প্রবন্ধ

বিভিন্ন মতবাদ বনাম মানবধর্ম

আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত

এই ধরাপৃষ্ঠে মানুষের আবির্র্ভব দশ লক্ষ বছর পূর্বে হলেও মানবসভ্যতার সূত্রপাত হয়েছিল আজ থেকে মাত্র পনের হাজার বছর পূর্বে ঋগ্বেদের আমলে৷ তার পূর্বে মানুষকে একটা বন্য ও প্রকৃতির প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ অসহায় জীবন কাটাতে হয়েছিল৷ সভ্যতার সূত্রপাত তখন হলেও, বিধিবদ্ধ দাম্পত্য জীবন বা পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়েছিল আজ থেকে সাত হাজার বছর পূর্বে তারকব্রহ্ম সদাশিবের আবির্ভাবের পরে৷ তার পূর্বে সুসংবদ্ধ কোন পারিবারিক জীবন ছিল না৷ সমাজে সন্তানের মায়ের পরিচয় থাকলে জন্মদাতা পিতার কোন পরিচয় ছিল না৷ সন্তান লালন পালনের দায়িত্ব একা মাকেই বহন করতে হতো৷ এই বিশ্বে শিবই প্রথম বিবাহিত পুরুষ ছিলেন৷ তিনি এইভাবে পরি

ঐক্যের ভাবনা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত ৩১শে অক্টোবর ২০১৮ গুজরাতের নর্মদা জেলায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মভিটেতে প্রতিষ্ঠিত হ’ল সর্দার প্যাটেলের ৫৯৭ ফুট উচ্চতার বিশাল মূর্ত্তি৷ এ মূর্ত্তি নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৯৮৯ কোটি টাকা ও মূর্ত্তিটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ৷ এই মূর্ত্তির নামকরণ হয়েছে ‘ঐক্যের মূর্ত্তি’ বা ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’---যার উদ্দেশ্য হিসেবে প্রচারিত হয়েছে, দেশবাসীর মনে ঐক্যের ভাবনা জাগ্রত করা৷ ৩১শে অক্টোবর দেশের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত হয়েছে ‘ঐক্যের জন্যে দৌড়’ বা ‘রান ফর ইউনিটি’---সব মিলিয়ে সমগ্র দেশকে এক অটুট বন্ধনে সংগ্রথিত করার সুচিন্তিত শুভ প্রয়াস৷ এই শুভ প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশবিদেশের বহু গণ্যমান্য

সব দায় প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেই হয় না

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও মানুষের অসংযমী আচরণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ যার স্বীকার হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধা সব বয়সের মেয়েরা৷ স্বাভাবিকভাবে সব দায় প্রশাসনের ঘাড়ে এসে পড়ে ও প্রশাসনের মাথায় যেহেতু রাজনীতিবিদরাই বসে তাদেরকেই দায় নিতে হয়৷ প্রশাসনের অযোগ্যতা, রাজনীতিবিদদের অস্বচ্ছতা সবকিছু মেনে নিয়েও বলতে হচ্ছে এদের বাহিরে আর একটা গোষ্ঠী আছে সমাজের নক্কারজনক অবস্থার জন্য তারাও কম দায়ী নন৷ এরা হলেন শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি জগতের লোকজন ও বর্তমান খেলার জগৎও৷ এদের সুবিধা হচ্ছে এদের কোন দায়-দায়িত্ব নেই, কিন্তু জ্ঞান-গর্ভ বাচালতার অবাধ স্বাধীনতা আছে৷ রুশ বিপ্লব, ফরাসী বিপ্লবের পিছনে এদের বিরাট অবদান৷ এদে

সংক্ষেপে প্রাউটের অর্থনৈতিক তত্ত্বের মূল কথা

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের অর্থনৈতিক তত্ত্বের মূল কথা হ’ল প্রথমতঃ সমাজের প্রতিটি মানুষের যুগানুসারে জীবনের নূ্যনতম চাহিদা পূরণের গ্যারাণ্ঢী দেওয়া৷ দ্বিতীয়তঃ সকলের নূ্যনতম চাহিদা মেটানোর পর গুণীদের মধ্যে গুণানুপাতে বণ্ঢন৷ তৃতীয়তঃ, নিম্নতম মানের ক্রমবৃদ্ধি সমাজের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রকৃত সূচক৷ আর এর মধ্য দিয়ে সর্বনিম্নমান সর্বোচ্চ মানের ব্যবধান হ্রাস করার প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে৷

বর্ত্তমান শাসন ব্যবস্থায় রাজনৈতিকভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রধানদের উপর ভয়ংকর মানসিক ও শারীরিক চাপ তাই প্রধান হওয়ার অনীহা

প্রভাত খাঁ

মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হতে শিক্ষাবিদ বিশেষ করে অধ্যাপকদের এতো অনীহা কেন এর উত্তর তো একটাই তা হলো অধ্যক্ষপদে গেলে ছাত্রছাত্রাদের বহুমকী তো অধ্যক্ষকেই সহ্য করতে হবে৷ কখনো কখনো সেই ছাত্র-ছাত্রাগণ দাবী আদায়ে অফিস ঘরে আটক করে রেখে তাঁকে জল পান করতে, এমনকি প্রাকৃতির ডাকে বাহিরে যেতেও দেয় না৷ শুধু তাই নয় বর্তমানে সরকারের নিয়ন্ত্রণটা এতটা শিক্ষাক্ষেত্রের ওপর পড়েছে যার দরুণ সরকারী নির্দেশের তিলমাত্র এদিক ওদিক হলে অধ্যক্ষের চেয়ারও টলমল করতে পারে৷ শিক্ষাবিদ্গণ শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষাদান করেই তাঁদের পবিত্র কর্তব্যের সমাপ্তি ঘটাতে চান৷ কিন্তু যত দিন যাচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রগুলিতো রাজনৈতিক দলগুলোর ছেলে ধরার আঁত

আনন্দমার্গ---এক সর্বান্যুসূত দর্শন

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

সর্র্বন্যুস্যুত দর্শন বলতে কী বোঝায়? মানবসমাজের সর্বক্ষেত্রের সর্বপ্রকার সমস্যারই সুষ্ঠু সমাধান যে দর্শনে একসূত্রে গ্রথিত রয়েছে--সেই দর্শনকেই  বলা হয় সর্বান্যুসূত দর্শন৷

বর্তমানে মানবসমাজের বিভিন্ন সমস্যাকে বিচ্ছিন্নভাবে বিশ্লেষণ করে সেগুলির সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়৷ এইভাবে বিভিন্ন দার্শনিক পৃথক পৃথকভাবে আধ্যাত্মিক দর্শন , অর্থনৈতিক দর্শন, রাষ্ট্রনৈতিক দর্শন, শিক্ষাদর্শন, শিল্প-সাহিত্যের দর্শন প্রভৃতি দর্শন দিয়েছেন৷

এন. আর. সি-র মানে কি বাঙালী তাড়াবার  কৌশল?

হরিগোপাল দেবনাথ

এন.আর,সি  সর্বসাকুল্যে তিনটে মাত্র ইংরেজী শব্দের  মিলিত রূপ---ন্যাশ্যানাল রেজিষ্টার অব সিটিজেনস্৷ (বাংলা ভাষার এর তর্জমা করলে দাঁড়ায়---নাগরিকপঞ্জীকরণ৷) অর্থাৎ কোন সার্বভৌম রাষ্ট্রে নাগরিকগণের সরকারী মতে বিধিবদ্ধ তালিকা৷ তাই, এর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য দু’টো দিকই যথেষ্ট ওজনদার  বলারও অপেক্ষা  রাখে না৷  যে কোনো দেশ, রাজ্য বা রাষ্ট্রের পক্ষেই এর নিঁখুত হিসেব-রক্ষণের কাজটা অতি গুরুত্বপূর্ণ, অপরিহার্য তো বটেই৷  রাষ্ট্রের লোকসংখ্যা ও তার হ্রাস  বৃদ্ধি, গড়-পড়তা, আয় নির্র্ধরণ, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা  গ্রহণ, রাষ্ট্রের আয়-ব্যয়ের  হিসেব-নিকেশ, উন্নতি-অবনতি ইত্যাদির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণ  করতে চাইলে  র

ত্রিপুরার কিছু কথা ও তার অতীত ও বর্ত্তমান পরিস্থিতি

প্রভাত খাঁ

ত্রিপুুরার নাগরিকপঞ্জীর দাবীতে ত্রিপুরা পিপলস্ ফ্রন্ট’ সুপ্রিম কোর্টে দাবী জানিয়েছে৷ অসমের এন.আর.সি নিয়ে আগেই সুপ্রিমকোর্টে মামলা চলছে৷

‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন কেন?

আচার্য পরাবিদ্যানন্দ অবধূত

বাংলায় তথা পূর্বাঞ্চল ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে কীর্ত্তন নোতুন নয়৷ আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে এই কীর্ত্তনের মাধ্যমে শ্রী চৈতন্যদেব বাংলায় তথা পূর্বাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে আর শ্রী শঙ্কর দেব সমগ্র অসমে একটা আধ্যাত্মিক বিপ্লব এনেছিলেন৷ সেই কারণে বাংলা তথা পূর্বাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের সংস্কৃতির সাথে এই কীর্ত্তন মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে ৷ তাই তো বাংলার মরমী কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বলেছেন---

 ‘‘কীর্ত্তনে আর বাউলের গানে আমরা দিয়েছি খুলি’,

 মনের গোপনে নিভূত ভুবনে দ্বার ছিল যতগুলি৷’’

মহাপ্রাজ্ঞ প্রভাতরঞ্জন সরকারের মাইক্রোবাইটাম সাধনা ও মাইক্রোবাইটা

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার ১৯৮৬ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১৯৮৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই আড়াই বৎসরকাল সময় ধরে মাইক্রোবাইটামের মত এক দূরুহ বিষয়ের ওপর বহু প্রবচন দিয়েছিলেন৷ ১৯৮৬ সালের ৩১শে ডিসেম্বর ধর্মমহাচক্র উপলক্ষ্যে কলকাতায় ‘‘রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্সাল’’-এর মঞ্চ থেকে পরম পূজনীয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার সভাপতি হিসাবে মাইক্রোবাইটামের ওপর প্রবচন দিয়েছিলেন৷ প্রবচনের বিষয় ছিল---‘Microvitam the mysterious emanation of cosmic factor’’ (‘‘ভূমাচৈত্তিক ধাতুর রহস্যজনক উৎসারণ’’) তিনি বলেছিলেন প্রাণের উৎস হ’ল এই মাইক্রোবাইটাম৷ বিশ্বসৃষ্টির মূল কারণ বা মূল উৎস হ’ল মাইক্রোবাইটা৷ এই মাইক্রোবাইটাম নিয়ে অবিলম্বে ব্যা