প্রবন্ধ

ভেজাল ও আমরা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বর্তমান পৃথিবীতে ভেজালহীন কোন জিনিস পাওয়া সত্যিই খুব কঠিন৷ বেঁচে থাকার যে কোন মৌলিক উপাদান যার ওপর আমরা ভরসা রাখতে চাই, সেখানেই ভেজাল ও দূষণের বিপদ ওঁৎ পেতে থাকে৷ যত পরিচিত ও বিশ্বস্ত দোকান-বাজার থেকে প্রয়োজনীয় বস্তু সংগ্রহ করা হোক না কেন---নির্ভেজাল সামগ্রী পাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য ব্যাপার৷ দৈনন্দিন প্রয়োজনের খাদ্যবস্তু, চাল, ডাল, তেল, ঘি কোনটিই ভেজাল মুক্ত নয়৷ বাজারে তাজা শাকসবজি, ফলমূল দর্শনে লোভনীয় হলেও বিভিন্ন রাসায়নিক প্রয়োগে বিষাক্ত ও শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, কখনও কখনও এই বিষের পরিমাণ এতটাই বেশী হয় যে প্রাণঘাতী দূরারোগ্য ব্যধির আহ্বায়ক৷ জলের অপর নাম জীবন৷ সেই জীবনদায়ী জলেও ভেজাল ও

‘ধ্যান’ স্মৃতি শক্তি বাড়ায়

ভবেশ বসাক

ধ্যান বা মেডিটেশন শুধুমাত্র যাঁরা আধ্যাত্মিক চর্চা করেন বা অধ্যাত্ম নিয়ে যাঁরা ব্যস্ত থাকেন তাঁদেরই জন্যে–এই ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত৷ দেশে–বিদেশে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে যে কোন রোগ মুক্তির ক্ষেত্রে ধ্যান বিশেষ ভাবে কাজ করে৷ সাধারণভাবে ধ্যান মানুষের মনকে এক জায়গায় স্থির করে একটি টেনশনমুক্ত মনের জায়গায় নিয়ে আসে৷ ঠিক এই মনের এক জায়গায় স্থিরকরণেরই ফলেই রোগমুক্তির প্রথম ধাপে পা দেওয়া শুরু৷ প্রখ্যাত অনেক  গবেষকের ধারণা যে বয়স্ক্দের যে স্মৃতিভ্রংশজনিত সমস্যা তা অনেকটাই মুক্ত করতে পারে ধ্যান বা মেডিটেশন৷ যে মানুষটা কিশোর বা যৌবনে তাঁর নিজস্ব কাজে কর্মে যথেষ্ট চৌখস তথা দক্ষ ছিলেন

প্রাউটের নব্যমানবতাবাদের আলোকে ভারতের  সার্বিক সামাজিক  ও অর্থনৈতিক  বিকাশের  পথের সন্ধান

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমান ভারতে  প্রায়  ১১৬৫২১০ টি  গ্রাম, ১১৬৫২১টি পঞ্চায়েত, ব্লক এর সংখ্যা প্রায়  ৬৮৮৪টির  বর্ত্তমানে  কিছু বেশী হতে পারে৷  যেহেতু  লোক  সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷

জগৎ

জিজ্ঞাসু

জগৎ শব্দের  মানে যা অবিরাম  দিনরাত চলে চলেছে বহমান নদীর মত৷ অণু পরমাণু থেকে গ্যালাক্সি, সর্বশক্তি সর্বপ্রাণ  মন বস্তু--- সবাই  চলে চলেছে৷ এমনকি যার  যাবার ইচ্ছে নেই, তাকেও সরে যেতে হয় এই সংসার  থেকে৷ মহাপ্রকৃতির  এটাই নিয়ম৷ এরই জন্যে  পৃথিবীর অন্য নাম জগৎ৷ যেমন ঋষি  মহাকাশ-বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং আরও  কাজ  করার ইচ্ছা থাকা সত্বেও চলে গেলেন৷ চেতনার এক উজ্বল নক্ষত্র  নিবলো এখানে৷ তার মানে অন্য কোথাও, অন্য  কোনখানে  আরেকটা ঋষি হকিং  এসে গিয়েছেন বা জন্ম  নিয়েছেন৷ নেবেনই, এছাড়া  আমাদের গতি  নেই৷ হাজার  অজ্ঞতার  অন্ধকার  সরাতে , বহুদূর  পথ চলা বাকি৷ নিজেকে চেনা বাকি, জগৎ চেনা বাকি, আমাদের  থামার অবক

বিপন্ন বাল্যকাল

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বর্তমান পৃথিবীতে ছোট ছোট  ছেলেমেয়েদের অবস্থা সর্বাপেক্ষা সঙ্গীন৷  একেবারে শিশু অবস্থা থেকেই  তাদের জীবনে  একদিকে যেমন রয়েছে চরম অসহায়তা অন্যদিকে  তাদেরকে নিয়ে  বিভিন্ন পেশার মানুষের বহুবিধ অনৈতিক কাজকর্ম৷ শিশু জন্মানোর পর থেকেই  কখনো হয়তো মায়ের কোল ছাড়া হয়ে বিক্রি হয়ে যেতে হয় অন্য কারোর কোলে ঠাঁই পাওয়ার জন্যে  আবার কখনো  তাদের কোনো শিশুসদনে প্রতিপালন  করে বিভিন্ন রকমের অনৈতিক কাজকর্মের উপযুক্ত করে তোলা হয়৷ শুধু তাই নয়, অনেকসময়  তাদের শৈশব  অবস্থাতেই  দুশ্চরিত্র মানুষজনের পাশবিক লালসার শিকারও  হতে হয়৷ তারা না করতে পারে প্রতিবাদ--- না করতে পারে প্রতিরোধ৷ যারা ভাগ্যবান শিশু, তারাও মাতা-পিতার আ

দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও লোকপাল নিয়োগ

জনগণের সেবার জন্যেই রাজনীতি৷ আর তত্ত্বগতভাবে  গণতন্ত্র মানেও  সেই রাজনৈতিক ব্যবস্থা যে ব্যবস্থায় জনগণের দ্বারা,  জনগণের  জন্যে, জনগণের  সরকার  তৈরী হয়৷  সে অবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের  অবশ্যই  কঠোর নীতিবাদী সেবাব্রতী হতে হবে, সমস্ত  দুর্নীতি ও শোষণের  বিরুদ্ধে তাঁদের  আপোষহীন সংগ্রাম  চালিয়ে  যেতে হবে৷ এই কারণেই  সবাই গণতন্ত্রকে সমর্থন করে৷

কিন্তু, বাস্তবে  কী হয়৷ স্বাধীনতার  পর থেকে  স্বাধীন ভারতে  যতগুলি সরকার  ক্ষমতাসীন  হয়েছে, সবার বিরুদ্ধেই  ভুরি ভুরি-দুর্নীতির  অভিযোগ উঠেছে৷ নেতা-মন্ত্রী-আমলারা সবার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির  অভিযোগ৷

নির্বাচনের প্রতি মানুষের  কেন এত অনীহা এর উত্তর রাজনৈতিক দলগুলিকে দিতে হবে

প্রবীর সরকার

ভারতের লোকসভা ও বিধানসভার  আসন যখন শূন্য হয় তখন  নির্বাচন কমিশন  নির্বাচনের  মাধ্যমে শূন্য আসন পূর্ণ করে থাকেন,  এটা  তাঁর সাংবিধানিক  দায়৷ বর্তমান  মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী তাদের  সংসদীয় পদে পদত্যাগ করার ফলে ওই দুটি সংসদীয় আসনে (আসন  দুটি  হলো  যথাক্রমে  গোরক্ষপুর ও ফুলপুর) পুননির্বাচন হয় আর বিহারের আরারিয়া লোকসভা আসন শূন্য  হয় লোকসভার মাননীয় সদস্যের অকালে পরলোক গমন করার ফলে ৷

প্রসঙ্গ ঃ মূর্ত্তির সম্মান

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের পর থেকেই একটি সংবাদে সারা দেশ তোলপাড়৷ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে পঁচিশ বছরের বাম রাজত্বের অবসান হওয়ার পর ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে গোষ্ঠী সংঘর্ষ, রাজনৈতিক অফিস ভাঙচুড়, অগ্ণি সংযোগ ইত্যাদি অশান্তির ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে৷ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লেনিনের মূর্ত্তি ভাঙ্গার ঘটনা আর এই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সারা দেশে কোথাও লেনিন-মার্কস, কোথাও শ্যামাপ্রসাদ, কোথাও গান্ধী-নেহেরু বা অন্যান্য গুণীজনের মূর্ত্তিতে ছেনী-হাতুড়ীর আঘাত, কোথাও মূর্ত্তি ও ফলকে কালিলেপন আবার কোথাও গঙ্গাজল-দুগ্দামৃত দিয়ে মূর্ত্তি শোধন প্রভৃতি ঘটনাক্রমের জন্য আইন-শৃঙ্খলা

কেন্দ্রে ও রাজ্যে শাসক দলগুলির ধনীদের তোষণ ও উন্নয়নে  অদক্ষতাই  ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে  ফারাক বাড়াচ্ছে

প্রভাত খাঁ

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ভারতে সম্পদ-এর বন্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছে৷ মুষ্টিমেয় কয়েকজন কোটিপতি দেশের ১৫ শতাংশ জিডিপি দখল করে রেখেছে৷ দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হচ্ছে৷ সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে রাজনৈতিক দলগুলি  বিত্তবানদের তোষণের নীতি গ্রহণ করার জন্য  এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে৷  বিত্তবানরা উত্তরাধিকার ও তাদের স্বীয়স্বার্থে ইচ্ছেমত সম্পদের  বিনিয়োগের ফলেই ক্রমশ বিত্তশালী হয়ে উঠেছে৷ ১৯৯১ সালে উদারীকরণ নীতি ও অন্যান্য আর্থিক সংস্কারের ফলে বিত্তবানরা  এই সুবিধাগুলি বেশী করে ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে৷