সার্থকতা খুঁজে পায়, কিন্তু সবচেয়ে গোড়ার কথা যে ন্যূনতম চাহিদা পূরণ তারই যখন ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না, তখন মানুষ অন্য চিন্তা আর কী করে করবে৷

অন্য পৃথিবী সম্ভব

জিজ্ঞাসু
  • যদি দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতির সুশাশন চাও
  • যদি চুরি-ডাকাতি উগ্রবাদ মুক্ত সমাজ চাও
  • যদি প্রয়োজনের খাদ্য, পেয় ওষুধে ভেজাল মুক্তি চাও
  • যদি সমৃদ্ধি, সুরক্ষা, শান্তির এক শোষণমুক্ত পৃথিবী চাও

তবে নোতুন মানুষ চাই যাঁরা জাগতিক বুদ্ধির পরিসরকে যুক্তি, বুদ্ধি দ্বারা ক্রমশঃ বিস্তারিত করবেন, প্রাণীন অসহায়ে আন্তরিক সেবা ও সমস্ত অপ্রাণীন সত্তার সাথেও সচেতন ব্যবহারে নিজের মনকে শুচিশুদ্ধ ভয়মুক্ত একাগ্র করবেন, সাথে সাথে ওই স্থির বিন্দুস্থ মানসিক শক্তিকে সাধনার মাধ্যমে বিস্তারিত চেতনায় রূপান্তরিত করে মানুষটি হয়ে যাবে বিশ্বরূপ৷ এমন মানুষের নেতৃত্বেই স্বপ্ণ পূরণের অন্য

সম্বোধনের ভাষা কী হবে---‘তুই’, ‘তুমি’ না ‘আপনি’

সুকুমার সরকার

বর্তমান বিশ্বে যতগুলি জীবিত ভাষা আছে, বাংলাভাষা তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ভাষা৷ আর এই প্রাধান্যের কারণঃ---

১)   এই ভাষার প্রকাশ ক্ষমতা

২) এই ভাষার গ্রহণীয় মানসিকতা

৩) এই ভাষার সমৃদ্ধ শব্দভান্ডার

৪) এই ভাষায় ললিত-মধুর গীতিধর্মীতা

৫) এই ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বিখ্যাতকবি প্রতিভারজন্ম

৬) এই ভাষা আন্তর্জাতিকমাতৃভাষারমর্যাদা পাওয়া,

৭) এই ভাষা পৃথিবীর বৃহত্তম পঞ্চম জনগোষ্ঠীরমানুষেরমুখের ভাষা৷

বাংলা নববর্ষে সকলের শুভ হোক

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

দুরন্ত কালবৈশাখী চৈত্রের চিতাভস্ম উড়িয়ে বর্ষণেরঅঝোর ধারায় গ্রীষ্মের দাবদাহে জর্জরিত প্রকৃতিতে স্নিগ্দ পরশ ও শীতলতা আনে৷ একইভাবে নববর্ষও মানুষের মনের কোণে জমে থাকা পুরোনো বছরের গ্লানি, হতাশা, অশান্তিকে দূরে নিয়ে নবশক্তির সঞ্চার করে৷ ফেলে আসা বছরের সাফল্যগুলি মানুষকে দেয় নোতুন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলার উদ্যম ও প্রেরণা আরভুল-ত্রুটি-অসাফল্যের লক্ষণ গুলোকে বিশ্লেষণ করে দুর্বলতার কারণগুলির সংশোধনের মাধ্যমে মানুষ গ্রহণ করেস ম্মুখ পানে অগ্রসরণের সংকল্প৷এই সংকল্পই রচনা করে নোতুন মাইল ফলকের ভিত্তিপ্রস্তর ৷ তাই নববর্ষের শুভ সূচনার দিনটিকে মানুষ বরণ করে মঙ্গলময়ের চরণে প্রার্থনা ও ভক্তিরসের পবিত্রতায়৷ বর