শীতপ্রধান দেশে বসবাসকারী কস্তুরীমৃগ, যার নাভিদেশে সঞ্চিত থাকে সুগন্ধিবিশেষ, দেখতে অত্যন্ত কদাকার । কিন্তু এদের দেহগ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হরমোন (গ্রন্থি-রস) নাভিতে ক্রমশঃ একত্রিত হতে থাকে ও তার জলীয় অংশ কমে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তা কাঠিন্যপ্রাপ্ত হয় । কঠিনতা যত বাড়তে থাকে সুগন্ধি তত বেশী উৎসারিত হতে থাকে । এই সুগন্ধের ফলে হরিণ (হরিণীর এই সুগন্ধ হয় না) পাগলের মত ঐ সুগন্ধের খোঁজে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটোছুটি করে বেড়ায় । সে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না তার এই সুগন্ধের উৎস হ’ল তার নিজেরই নাভিকুণ্ডলী ।
“গন্ধে মাতি কস্তুরী ফিরে অন্বেষণ করি’
জানে না সে নাভি সুবাসে মাতায়
কেন মিছে খুঁজে বেড়াও কাশী-গয়ায়” – প্রভাত সঙ্গীত
যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ওই সুগন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কস্তুরী-মৃগ প্রাণ হারায় । মৃগ হরিণের নাভি-দেশ কর্ত্তন করে ব্যবসায়ীরা কস্তুরী সংগ্রহ করে তা থেকে নানান ঔষধ ও প্রসাধন সামগ্রী প্রস্তুত করে । কস্তুরী ঘটিত ঔষধ গ্রহণ করলে মুমুর্ষু মানুষের শরীরে উত্তাপের সঞ্চার হয় ও বাড়তি কিছুক্ষণ বেঁচেও থাকে । ইংরাজীতে একে musk বলে ।