প্রবন্ধ

দাদাঠাকুরের চিঠি - সাধনা

ছোট্ট ভাইবোনেরা, তোমরা সবাই ছাত্র–ছাত্রা, প্রতিদিন তোমাদের বিদ্যালয়ের পাঠ শিখতে পড়তে হয়৷ তোমরা কোন একটা পাঠ বার বার পড়, আবার কিছুক্ষণ পরে ভুলে যাও, তাই না? বিদ্যালয়ের পড়া সহজে তোমাদের মনে থাকতে চায় না৷ অথচ যখন টেলিবিসনে কোনও কাহিনী দেখ বা কোনও গল্প শোন বা পড় তখন সেটা তোমাদের অনেকদিন মনে থাকে৷ কেন এমন হয় বলতে পার কি? না, এর কারণ হলো তোমার মনের একাগ্রতা৷ যখন তুমি কোন কিছু মনোযোগের সঙ্গে পড়ো বা শোনো বা দেখো তখন সেটা তোমার মনে থাকে৷ কিন্তু যখন চঞ্চল মনে কোন কিছু পড়ো, দেখো বা শোনো তখন তা আর মনে থাকে না৷

বিশ্ব উষ্ণায়ন

নাতাশা ইসলাম

পৃথিবী ক্রমশ তেতে উঠছে৷ এই উত্তপ্ত পৃথিবীর বাসিন্দা আমরা–অসংখ্য পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, গাছপালা ও সর্বোপরি মানুষ৷ যে মানুষ আজকের এই সংকটজনক পরিস্থিতির জন্যে অনেকটাই দায়ী বিজ্ঞানীদের মতে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির মূল কারণ গ্রীনহাউস গ্যাস৷ বায়ূ মণ্ডলের প্রধান গ্রীনহাউস গ্যাসগুলি হল–জলীয়বাষ্প, কার্বন–ডাই–ক্সাইড •CO2—, নাইট্রাস অক্লাইড •N2O—, মিথেন •CH2— ও ওজন •O3—, আর আছে ক্লোরিন যুক্ত কয়েকটি গ্যাস–পার ফ্লুরোকার্বন্স্ •PFCS—, হাইড্রো ফ্লুরোকার্বন •HFCS— ও সালফার হেক্সাফ্লুরাইড •SF6—, মন্ড্রিল প্রোটোকল৷ ১৯৮৭–এর সিদ্ধান্তে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন–এর্ ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যায় ও বিকল্প হিসাবে এই গ্যাসগুলি ব্যবহ

আগামী লোকসভা নির্বাচনে  মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দেশীয় পুঁজিবাদ  বনাম বিদেশী পুঁজিবাদ

 সুকুমার সরকার

গান্ধি-নেহেরুর কংগ্রেস ছিল মিশ্র অর্থনীতির৷ পুঁজিবাদ, সাম্যবাদ ও আধ্যাত্মিকতার মিশেল৷ সে ধারা ইন্দিরা গান্ধি পর্যন্ত বজায় ছিল৷ রাজিব গান্ধির সময় থেকে সেই ধারা বদলাতে  শুরু৷ সাম্যবাদের  জায়গা দখল করে দেশীয় পুঁজিবাদ, আর আধ্যাত্মিকতার জায়গা দখল করে সাম্প্রদায়িকতা৷

এসো হে বৈশাখ

রীণা চট্টোপাধ্যায়

কালের পরিক্রমায় আসছে নববর্ষ, আসছে পয়লা বৈশাখ৷ শুভ নববর্ষ ১৪২২৷ বিদায়ী বছরের বিষাদঘন অনুভূতি থাক, ‘মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক’, প্রাণের পয়লা বৈশাখ৷ নববর্ষের প্রথম প্রভাতে সূর্যের অনাবিল রশ্মি ছড়িয়ে পড়বে শ্যামল বাংলার স্নিগ্ধ বুকে, পাখির কলকাকলিতে উদ্ভাসিত হব নতুন সকাল, আনন্দে উদ্বেলিত হবে পশ্চিম বাংলা, ঝাড়খন্ড, ত্রিপুরা, অসম সহ দেশের বিভিন্ন অংশের বাংলাভাষী৷

শুভ নববর্ষ প্রসঙ্গে

প্রভাত খাঁ

আর কয়েকদিন পরেই বাঙ্লার শুভ নববর্ষ৷ বাংলা ১৪২৪ সাল পেরিয়ে আমরা ১৪২৫–এ পড়ব৷ নোতুন বছরে পা দেব৷ এমনি এক বাংলা নববর্ষের প্রবচনে প্রাউট–প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার যিনি একাধারে মহান দার্শনিক, ইতিহাসবিদ্, ভাষাতত্ত্ববিদ্, শিক্ষাবিদ্, সঙ্গীতকার, যিনি মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রূপে সমধিক পরিচিত, তিনি আত্মবিস্মৃত বাঙালী জাতি সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘বাঙালী নামধেয় জনগোষ্ঠী অতীতে জীবিত ছিল, আজও জীবিত ও আমি আশা করব, ভবিষ্যতে আরও দুর্দান্তভাবে জীবিত থাকবে৷ সেই জনগোষ্ঠীকে নোতুন করে শপথ নিতে হবে–এই নোতুন বছরটা তারা কীভাবে আরও সফল করে তুলবে৷ নিজেদের অস্তিত্বকে কীভাবে আরও প্রাণবান, প্রাণো

নববর্ষের অঙ্গীকার

বীরেশ্বর মাইতি

দেখতে দেখতে একটা গোটা বছর আমরা কাটিয়ে ফেললাম৷ বিদায় নেওয়ার পালা ১৪২৪৷ অন্যদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে ১৪২৫৷ বাঙ্গালীর কাছে ১লা বৈশাখ দিনটি একটি মাত্রা নিয়ে আসে৷ যদিও পরিতাপের বিষয় যে ইংরেজী নববর্ষকে নিয়ে বিশ্ববাসীর যে উন্মাদনা দেখা যায় তাঁর বিন্দুমাত্র বাংলা নববর্ষের কপালে জোটে না৷ জুটবেই বা কেন এ যে নেহাৎ ‘গেঁয়ো যোগী ভিখ পান না’র মত দশা৷ আমরা বাঙালীরা যতটা ধুমধামের সঙ্গে ইংরেজী নববর্ষ উদযাপন করি বাংলা নববর্ষের বেলায় ততটা অবহেলা করি৷ বাঙালী আত্মবিস্মৃত জাতি হিসেবে নিজেকে দেখতে ও দেখাতে খুশি হয়৷ কিছুদিন হল আমরা ২১শে ফেব্রুয়ারীর স্মরণে নানা উৎসব অনুষ্ঠান করলাম৷ ‘বাংলা আমার প্রাণের ভাষা’ বলে চোখ থেকে

তুমি এসেছিলে কাউকে না বলে

আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী (শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার) ছেলেবেলাকার কিছু বিস্ময়কর ঘটনা এখানে নোতুন পৃথিবীর পাঠকদের উপহার দিচ্ছি৷ ..... বামুন পাড়ার (শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পৈত্রিক বাসস্থান) নরেশ ঘোষ মহাশয় একজন শিক্ষিত সমাজসেবী ছিলেন৷ প্রভাতরঞ্জনের চেয়ে বয়সে তিনি বছর পাঁচেকের ছোট ছিলেন৷ যখনই বুবু (প্রভাতরঞ্জন) বামুনপাড়া আসতেন নরেশবাবু ছায়ার মত তাঁর সঙ্গী হতেন৷ তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রভাতরঞ্জন আধ্যাত্মিক শক্তিতে শক্তিমান ছিলেন৷ তাঁর অগাধ জ্ঞানসমুদ্রে ডুব দিয়ে তাঁকে জানার চেষ্টা করা বৃথা....বুদ্ধি দিয়ে তার পরিমাপ করা যায় না৷

প্রেতযোনিও একপ্রকার নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম্

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

‘পিশাচ’ শব্দ হতে ‘প্রেতযোনি’ নাম হয়েছে৷ সাধারণভাবে যে সমস্ত মানুষ অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ করেছে এদের বিশেষ বিশেষ গুণগত ত্রুটির জন্যে এদের মৃত্যুর পর পাঞ্চভৌতিক দেহ নিয়ে পৃথিবীতে জন্ম হয় না৷ এরা অশরীরি অবস্থায় অর্থাৎ লুমিনাস বডিতে অবস্থান করে৷ এইভাবে অবস্থান করলে এদের বলা হয় প্রেতযোনি৷ এদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রেতযোনিকে সাত প্রকারে বিভক্ত করা হয়েছে৷ এরা হ’ল---

(১) দুর্মুখ (২) কবন্ধ (৩) মধ্যকপাল (৪) মহাকপাল (৫) ব্রহ্মদৈত্য (ব্রহ্মপিশাচ) (৬) আকাশী প্রেত (৭) পিশাচ৷

যোগ মানুষের বৈয়ষ্টিক ও সামূহিক জীবনের কল্যাণের চাবিকাঠি

আচার্য পরাবিদ্যানন্দ অবধূত

সারা পৃথিবীতে ‘যোগ’ এখন একটি বিশেষ জনপ্রিয় নাম৷ যদিও ‘যোগ’ শব্দটা হয়ে গেছে ‘যোগা’৷ এর উৎপত্তিস্থল প্রাচীন ভারতের মুনি-ঋষি তথা যোগীদের আশ্রম৷ কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে ‘যোগ’ থেকে জাত ‘যোগা’ শব্দটির দ্বারা আমরা যা বুঝি কেবলমাত্র বিশেষ রকমের শারীরিক কসরৎ অর্থাৎ exercise অর্থাৎ মহর্ষি পতঞ্জলির অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনার কেবলমাত্র ‘আসন’৷ না, এই আসন মানে যোগ নয়৷ আবার যদি আসনটিও দেহের জন্য ঠিকভাবে দৈনিক করতে হয় তাহলেও তা ঠিক শিক্ষকের কাছ থেকে শিখতে হয়---যাঁর শরীর বিদ্যা ও চিকিৎসা বিদ্যা সম্বন্ধে জ্ঞান আছে৷ যদি তা না করা হয় তবে লাভের থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী থাকবে৷ উদাহরণ স্বরূপ---শীর্ষাসন৷ শীর্ষাসন সবাই

ফেডারেল ফ্রন্ট ঃ কতটা প্রাসঙ্গিক

সুকুমার সরকার

বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার জন্যে ম্যারাথন দৌড় শুরু করেছেন ৷ লক্ষ্য ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় বাহন ‘ফেডারেল ফ্রন্ট’ অর্থাৎ আঞ্চলিক দলগুলি নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে জাতীয় দলগুলিকে গুরুত্বহীন করে দিয়ে ক্ষমতার অলিন্দে বসা৷ কিন্তু কথা হল, এই যে আঞ্চলিক দলগুলি নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে ‘ফেডারেল ফ্রন্ট ’ তৈরী করা --- তা তো বর্তমানে ‘সোণার পাথর বাটি’!