মনের স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী

লেখক
ডাঃ আলমগির

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী৷ দিনে পাঁচ মিনিটের জন্যে হলেও সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত মাঠে বা পার্কে যান ও হাল্কা শরীর চর্চা মাধ্যমে আপনার মনকে সতেজ করে তুলুন৷ সবল করে তুলুন মানসিক স্বাস্থ্যকে৷ সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য জানা গেছে৷ সবুজ ঘাসের ওপর পাঁচ মিনিট হাঁটা বা শরীরচর্চা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি বিধানে সহায়তা করে৷ সেইসঙ্গে বাড়িয়ে তোলে ব্যষ্টি আত্মমর্যাদাবোধও৷ সমীক্ষায় বলা হয়েছে নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে, পার্ক বা ময়দানে বেশী সময় কাটানোর জন্যে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা৷ আলেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন যে, প্রতিদিন নিয়ম করে একটু হাঁটা, বাগান করা, সাইকেল চালানো কিংবা কৃষিকাজের মত প্রকৃতির কোলে থেকে পাঁচ মিনিট কাজ করার ফলে মানুষের মন প্রফুল্ল করে তোলার পাশাপাশি আত্মমর্যাদাবোধ গড়ে তুলতেও সাহায্য করে৷ এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যাণ্ড টেকনোলজি প্রকাশিত সমীক্ষা সম্পর্কে এক বিবৃতিতে গবেষক বার্টন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এর মাধ্যমে ব্যষ্টি ও সমাজের ভীষণভাবে উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেইসঙ্গে সব ধরনের লোকই যদি এ ধরনের শরীর চর্চা করে তবে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয়ও কমে যাবে৷’ অবশ্য এ ধরনের অনেক সমীক্ষাতেই বলা হয়েছে যে, এ ধরনের শরীর চর্চা মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধিতে সাহায়তা করে অসুস্থতার ঝুঁকি কমায় ও ব্যষ্টির সদগুণাবলীর বিকাশ ঘটায়৷ জুলস প্রিটি ও জো বার্টনের নেতৃত্বে সম্পাদিত এক সমীক্ষায় তাঁরা বলেছেন যে, শরীর চর্চায় উপকার পেতে হলে কতটা সময় ব্যয় করতে হবে তা কেউ এর আগে বলেননি৷ বার্টন ও প্রিটি ব্রিটেন এ রকম দু’শটি সমীক্ষায় বিভিন্ন বয়সী মহিলা–পুরুষ ও মানসিক স্বাস্থ্যের অধিকারী এক হাজার দু’শ বাহান্ন জন ব্যাষ্টির তথ্য যাচাই–বাছাই করেন৷ সে সময় হাঁটা, বাগান করা, সাইকেল চালনা, নৌকা চালনা, ঘোড়ায় চড়া ও কৃষি কাজের মতো শরীর চর্চার বিষয়গুলো তাঁরা ভাল করে  খতিয়ে দেখেন৷ তাঁরা দেখেন যে সব বয়সী ও পেশার মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হলেও তরুণ ও মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যষ্টিরাই এর থেকে বেশী উপকার পান৷ শহরের পার্ক, ময়দান সহ যে কোনও ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ এক্ষেত্রে উপকারী হলেও যেখানে সবুজ ছাড়াও তার সঙ্গে জলের উপস্থিতি আছে, সেখানে উপকার আরও একটু বেশীই পাওয়া যায়৷

পাতিনেবুর উপকারিতা

প্ত  দু’চা চামচ নেবুর রস দু’চা চামচ আদার রস মিশিয়ে তাতে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে বদহজমজনিত সব রকমের পেট ব্যথা সারে৷

প্ত শোওয়ার সময় গরম জলে নেবুর রস খেলে সর্দি সারে৷ কিছুদিন ধরে এইভাবে খেলে পুরোনো সর্দিও সেরে যায়৷

প্ত অল্প নেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চেটে খেলে প্রবল কাসি সেরে যায়৷ হাঁপানির আক্রমণও তৎক্ষণাৎ থেমে যাওয়ায় আরাম পাওয়া যায়৷

প্ত নেবুর রস আঙ্গুলে লাগিয়ে দাঁতের মাড়িতে মালিশ করলে দাঁত থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়৷

প্ত নেবুর রসে মধু মিশিয়ে বাচ্চাদের চাটিয়ে দিলে বাচ্চাদের দুধ তোলা বন্ধ হয়৷

প্ত নেবুর রসে চিনি ও জল মিশিয়ে একমাস ধরে রাত্তিরে শোয়ার আগে খেলে বহু পুরনো কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যায়৷

প্ত একটি পাকা পাতিনেবুর রসে সমপরিমাণ মধু দিয়ে অল্প অল্প গরম জল মিশিয়ে আহারের পর সঙ্গে সঙ্গেই পান করে নিলে এক–দু মাসের মধ্যেই মেদ বৃদ্ধি কমে যায় ও শরীরের বেড়ে যাওয়া মেদও ঝড়ে যায়৷

প্ত নেবুর রসে সর্ষের তেল মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন৷ ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে শিশিতে ভরে রাখুন৷ কানে দু–ফোঁটা করে দিলে পুঁজ পড়া, চুলকুনি, কানের ব্যথা এমনকি বধিরতার উপশম হয়৷

প্ত নেবুর খোসা নেবুর রসে পিষে পুলটিস তৈরী করে গরম করে বাঁধলে বা নেবুর রস ঘষলে নানা কারণে ত্বকে যে দাগ পড়ে তা দূর হয়৷

বাতাবী নেবুর গুণ

বাতাবী নেবু ঃ বাতাবী নেবু সংস্কৃত নাম মহালঙ্গ (বড় আকারের), সংস্কৃতে অপর নাম ‘জম্বীর’ (ছোট আকারের)৷ বাতাবী নেবু ত্রভ্রন্দ্বন্দ্বব্ধ প্তন্দ্বপ্পপ্সু পর্যায়ভুক্ত৷ এর ইংরেজী নাম ত্নপ্সপ্পন্দ্বপ্তপ্স৷ যবদ্বীপের অন্যতম প্রসিদ্ধ শহর বাটাভিয়ার সংস্কৃত নাম বাতাবীপুর৷ ওই বাটাভিয়া থেকে এসেছিল বলে বাংলায় ফলটির নাম বাতাবী নেবু৷ ামরা যারা আজ থেকে ৫০/৬০ বছর আগে কলকাতায় থেকেছি তারা নিশ্চয়ই দেখেছো কলকাতার বাজারে বাটাভিয়ার চিনি খুব চলত৷ আমরা বলতুম বাটা চিনি৷ সেকালে কলকাতায় পছন্দসই জিনিস ছিল যবদ্বীপের বাটা চিনি৷  বাতাবী নেবু পশ্চিমবঙ্গে ভাল রকমের উৎপাদন হয়৷ হজমের গণ্ডগোল, জণ্ডিস সহ লিভারের বিভিন্ন রোগের মহৌষদ হিসেবে একে দেখা হয়৷ সেপ্ঢেম্বর মাস থেকে পশ্চিমবাঙলা, ত্রিপুরা, অসমে বাতাবী নেবু বাজারে আসে৷ এইসময় নিয়মিত বাতাবী নেবু খেলে লিভার, জণ্ডিস সহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভাল রকমের রিলিফ পেতে পারেন৷ বহু বিশিষ্ট চিকিৎসক বাতাবি নেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন৷