মানুষের সাধারণতঃ ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সে শরীরে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন গ্রন্থিরসের ক্ষরণ ত্রন্দ্বন্তুব্জন্দ্বব্ধ প্সন্দ্র ড়প্সব্জপ্পপ্সুন্দ্বগ্গ্ হতে থাকে৷ এর ফলে রক্তের উষ্ণতায়, গতিতে, সংরচনায় পরিবর্তন ঘটে৷ তাতে করে মুখমণ্ডলে, বিশেষ করে কপাল ও গালে ছোট ছোট ফুসুক্ড়ি দেখা যায়৷ বাংলায় একে ব্রণ বলা হয়৷ এটা বিশেষ একটা বয়সে হয় তার পূর্বেও হয় না, পরেও হয় না৷ তাই একে বয়ঃব্রণ বলা হয়৷ সংস্কৃত ভাষায় ব্রণ বলতে বয়ঃব্রণকে তো বোঝায়–ই, অধিকন্তু যে কোন ক্লেশদায়ক ফোঁড়া বা ফুসুক্ড়ির জন্যেও ব্রণ শব্দ চলতে পারে৷ ব্রণরোগ মানে ঘা–এর রোগ৷
‘যথা অতি রমনীয় চারু কলেবরে
ব্রণ অন্বেষণ করে মক্ষিকানিকরে৷’
কখনো কখনো দেখা যায় যে, নানান ওষুধ ব্যবহার করেও ব্রণ সারতে চায় না, কখনো বা বিষিয়ে গিয়ে মুখ ফুলে যায়৷ তাই ব্রণের একটা ওষুধের কথা বলে দিচ্ছি৷ শিমুল কাঁটা, শিমুল কাঁটা না পেলে খাড়ি মুসুরী বা গোটা মুসুরী, দইয়ের সরের সঙ্গে শিলে ঘষে ব্রণের ওপর প্রলেপ দিলে খুব সহজে ব্রণ সেরে যায়৷ শিলেতে দুধের সঙ্গে গোলমরিচ ঘষে সেই ঘষা জিনিস মুখে লাগালে তাও বয়ঃব্রণের অন্যতম ঔষধ৷
(দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য)