ওল একটি কন্দবিশেষ৷ ইংরেজীতেElephant roots লাতিন(Arum) শব্দটিও কতকটা এই অর্থে ব্যবহৃত হত৷ পূর্বভারতে ‘ওল’ শব্দটি সমধিক প্রচলিত৷ ভোজপুরীতে, মধ্যপ্রদেশে ও মহারাষ্ট্রে ‘ওল’ অর্থে ‘শূরণ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়৷ হিন্দীতে ‘ওল’-কে ৰলে ‘জমীঁকন্দ’৷ শব্দটি সম্ভবতঃ ‘জমীকন্দ’ থেকে এসেছে৷ চাষের ও আরণ্যক ভেদে ওল নানান ধরণের হলেও ও নানান আকার-আকৃতির হলেও সুপরিচিত ওল মোটামুটি বিচারে দু’ধরণের--- শাদা ও লাল৷ চর্চার মাধ্যমে তৈরী করা ওলে গলা ধরে না ও তা সুখাদ্য৷ ৰাঙলার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার অঞ্চলের ওল খুবই ৰড় আকারের হয়৷ চর্চার দ্বারা উন্নীত ওলের চাষ বেশী হয় হাওড়া ও মেদিনীপুর জেলায়৷ হাওড়া জেলার সাঁতরাগাছীর ও মেদিনীপুর জেলার গেঁয়োখালির ওলের প্রসিদ্ধি আছে৷
ওল যকৃতের কাজে সাহায্য করে৷ ওল বিষ্টস্তিনী অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে৷ ওল ঈষদুষ্ণ অর্থাৎ শরীরকে গরম করে রাখে ও রক্ত-চলাচল বাড়িয়ে দেয়৷ ওল অর্শ-রোগনাশক৷ অর্শ রোগের শত্রু ৰলে ওলের একটি নাম হচ্ছে ‘অর্শঘ্নী’৷ আমাদের পরিচিত কন্দগুলির মধ্যে কোনটি তৈরী হয় তিনমাসে (যেমন গোল আলু--potato), কোনটি চার মাসে (যেমন সাধারণ কচু), কোনটি এক বছরে (যেমন, কমলভোগ কচু), কোনটি দু’বছরে (যেমন, ওল), কোনটি বা তিন বছরে (যেমন মান কচু, খাম আলু)৷ সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতবাসী ওলের সঙ্গে পরিচিত ও সংস্কৃত ভাষায় এর নামও রয়েছে অর্থাৎ এই সৰ্জীটি বহির্ভারত থেকে আসেনি৷