স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করতে নিম পাতা চিবিয়ে খান

নিম পাতা আমাদের বিশেষ উপকারী সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তবে মানসিক দুশ্চিন্তা দূরে রাখতে নিম পাতা যে সাহায্য করে তা হয়ত অনেকেই জানেন না৷ দুশ্চিন্তা দূর করতে প্রতিদিন কয়েকটি তাজা নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন৷ তাজা নিমপাতা চিবিয়ে খেলে চর্মরোগ দূরে পালিয়ে যায়, দাঁতের অসুখ সেরে যায়, রক্তে শর্করা ও উচ্চচাপ দূরে পালিয়ে যায়৷ এছাড়া নিদ্রাহীনতার রোগও পালিয়ে যায়৷ অম্বল হলে নিম গাছের ছাল এক কাপ গরম জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়৷ রোজ সকালে খালি পেটে নিমছাল ও নিমপাতা বেটে তার বড়ি করে খেলে কৃমি রোগ সেরে যায়৷

মাথাব্যথা কেন?

পরিবেশ বিজ্ঞানী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদরাও এ প্রশ্ণের জবাব দিয়ে মানুষের স্বার্থবোধকে প্রসারিত করাবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ জীববৈচিত্র্যের বিনাশ সাধনের ফলে আমাদের কত ধরনের যে সমস্যা তৈরী হচ্ছে, তারও অসংখ্য দৃষ্টান্ত দেওয়া হচ্ছে৷ একটা সত্য ভুলে যাওয়ার উপায় নেই যে, অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর মতো আমরাও এ বিশ্বের প্রাণী ও বাঁচার জন্যে অন্য প্রাণীর মতো আমরাও এ বিশ্বের ওপর নির্ভরশীল৷ বিজ্ঞানীদের মতে, যত বেশী সংখ্যক প্রজাতির প্রাণী এ গ্রহে অচ্ছেদ্য পরিবেশগত ভারসাম্যের মধ্যে বসবাস করবে, ততই সেটা স্বাস্থ্যকর ও উৎপাদনশীল হয়ে উঠবে৷ আমরা সবুজ বনে কিংবা কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করি না কেন যে বিশুদ্ধ জল, বায়ু, অ

শিশুর শ্রেষ্ঠ খাবার মায়ের দুধ

ডাঃ আলমগির

বিভিন্ন গবেষণা থেকে এটি প্রমাণিত যে, মায়ের দুধই নবজাতক শিশুর পক্ষে সর্বশ্রেষ্ঠ পুষ্টিকর খাবার৷ মাতৃদুগ্ধ পান করলে শিশুর সংক্রামক রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়৷ মা’র পুনঃগর্ভধারনের দূরত্ব বেড়ে যায়৷ মায়ের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে৷ এইসব সুফল পেতে হলে বাধাহীনভাবে নবজাতক শিশুকে প্রথম ছয় মাস নিরবচ্ছিন্নভাবে শুধুই মায়ের দুধ পান করাতে হবে৷ এই সময় শিশুকে অন্য কোন খাবার এমনকি জলও পান করানো ঠিক নয়৷ এই প্রক্রিয়া চললে মা ও শিশু দুজনেই উপকৃত হবে, সাথে সাথে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে জাতি উপকৃত হবে৷ সেই কারণে বিভিন্ন মাতৃসেবা সংস্থাগুলি জানাচ্ছে শিশুকে মায়ের দুধ দেওয়া একপ্রকার আবশ্যিক

মানসিক রোগ ঃ

মনের রোগের ফলস্বরূপ যে সব শারীরিক ব্যাধির সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে কয়েকটি বিশেষ ধরনের রোগ, তারা হ’ল কর্কট রোগ (cancer), অজীর্ণ, গেঁটে বাত৷ মনের রোগের ফলে উৎপন্ন রোগের সংখ্যা খুব বেশী না হলেও খুব কমও নয়৷ আমরা অনেক সময় দেখে থাকি, খিট্খিটে মেজাজের মানুষেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বদহজমে ভুগে থাকেন৷ ঙ্আজকাল অবশ্য মনের রোগ তথা উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনার শিকার হয়ে অনেকেই হৃদরোগ, রক্তচাপ রোগ, ডায়াবিটিস ইত্যাদি রোগের কবলে পড়ছেন৷ এটাই হ’ল আজকের সভ্যতার অন্ধকারময় দিক৷

হিস্টিরিয়া ও মৃগীরোগ ঃ

পুষ্টিকর লাল চাল ক্যানসারের প্রতিরোধক

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর : চাকদহ ব্লক সহকারী কৃষি অধিকর্তা ড. স্বপন কুমার সিংহ জানিয়েছেন, ধান্য গবেষক অনুপম পালের তত্ত্বাবধানে নদীয়ার ফুলিয়া ধান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে লাল-ভাত ধানের চাষ শুরু হয়েছিল৷ বর্তমানে এই ধানের চাষ দ্রুত প্রসার লাভ করেছে৷ এর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে৷ বিঘা প্রতি ফলন ১৪/১৫ মন৷ এই লাল ভাত ধান ভিটামিন এ-বি সমৃদ্ধ৷ এতে ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও আয়রণ রয়েছে৷ এই চালের ভাত রক্তাল্পতায় বিশেষ উপকারী, অ্যাণ্টি অক্সিডেণ্ট সমৃদ্ধ৷ এটি ক্যানসার প্রতিরোধক বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন৷

চক্ষুরোগে পদ্মমধু

পদ্মফুলের শোভা ও সৌন্দর্য্যে ও এর গন্ধে মউমাছি, ভ্রমরা, কীটপতঙ্গেরা আকৃষ্ট হয়৷ অন্যান্য পদ্মের তুলনায় শ্বেতপদ্মের গন্ধ বেশী৷ পদ্মের মধু (বিশেষ করে শ্বেতপদ্মের মধু) সর্ববিধ চক্ষুরোগের মহৌষধ বিশেষ করে চোখের মণি সংক্রান্ত রোগে৷ বাংলায় এই পদ্মমধু নিয়ে চর্চা হলে ভাল হয়৷ চক্ষুরোগে গোলাপ জলের ব্যবহার হিতকর৷ এছাড়া ফুলকপি ও গাজর চক্ষুরোগে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে৷

পদ্মের পরাগ সর্পবিষের প্রতিষেধক

নিয়মিত ব্যায়ামে লিভার ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব

বিশেষ প্রতিনিধি

নিয়মিত ও সময়মত ব্যায়াম করলে লিভারের ক্যানসারের প্রতিরোধের সম্ভাবনা বাড়ে৷ সম্প্রতি একটি গবেষণায় ইঁদুরের ওপরে পরীক্ষা করে এর ফল পাওয়া গেছে৷ হেপাটোসেলুলার কারকিনোমা (এইচ সি সি) বা লিভার ক্যানসারের প্রতিরোধ করার জন্যে কিছু রোগীকে পরীক্ষামূলকভাবে আসন করানোর ফলে রোগীরা চমৎকার ফল পেয়েছেন৷ গবেষকরা বলেছেন এটা তাদের মধ্যে দারুণ আশা জাগিয়েছে৷ উল্লেখ্য এইচ সি সি লিভার কোষে ক্যানসার হতে সহায়তা করে৷ আর লিভার ক্যানসার এমন এক রোগ যাতে সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ মারা যায়৷ এইচ সি সি পুরুষের শরীরে ক্যানসার বিস্তারের পঞ্চম সাধারণ কারণ হিসেবে পরিচিত, মেয়েদের বেলায় সাধারণত অষ্টম কারণ৷ গবেষণার শু

জ্বর ও জণ্ডিসের উপকারী আনারস

বিশেষ প্রতিনিধি

আনারস বিশ্বের অন্যতম সেরা ফল৷ পৃথিবীতে প্রায় ৯৫টি প্রজাতির আনারস চাষ হয়৷ পশ্চিমবাঙলার উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিং জেলার সংলগ্ণ এলাকাতে এর বহুল চাষ করতে দেখা যায়৷ অসম, ত্রিপুরাতে আনারস চাষ একটি অর্থকরি ফসল৷ আনারসের পুষ্টিগুণ অতুলনীয়৷ এতে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টির উপাদান রয়েছে৷ ১০০ গ্রাম আনারসে ০.৬ ভাগ প্রোটিন, শ্বেতসার ৬.২ গ্রাম, ০.১ ভাগ সহজপাচ্য ফ্যাট, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১২.০ গ্রাম শর্করা, ০.১১ গ্রাম ভিটামিন বি–১,০.০৪মি. গ্রাম ভিটামিন–২, ভিটামিন সি ২১ মি.গ্রা., ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রা.

বাঁশপাতাও তার ঔষধীয় গুণ

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তৃণ বর্গের সবচেয়ে বৃহৎ প্রজাতি হচ্ছে বাঁশ৷ জাওল বাঁশ, মুঠি বাঁশ, মূলী বাঁশ, তলতা বাঁশ, পলকা বাঁশ–এরা সবাই অতি দীর্ঘকায় তৃণ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ সেই সকল বৃহৎ তৃণকে বাঁশ বলি যাদের ফুল–বীজ হোক না হোক, পাশ থেকে কোঁড় বের হয়, ঝুড়ি তৈরী হয় ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভেতরটা থাকে ফাঁপা৷ সাধারণতঃ যে সকল বাঁশ বেশী দীর্ঘকায় হয় তারা বেশী ফাঁপা৷ যে সকল বাঁশেরা ছোট (এই ধরনের বাঁশ থেকেই লাঠি তৈরী হয়) তারা আকারে অতি ক্ষৃহৎ হয় না–ওজনে হয় ভারী৷ গাছগুলিও লোহার মত শক্ত৷

কলার মোচার উপকারিতা

প্রাচীন বাংলায় ‘মোচা’ শব্দের অর্থ ছিল বড় আকারের ফুল, আর ‘মুচি’ ছিল ছোট আকারের ফুল৷ কলার ফুলকে বলা হয় মোচা আর কাঁটাল বা নারকোলের ফুলকে বলে মুচি৷

লিবার (যকৃত) ও প্লীহা রোগে ঃ প্রাচীন বাংলায় মোচাকে একটি সুখভোগ্য খাদ্য বলে মনে করা হত৷ ঈষৎ ক্ষারযুক্ত হওয়ায় মোচা লিবার ও প্লীহা এ দু’য়ের পক্ষেই ভাল ঙ্(তরকারী হিসেবে)৷