মিষ্টি কুমড়ো বা লাল কুমড়ো বাইরে থেকে এসেছে (ভারতের সাবেকী জিনিস নয়গ্গ৷ তাই এর পুরাণোক্ত বা সংস্কৃত কোন নাম নেই৷ এদেশে এসেছে আনুমানিক ৪০০ বছর আগে৷ এর ইংরেজী নাম ‘পাম্কিন’৷ ভারতের বিশেষ করে রাঢ়ের* মাটি লাল কুমড়োর পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় এর চাষ হু হু করে ৰেড়ে যাচ্ছে৷ যে ইয়ূরোপ থেকে একদিন লাল কুমড়ো এসেছিল, সেই ইয়ূরোপের চাষীরাই এখন শেওড়াফুলীর হাট থেকে লাল কুমড়োর ৰীজ কেনে৷ বিদেশ থেকে জলযানে অর্থাৎ ডিঙ্গি করে এসেছিল বলে রাঢ়ের কোন কোন অংশে একে ডিঙ্গি–লাউ বা ডিংলা বা ডিংলে বলে৷ এই লাউ কুমড়োকে কোথাও কোথাও মিষ্টি কুমড়ো, কোথাও বা সূয্যি কুমড়ো, আবার ময়মনসিং অঞ্চলে কোথাও কোথাও বিলাতী লাউও বলে৷
মিষ্টি কুমড়োর খাদ্যগত মূল্য ততটা না থাকলেও খাদ্য পরিপাকে ও ক্ষুধার উদ্রেকে সাহায্য করে৷ মিষ্টি কুমড়োর ৰীজের খাদ্যগত মূল্য কিন্তু অত্যন্ত অধিক৷
অত্যধিক পরিমাণে বা প্রত্যহ মিষ্টি কুমড়ো খেলে আর তার সঙ্গে যদি পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব থাকে, তবে কুষ্ঠরোগ হবার সম্ভাবনা থাকে৷ অবশ্য তার জন্যে মিষ্টি কুমড়ো দায়ী নয়, দায়ী হ’ল দারিদ্র্য৷ মিষ্টি কুমড়োতে কাঁচা অবস্থায় কিন্তু সবুজ তরকারীর গুণ বিদ্যমান৷ মিষ্টি কুমড়ো পাতার শাক বা এর নরম লতার (ডাঁটা) তরকারী একটি ভাল ব্যঞ্জন৷