স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য

দিনের পর দিন যদি শিশুর পায়খানা না হয় অথবা তার পায়খানা যদি অস্বাভাবিক শক্ত, শুষ্ক্ ও নিষ্কাশনে কষ্ট হয় তবে বুঝতে হবে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে৷ একেক জনের পায়খানার ধরণ একেক রকম৷ তবে সাধারণভাবে সপ্তাহে তিনবারের কম কষ্টদায়ক পায়খানা হলে সেটাকে কোষ্ঠাকাঠিন্য বলা চলে৷ কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ কী? শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া কঠিন৷ তবে বেশ কিছু বিষয়কে কোষ্ঠাকাঠিন্যের জন্যে দায়ী করা হয়৷

সঠিক কৌশলে না খাওয়া

শিশুর ডেঙ্গু জ্বর

শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের প্রকাশ বয়স অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে৷ এমনকি এক শিশুরোগী থেকে অন্য শিশুতে উপসর্গের নানা অমিল লক্ষ্য করা যায়৷ ইনফ্যাণ্ঢ বা অল্পবয়সী শিশুতে এ রোগের চেহারা চিনতে পারা তত সহজ নয়৷ যেমন, এ অসুখে ভুগছে অথচ তার প্রকাশভঙ্গী অন্য রকম৷ এক থেকে পাঁচ দিনের জ্বর, গলায় প্রদাহের নমুনা, সর্দি ও সামান্য কাশি৷ মনে হবে হয়তো বা শিশুটি অন্যান্য ভাইরাসজনিত সর্দিজ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরণের কোনো অসুখে অক্রান্ত৷ তবে বড় শিশুর ক্ষেত্রে এ রোগের প্রকাশভঙ্গীটি কিছু স্বচ্ছ যেমন হঠাৎ করে জ্বর এল৷ বেশী জ্বর ১০৩০ থেকে ১০৬০ ফারেনহাইটের মধ্যে৷ সঙ্গে সাধারণত মাথার সামনে ও চোখের গর্তে গর্তে খুব ব্যথা অনুভূ

যৌগিক চিকিৎসা ও দ্রব্যগুণের মাধ্যমে বহুমূত্র রোগের নিরাময়

লক্ষণ ঃ ঘন ঘন মূত্রত্যাগের ইচ্ছা, মূত্রনালীতে জ্বালা, ঘন ঘন পিপাসা ও মুখে মিষ্টি স্বাদ, পেশাবে মাছি বা পিঁপড়ে বসা, মাথা ধরা, চর্ম শুস্ক্ ও ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, অল্প বয়সে চেহারা বৃদ্ধের মত হয়ে যাওয়া, সর্বাঙ্গে জ্বালাপোড়া প্রভৃতি লক্ষণের সমাবেশই এই রোগের লক্ষণ৷ প্রায়ই দেখা যায় এই রোগে চোখে ছানি পড়ে৷

ছাত্র–ছাত্রাদের স্মরণ শক্তি বাড়ানোর উপায়

(১)Repetition প্রয়োগ অর্থাৎ মুখস্থ করা বিষয় লেখা বা অন্যকে শোণানো (২) পাঠ্য বিষয় এমন ভাবে পড়া যাতে কানও শুণতে পায় (৩) অধীত (পাঠ্য বিষয় যা আয়ত্ত করা হয়েছে) বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ catch-word একটা ছন্দের মধ্যে সাজিয়ে নিয়ে মনে রাখা (৪) প্রাক্–প্রত্যুষে যখন বাহ্যিক পরিবেশ শান্ত থাকে তখন অবশ্যই পড়ার অভ্যাস তৈরী করা (৫) কয়েকটি আসন যেমন মৎস্যমুদ্রা, জ্ঞানাসন, শশঙ্গাসন অভ্যাস করা আচার্য শেখাবেন (৬) মাঝে মাঝে ব্রাহ্মী শাক, স্বল্প পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া  (৭) শাঁখালুর রস প্রত্যহ পান করা (৮) গুরুধ্যান৷      

(দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য থেকে)

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, বড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা

শিশুদের জন্যে স্বাস্থ্য বিধি

পাঁচ বৎসরের কম বয়স্ক্ বালক–বালিকার প্রধান খাদ্য দুগ্ধ ও  ফলমূল৷ শ্বেতসার, শর্করা ও স্নেহ জাতীয় খাদ্য যত কম দেওয়া যায় ততই মঙ্গল৷ কারণ ওই সকল খাদ্য শিশুর অপরিণত যকৃৎ ও পরিপাক যন্ত্রগুলিকে দুর্বল করে দেয়৷

সুস্থ থাকতে চাল কুমড়ো

সংগৃহিত

*             চাল কুমড়ো একমাস খেলে পরিশ্রম করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়৷

*             এই সব্জি বলকারক, পুষ্টিকর, ফুসফুসও ভাল রাখে৷

*             চাল কুমড়োর বীজ চার সপ্তাহ খেলে কৃমি নাশ হয়৷

*             দু’চার চামচ চাল কুমড়োর রস বের করে নিয়ে তাতে চিনি মিশিয়ে আট সপ্তাহ খেলে অম্বল বা অজীর্ণ রোগ সারে৷

*             মৃগী বা উন্মাদ রোগের পক্ষেও এটা উপকারী৷

*             চাল কুমড়োর রস এক সপ্তাহ অন্তর ছ’মাস একটু চিনি ও জাফরানের সঙ্গে পিষে খেলে সব রোগে উপকার পাওয়া যায়৷

সাইকো সার্জারি অপরাধীকেও ভালমানুষে রূপান্তরিত করতে পারে

এন এন এস ঃ ইদানীং প্লাষ্টিক সার্জারি করে বদলে দেওয়া যায় মানুষের চেহারা৷ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাফল্যে কিডনি, হৃৎপিণ্ড সব কিছু পাল্টে ফেলা সম্ভব হচ্ছে৷ হাড়, মজ্জা বদলে বা নতুন করে জোড়া লাগানোও মানুষের নাগালের মধ্যে৷ কিন্তু এভাবে যদি মানুষের মনের গতি বদলে দেওয়া যেত তাহলে এ পৃথিবীতে অনেক কাণ্ডই ঘটতে পারত৷ সম্প্রতি চিকিৎসকরা ‘সাইকো সার্জারি’র মাধ্যমে একজন অপরাধীকেও ভাল মানুষে রূপান্তরিত করতে পারবে৷ অপরাধীকে একজন শান্ত মানুষের মত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীতে পরিণত করা যাবে৷ গবেষকদের এই সাফল্যের সূত্র ধরে একটি ঘটনার কথায় আসা যাক৷ প্রাচীন রোমে একটি প্রবাদ বাক্যের খুব প্রচলন ছিল যে, কপালে তলোয়ারের ঘা দি

হাঁটুর ব্যথায় করণীয়

যাদের পা ও হাঁটুর শক্তি কম, পায়ে বাতের সমস্যায় ভুগতে হয় বা কোমরে জোর কম, কোথাও বসলে উঠতে কষ্ট হয়, তাদের জন্যে সরল উৎকট আসন বেশ উপকারী৷ এই আসন নিয়মিত করলে দেহের নীচের অংশ খুবই শক্তিশালী হয়ে উঠবে৷ তবে যারা বই দেখে ব্যায়াম করেন, তাদের ব্যায়াম সঠিকভাবে হচ্ছে কি না সে ব্যাপারে যদি কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন৷ মানুষের দেহের ঘটন অনুসারে অনেক ক্ষেত্রেই বইয়ের নির্দেশনার সঙ্গে দেহের ভঙ্গিমার হুবহু মিল নাও হতে পারে৷ তবে নিয়মিত অনুশীলন করতে করতে একসময় ব্যায়ামের কৌশলগুলো দেখবেন নিজের আয়ত্তে এসে গেছে৷ আর সবচেয়ে যেটা জরুরী সেটা হল ব্যায়াম করার সময় ইতিবাচক চিন্তা বা আশা থাকতে হবে৷