‘ক’ মানে জল৷ ‘ক’–এতে বা জলে লম্বা হয়ে যে শুয়ে থাকে সে কলম্বী বা কলমী৷ ডাঙ্গার কলমী মানসিক উন্নতির পক্ষে ক্ষতিকারক কারণ সে তামসিক৷ জলের কলমীকেই কলম্বী বলা হবে–ডাঙ্গার কলমীকে নয়৷ ডাঙ্গার কলমীকে বলা হয় নালিতা শাক (নালিকা শাক নয়–নালিতা শাক বা নালতে শাক)৷ জলের কলমী সাত্ত্বিক৷ এটি একাধারে পেটকে ঠাণ্ডা রাখে, স্নায়ুকে সুস্থ রাখে, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষের মানসিক ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে৷ সাধারণতঃ অল্প তেলে রান্না করে মাঝে মাঝে খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়৷৷ তবে ডাঙ্গার কলমী বা নালিতা শাক সর্বথা পরিত্যাজ্য–
‘‘কুসুম্ভনালিতা শাক–বৃন্তাকং পোতকীস্তথা
ভক্ষয়ন্ পতিতোস্তু স্যাদপি বেদান্তগঃ দ্বিজঃ৷৷’’
বর্ষাকালে লোকে কলমী শাক খায় না৷ বর্ষাকালে কলমী শাকের পাতায় ও ডাঁটায় এক ধরনের কীট জন্মায়৷ লোককে যুক্তি দিয়ে ক্ষোঝালেও অনেক সময় তারা মানতে–ক্ষুঝতে চায় না৷ তাই ভয় দেখিয়ে ক্ষলা হয় সোজা রথের দিন থেকে উল্টো রথের দিন পর্যন্ত জগন্নাথের জ্বর হয়৷ তিনি কলমী পাতায় শুয়ে থাকেন৷ তাই ওই সময় কলমী শাক খেতে নেই–খেলে পাপ হয়৷
অন্যান্য রোগে কলমী ঃ কলমী শাক, লাউ, ছাঁচি কুমড়ো সুপ্তিস্খলন ও যৌন অক্ষমতা তথা ক্লীবতা রোগে অত্যন্ত সুপথ্য৷ ‘‘কলমী শাকের ডগা ছেঁচে প্রত্যহ প্রত্যুষে এক ছটাক মাত্রায় পান করলে সিফিলিস বা উপদংশ রোগের ক্ষীজ বিনষ্ট হয়৷’’
‘দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য’ থেকে